Logo
শিরোনাম

২৯ নভেম্বর নারায়ণনারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ


আজ ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে নিরস্ত্র ১৩৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। একই সঙ্গে গানপাউডার ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেয় ২২টি গ্রাম। বক্তাবলী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। স্বজন হারানোর ব্যথা ও কষ্ট নিয়েও শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতি বছরই পালিত হয় এই দিবসটি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জ বাসীর দাবি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি সহ গণ কবরগুলোকে বদ্ধভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে তা রক্ষণাবেক্ষণে সরকারি উদ্যোগ নেয়া হোক। সরকারি সূযোগ সুবিধার আওতায় নেয়া হউক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে । 

বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল বক্তাবলী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই জায়গাটি নিরাপদ হিসেবে বেছে নেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। এখানে ঘাঁটি বানিয়ে চলে প্রশিক্ষণের কাজ। এখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় অভিযান। গ্রামবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজাকাররা এ খবর পৌঁছে দেয় হানাদার বাহিনীর কাছে। ১৯৭১ সালের এই দিন ভোরে হানাদার বাহিনী ঘিরে ফেলে বক্তাবলী। মুক্তিযোদ্ধারাও গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। চার ঘণ্টা চলে সম্মুখযুদ্ধ। একপর্যায়ে হানাদার বাহিনী বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। নদীর পারে সারী বেঁধে বেঁধে দাড় করিয়ে ব্রাস ফায়ারসহ বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

দিনটি স্মরণ করে আজও আঁতকে ওঠে প্রতক্ষদর্শী পরিবার গুলো। তাদের আক্ষেপ যুদ্ধ পরবর্তি বঙ্গবন্ধু মুজিব সরকারের সময় তারা আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন। এর পর আর কোন সরকারই তাদের খবর রাখেননি। 

গণহত্যার শিকার শহীদদের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি ১৩৯ জনকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে দুঃস্থদের আর্থিক সহযোগীতা দেয়া হউক। তাদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা কোঠার সুযোগ সুবিধা দেয়া হউক। 

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ২৯ নভেম্বর দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য বেদনাবিধুর । স্বাধীনতাযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একসঙ্গে এত মানুষ হত্যার ঘটনা দ্বিতীয়টি আর নেই। পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র ১৭ দিন আগে ঘটে বক্তাবলীর হৃদয় বিদারক এ হত্যাযজ্ঞ। নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি শহীদদের পরিবার গুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদাসহ সরকারি যে সহযোগিতা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত বক্তাবলী বাসী। 

সংসদ সদস্য একেএম শামীম বলেছেন, পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ১৩৯ জন গণহত্যার শিকার হয়েছে।  শহীদ মুক্তিযুদ্ধা স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারদের যথাযথ মর্যাদা দেয়ার জন্য জাতীয় সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থাপন করা হবে। 

স্থানীয়দের প্রত্যাশা এখানকার গণকবর গুলোকে বদ্ধ ভূমী স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবে। যাতে ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে নবম প্রজন্ম। 

এদিকে দিনটি স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে আজ। সকালে বক্তাবলী কানাই নগর বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, স্মরণ সভা ও  দোয়ামাহফিলের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হবে। 


আরও খবর



কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা চর্চা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক বিষয়ে কর্মশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনায় কৃষিপ্রতিবেশ,জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর অনলাইন ও নাগরিক সাংবাদিক নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


গত ২৭-২৮ মার্চ জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুরে বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারে গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড ইউ এস এ আর্থিক সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপ্তী এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।


নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া,আটপাড়া,নেত্রকোনা সদর,মোহনগঞ্জ,কলমাকান্দা,পূর্বধলা ও মদন উপজেলার  ২৫ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক,

সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারসিক নেত্রকোনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান।


কর্মশালায় সাংবাদিকরা নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ,ফসলবৈচিত্র্য,নদী,হাওর,জলাধার,গাছ,মাছ,প্রাণিসম্পদ, মাটি,পানি,বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা  অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। 


আলোচনায়‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি—দর্শন, অনুশীলন—চচার্ এবং জনআন্দোলনের বিষয়,জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ,কৃষি ফসলের ক্ষেত্রে সংকট,বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত বিপর্যয়   বিষয়গুলো উঠে আসে। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকে বেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।


আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার  সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী, জলাধার গুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।


সংবাদকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি,কৃষি,জলাভূমি, বিল গাছ,মাছ,মাটি পানি বায়ুর সংকটগুলো তুলে আনেন এবং প্রত্যেকেই এলাকার বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে লিখে উপস্থাপন করেন। এলাকার পরিবেশগত সংকটগুলো সমাধান করলে ও চর্চা করলে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সুরক্ষিত হবে। কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষিত হবে বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে এবং  কৃষকের খাদ্যসার্বভৌমত্বও নিশ্চিত হবে। 


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ উভয়ই অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে কখন কীভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরানের হামলার জবাবে দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল।শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিষয়টি জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও পরামর্শ দেন।

বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ না চালালেও তারা বলছে, ইরানে নিজের বেছে নেয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েলের অপর একটি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হাইয়ুমের প্রতিবেদনে ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, অবশ্যই (ইরানকে) একটি প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

ইরানের হামলার মুখে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও পাল্টা পদক্ষেপ সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। উত্তেজনা কমাতে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

মার্কিন প্রশাসন বৃহত্তর সংকট এড়াতে আপাতত উত্তেজনা প্রশমন করতে চায়।তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ইরানের উপর পালটা হামলা না চালানোর ডাক দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এমন হামলা চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাতে অংশ নেবে না।


আরও খবর



ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেলে, স্থানীয় একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে। এতে প্রবাসী সাংবাদিকরা ছাড়াও কম্যুনিটির ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি পলাশ রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। বহু প্রাণ ঝরিয়েছি। ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার মুখে পড়েছি। আমরা জানি স্বাধীনতার জন্য কতো ত্যাগ করতে হয়। কতো বিসর্জন দিতে হয়, কিন্তু ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামীদের ত্যাগ, তাদের উপর চালানো ইজরায়েলের গণহত্যা আমাদের স্তম্ভিত করেছে।

তিনি বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এ মাসকে মুসলমানরা এবাদতের মাস হিসাবে পালন করেন। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনির মজলুম মানুষরা। ইজরায়েল তাদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষকে তারা হত্যা করেছে। বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। দেড় শতাধিক ত্রাণ কর্মী এবং সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে। তারা গাজায় ত্রাণ ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে। ক্ষুধাকে অস্ত্র বানিয়েছে। যা পৃথিবীর জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম। 


পলাশ রহমান প্রশ্ন তুলে বলেন, আর কতো মানুষ মরলে, কতো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে বিশ্ববিবেক জাগবে? আর কতো শিশু, নারীর রক্ত ঝরলে আরব নেতাদের টনক নড়বে?

তিনি বলেন, হিটলার, মুসলিনিদের চেয়েও ভয়ঙ্কর দানব নেতানিয়াহুকে থামানোর মতো কী কেউ নেই বিশ্বে? যদি না থাকে আমরা কিভাবে এই বিশ্বকে একটি সভ্য বিশ্ব বলতে পারি!

পলাশ বলেন, পশ্চিমা নেতারা মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে তারা পছন্দ করেন। তাদের মুখে এখন আর মানবতার কথা মানায় না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। তারা এক দিকে মানবতার কথা বলেন, অন্যদিকে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে অস্ত্র সরবরাহ করেন।

তিনি বলেন, দানব ইজরায়েলকে থামতে হবে। তাদের রক্ত পিপাসার লাগাম টানতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গড়তে হবে। অন্যথায় বিশ্বে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পৃথিবী এক মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। যা আমাদের সবার ধ্বংস ডেকে আনবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মানবাধিকার বিষয়ে ইতালিয় ভাষায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ভেনিসের সাবেক রাজনীতিক বেল্লাতো জাকমো এবং বিশ্ব শাক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ, মাওলানা আবদুস সালাম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মৃতপ্রায় গণতন্ত্র বিষয়ে বক্তৃতার শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাইখ আহমেদ। বক্তৃতা করেন, উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহসভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন বেপারী, স্থানীয় পৌর কমিশনার (বাংলাদেশি বংশউদ্ভূত) আফাই আলি, ভেনিস বাংলা স্কুলের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, আওলাদ হোসেন অন্তু, প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টগর, ফাহিম হোসেন মুন্না ও আনোয়ার হোসেন।


আরও খবর

রোজার আগে পেঁয়াজ-চিনি আমদানি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




দেশের সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এছাড়া তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ও তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করে।

এছাড়া তল্লাশিচৌকি টহল জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার রাতে হামলা করে অস্ত্রধারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা। তবে ব্যাংক থেকে তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি।

গত বুধবার বান্দরবানের থানচিতে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে। এরপর গতকাল রাতেও থানচিতে থানায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেএনএফ।

বান্দরবানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ব্যাংকে লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সারা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিল।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪