Logo
শিরোনাম

১২৩ ফুট উচ্চতা থেকে নামিয়ে ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকায় উত্তাল ছাত্র জনতার রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারটি। শত শত মানুষের ক্ষোভে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

জানা যায়, টাওয়ারটি বিশেষ স্থাপত্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতীকী ছিল। ছয়তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২০টি ভাস্কর্য ছিল। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে স্থাপিত ছিল বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ ভাস্কর্য।

স্থানীয় রাকিব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার এলাকার শমশের নগরে শুরু হয় ছাত্র জনতার জমায়েত। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। টাওয়ারটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সোহেল রানা বলেন, ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগান শোনা যায়।

এছাড়া, বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে প্রথমে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত ম্যুরালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে আগে থেকেই ভাঙচুর করা ম্যুরালটিতেও আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, কালিগঞ্জ বারোবাজার এলাকার শমশের নগরের ১২৩ ফুট উঁচু টাওয়ারটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে কাদের নেতৃত্ব ভাঙচুর করা হয়েছে এখনো জানতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওই ঘটনা ছাড়া আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মব সৃষ্টি করে ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গতকাল শনিবার এই বিশেষ অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সমাজ চিন্তক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষ অভিযান সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি, বরং আতঙ্ক বেড়েছে। এ সময়েই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলে চরমপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, তৌহিদী জনতার নামে মব সৃষ্টি করে মানুষের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বেড়েছে নারী হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনাও।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এই বিশেষ অভিযান এখনও চলমান আছে। তবে ডেভিল হান্ট নামে আর অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট বিশেষ অভিযানে সারাদেশে ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সারাদেশে মোট গ্রেপ্তার করা হয় ৩০ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জুলাই-আগস্ট মামলার আসামিও রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন নামটা যতটা প্রভাবশালী; অভিযানটা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। কারণ ১১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যদি একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়, তা হলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোন অপরাধীদের? তিনি বলেন, অভিযানটা সামগ্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। পেশাদার অপরাধীদেরও যদি একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হতো, তা হলে অবস্থার আরও উন্নতি হতো।

তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বিত টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রমের কারণে কয়েক দিন ধরে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আপাতত ঢাকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরেও পুলিশের কার্যক্রম আগের তুলনায় আরও গতিশীল করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফেব্রুয়ারিতে সেটি বেড়ে ৫৭টি হয়। জানুয়ারিতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ১৫টি। ফেব্রুয়ারিতে তা ১৭ হয়েছে। এর মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হতে হয়েছে। বেড়েছে দলবেঁধে ধর্ষণচেষ্টার সংখ্যাও। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বিকেল তিনটার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।

বিশেষ অভিযানের মধ্যে গণপিটুনির ঘটনাও কমেনি। এক সপ্তাহ আগে শরীয়তপুরে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় আরও কয়েক জন। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে আরও দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার মগবাজারে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় জনতা একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে গণপিটুনিতে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে গণপিটুনির ঘটনায় আটজনের প্রাণ যায়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে ফুটওভার ব্রিজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে অন্তত তিনটি ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল অস্ত্রধারী বালুর ঘাটে হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের দুই লাখ টাকা লুট করে নেয়। ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন গুলিতে আহতও হন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত একটার দিকে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শশানঘাট এলাকায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে শক্তির জানান দেয় চরমপন্থি দলের নেতা কালু। হত্যার দায় স্বীকারও করে সে। গতকাল পর্যন্ত কালু গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় এই বাহিনীর হাতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পরই যৌথ বাহিনীসহ র‌্যাব-পুলিশ দৃশ্যমান তৎপরতা শুরু করে। গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে বসেছে চেকপোস্ট। এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে ১৪ জন সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের নানামুখী ব্যবস্থার কারণে ঢাকায় পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ছিনতাই কমে আসছে।

তবে ঢাকার একাধিক এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় র‌্যাব-পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা বেড়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় তাদের উপস্থিতি বাড়েনি। ফলে আগের মতোই আতঙ্ক নিয়ে তাদের ঘর থেকে বের হতে হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করা পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন জায়গায় মার খাচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশি চৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি। সারাদেশে আরও কয়েক জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা মব তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর  বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকতা এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ করেছেন বিভিন্ন আভিযানিক কার্যক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধে কৌশলগত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মব জাস্টিস কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে রেসপন্স করবে। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

 


আরও খবর



কোনো দাবির মুখে ভোট পেছানোর সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। কোনো দাবির মুখে ভোট পেছানোর সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আইসিজির প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নিশ্চিত করেছেন যে সরকার দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে এ তারিখগুলো পরিবর্তন করা হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা ব্যাখ্যা করে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংখ্যক সংস্কার চায়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। যদি বৃহত্তর সংস্কার কার্যক্রমের দাবি ওঠে, তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

আওয়ামী লীগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দলটিকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। যেসব নেতা অপরাধ, বিশেষ করে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের একটি তথ্য-উদ্ধার মিশনের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় সম্ভাব্য অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। এটি এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তিনি বলেন, জুলাই চার্টার চূড়ান্ত করে স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দেবে।

আন্তর্জাতিক সংকট গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লার গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একে শরণার্থী ক্যাম্পে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তারা রাখাইন রাজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে কাজ করছে এবং আসন্ন বিশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

ড. কমফোর্ট ইরো বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিজির সমর্থন ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক ইউনূস আলোচনার শেষ পর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক চায়, তবে বাংলাদেশবিরোধী অনেক বিভ্রান্তিকর প্রচারণার উৎস ভারতীয় গণমাধ্যম বলে জানান।


আরও খবর



স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। আর দেশীয় এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী একটি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলো স্টারলিংকের সাথে সহযোগিতার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ।

স্টারলিংক দলের এই সফর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান জানতে সাহায্য করছে। কিছু স্থানে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে। আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের সম্পত্তি বিবেচনা করছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

তৈয়ব আশা প্রকাশ করেছেন যে, স্টারলিংক লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ-গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চ-মানের পরিসেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সাথে একটি যুক্তিসঙ্গত মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিসেবা চালু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

তিনি চিঠিতে মাস্ককে জানান, বাংলাদেশ সফর মাস্ককে তরুণ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেবে, যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য বলেন, যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে মাস্কের সাথে ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার জন্য আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা করেন।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫




যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়কে নেমে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেন সাংবাদিকরা। শনিবার ১৫ মার্চ সকাল সারে ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে মাছের মোড়ে প্রধান সড়কের উপর আয়োজিত মানববন্ধনে নওগাঁ জেলা সদর, আত্রাই, মান্দা ও মহাদেবপুরের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী ও নারীনেত্রীসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাব ও মহাদেবপুর দর্পণ পরিবার এর আয়োজন করে।

মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, যায়যায়দিনের সাবেক মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কিউ, এম, সাঈদ টিটো এতে সভাপতিত্ব করেন। রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহাদেবপুর দর্পণের বার্তা সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যায়যায়দিনের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে যায়যায়দিনের নওগাঁ প্রতিনিধি রুহুল আমিন, আত্রাই প্রতিনিধি ওমর ফারুক, মান্দা প্রতিনিধি মাহবুুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্য-নির্বাহী কমিটির মেম্বার, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক আজকের বিনোদন পত্রিকা, বিডি টুডেস এর সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম জিএম মিঠন, দৈনিক নয়া দিগন্তের মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও দৈনিক শিক্ষা ডটকমের নওগাঁ প্রতিনিধি অহিদুল ইসলাম, মহাদেবপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সাইফুর রহমান সানি, উপদেষ্টা সামছুজ্জামান বিশ্বাস জামান, মহাদেবপুর দর্পণের প্রকাশক নারীনেত্রী কাজী রওশন জাহান, এনটিভি মাল্টিমিডিয়ার মহাদেবপুর-বদলগাছী প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিঠু, দৈনিক কালবেলার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র, বার্তা ২৪ এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হক, দৈনিক নতুন দিন পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রশিদুল ইসলাম রশিদ, দৈনিক ঘোষণার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মহাদেবপুর প্রতিনিধি এম, আর রাজ, দি-হাঙ্গার প্রকেক্টের পিস ফ্যাসিলেটেটর গ্রুপ পিএফজির সাবেক কো-অর্ডিনেটর হারুন অর রশিদ, সদস্য আব্দুর রহিম টুকু, মানবাধিকার কর্মী অসিত দাস, সমাজকর্মী জামিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন শান্ত, ছাত্রনেতা মোতালেব, শিক্ষার্থী রিসান আস সামী, কাজী আবু হুরাইরা শিলন প্রমুখ অংশ নেন। 

বক্তারা মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন বাতিল করা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে যায়যায়দিনের প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পূণরাদেশ দেয়া ও প্রধান কার্যালয় অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় আরো বৃহৎ কর্মসূচি দিয়ে সাংবাদিকেরা মাঠে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া দেন বক্তারা।


আরও খবর



ঈদে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

নোট বিনিময় স্থগিত বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে। নতুন করে নোটের নকশার যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাপানো নোটের ডিজাইন পরিবর্তন হবে এবং শেখ মুজিবের ছবি থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর