Logo
শিরোনাম

৩০০ কোটি টাকা আয় করেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট 'বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' গত তিন বছর ধরে আয়ের ধারায় রয়েছে। বাণিজ্যিক অপারেশন শুরুর পর থেকে ইতোমধ্যে কোম্পানিটির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। যার প্রায় পুরোটাই দেশের বাজার থেকে আয় হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ মোট ৩৮টি টিভি চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর আকাশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ -এর মাধ্যমে সম্প্রচার করে। দেশের দুটি ব্যাংক ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের এটিএম সেবা দেওয়া শুরু করেছে। আরও অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যারা অদূর ভবিষ্যতে চুক্তি স্বাক্ষর সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবার আওতায় আসবে। সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন) বিএসসিএল’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী এবং ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবার আওতায় আসবে। বাহিনীগুলো সম্মিলিতভাবে তিনটি ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবার আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান আছে।

চাহিদার তুলনায় বৈশ্বিক বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের সরবরাহ বেশি থাকায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদেশের বাজারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বিপণন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বর্তমানে মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণন কার্যক্রম শুরু করেছে।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরুর মাধ্যমে বিএসসিএল বিদেশের বাজারেও ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এটি আরও বাড়বে বলে আশা করে বিএসসিএল। জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি বিদেশি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে বাংলাদেশসহ এসব অঞ্চলে সম্প্রচারের আগ্রহ দেখিয়েছে।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা ধানবাহী ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া ( নওহাটামোড়) বাজারের পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দনারায়নপুর কল্পনা চাউল কল নামক স্থানে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক হলেন, নওগাঁর মান্দা থানাধীন প্রসাদপুর বাজারের মৃত ডাঃ ছয়ফুদ্দিন এর ছেলে সামসদ্দীন ওরফে ডিউ (৫৪)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সামসদ্দীন ওরফে ডিউ তার পরিবার তথা স্বজনদের সাথে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়ে) বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে সে তার  পালসার মোটসাইকেল যোগে নওহাটামোড় থেকে নিজ বাড়ি প্রসাদপুর বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে দূর্ঘটনাস্থলে পৌছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার সোটরসাইকেল কে সজোরে ধাক্কাদিলে সে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। এসময় পেছনে আসা তার স্বজনরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে জীবিত আছেন ভেবে দূর্ঘটনাস্থল থেকে তাকে ও তার মোটরসাইকেল টি নিয়ে প্রসাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এমন খবর পেয়ে স্থানিয় নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে মহাসড়কের উপর জড়ো হওয়া লোকজন কে  সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

প্রতিবেদক কে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর মান্দা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।

অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সে মারা গেছে।


আরও খবর



অবরোধ ঘিরে বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ইে চলছে। এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি। ফলে বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন কর্মসূচি টানা চলতে থাকলে বাজারে সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা পরোক্ষভাবে ভোক্তাপর্যায়ে খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে গত সপ্তাহে এক দিন হরতালসহ শেষ তিন কার্যদিবস সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল। এ সময় আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহণ প্রায়ই বন্ধ ছিল। একইভাবে সীমিত আকারে চলেছে পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশে পণ্যে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। ফলে পেঁয়াজ-আলুসহ অতিপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্যের দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। যদিও এর আগে থেকেই এসব পণ্যের দাম ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবোরেধের মতো কর্মসূচিতে ট্রাক মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহণ করতে চায় না। ফলে কাঁচাবাজারে পণ্যের সরবরাহ হ্রাস এবং দাম বৃদ্ধি শঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের টানা তিন দিনের অবরোধে রাজধানীর বাজারে পণ্যের সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। এ সময় বিক্রি কমার পাশাপাশি বেড়েছে দামও। অন্যদিকে দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তিন দিনের অবরোধে তাদের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, তিন দিনের অবরোধে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখলেও বিক্রি ছিল খুবই কম। তিন দিনে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১,৫০০-২,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৫০-৩০০ ট্রাক ভোগ্যপণ্য নিয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জ বাজারে আসে। আবার একই সংখ্যক ট্রাক এবং গাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলা পণ্য পরিবহণ করে। কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা ৬০-৭০ শতাংশ কমেছে।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, অবরোধে ৫০ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বাস-ট্রাকসহ ৪১টি যানবাহন রয়েছে। কারওয়ান বাজার ট্রাক স্ট্যান্ডের পণ্যবাহী অনেক ট্রাক মালিক অবরোধের শুরুতে পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রাখলেও শেষ দুই দিন বন্ধ রাখেন অনেকেই।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিস্থিতি অবনতি হলে চলমান অবরোধেও পরিবহণ বন্ধ রাখবেন তারা। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ট্রাকচালকরাও।

এদিকে, রাজধানীসহ সারা দেশের বাজার দরে তিন দিনের অবরোধে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম। লাগাতার এমন কর্মসূচি পরে প্রভাব ফেলতে পারে মুদিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামেও।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ কনটেইনার হ্যান্ডেল করে এবং ৫-৬ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার খাদ্যসহ আমদানি পণ্য সারা দেশে পরিবহণ করে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যানুযায়ী, তিন দিনের অবরোধে পরিবহণ সংকটে কনটেইনার ডেলিভারি ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্তত খাদ্যপণ্য যেন চলমান আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়। তা না হলে বাজারে চরম সংকট দেখা দিতে পারে।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

আজ সাত ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। একাত্তরের এদিন ভোরে বৃহত্তর নোয়াখালীর মুজিব বাহিনীর প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং সি-জোনের কমান্ডার মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। একযোগে তারা তিনটি রাজাকার ক্যাম্প দখল করে। আত্মসমর্পণ করে পাকিস্থানীদের এদেশীয় দালাল রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবস্থা বেগতিক দেখে নোয়াখালী পিটিআই’র ট্রেনিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় পাকিস্থানী সেনারা, শত্রুমুক্ত হয় নোয়াখালী।

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। সি-জোনের গুপ্তচরের মাধ্যমে জানতে পারে জেলা শহর মাইজদীতে পাক হানাদার বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে। তাৎক্ষনিক জোন এর রাজনৈতিক প্রধান আলী আহম্মদ চৌধুরী সহ অন্যান্য কমান্ডারবৃন্দ জরুরী বৈঠকে বসে এবং নোয়াখালী শহরে অবস্থিত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের উপর আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিব বাহিনীর প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং ডি-জোনের কমান্ডার রফিক উল্যাহ্’র বাহিনী সহ মুক্তিযোদ্ধারা সবাই মিলে যৌথ অভিযান চালিয়ে মাইজদী ভোকেশনাল, নাহার মঞ্জিল, কোর্ট ষ্টেশন, রৌশন বাণী সিনেমা হল, দত্তের হাট, কোল্ড ষ্টোরিজ সহ সব রাজাকার ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নিয়ে আসে। বাকি ছিলো শুধু পাকিস্থানি বাহিনীর মূল ক্যাম্প মাইজদী পিটিআই। অন্য সবগুলো ক্যাম্প দখল নেওয়ায় একা হয়ে যায় পিটিআই।

একদিকে সাধারণ মানুষের আনন্দ মিছিল, অন্যদিকে আক্রমন করতে হবে পিটিআই। পিটিআই হোস্টেল দিঘির উত্তর পাড়ে ৩ তলা বিল্ডিং এ রাজাকারদের হেড কোয়াটার ছিল। কিন্তু এ বিল্ডিং ভাঙার মতো কোন বিধংসি অস্ত্র ছিলোনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। তাই ফেনী থেকে একটা ২ ইঞ্চি মোটার এনে তা থেকে তিন তিনটা মোটার সেলের দ্বারা পিটিআই হোস্টেলে আক্রমনের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে মাইজদী শহরে সর্বশেষ রাজাকার ক্যাম্প এর পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর শহর মাইজদীর হেড কোয়ার্টার হানাদার মুক্ত করা হয়। জেলা শহরের চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি পাগল মানুষের আনন্দ জোয়ারের ঢল উঠে।

নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ ডিসেম্বরের স্মৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৯৯৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী পিটিআই সম্মুখে স্থাপন করা হয় স্মরণিকা স্তম্ভ ‘‘মুক্ত নোয়াখালী’’। আর বর্তমান সরকার মতায় আসার পর একই স্থানে বর্ধিত পরিসরে স্থাপন করা হয় নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্থানী বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরত জওয়ানদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্থানীরা। নোয়াখালী পিটিআই এবং বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাটি গাড়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী। তাদের সাথে এদেশীয় রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্র জনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ে। কোম্পানীগঞ্জের বামনীর যুদ্ধ, বেগমগঞ্জের বগাদিয়াসহ অসংখ্য যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। শহীদ হয় শত শত মুক্তিযোদ্ধা। শুধুমাত্র সোনাপুরের শ্রীপুরে তারা হত্যা করেছিলো শতাধিক ব্যক্তিকে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত প্রান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানিদের পিছু হটিয়ে দেয়। ৬ ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোটা নোয়াখালী।


আরও খবর



হজে যেতে খরচ কমল ৮৩ হাজার টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারি ব্যবস্থাপনার মতো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।এতে ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ প্যাকেজের খরচ কমেছে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে হাবের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাবের সভাপতি এম‌ শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ প্যাকেজের খরচ কমেছে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা। 

এর আগে গত ২ নভেম্বর সরকারিভাবে ২০২৪ সালের হজের সাধারণ ও বিশেষ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক। সরকারিতে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়া যাবে। মক্কায় হারাম শরীফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেল। মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা। এক রুমে সর্বোচ্চ ৪ সিট থাকবে। মিনায় ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবার ব্যবস্থা। মিনা-আরফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মিষ্টি খেতে ভালবাসে না এমন লোক কমই আছে। উৎসবের মৌসুমে রসগোল্লা, পায়েস, জিলিপি। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছে।

কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বাদ দিয়ে দিলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে।

১) উৎসবে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু-চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? ওজন কমানোর চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হলো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে।

২) অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগে। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৪) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩