Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

২০ জায়গায় কম দামে মিলবে দুধ-ডিম-মাংস

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

আসছে রমজানে বাজারের চেয়ে কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২৩ মার্চ থেকে মাসব্যাপী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করতে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ২০টি স্থানে বাজারের চেয়ে কম দামে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম এবং দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের কয়েকটি স্থানে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রতিটি ভ্যানে প্রতিদিন ১০০ কেজি গরুর মাংস, ২৫ কেজি খাসির মাংস, ৫০ কেজি ড্রেসড বয়লার এবং ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হবে। সর্বোচ্চ ১ কেজি গরুর মাংস, ১ কেজি খাসির মাংস, ১ কেজি ড্রেসড বয়লার, ২ লিটার দুধ এবং ১ ডজন ডিম কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা।

রাজধানীতে সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, বনানীর কড়াইল বস্তি, উত্তরখান, হাজারীবাগ, গাবতলী ও কামরাঙ্গীরচরে এ কার্যক্রম চলবে।

বর্তমানে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও এসব স্থানে ৬৪০-৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে প্রতিকেজি গুরুর মাংস ৬৪০-৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়া খাসির মাংস ৯৪০-৯৫০, প্রতি লিটার গরুর দুধ ৮০ এবং ১২০ টাকা করে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হতে পারে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে ৯৪০ থেকে ৯৫০ টাকায় কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে পাওয়া যাবে ড্রেসড বয়লার মুরগির মাংসও (চামড়া ছাড়া)।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এ কার্যক্রমে লজিস্টিক সার্পোট দিয়ে থাকি। গত বছরেও দিয়েছি, এ বছরও দেওয়া হবে। আমরা এ কার্যক্রমকে সফল করতে কাজ করছি।

বাংলাদেশ ডেইরি ফামার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আমরা মাংস এবং দুধ সরবরাহ করব। রমজানে ২০ স্থানে বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি হবে দুধ,ডিম ও মাংস।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, রমজান মাসে মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেটি সরকারের লক্ষ্য। তাই প্রাণীজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ বিপণনে শুধু সূলভমূল্যে বিক্রি করে আমরা দায়িত্ব ছাড়ছি না, এসব স্থানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির সব কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




সৃষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠকের ভেতর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের অবসান ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রে ফেরার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কোনো অবস্থায় হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় বা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়- এমন কোনো কার্যক্রম না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একান্ত বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের একান্ত আলোচনায় কী কী বিষয় স্থান পেয়েছে,

তা তারেক রহমানের কাছে দুই নেতা জানতে চান। কিন্তু লন্ডন বৈঠকের আগে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমান যেন একান্ত বৈঠকের বিষয়ে শেয়ার না করেন তা অন্য নেতারা উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় তারেক রহমান বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না। তখন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন বৈঠককে আমরা এখনও ইতিবাচক মনে করছি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, সাংগঠনিক কর্মকা- আরও ত্বরান্বিত করা, নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নেওয়া- এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে আস্থার সঞ্চার করেছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা আরও মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লন্ডন বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ ইস্যুতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর ইশরাক হোসেনের এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত, আন্দোলন বন্ধ করা উচিত। কারণ লন্ডন বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ও অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি এক ধরনের স্বস্তিও ফিরে এসেছে জনমনে। একই সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছুদিন ধরে চলা বিএনপির টানাপড়েনেরও অবসান ঘটেছে। এমন অবস্থায় ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আন্দোলন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় আন্দোলন থেকে এখন ইশরাকের সরে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা (শপথ ইস্যুতে আন্দোলন) বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত না। ইশরাক ঢাকাবাসীকে নিয়ে এটা করছে। বিএনপির মধ্যে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখতে হবে। সরকার যদি নির্বাচন বিষয়ে তার কথা না রাখে তাহলে তো বহু আন্দোলন করা যাবে। আমরা শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



আল্লাহ্‌ আমাদের ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের তৌফিক দান করুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

পবিত্র কুরআনের সুরা তওবার ৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন “আর যদি মুশরিকদের কেউ তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পারে। অতঃপর তাকে পৌঁছে দাও তার নিরাপদ স্থানে।” 


সুরা মুমতাহিনার ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন “দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করছেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।”


সুরা ইউনুসের ৯৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন ‘আপনার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীর সব মানুষ ঈমান আনত। তবে আপনি কি মানুষকে বাধ্য করবেন যেন তারা ঈমান নিয়ে আসে?’


পবিত্র কুরআনের পাশাপাশি হাদীস শরীফেও আছে এর সংশ্লিষ্টতা। 'হযরত জাবের রা. বর্ণনা করেন একদিন আমাদের পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাচ্ছিলো। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। তার দেখাদেখি আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা তাকে বললাম, ‘ইয়া রসুলাল্লাহ! এ তো এক ইহুদির লাশ! রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যখন কোনো লাশ নিতে দেখবে, তখন দাঁড়াবে।’ (বুখারি ১৩১১)


অন্য ধর্মের কাছে ইসলামের ব্যাপারে যেন ইতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে এব্যপারে বারবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নসিহত করে গেছেন। ইসলামের মূল সৌন্দর্য ইসলামে নির্দেশিত সুন্দর আচরণ। আমাদের বাংলাদেশে ইসলামী লেবাসে ওরা কোন সম্প্রদায়ের লোক, যারা ইসলামের বিপরীত দৃশ্য মানুষের সামনে স্পষ্ট করছে? আর ওরাই বা কারা, যারা এসব মব সৃষ্টির পক্ষে প্রকাশ্যে কিংবা ইনিয়ে বিনিয়ে নানান যুক্তি দিচ্ছে? 


আরও খবর

মহররম মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫




অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল : তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুন (সোমবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ মেঘনাঘাট- এর আওতাধীন পুরান বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া,  চর বাউশিয়া, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এই অভিযানে অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর (excavator) মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। 

এ সময়, ২টি অবৈধ চুনা কারখানার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ২ ইঞ্চি ব্যাসের ২০ ফুট এমএস পাইপ এবং ৭৫০ ফুট হোজ পাইপ অপসারন করে বিনস্ট করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে দৈনিক ২৪,০০০ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩,৫১,৪৫১.০০ টাকা। অবৈ বাবে গ্যাস ব্যবহারকারী চুন কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় ২টি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে।

একই দিনে, মনিজা খাতুন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ, সাভার-এর আওতাধীন রাজফুলবাড়ীয়া, ভরারী, বটতলা,ঝৃষিপাড়া, বাগবাড়ী, তেঁতুলঝোড়া ও সাভার এলাকার ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে তেঁতুলঝোড়া, সাভার এলাকায় স্থাপিত ‘‘বেস্ট ড্রেস ওয়্যার লিমিটেড’’‘‘মেসার্স আল-আকসা ওয়াশিং প্ল্যান্ট’’ এবং হেমায়েতপুর, সাভার এলাকায় স্থাপিত ‘‘মেসার্স লেটেস্ট ওয়াশিং প্ল্যান্ট’’ নামক ৩টি অবৈধ শিল্প সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই অভিযানে আনুমানিক ২২০০ ফুট অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ করা হয়, যার মধ্যে ১৭৫০ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। এই অবৈধ সংযোগ গুলোর মাধ্যমে মাসিক ২৬,৬৫,২৮৬.০০ টাকা মূল্যের গ্যাস চুরি হচ্ছিল মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযান কালে ২টি শিল্প প্রতিষ্টান থেকে ১,৫০,০০০.০০ টাকা অর্থ দন্ড আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে, সিমন সরকার, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-জয়দেবপুর, আবিবি-জয়দেবপুর-এর আওতাধীন ভান্ডারী বাড়ি, জমিলা মেডিকেল, কুনিয়া তারগাছ, চন্দরা রোড, কুনিয়া পাচর, মেট্রো গাছা থানা এলাকায় ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ২৫০ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি পাইপ জব্দ সহ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে।

একই দিনে, হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৩ এর আওতাধীন ত্রিমোহনী খিলগাও এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে অবৈধভাবে পুনঃস্থাপিত ২ ইঞ্চি ডায়া ১০০০ মিটার বিতরন লাইনে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই অভিযানে ৪০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যা আনুমানিক ২১০টি অবৈধ ডাবল বার্নার চুলার প্রতিনিধিত্ব করে। এই অভিযানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।


আরও খবর



চোখের যত্নে পেশাদার শিক্ষা

অপটোমেট্রি কোর্স ও আমাদের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থায় ‘অপটোমেট্রি’ একটি অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা। অপটোমেট্রি মূলত চক্ষু ও দৃষ্টির যত্ন, রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য পেশা। চিকিৎসা ব্যবস্থার অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের বহু দেশে অপটোমেট্রিস্টরা স্বীকৃত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে এই পেশাটি এখনও অবহেলিত ও সুশৃঙ্খল কাঠামোবদ্ধ অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

বর্তমানে বাংলাদেশে অপটোমেট্রি শিক্ষা খুবই সীমিত আকারে পরিচালিত হচ্ছে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে ‘বিএসসি ইন অপটোমেট্রি’ এবং কিছু ক্ষেত্রে ‘ডিপ্লোমা’ কোর্স চালু থাকলেও, এদের অধিকাংশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে না। চক্ষু চিকিৎসা বলতে এখনও অনেকেই শুধু চক্ষু বিশেষজ্ঞ (অফথালমোলজিস্ট) বা চশমার দোকানদার (অপটিশিয়ান)-কে বোঝে, অথচ এ দুটির মাঝখানে রয়েছে অপটোমেট্রিস্ট—যিনি একজন প্রশিক্ষিত চক্ষু পেশাজীবী।


অপটোমেট্রিস্টরা চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা, রিফ্রাকশন, কন্ট্যাক্ট লেন্স ফিটিং, লো ভিশন রিহ্যাবিলিটেশন, বায়োমাইক্রোস্কপি, টোনোমেট্রি, ফান্ডাস্কপি, কর্নিয়াল টপোগ্রাফি এবং অপটিক্যাল কেরাটোমেট্রি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিক্যাল কাজ দক্ষতার সাথে সম্পাদন করেন। কিন্তু বাংলাদেশে অপটোমেট্রিস্টদের যথাযথ কর্মপরিধি, স্বীকৃতি ও পেশাগত অধিকার এখনো অনুপস্থিত।

বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল  বিশ্ববিদ্যালইয়ে বিএসসি ইন অপটোমেট্রি কোর্স চালু থাকলেও এই কোর্স এর অ্যাকাডেমিক কাঠামো ও কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ভারতের AIIMS, আমেরিকার ASCO (Association of Schools and Colleges of Optometry), এবং ব্রিটেনের GOC (General Optical Council) তাদের দেশে অপটোমেট্রি কোর্সকে সর্বোচ্চ মানদণ্ডে নিয়ে গেছে। সেখানে চার বছর ব্যাচেলর প্রোগ্রামের সঙ্গে এক বছর ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক, সাথে রয়েছে নিয়মিত লাইসেন্সিং পরীক্ষা।

বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় অপটোমেট্রি কোর্সকে স্বাধীন একটি শাখা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপটোমেট্রিস্টদের ‘চক্ষু সহকারী’ বা ‘চশমা পরীক্ষক’ হিসেবে দেখানো হয়, যা পেশার মর্যাদাকে অবমূল্যায়ন করে।

অপটোমেট্রি একটি লাইসেন্সভিত্তিক পেশা হওয়া উচিত। উন্নত দেশগুলোতে অপটোমেট্রিস্ট হিসেবে কাজ করতে হলে জাতীয় বা আঞ্চলিক লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। যেমন, আমেরিকায় NBEO (National Board of Examiners in Optometry), কানাডায় CACO, অস্ট্রেলিয়ায় OCANZ এবং ভারতে Optometry Council of India (OCI) দ্বারা নিবন্ধন পেতে হয়।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অপটোমেট্রিস্টদের কোনো স্বতন্ত্র রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিল বা বোর্ড নেই। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে অপটোমেট্রিস্টদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে দক্ষ পেশাজীবীদের কর্মপরিধি অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, অনেক অপটোমেট্রি গ্র্যাজুয়েট প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ত্যাগ করছেন।


বিশ্বের উন্নত দেশে অপটোমেট্রি একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পেশা। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অপটোমেট্রিস্টরা ডাক্তার উপাধি (Doctor of Optometry) পান এবং স্বাধীনভাবে চক্ষু পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার অধিকার রাখেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলাদেশ থেকে পাশ করা অনেক অপটোমেট্রি শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষায় গিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে দেশে ফিরে আসেন অথবা বিদেশেই সেবা প্রদান করছেন। কিন্তু দেশে তাদের সনদের মূল্যায়ন ও কর্মপরিধি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেই বললেই চলে।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে অপটোমেট্রিস্টদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই। অনেক সময় অপটোমেট্রি পেশাজীবীরা মাত্র ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন। যেখানে একজন দক্ষ অপটোমেট্রিস্ট চিকিৎসা পেশায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন, সেখানে তার আর্থিক সম্মান ও নিরাপত্তা থাকা উচিত। উন্নত দেশে একজন লাইসেন্সধারী অপটোমেট্রিস্ট বার্ষিক ৫০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করেন। ভারতেও অভিজ্ঞ অপটোমেট্রিস্টরা মাসে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ রুপি পর্যন্ত আয় করে থাকেন।

প্রস্তাবিত উদ্যোগ ও করণীয়

১. স্বতন্ত্র অপটোমেট্রি কাউন্সিল গঠন: বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ অপটোমেট্রি কাউন্সিল’ নামে একটি স্বতন্ত্র নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। এতে পেশাজীবীদের রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স প্রদান ও পেশাগত অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে।

২. আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম চালু: বিএসসি ইন অপটোমেট্রি কোর্সকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে গবেষণা, প্র্যাকটিক্যাল ক্লিনিক্যাল রোটেশন, কমিউনিটি অপটোমেট্রি, এবং পেডিয়াট্রিক আই কেয়ার।

৩. পেশাগত স্বীকৃতি ও বেতন কাঠামো নির্ধারণ: সরকারিভাবে অপটোমেট্রিস্টদের জন্য পেশাগত পদ ও বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে অপটোমেট্রিস্ট পদ অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।

৪. উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সুযোগ: দেশে অপটোমেট্রিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা চালু করতে হবে, যাতে করে দেশীয়ভাবে গবেষণায় অবদান রাখা যায়।

৫. সচেতনতামূলক কার্যক্রম: সাধারণ জনগণের পাশাপাশি চিকিৎসক ও প্রশাসনিক মহলে অপটোমেট্রিস্টদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো জরুরি।

চোখের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অপটোমেট্রিস্টরা একটি অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশে এই পেশার সম্ভাবনা বিপুল, তবে সঠিক কাঠামো, স্বীকৃতি ও সরকারি উদ্যোগের অভাবে তা পূর্ণতা পাচ্ছে না। যদি এখনই জাতীয় পর্যায়ে অপটোমেট্রিস্টদের স্বীকৃতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে এই পেশার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে এবং দেশ অভিজ্ঞ মানবসম্পদ হারাবে।

চোখের সুরক্ষা, দৃষ্টির পরিচর্যা এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে অপটোমেট্রি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে একটি সুদৃঢ় কাঠামোর মধ্যে আনা এখন সময়ের দাবি।


লেখক : ডক্টর মহাম্মদ মিজানুর রহমান 

অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটি , মালয়শিয়া


আরও খবর



‎রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানীর ২০তম ইনস্টলেশন ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:‎

‎"রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানী টাংগাইল" এর ২০তম ক্লাব ইনস্টলেশন সেরেমনি ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎বৃহস্পতিবার(৩ জুলাই)  সন্ধ্যা ৭ টায় টাংগাইল জেলার ভিক্টোরিয়া ফুড জোন এন্ড পার্টি সেন্ট্রারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানী টাংগাইল কর্তৃক এই প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

‎ভিক্টোরিয়া ফুড সেন্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত বোর্ড মেম্বারদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় এবং বিদায়ী কমিটির কার্যক্রমের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রোটারিয়ান অধ্যাপক ডা. রতন চন্দ্র সাহা বলেন, "গত এক বছরে রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অসাধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। কমিউনিটি সার্ভিস, ক্যারিয়ার গাইড, আরও নানা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই মিলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আপনারা সত্যিই এই ক্লাবের সুনাম অটুট রেখেছেন।"

‎অনুষ্ঠানের সভাপতি পলাশ হোসেন বলেন, "আজকের দিনে, নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচয় ও উত্তীর্ণদের স্বীকৃতি, পুরস্কার বিতরণ ও বরণীয় মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরবে আমাদের ভবিষ্যত পথচলার মানচিত্র। আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও উৎসাহ নিয়ে  প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা আগামী বছর এই ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।"

‎প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, "আমরা গত এক বছরে অনেক কিছু অর্জন করেছি—সেবামূলক কর্মকাণ্ড, মিলনমেলা ও উঠতি প্রজন্মের জন্য নানা উদ্যোগ। আজকের এই আয়োজন আমাদের পুরনো সাফল্যকে স্মরণ করে নতুন সংস্কৃতি ও দায়িত্বের অঙ্গীকার করে।"

‎এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রোটারিয়ান মেজবাহ উদ্দিন, সাব্বির আহমেদ পল, হামিদুল হক চৌধুরী শেলি এবং ক্লাব এডভাইজর অধ্যাপক ড. পিনাকী দে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রোগ্রামে ক্লাব ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করেন পিডিআরআর মোস্তাফিজুর রহমান।

‎অনুষ্ঠানে বক্তারা রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম, নেতৃত্ব বিকাশ ও যুবসমাজকে ইতিবাচক পথে পরিচালনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও, বিগত বছরে ক্লাবের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং আগামী বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।

‎পরবর্তীতে সাকিব হাসান খানের নেতৃত্ব নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


আরও খবর