Logo
শিরোনাম

২০৩০ সালে রোজা রাখতে হবে ৩৬ দিন !

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪২৬জন দেখেছেন

Image

২০৩০ সালে রমজানের রোজা হবে ৩৬ দিন; সে কারণে ওই বছর রোজা হবে ৩৬টি।

সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ। তা হলে ওই বছর কি রমজান মাস ৩৬ দিনে হবে!

অবশ্যই নয়, এমনটি ভাবাও অবৈজ্ঞানিক। কারণ আরবি মাসগুলো ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ-এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, হিসাবটি একদম সহজ। ২০৩০ সালে দুবার রমজান মাস পাবে মুসলমানরা। আর ঘটনার পুনরাবৃত্তি অনেক বছর পর আসে।

এক টুইটে তিনি লেখেন– ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২০৩০ সালের ৫ জানুয়ারি। এ মাসটি ৩০ দিন পূর্ণ হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে শেষ হবে রমজান মাস।

আবার একই বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১৪৫২ হিজরির রমজান মাস। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুমিন মুসলমান ৬ দিন রোজা পালন করবে। সে হিসাবে ২০৩০ সালে মুসলিম উম্মাহ ৩৬ দিন রোজা পালন করবে।

ইংরেজি একই বছরে আবার রমজান মাস চলে আসার কারণও জানিয়েছেন এ অধ্যাপক।

তিনি বলেন, চন্দ্র বছরের মাসগুলো ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়। আর ইংরেজি বছরের মাসগুলো ৩০ ও ৩১ দিনে নির্ধারিত থাকে। সে কারণে প্রতি ইংরেজি বছর শেষে চন্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়।

আর এভাবে কমতে কমতে ২০৩০ সালে দুবার পবিত্র রমজান মাস পাওয়া যাবে।

তথ্যসূত্র: সৌদি২৪নিউজ, সৌদি হোলিক ডট কম


আরও খবর



নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষার্থীদের পথরোধ করে চাঁদাবাজী করার অভিযোগে নাঈম হোসেন (২১) নামে কিশোর গ্যাং এর এক লিডারকে  আটক করেছে র‌্যাব। শনিবার পূর্বরাত পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নাঈম উপজেলার সন্নাসতলা (দূর্গাপুর) এলাকার সোহেল এর ছেলে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব জানায়, আটককৃত নাঈম তার সহযোগী নয়নসহ আরো ৪-৫ জনকে নিয়ে ঐ এলাকায় অনেক দিন ধরে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় আটকিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিল। গত ৮মে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা দু'জন পরীক্ষার্থীর টাকা-পয়সা, মোবাইল কেড়ে নেয়া ও মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে চাঁদা দাবী করার জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১০ মে আবারো তাদের আটকিয়ে টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিলে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোপরচাপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত কিশোর গ্যাং এত লিডার নাঈমকে আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে আটককৃত নাঈম কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন বদলগাছী থানা পুলিশ।


আরও খবর



শিক্ষার্থীদের মারপিট

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ।

প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মারপিট ও রক্তাক্ত করার দিনই স্থানীয়দের মাধ্যমে মুঠোফোনে জানার পর সাথে সাথেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ। শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম (নির্যাতন) এর সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশের পর নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান ঘটনাটি অবগত হয়ে মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার নির্দেশ দেন।


স্থানীয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে ১৪০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ঘটনার দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলো ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় ঘন্টার গণিত ক্লাসে প্রধান শিক্ষক যাওয়ার পর পড়া না হওয়ায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করেন। মারপিটে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ক্লাস ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানালে মারপিটে ক্ষতের দৃশ্য দেখে স্থানিয়রা মুঠোফোনে ঘটনাটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খবর পেয়ে সাথে সাথেই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান এবং ঘটনার সত্যতা দেখে আসেন। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ের গিয়ে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মুখে ঘটনার বর্ণনা দেখে-শুনে আসা এবং এক শিক্ষার্থীর দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নির্দেশ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয়। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষত-বিক্ষত শরীর দেখে ও প্রধান শিক্ষকের কাছে জেনে সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষানীতি অনুসারে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইমেইলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে আমি এখনো সেটা দেখতে পারিনি। প্রতিবেদন দেখে তিনি যা রিপোর্ট দিয়েছেন সে মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



গাজীপুর বাসীর নগরমাতা হলেন জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরবাসী নগরমাতা হিসেবে পেয়েছেন তাদের সাবেক মেয়র এর মা জায়েদা খাতুন কে।

গত ২০১৩ ইং সালে যাত্রা শুরু করা দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন এর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইতিপূর্বে মেয়রের মা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জায়েদা খাতুন। 

১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।

মোট ৪শ' ৮০ টি কেন্দ্রে এর ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯শ' ৩৪ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭শ' ৩৭ ভোট।

বিগত প্রথম বার ২০১৩ ইং সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী এম. এ মান্নান এর কাছে হেরেছিলেন আজমত। বলা যায় এবারের হারে গাজীপুরে তাঁর রাজনীতির পথ অনেকটাই সংকুচিত হলো।

বে-সরকারি ভাবে ফল ঘোষণার পর পরই সেখানে উপস্থিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, এ জয় গাজীপুর বাসী তথা গাজীপুর এর মানুষের।

নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কারণে ধারণা ছিলো ভোট গ্রহণের পর ঘন্টা দুয়েক এর মধ্যেই হয়তো ফলাফল ঘোষণা হয়ে হবে। ঘোষণা করতে সেই সময় গিয়ে ঠেকল রাত দেড় টায়। রাত সোয়া একটার কিছু পরেই ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্য সবগুলোর  ফলাফল ঘোষণা করেন জিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থী বা তাদের সমন্বয়কদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। 


এ সময় পুলিশের উপ-কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, ফল ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো মিছিল এবং স্লোগান দেওয়া যাবে না। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন। ফলাফল হয়েছে সবাই মেনে নিয়ে সংযত থাকবেন।

২০১৮ ইং সালে নৌকা প্রতীকে গাজীপুর এর নগর পিতা নির্বাচিত হোন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি'র অভিযোগে মেয়াদ পূর্তির পূবেই পদ হারাতে হয় তাকে। দল থেকে সাময়িক বরখাস্তও হোন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর হোন স্থায়ী বহিষ্কার। কিন্তু নিজের বয়স্ক মাকে নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। মায়ের পক্ষে ভোট চাইতে দিন-রাত ছুটেছেন গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ২৫ মে' এর নির্বাচন এর ফলাফল নিজেই বলে দিল অনেক প্রশ্নের উত্তর। অবশেষে গাজীপুরবাসী পেলেন নগর মাতাকে।


আরও খবর



করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল। এ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই মহলের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যে ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বালেশ্বরে জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মূলত মেইন লাইন ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে, সেই ভিডিওটি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ওই ভিডিওতে নাকি দেখা গেছে যে, দুটি মেইন লাইন এবং দুটি লুপ লাইন আছে।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস, তখন সেটি ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। সেইসময় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমন্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেইন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মেইন লাইন দিয়ে আসে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমন্ডলের ছিটকে যাওয়া কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনেরও কয়েকটি বগি।

তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছেন না ভারতীয় রেলের কর্তারা। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে প্রযুক্তিগত কারণে নয়, বরং মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



ই-কমার্স প্রতারণা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের অর্থের কী হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ৫০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা ১৯ হাজার ৬২৩টি অভিযোগ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে ৬০০ কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন গ্রাহকরা।

অভিযোগগুলোর মধ্যে ১৬ হাজার ২০৪টি ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং ও কিউকমের বিরুদ্ধে। ইভ্যালি ও কিউকম ছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমানে কোনো কার্যক্রম নেই। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৭৮টি অভিযোগ, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ৬ হাজার ১৭টি অভিযোগ, আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৫৭টি ও ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে ৬১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আলেশা মার্ট থেকে মাত্র ১ কোটি টাকার অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম আমাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও হাইকোর্ট-গঠিত ইভ্যালি বোর্ড গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামানের মতে, অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। সে কারণেই অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি হতে বেশি সময় লাগছে। এ ছাড়া কিছু কোম্পানি বিষয়টি আদালতে নিয়ে গেছে। যতক্ষণ না আদালত রায় দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ভোক্তা অধিদপ্তর কিছু করতে পারবে না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আইনজীবী তাপস কান্তি বাউল বলেন, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, রিংআইডি ও দালাল প্লাসের মালিক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। শুনানির তারিখে তারা আদালতে হাজিরা দেন না। আমার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি আশঙ্কা করছি ভোক্তাদের এই টাকা ফেরত পেতে অনেক সময় লাগবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এখন গ্রাহকদের দিচ্ছে। পেমেন্ট গেটওয়েতে ২৭টি ই-কমার্স কোম্পানির প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা আটকে আছে। যাচাইয়ের পর এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের ৩৬১ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে যারা ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে কেনাকাটা করেছেন, তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।

যেসব ই-কমার্সের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, তাদের ই-ক্যাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ধামাকা শপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জসিম উদ্দিন ওরফে চিশতি বলেন, আমরা অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি এবং এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। আইন অনুযায়ীই সবকিছু নিষ্পত্তি করা হবে। আশা করি শিগগির আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারব।

কিউকমের আইনি উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদে দাবি, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভোক্তাদের করা ১ হাজার ৯৭টি অভিযোগের ৭০ শতাংশই সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে জানানো হয়নি।

ই-অরেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ চৌধুরীর আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান জানান, আমান ও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবিন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সেই কারণে অভিযোগগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক বিএম মইনুল হোসেন বলেন, মামলার কারণে গ্রাহকের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগলে ই-কমার্স শিল্পে আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির জন্য সরকারের একটি জোরালো উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

 

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩