Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

৩০ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন প্রকাশ হতে পারে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার ১৭ নভেম্বর এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে এই তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন, সেদিন ফল প্রকাশিত হবে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, পরবর্তীতে সিলেটসহ দেশের কিছু এলাকায় বন্যার কারণে দুই দফায় পেছানো হয় পরীক্ষা।



আরও খবর



৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে। সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে নয়াদিল্লি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিজিএফটি। দেশটির আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট নিয়ম-নীতি নিয়ে কাজ করে থাকে সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই অনুমতি দিয়েছে।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় নয়াদিল্লি।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। ওই সময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ডিপি।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানিকারক বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




একীভূত হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

একীভূত হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্সিম ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর দুই পক্ষের চুক্তিতে একীভূত কার্যকর হবে।

এ দুই ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক সায় রয়েছে। একীভূতকরণ কার্যকরের আগে সম্পদ মূল্যায়নে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিরীক্ষা করানো হবে। সেই অনুযায়ী পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ কতো তা নিরূপণ হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন চৌধুরী নাফিজ সরাফত। এর পর থেকে ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম।

এর আগে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল একীভূতকরণের অনাপত্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বিভিন্ন জটিলতায় তা এখনও কার্যকর হয়নি।

দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরার মাধ্যমে ব্যাংক খাতের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য এই চারটি সূচকের ভিত্তিতে একটি পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। এ অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংককে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ থেকে একীভূত হতে বলা হয়েছে। স্বেচ্ছায় না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করে দেবে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর



মে মাসে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে।

সোমবার (১৮ মার্চ) ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকিশেন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ হয়েছে। যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে পূর্বাভাস রয়েছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রাসেলসে গাজায় মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় বোরেল বলেছিলেন, গাজায় আমরা আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছি যা হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করছে।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।

 


আরও খবর



আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার বেশির ভাগ ভবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

২০২২ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকার এক হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে। এরমধ্যে ৬৩৫টি ভবনকে আগুনের ঝুঁকিতে থাকা চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। তারমধ্যে আবার ১৩৬টি আবার অতি ঝুঁকিপূর্ণ। মোট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ৬৩৪টি। শতকরা হিসাবে ৫৪ দশমকি ৬৭ ভাগ।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা আমাদের জনবল অনুযায়ী প্রতিবছরই ভবন পরিদর্শন করি। আর আমাদের অভিজ্ঞতা হলো ঢাকার ভবনগুলোর ৫৫ ভাগেরও বেশি আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর তার মধ্যে সরকারি ভবনও আছে।

পরিদর্শন করা ওই এক হাজার ১৬২টি ভবনের মধ্যে সরকারি ভবন ৪৯৭টি আর বেসরকারি ৬৬৫টি। সেই হিসাব আলাদা থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে ঝঁকিপূর্ণ ভবন সরকারি ও বেসরকারি আলাদা করা হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানা যায়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ছাড়াও এই ঝঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যাংক ও মার্কেট সবই আছে।

২০২২ সালে সারাদেশে মোট পাঁচ হাজার ৮৬৮টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। তার মধ্যে দুই হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই বিবেচনায় সারাদেশে ৩৮ ভাগ ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে

২০২৩ সালেও দুই হাজারের মতো ভবন ঢাকায় পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানেও অর্ধেকের বেশি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানান ফয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করেনি।

পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস।

২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকায় একটি সার্ভে করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক। তাতে দেখা যায় ঢাকার তিন হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠান আগুনের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৩০০ শপিংমল, মার্কেট ও বিপনিবিতান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬১টি, ব্যাংক ৬৪, হাসপাতাল ৪২২, আবাসিক হোটেল ৩১৮ এবং ২৪টি মিডিয়া ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে।

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস তার প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করেনি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। যেমন বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয় না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে পারি না। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আলি আহমদ খান বলেন, নোটিশ দেয়া প্রাথমিক পদক্ষেপ। শুধু নোটিশ দিয়ে তো হবে না। এরপর মামলা দায়ের ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। জরিমানা এবং অন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, ভবন মালিকদের নোটিশ দিলে তাদের কেউ কেউ ভবনের নিরাপত্তা বাড়ান। তবে অধিকাংশই এটা আমলে নেন না। কারণ তারা জানেন এরপর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তারা এটা নানাভাবে এড়াতে পারেন।

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ভবনের নানা ধরনের অনুমোদন এবং নিরাপত্তার বিষয় দেখার জন্য সরকারের ছয়টি মন্ত্রণালয় আছে। তারা কেউই দায়িত্ব পালন না করে চাঁদাবাজি করে। তারা বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনের নামে ব্যবসা করে।

তিনি বলেন, ঢাকার ভবনগুলোর মধ্যে ৮৮ ভাগ ভবন অবৈধ। আর বাকি ১২ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ব্যত্যয় করেছে। এটা ড্যাপের সমীক্ষা রিপোর্ট। রাজউক এলাকায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আছে। তাহলে পরিস্থিতি বুঝুন।

এই দুইজন মনে করেন, ভবনের অনুমোদনসহ নানা বিষয় একটি ছাতার নিচে আনা দরকার। আর আইনেরও সমন্বয় দরকার। কারণ রাজউকের আইনে ১০ তলার পর বহুতল আর ফায়ার সার্ভিসের আইনে ছয় তলার পর বহুতল-এই দুই রকম তো হতে পারে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর