Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

১১০০ শিক্ষকের সনদ জাল

প্রকাশিত:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ১ হাজার ১০৮ জন শিক্ষকের জাল সনদ শনাক্ত হয়েছে। এই সনদধারী শিক্ষকদের পেছনে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬০ টাকা। আর অবৈধ নিয়োগ, প্রাপ্যতার অতিরিক্ত গ্রহণ ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে আরো ২৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৯ টাকা। এসব অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার সুপারিশসহ সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ।

এ বিষয়ে ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আমরা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল শনাক্ত করেছি। ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত জমি বেহাত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। অবৈধ নিয়োগের কারণে এবং প্রাপ্যতার অতিরিক্ত নেওয়া অর্থ ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

বিপুল চন্দ্র সরকার জানান, গত ১০ বছরে দেশের ২৪ হাজার ৯৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

গত ২৪ জুন ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরের সই করা প্রতিবেদনে জানানা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের মোট জাল সনদ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১০৮টি। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৮২৪টি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২৮৪টি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শুধু শিক্ষক নিবন্ধন জাল শনাক্ত হয়েছে ৬১৫টি। নেকটারের কম্পিউটার সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ১৬০টি। অন্যান্য সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ৪৯টি। সর্বমোট ৮২৪টি।

আর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধন জাল শনাক্ত হয়েছে ১৮৪টি। নেকটারের কম্পিউটার সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ৮৯টি। অন্যান্য সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ১১টি। সর্বমোট ২৮৪টি।

এসব জাল সনদের বিপরীতে শিক্ষকদের গ্রহণ করা অর্থ ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬০ টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৩৬ কোটি ১০ লাখ, ৬৮ হাজার ৪৭৪ টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৬ টাকা।



আরও খবর



ছিনতাই হওয়া জাহাজ থেকে নাবিকদের বার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে গেছে দস্যুরা। বাঁচার আকুতি জানিয়ে জিম্মিরা অডিও বার্তা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি।

জানা যায়, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই জলদস্যুরা সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির একজন নাবিক। ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে জাহাজের ২৩ জন ক্রুর পরিচয় মিলেছে। জাহাজের মাস্টার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আবদুর, চিফ অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, থার্ড অফিসার হিসেবে আছেন ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট হিসেবে আছেন টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির।

এ ছাড়া চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নেত্রকোণার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে আছেন নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) হিসেবে আছেন নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী, ফায়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার হিসেবে আছেন নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রিশাদ তাণ্ডবে সিরিজ জিতল টাইগাররা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারানোর দিনে দলের চাপের মুখে ঝড়ো ব্যাটিং করেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ৪৮ রান করে দলকে সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিশাদ।

সোমবার (১৮ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-২ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা।

২৩৬ রান তাড়ায় আহত সৌম্য সরকারের বদলি কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিং করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৫০ রানের জুটি ছিল তার। ২২ বলে ১২ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে আভিশকা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। লাহিরু কুমারার বলে আউট হয়ে যান তিনি।

পরের ওভারে এসে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান কুমারা। তার বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরে কুমারাই নেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উইকেট। ২৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়া তানজিদ খেলেন ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংস।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিরাজকে ফিরিয়ে হাসারাঙ্গা চাপ বাড়ান বাংলাদেশের ওপর। ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি ছিল তাদের। মিরাজ ফেরার পর উইকেটে আসেন রিশাদ।

উইকেটে এসে প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। ওই ওভারের বাকি চার বলে আরও একটি চার ও ছক্কা। হাসারাঙ্গা আবার ৪০তম ওভার করতে আসেন। ওই ওভারে ২৪ রান নেন রিশাদ। এতে দলের জয়ও তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে থিকসানাকে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।

২৫ বলে তার সঙ্গে রিশাদের জুটি ছিল ৫৯ রানের। ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করেন রিশাদ। ৩৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

এ জয়ে সিরিজটিও নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জেতার পর দ্বিতীয়টিতে জিতেছিল সফরকারীরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা ও ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।


আরও খবর



অনাহারে মারা যাচ্ছে গাজার শিশুরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এতোটাই অমানবিক যে, গাজার উত্তরাঞ্চলের শিশুরা মারা যাচ্ছে অনাহারে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

এমনকি গাজার শিশুরা গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে এই সপ্তাহান্তে প্রথমবারের মতো আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে তার সংস্থাটি।

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া একটি পোস্টে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর তিনি গুরুতর ফলাফল পাওয়ার কথা বলেন। পোস্টে টেড্রোস লিখেছেন, খাবারের অভাবের ফলে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং গাজার শিশুরা গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হয়েছে। হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা সোমবার জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার ১৬তম শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, উত্তর গাজায় মারাত্মক মাত্রায় অপুষ্টি রয়েছে, শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে এবং হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজার এই অঞ্চলে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ খুবই অল্প খাদ্য বা বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বসবাস করছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি আরও বলেছেন, খাদ্যের অভাবে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে আরও নিয়মিত যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ডব্লিউএইচওর প্রথম সফর ছিল এটিই। আল-আওদা হাসপাতালের পরিস্থিতি বিশেষভাবে খুবই ভয়াবহ, সেখানকার একটি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ - যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ - বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেছেন, আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে। অপুষ্টি গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার অবশিষ্ট যে কয়েকটি হাসপাতাল চালু আছে তার মধ্যে কোথাও কোথাও সম্ভবত আরও বেশি শিশু তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে এবং ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে সম্ভবত আরও বেশি শিশু সঠিক যত্ন ও পরিষেবা পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেছেন, এই মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ মৃত্যু মানবসৃষ্ট, পূর্বাভাসযোগ্য এবং সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য।

জাতিসংঘের এই সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রায় ১৬ শতাংশ বা দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন উত্তর গাজায় তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। অ্যাডেল খোদর সতর্ক করে বলেন, এখন, আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে এবং যুদ্ধ শেষ না হলে ও মানবিক ত্রাণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতাগুলো অবিলম্বে সমাধান করা না হলে তা (শিশু মৃত্যু) দ্রুত বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৯৮০ জন।

এদিকে ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে এবং এই পদক্ষেপ গাজার ফিলিস্তিনিদের বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনাহারের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে সবার শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে আজ রোববার (১০ মার্চ)  ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকায় আজ সবার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার বাতাসের মানের স্কোর ২১২। অর্থাৎ, নগরবাসীর জন্য আজ ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকার দুই নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর, ১৯৫। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ তিন নম্বরে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৮৮। অর্থাৎ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এই শহরের বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

একিউআই বা বায়ুমান নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩) । একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে নগরবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।  প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর