Logo
শিরোনাম

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন। সচিবালয়ে হজ প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রীর জন্য আমরা সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা তথা মিনায় ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ ও ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি, বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি।

ভিসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের হজযাত্রীদের একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজব্রত পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতার কারণে মোট ৭৫৩টি এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত এসব হজযাত্রী ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, কঠোর মনিটরিং ও ফলো-আপ তৎপরতার কারণে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য কেবল মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ গ্রহণ এবং ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি-এই দুটি অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন হয়। পরে সৌদি সরকার মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ও পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তির সময় ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং তারা এ বিষয়ে কঠোর সতর্ক বার্তা জারি করে।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল থেকে হজের ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনে ঢাকা থেকে সৌদি আরব যাবেন।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ওইদিন রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রীর প্রথম দলটি সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে।

হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ১১২ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড হজযাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। এছাড়াও, ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।

হাজিদের পরিবহনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সাউদিয়া এবং নাস এয়ারলাইনস প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজের ফ্লাইট চলবে। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।

এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৮টি, সাউদিয়া ৮০টি এবং নাস এয়ারলাইনস ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হলো আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা। আগামী ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ৫ জুন) মসজিদে নামিরা থেকে এই খুতবা প্রদান করা হবে। বরাবরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই খুতবা। বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে, খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হবে ২০টি বিভিন্ন ভাষায়, যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে।

অনুবাদ করা ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো এবং জার্মান।

উল্লেখ্য, ১৪৪৬ হিজরির ৯ জিলহজ, যা ২০২৫ সালের ৫ জুন (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি মিলবে কবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ জানা যাবে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের বাকি কিস্তি কবে পাওয়া যাবে। ওই সময় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। আইএমএফ মিশনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সঠিক পথেই আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি, আলোচনা চলমান।

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কমূর্সচি ছাড়ের বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্তপূরণ করেছে, তা পর্যালোচনায় গত ২ এপ্রিল সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে করেছে। বৈঠক শেষে আজ এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্থাটির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তিতে ১১৪ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ডলার ছাড় নিয়ে দরকষাকষি চলছে। এর আগে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে গত ডিসেম্বরে আইএমএফ মিশন ঢাকায় এসেছিল। ওই মিশনের বৈঠক শেষে স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের কথা জানানো হয়।

তখন ধারণা দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আইএমফের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের পর পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের বিষয়টি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। তবে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা এবং কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে টানাপোড়েনে বিষয়টি সামনে আসে।

এর মধ্যে মিশনের সঙ্গে কোনো ঐকমত্য ছাড়াই মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হচ্ছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সব সময় বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার কথা বলে থাকি। তবে বাংলাদেশকে এখনই পুরো বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি তেমন না। স্বল্প মেয়াদে বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার একটা ভালো সময় যাচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। আগে নিয়মিতভাবে যা কমছিল। আবার ব্যাংক এবং খোলাবাজারে ডলারের দরে ব্যবধান অনেক কম। এ সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ব্যাপক বাড়ছে। দেশের মূল্যস্ফীতিও কমছে। অবশ্য জিডিপির তুলনায় এখনও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে এটা ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর নীতি সুদহার বাড়ানো–কমানোর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে।

কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর শর্তের বিষয়ে মিশনপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কর–জিডিপি অনুপাতের ব্যবধান অনেক বেশি। জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আয় দীর্ঘদিন ধরে একই থাকছে। কখনো–কখনো কমে যাচ্ছে। এই অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করছাড় রয়েছে। আবার ভিন্ন–ভিন্ন করহার রয়েছে। এসব বিষয়ে সংস্কার আনতে হবে।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আদায় ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে এসব পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। এছাড়া পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

আইএমএফের সঙ্গে কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চলমান ঋণ কর্মসূচি শেষ হবে ২০২৬ সালে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকের ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার শর্ত রয়েছে।


আরও খবর



গ্রেপ্তারের পর যা বললেন সাবেক মেয়র আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। আজ শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আইভীর বাড়ির সামনে বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন।

পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি না আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে জানিয়েছে প্রশাসন, কিন্তু আমাকে দেখাতে পারেনি। আমি ২১ বছর সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই।

আইভী বলেন, আমি কি কোনো জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি? আমি কি চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে আমি কোনো দিন কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছিএমন রেকর্ড আছে? তাহলে কিসের জন্য, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। বর্তমান যারা সরকারে আছেন, তারা সাম্যের কথা বলেছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন, সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকারে এসেছেন-তাহলে কী এই বৈষম্য? তাহলে সৎ রাজনীতি, সততার কী মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন? সেই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দিবে। ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এরআগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশ আসার খবর পেয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থা নিতে শুরু করে। পরে আশপাশের মসজিদগুলো থেকে পুলিশ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ এসে বাড়ির আশপাশের কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।


আরও খবর



চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন। ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। শাশুড়ির সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে খালেদা জিয়া আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।


আরও খবর



নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে RSTP- তে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এতে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে।

.

জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP প্রকল্প পরিচালক রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। MRT লাইন-৫ এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। MRT লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (RSTP) থাকবে।’

.

বর্তমানে RSTP- র চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,MRT লাইন- ৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে RSTP- তে।

.

MRT লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে RSTP তে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।

.

MRT লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী-আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কি.মি. পাতাল এবং আফতাব- নগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কি. মি. উড়াল মোট ১৭.২০ কি.মি. দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের DPP (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।

.

গাবতলী থেকে- মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইন -বোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. দীর্ঘ MRT লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে RSTP তে।

MRT লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কি. মি. পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কি. মি. উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। RSTP তে MRT লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত BRT করিডোর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে MRT লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।


আরও খবর