লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ভাংচুর চালালেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এতে সোমবার সকাল থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রগঞ্জ ইউপি সাধারন জনগন ও সেবা প্রত্যাশীরা।
চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন,এ সব ঘটনা তারা করেন নাই। ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের সালিশ বানিজ্য করে আসছিলো। সেই সুবাধে বৈঠকে পরাজিত ব্যাক্তিরা এ কাজ করতে পারে। তা না হলে তিনি নিজেই পরিষদের হিসাব নয় ছয় করতে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন।
অভিযোগে জানাযায়, প্রতিদিনের মত সকালে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আসলে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাবেদ হোসেন ও প্রথম যুগ্ন আহবায়ক মনির হোসেন টিপুর নেতৃত্বে কয়েক জন দলীয় নেতাকর্মী চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে কে তার অফিস থেকে লাঞ্চিত করে তাকে জোর পূর্বক বের করে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন । তিনি জানান, বিগত কয়েকদিন থেকে জাবেদ ও মনির তার নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি আরো জানান, তাদেরকে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার তারা চন্দ্রগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে এসে তাকে লাঞ্ছিত করে ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং ইউপি কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
স্থানীয় সেবা প্রত্যাশী কয়েকজন জানান, ‘ চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ, তিনি ভিন্ন দল করলেও কখনো কাউকে কোন কাজে হয়রানি করেননি। সাধারন মানুষের যাতে স্বাক্ষর পেতে সমস্যা না হয় সেজন্য সারাদিন অফিসে বসে থাকেন। তিনি না থাকায় আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে’ । আরেক সেবা প্রত্যাশী তাহমিনা বলেন, আমরা আগে সব সময় চেয়ারম্যান সাহেবকে অফিসে পেতাম, এখন আজকে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে পারি নাই।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা বলেন, খবরটি পেয়েছি। বিস্তারিত তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।