Logo
শিরোনাম

২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ঈদের আগে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্সের সেই গতিধারা এখনো অব্যাহত। চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বেশি বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে মার্চ মাসে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবশেষ মার্চে আসে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।


আরও খবর



ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে।১৭ এপ্রিল ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে।

যদিও দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমে এর আগে বেশ ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার।

টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা কেবলই গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনে মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে’- উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।


আরও খবর



নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন হবে না, জনগণই রাস্তায় নামবে।

তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পায়।

সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচনের জন্য এখনই সংস্কার প্রয়োজন।



আরও খবর



ভারত যুদ্ধ চাইলে চূড়ান্ত জবাব দেবে পাকিস্তানও!

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।

এ অবস্থায় ভারতকে একটি স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার কোনোরকম চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তানের দিক থেকেও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল সদর দপ্তরে একটি বিশেষ কর্পস কমান্ডারদের বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।

এরপরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান ভূ-কৌশলগত পরিবেশ নিয়ে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে বর্তমান পাকিস্তান-ভারত অচলাবস্থা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা যাচাইয়ের উপর জোর দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসন বা দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিজেদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, দৃঢ় মনোবল এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেকোনও মূল্যে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এছাড়া সকল ফ্রন্টে সতর্কতা এবং সক্রিয় প্রস্তুতি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান।

বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) ভারতীয় নৃশংসতার তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা। তাদের আশঙ্কা, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত, যেমনটা ঘটেছিল ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর। ওই ঘটনার পরই ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর কেন্দ্রের শাসন চালু করে ভারত।

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বলছে, ভারতীয় সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোকে কার্যকরভাবে শ্বাস নেওয়ার স্থান তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের বিচ্যুত কৌশল কখনই সফল হবে না।

শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির প্রতি পাকিস্তানের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি শীর্ষ কমান্ডারদের ফোরাম স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনও প্রচেষ্টার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে যেকোনও মূল্যে সম্মান করা হবে।

একইসঙ্গে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ভারতীয় সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে দাবি করে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ফোরামটি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এ ছাড়া সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের জেরে ভারতকে হুমকি দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও। তিনি বলেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার জন্যও প্রস্তুত আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি।

অন্যদিকে পেহেলগাম হামলায় জড়িত ও মদতদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সময় এসেছে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার। ১৪০ কোটি মানুষের দৃঢ় সংকল্প সন্ত্রাসের মদতদাতাদের চূর্ণ করে দেবে।


আরও খবর



গ্রেপ্তারের পর যা বললেন সাবেক মেয়র আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। আজ শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আইভীর বাড়ির সামনে বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন।

পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি না আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে জানিয়েছে প্রশাসন, কিন্তু আমাকে দেখাতে পারেনি। আমি ২১ বছর সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই।

আইভী বলেন, আমি কি কোনো জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি? আমি কি চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে আমি কোনো দিন কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছিএমন রেকর্ড আছে? তাহলে কিসের জন্য, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। বর্তমান যারা সরকারে আছেন, তারা সাম্যের কথা বলেছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন, সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকারে এসেছেন-তাহলে কী এই বৈষম্য? তাহলে সৎ রাজনীতি, সততার কী মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন? সেই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দিবে। ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এরআগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশ আসার খবর পেয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থা নিতে শুরু করে। পরে আশপাশের মসজিদগুলো থেকে পুলিশ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ এসে বাড়ির আশপাশের কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।


আরও খবর



মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া সিডিএস অনিল চৌহানও সেখানে উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লির বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের এ নিরাপত্তা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধান—সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং।

বৈঠকে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী, গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডেকা এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধান রবি সিনহা।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন মাত্র দু’দিন আগে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর গত শনিবার দুই দেশ তাৎক্ষণিকভাবে সব সামরিক তৎপরতা বন্ধে সম্মত হয়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনের পরবর্তী ধাপ ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারত যে ৩২টি বিমানবন্দর বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল, সেগুলো আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর