Logo
শিরোনাম

২০২৫ অক্টোবরেই আয়ু শেষ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফ্ট জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরেই আয়ু শেষ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০-এর। সংস্থা জানিয়েছে, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ সালই উইন্ডোজ ১০-এর শেষ। বর্তমানে যে 22H2 ভার্সানটি রয়েছে, সেটিই থাকবে চূড়ান্ত হিসেবে। বাকি সমস্ত সংস্করণ থাকবে সমর্থনের যোগ্য হিসেবে। বর্তমানে যে লং টার্ম সার্ভিসিং চ্যানেল রিলিজ হয়, তা হতে থাকবে। ওই নির্দিষ্ট তারিখের পরও চলবে আপডেট গ্রহণ, যাতে সিস্টেম তার নিজস্ব জীবনচক্রকে চালিয়ে যেতে পারে।

এরপর কী?

উইন্ডোজ ১০ যদি থেমে যায়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে কী হতে পারে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, উইজাররা এই পরিস্থিতিতে উইন্ডোজ ১১-এ দিকে যেতে পারেন। এদিকে, উইন্ডোজ ১০-এর পর বাকি অনেক আপডেট হবে বলে জানানো হচ্ছে। তবে যারা উইন্ডোজ ১০ চালিয়ে যেতে চান, তারা তাদের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করতে পারেন। 22H2 ভার্সানটি পর্যন্ত আপডেট করতে পারেন। এছাড়াও উইন্ডোজ ১০, ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১১ কী হতে পারে?

বিশ্ব প্রযুক্তির কিংবদন্তী বিল গেটসের সংস্থআ মাইক্রোসফটের বর্তমান উইন্ডোজটি ২০২১ সাল বাজারে এসেছিল। তার পরের বছরের মে মাসেই সব ডিভাইসের মধ্যে তা ঢুকে যায়। এদিকে, উইন্ডোজ ১১-এ নতুন নক্সা তুলে ধরে মাইক্রোসফট। সেখানে নতুন নানা ফিচার দেখা যায়।


সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ২৮০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসম্মান করায় অনুষ্ঠান বর্জন সহ অনির্দিষ্টকালের জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকান্ড ও সংবাদ বর্জন ঘোষনা করেছেন সংবাদকর্মীরা। সোমবার দিবারাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

জানা যায়, গত রবিবার ৮মে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীর ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবার মূল অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে,এম খালিদ। এই অনুষ্ঠানের সংবাদ কভারের জন্য সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের বসার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে নিচে বসে পড়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলে আসেন। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

শুধু সাংবাদিকরাই নয় জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকদের জন্যও অনুষ্ঠানস্থলে নির্দিষ্ট কোন বসার ব্যবস্থা না করায় জাতিগঠনের কারিগররাসহ অন্যান্য সুধী ব্যক্তিরা এলোমোলো ভাবে হ য ব র ল অবস্থায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এতে করে এই দুই উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষকদের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে এবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনটি স্মরনকালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিলো বলে মন্তব্য করেছে অনুষ্ঠানে আগত অধিকাংশ দর্শকরা।  

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীর মতো এমন জাতীয় আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা না থাকা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারাই সামনের সারিতে বসে ছিলেন। আর জেলার সকল সাংবাদিকরা নিচে বসে সংবাদ কভার করেছেন। যা পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ ও কর্মকান্ড বর্জন ঘোষণা করা হলো।


আরও খবর



চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জি-৭

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

সাতটি শিল্পোন্নত দেশ শনিবার ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য চীনকে দায়ী করেছে এবং এর নিন্দা করেছে। একই সময়ে তারা রাশিয়াকে তার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হিরোশিমায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে, চীনের 'অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ', দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে অবমূল্যায়নের সমালোচনা করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

এছাড়া 'জি-সেভেন রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করার' প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গ্রুপ বলেছে যে তাদের উদ্যোগগুলো চীনের ক্ষতি করার জন্য বা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধা দেয়ার জন্য নয়। জি-সেভেন বেইজিংকে জলবায়ু, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণ পুনর্গঠন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না বা অন্তর্মুখি হয়ে যাচ্ছি না। একই সঙ্গে, আমরা স্বীকার করি যে স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত ও বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিকে প্রানবন্ত করতে, আমাদের অর্থনীতিতে এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবো। আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলে অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস করবো।

জি-সেভেন পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এটি ইউক্রেনে 'সার্বিক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি'কে সমর্থন করতে বেইজিংকে উৎসাহিত করে।

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে ২০২১ সালের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এই বিবৃতিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই সম্মেলনে চীনের কথা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিলে। তুলনামূলকভাবে মৃদু ভাষায় এক 'শান্তিপূর্ণ সমাধানের' আহ্বান এবং তাইওয়ানে 'স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার' বিরোধিতা করা হয় বিবৃতিতে।

তবে জি-সেভেন সদস্যদের মধ্যে একটি সমঝোতার ভাবও দেখা গেছে; কেউ কেউ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ম্যাক্রোঁ এপ্রিলে বলেছিলেন, এটা ভাবা সবচেয়ে খারাপ হবে যে আমরা ইউরোপীয়রা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা এবং চীনের অতি-প্রতিক্রিয়ার অনুগামী হবো।

এর আগে শনিবার জি-সেভেন নেতারা 'অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম' চালু করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক বাণিজ্য অনুশীলনের মোকাবেলার জন্য এটি একটি নতুন পরিকাঠামো । নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এই পরিকাঠামোটি চীনকে লক্ষ্য করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অনুধাবন করা যায়।

এক বিবৃতিতে, জি-সেভেন বলেছে যে প্লাটফর্মটি এই গ্রুপের 'সম্মিলিত মূল্যায়ন, প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া' সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আর 'সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সন্ধান, প্রতিরোধ এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা' করতে ব্যবহৃত হবে নিজ নিজ আইনি ব্যবস্থা অনুসারে।

বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন যদি অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য ছয় সদস্যকে যেভাবে বল প্রয়োগ করছে তা আগে আলোচিত হতে হবে।


আরও খবর



প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।

আর আগামী অর্থবছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩ শীর্ষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 ৩ মে আইএমএফ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মে) আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনও প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।

 


আরও খবর



থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। জেনেটিক আকারে শিশুরা তাদের বাবা-মার কাছ থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ পেয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করায় শিশুদের শরীরে রক্তের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লোবিন প্রোটিন খুব কম উৎপাদিত হয়। যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীর অক্সিজেন না পাওয়ায় রোগীকে বারবার রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেট ফুলে যাওয়া (হালকা স্প্লেনোমেগালি), শিশুর দুর্বল শারীরিক বিকাশ, অ্যানোরেক্সিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের পরিবর্তন।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি থাকে, যা একটি মিউটেশনের কারণে ঘটে ও বি-চেইন উৎপাদনকে হ্রাস করে গুরুতর রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এটি একটি জেনেটিক রোগ, যা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে চলে যায়।

যদি বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে, তবে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজর হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ৫০ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ২৫ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশুদের চিকিৎসা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (পিআরবিসি), আয়রন ক্যালেটিং ওষুধের ব্যবহারসহ কিছু শিশুদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় এবং গুরুতর স্প্লেনোমেগালিতে হাইড্রোক্সিউরিয়া ব্যবহৃত হয়। তবে থ্যালাসেমিয়া মাইনরের কোনো চিকিত্‍সার প্রয়োজন হয় না।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের যত্ন

লিউকোসাইট হ্রাসকারী ফিল্টার এবং বিকিরণকারী রক্তের পণ্য (পিআরবিসি) সর্বদা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। অল্প বয়সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজিসহ প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া আয়রন ক্যালেশন ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার, হালকা ব্যায়াম, ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

লিভার, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গে আয়রন ওভারলোড পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বছর গ্রোথ হরমোন এবং টি২ এমআরআই পরীক্ষাসহ সিরাম ফেরিটিন, থাইরয়েড প্রোফাইল, ভিটামিন-ডি এবং ভাইরাল মার্কার, যেমন- এইচআইভি, এইচবিএসএজি, এইচসিভি প্রতি তিন মাস পর পর পরীক্ষা করতে হবে। অবস্থা গুরুতর না হলে পুষ্টিকর খাবার এবং ব্যায়াম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার বয়স ১২০ দিন হয়, কিন্তু এ রোগের কারণে সময়টি ২০ দিনে কমে যায়, যা হিমোগ্লোবিনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে রোগী কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




অটো-বাইক চালককে জবাই করে হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন, ৩ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২৭৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

টাকা লেনদেন কে কেন্দ্র করে অটো-বাইক চালক অতুল কুমার (৪০) কে জবাই করে হত্যা করা হয়।

নওগাঁয় অটো-বাইক চালক হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়ীত ২ জন সহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক। 

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২২ মে সকালে নওগাঁ জেলা শহরের বাইপাস এলাকার একটি ইটভাটা থেকে অতুল কুমার নামক এক অটো-বাইক চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  ঐ ঘটনায় একই দিন নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। মামলার পর হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন সহ জড়ীতদের আইনের আওতায় আনতে ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত কাজ শুরু করেন পুলিশ। পুলিশ তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যা কান্ডের সাথে জড়ীত সন্দেহ নুরে ইসলাম নামে একজন কে আটক করেন। 

আটকের পর নুরে ইসলাম পুলিশকে জানান, নিহত অতুল কুমার এর কাছ থেকে কিছু টাকা পেতেন তিনি। সেই টাকা আদায় করা জন্য কৌশলে নওগাঁ শহর থেকে আতুল কুমার এর অটো-বাইকে চড়ে বাইপাস এলাকায় আসেন তারা দু'জন। এরপর অতুল কুমার কে মদ পাণ করান নুরে ইসলাম ও তার সহযোগী। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তার সহযোগী রাব্বি এর সহযোগিতায় অতুল কুমার কে ঘটনা স্থলে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা ও ক্ষত বিক্ষত করার পর অটো-বাইক থেকে ৫টি ব্যাটারি চুরি করে তা সেই বিক্রি করেন।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার আরো জানান, এঘটনায় সরাসরি হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত নুরে ইসলাম ও রাব্বি সহ চোরাই ব্যাটারি ক্রয়ের অপরাধে আতিকুর নামে আরো একজন মোট ৩ জনকে গ্রেফতার ইতি মধ্যেই গ্রেফতার করেছে করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়। এভাবেই অটো-বাইক চালক কে জবাই করে হত্যাকান্ড রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক জড়ীতদের আটক করেন পুলিশ।


আরও খবর