Logo
শিরোনাম

১৯ টাকা দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের জন্য নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর



প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদী উপকূলীয় জেলেপাড়া ও মৎস্য আড়তগুলোতে জাটকা না ধরার জন্য সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার। মাছ ধরা বন্ধে নদীর সীমানায় বসানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা টাস্কফোর্স এবং কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তবে এতেও থামছে না জাটকা নিধন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা মাছ নিধন। বিষয়টি শিকারও করেছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি ভেজা জাল লক্ষ্য করা গেছে।

মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক জেলে নৌকায় ভেজা জাল পরিষ্কার করছেন। দূরে কিছু নৌকা তখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিছু নৌকা থেকে পাইকাররা মাছ উঠাচ্ছেন বাজারে বিক্রির জন্য।

উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া-সংলগ্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে একই চিত্র দেখার মেলে। আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান। সেসব ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে জাটকা ইলিশ।

মতলব উত্তরের জেলে ইসমাইল, মালেক বেপারী, আরশাদ প্রধান, রমিজ ছৈয়ালসহ একাধিক জেলে জানান, তারা মৎস্য অফিসে ইমান আলীর মাধ্যমে টোকেন নিয়েছেন। এ টোকেন দিয়ে তারা নদীতে মাছ ধরেন। টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে প্রশাসন তাদের জেল-জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে না পারলে সরকারের উদ্দেশে বাস্তবায়ন হবে না।

উপজেলার এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার ও কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা বলেন, মাছ না ধরলে মানুষ না খেয়ে মরবে। জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। জাল দিয়ে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে ইমান আলী বলেন, টাকা নিয়ে টোকেন দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত জেলেদেরকে তাদের মতো করে নদীতে নামায় আড়তদাররা।

রাতে মেঘনা নদী জেলেদের দখলে থাকে আপনারা কি রাতে অভিযান করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ফোর্স কম। তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগকে আরো আন্তরিক হতে হবে।


আরও খবর



ঢাকা ও এর আশপাশে তীব্র গরমের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলে আজও তীব্র গরম অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজকের দিনটিতেও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই এবং আবহাওয়া থাকবে একেবারে শুষ্ক। ফলে গরমের তীব্রতা থেকে রাজধানীবাসীর স্বস্তি মিলবে না।

২৬ এপ্রিল সকালে দেওয়া ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ থাকবে পরিষ্কার। এসময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। এসময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্য উঠবে ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, গতকাল রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে রাজশাহী বিভাগসহ দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



মাত্র ১৫ মিনিটে ছাতা তৈরি করেন ঈমান আলী

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সামনে বর্ষাকাল আর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় ছাতার চাহিদা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে বর্ষায় ছাতা মাথায় ঘোরাফেরা।

যুগের আবর্তনে ছাতা তৈরিতে এসেছে নতুনত্ব এবং গ্রাম থেকে শহরে সব স্থানে বেড়েছে এর চাহিদা। এ ছাতা তৈরির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের এক সংগ্রামী কারিগর।

নাম ঈমান আলী, বয়স ৭০ বছরের বেশি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা সেরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হালকা পাতলা গড়নের শরীর নিয়ে হেলেদুলে হেঁটে দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে শহরের দোকানে যান ঈমান আলী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে তিনি ছাতা তৈরি করে আসছেন। শহরের একটি দোকানে ছাতা তৈরি করেন। ঈমান আলীর কাজের স্পৃহা দেখে অভিভূত বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা। অনেকের কাছে এটা গল্পের মতো মনে হয়।

ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ঈমান আলী মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে দিয়ে একটার পর একটা ছাতা তৈরি করে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ এবং গরম পড়তে শুরু করেছে, হবে বৃষ্টিও। সেজন্য ছাতার চাহিদা বেড়েছে। ফলে বেড়েছে কাজের চাপ।

ঈমান আলীর বলেন, আমার চাচার কাছ থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। আমাদের সময়ে মানে স্বাধীনতার আগে তেমন কাজ পাওয়া যেতো না। সেই সময়টাতে আমার চাচা ভালো ছাতা তৈরি করতেন। তখন চাচার সঙ্গে থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। বলতে পারেন, কিছুটা বাধ্য আর কিছুটা নেশায় পড়ে এ পেশা বেছে নেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ছাতা বানানো এখন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। আমি এখন কাজ না করে থাকতে পারি না। আমার কাছে এ কাজটা এখন খুবই সহজ লাগে। এখন আমার একটা ছাতা তৈরি করতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ১৫ মিনিট। আমি একদিনে প্রায় ৩৬-৪৮টা ছাতা বানাতে পারি। আমার তৈরি করা ছাতা চলে যায় গ্রামের হাট-বাজারে। সেখানে এসব ছাতা খুচরা দামে বিক্রি করা হয়। আগে আমি বাইরে বসে ছাতা তৈরি করতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ময়মনসিংহ নগরের ছোটবাজারের এ ছাতার দোকানটিতে কাজ শুরু করি, এখনো করছি। বর্তমানে দিনে ছাতা বানিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়।

আমি বছরের নয় মাস ছাতা তৈরি করি। আর বাকি তিন মাস অন্য কাজ করি। ফাল্গুন থেকে শ্রাবণ এ চার মাস ছাতার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময়টাতে বেশি ছাতা বিক্রি করা হয়। ছাতা বানিয়ে আমার পাঁচ সন্তানকে বড় করে বিয়ে দিয়েছি। কাজ করতে করতে এখন ছাতা তৈরি করা আমার এক রকম নেশায় পরিণত হয়েছে।

ঈমান আলীর মেজো ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমার বাবা আমাদের জন্মের আগে থেকে ছাতা তৈরির কাজ করেন। আমাদের তিনি এ কাজ করে বড় করেছেন।

ঈমান আলীর ছোট ছেলের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। তিনি তার কাজ করে আনন্দ পান। তিনি এতই কাজ পাগল একজন মানুষ যে দোকানে না গেলে ভালো লাগে না।

ঈমান আলী যে দোকানে কাজ করেন নব-ছাতা দোকানের মালিক নব কুমার সাহা বলেন, ঈমান আলী খুবই সৎ এবং কাজ পাগল মানুষ। তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখনও আমাদের দোকানে ছাতা তৈরি করে আসছেন। তার কাজের দক্ষতা অসাধারণ। আমরা তার মতো একজন কর্মী পেয়ে খুবই খুশি।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




এবার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। গত শুক্রবারে যেখানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, এখন সেটিই বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। সামনে দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পুরো রমজানে স্বস্তি দেয়া পেঁয়াজের বাজারে যেন হঠাৎ আগুন লেগেছে। কারণ পেঁয়াজের ভরা মৌসুম হলেও রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। দাম বাড়ার এই প্রবণতা শুরু হয় মূলত পহেলা বৈশাখ থেকে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কেন বাড়ছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ তাদের জানা নেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর বলেন, ‘খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। কেন বেড়েছে বুঝতেছি না।

আরেক বিক্রেতা নয়ন বলেন, ‘দাম বাড়ার পেছনে খুচরা বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। আমরা নিজেরাও জানি না কেন এমন বাড়ল। দাম বাড়ায় কমেছে বেচাকেনাও।

একই অভিযোগ পাইকারদেরও। তারা বলছেন, ‘আড়ত থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা জুবায়ের জানান, পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আড়তে ও মোকামে দাম বাড়ায় পাইকারিতেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫