Logo
শিরোনাম

২৫ মার্চ ভয়াল গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




২ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি করার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


প্রতি বছরের মত এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন। 

সেই মোতাবেক সোমবার ২২ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায় ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম রুপালি, নাকফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪ ও গৌরমতিসহ অন্যান্য আম। এর আগে গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জাতভেদে আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ করে দেন। সভায় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে সোমবার (২২ মে) থেকে। এই দিন বা তার পরে যে কোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে। এছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাকফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম রুপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আর্শ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম। মূলত অপরিপক্ক অবস্থায় আম পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এ জন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

সভায় জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আম বেচাকেনা হতে পারে বলে আশা কৃষি বিভাগের।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেটে কয়েকটি আসনে পরিবর্তন এসেছে। শনিবার (৩ জুন) এ গেজেট প্রকাশ হয়।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা অল্প কয়েকটি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনো ইউনিয়ন ভাগ হয়নি। তবে উপজেলা ভাগ হয়েছে।

আলমগীর বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যে আবেদনগুলো এসেছিল, সেগুলো শুনানি করে যাদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদেরটাই আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটা আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, অল্প কয়েকটা আসনে সীমানায় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র জনসংখ্যা বিবেচনায় সীমানা পরিবর্তন করা যাবে না। তাহলে ঢাকায় ১০টি, গাজীপুরে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি ও রাজশাহীতে দুটি আসন বাড়াতে হবে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সে সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি আসনে মোট ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়ে। পরে ৩ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চারটি পৃথক দিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে অল্প কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা কেউ চাকরি করছেন, কেউ রাজনীতি করছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা বেছে নিতে পেরেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন জেল জুলুম ও অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা পূরণে নিরলস প্রয়াস চালানো।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে পাবনা নাগরিক সমাজের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা ক্যাম্পে আমাকেসহ আরো অনেককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস ধরে চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ তিনটি বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি মুক্তি পাই। এরপর আমি বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিই। এ সময় আমি সাধ্যমতো দেশের জন্য কাজ করেছি। আমি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি আমি। আমাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রাদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করেছি। এ সময় রাষ্ট্রপতি আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রতি সাহাবুদ্দিন পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো? আমি চির কৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলবো না। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এ ঐতিহাসিক মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এতো ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত-আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হব- এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




নওগাঁয় নিখোঁজের ৩দিন পর এক ব্যাক্তির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২১৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় নিখোঁজ এর ৩দিন পর ধান ক্ষেত থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এক ব্যাক্তির  মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। মৃতদেহটি সোমবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ। 

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মধপুর গ্রামের মৃত গুমির ওরফে মাখন সরদারের ছেলে কাওছার আলী (৫২) গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর জুমার নামাজ এর সময় দুপুরেও তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন এলাকা সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান পাননি। গত রবিবার সন্ধ্যায় মধুপুর গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটর ইউনুস আলী সরদার তার গভীর নলকূপে যাওয়ার সময় নলকূপের পাশের শিয়ালকুড়ি নামক স্থানে সদ্য কাটা ধানের ক্ষেতে কাওছার আলী সরদার এর অর্ধগলিত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়া মাত্র মহূর্তের মধ্যে সেখানে এক নজর দেখার জন্য লোকজন ভীড় জমান। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে মহাদেবপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরত হাল রিপোট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য রাতে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি হেফাজতে নেয় পুলিশ।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে রাতেই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় এবং সোমবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



শ্রীনগরে কৃষি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কৃষি জমির ওপর রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ফুলকুচি গ্রামের মারেজ হাজির বাড়িসংলগ্ন কৃষি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আকরাম হোসেন শিবলুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে রাতের আঁধারে গোপনে ভেকু দিয়ে বিনা অনুমতিতে ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে রাস্তা নির্মাণের নামে স্থানীয় মেম্বার জমির মালিকদের থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওয়াসিম হায়দার অভিযোগ করে বলেন, বিনা অনুমতিতে জমি কাটায় শিবলু মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। প্রতিবাদ করায় সে আমাকে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। শ্রীনগর থানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন শিবলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, পিআইও অফিসের বরাদ্দে রাস্তা নির্মাণকাজ হচ্ছে। তিনি রাস্তা নির্মাণকাজের জন্য এলাকার কারো কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন।

শ্রীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আশেকুর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর