Logo
শিরোনাম

৩২ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি -  পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিল,৭ দফা দাবী বাস্তবায়নসহ  ৭সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের বৈঠক বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় টানা ৩৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

সোমবার সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি স্থানীয় রেস্টুরেস্টে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে  এই কর্মসূচী ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে,  পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির,  কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম,  যুগ্ম-সম্পাদক  রুহুল আমিন,  কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাদারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা,  রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক,  সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তার সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৭দফা দাবী গুলো হচ্ছে ১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে । ২. পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে , ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে । ৩. জাতি - ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে । ৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে । ৫. কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারনে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে । ৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি , প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা কর হবে । ৭. বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না 


আরও খবর



সব প্রস্তুতি সম্পন্ন অপেক্ষায় ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধান প্রতিবেদক :দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বাজেট, মাঠ প্রশাসনের শৃঙ্খলাবদ্ধকরণসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ও ব্যালটের অপেক্ষা। এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার আগে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরই মধ্যে তপশিল ও ভোটের প্রায় সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে কমিশন। শুধু ব্যালট ছাপানোই এখন বাকি রয়েছে, যাকে ভোটের সর্বশেষ ধাপ বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পরই ছাপানো হয়ে থাকে। সর্বশেষ গত শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ৪৪টি দলের মধ্যে ইসির ডাকে সারা দেয় ২৬টি দল।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের। বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রথম দফার প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ। আগামী শুক্র ও শনিবার হবে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনাকাটার কাজও শেষ। ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় পুলিশি নিরাপত্তায় এসব পাঠানো হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগননাও শুরু হয়ে গেছে। তপশিল ঘোষণার জন্য ইসির হাতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানের পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০-১২ লাখের মতো জনবল বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা এরই মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের সম্পূর্ণ অনুকূল না হলেও কিছু করার নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন সিইসি। বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কমিশনের সামর্থ্য ও ম্যান্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট সমাধানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবু সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে কমিশনকে ভোটের আয়োজন করতে হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। সেটি নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর সংস্কারও হয়েছে। যদিও এতে ইসির ক্ষমতা বাড়া বা কমা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টি। তবে ভোট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা, আসন অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের প্রাথমিক ধাপ শেষ। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়ে সাংবাদিক নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

সাধারণত নির্বাচনী কাজের জন্য প্রায় ১১ ধরনের সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, লাল গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম, গানি ব্যাগ, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট বাক্স, বাক্সের ঢাকনা, বিভিন্ন ধরনের সিল, কালি ও ব্যাগ কেনার কাজ হয়ে গেছে। এবার ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই কিনেছে ইসি। ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হয়েছে। এসব কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। নির্বাচনের জন্য মোট ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হয়েছে যা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। আর তপশিল ঘোষণার পর ব্যালট পেপারের কাগজ সংগ্রহ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর হবে মুদ্রণের কাজ।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়। এবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে নির্বাচনে এক দিনের ভাতা দেওয়া হতো। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও এবার বাড়বে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন মোট ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে মোট খরচ আরও বাড়বে। সশস্ত্র বাহিনীকে সাধারণত মোতায়েন করা হয় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। তবে এবার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেজন্য এ খাতে ব্যয়ও এখন পর্যন্ত ধরা হয়নি।

এবার প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকছে। ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর থাকবে।

ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং সেটি সন্তোষজনক।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ। ভোটের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হবে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বৃহস্পতিবার পহেলা অগ্রহায়ণ।নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড়ে সমবায় চত্বরে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সারে ৪টায়  স্থানীয় ঐকতান সংগীত সংস্কৃতি সুজন সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করেন। 

নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অবঃ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম খান। 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা এ্যাকউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার খান মোঃ মজহারুল ইসলাম এবং নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ কায়েস উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদুল করিম তরফদার, নওগাঁ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাদেমুল ইসলাম সহ শহরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিগণ। 

নওগাঁর বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত শিল্পী কলা-কূশলীদের সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


আরও খবর



প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে সমন্বয় সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় অবস্থিত জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা পরবর্তী  উচ্চতর বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে এবং গজারিয়া উপজেলা তথা সারাদেশে মানসম্মত প্রযুক্তিগত শিক্ষা বিস্তার ও দক্ষ জনশক্তি অর্জনের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (জিস্ট পলিটেকনিক) এর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আব্দুল মান্নান সরকার-এর সভাপতিত্বে এবং জিস্ট পলিটেকনিকের ইন্সট্রাক্টর ও রেজিস্ট্রার ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ. কে. এম জয়নাল আবেদিন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ মামুন শরীফ।


আয়োজিত সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক রেজাউন উস সালেহীন, এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির চীফ ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জি. রিফাত শিকদার, জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জি. তরিকুল ইসলাম।

উক্ত সভা আয়োজন, বাস্তবায়ন ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল ও কম্পিউটার বিভাগের ইন্সট্রাক্টরবৃন্দ।

এসময় গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (জিস্ট পলিটেকনিক) এর অডিটোরিয়াম হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞ বক্তারা উচ্চতর শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন এবং প্রকৌশলী শিক্ষা পরবর্তী সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা চ্যালেঞ্জ ও কৌশল সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য আলোকপাত করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে প্রকৌশল শিক্ষার জটিলতা ও উত্তরণ সর্ম্পকে মতবিনিময় করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে পিকআপের ধাক্কা, চালক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের তালগাছের সাথে ধাক্কা লেগে  দূর্ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলী (২৪) নামে এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত পিকআপ চালক রায়হান আলী হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে। একই দূর্ঘটনায় চালকের পাশে বসে থাকা পিকআপের মালিক একই গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এদূর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড় নামক স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, পিকআপটি মহাদেবপুর থেকে পোরশা যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি তালগাছের সাথে ধাক্কা লাগার পর ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলীর মৃত্যু হয় এবং চাপা অবস্থায় থাকলে খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পিকআপ এর দরজা কেটে রায়হান আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং অপর পাশের দরজা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় পিকআপের মালিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। 

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরও খবর



গরীবের মাতা শেখ হাসিনা আবারও যেন প্রধানমন্ত্রী হয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাধ জানাতে এসে তৃপ্তির হাসির দুনয়ন থেকে অশ্রু ছেড়ে দিয়ে সফল ভাতা ভোগী সুবিধাভোগী কুলসুম বেগম (৯০) বৃদ্ধা বললেন, তিনিতো মমতাময়ী মা সন্তানের ব্যথা তো সেই বোঝেন। আবারও যেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয় দোয়া করি আল্লাহর নিকট।

  বুধবার বিকেল ৫ টায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মোমোরিয়াল কলেজ মাঠে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায়  সুবিধাভোগী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বললেন সফল সুবিধাভোগী অনেকেই নূরুজাহান বেগম (৮০), মর্জিনা বেগম (৭৫), আয়সা বেগম (৬৫), আব্দুল মান্নান শেখ (৭৫), সুলতান মুন্সী (৮০) ও ইসাহাক হাওলাদার (১০৩)। এরা প্রত্যকেই বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর আওতায়। বৃদ্ধ বয়সে সংসারের নিজ নিজ সন্তানেরা অভাবের তাড়নায় পিতা মাতার খোঁজ খবর না নিলেও সরকারের  দেওয়া এ ভাতা পেয়ে  প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা খুশি। তারা মনের আনন্দে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দু’ হাত তুলে দোয়া করে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।  আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক।

   অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ, চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামান, মো. সাইদুর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা ও কাউন্সিলর মো. শাহিন শেখ। মোরেলগঞ্জে প্রায় ৯০ হাজার পরিবার ৪১ প্রকারের সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়মিত সুবিধা পাচ্ছেন। 


আরও খবর