Logo
শিরোনাম

৬ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৬ নভেম্বর। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। সোমবার এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা সূচিতে জানানো হয়েছে, সব পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টার। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল বা রচনামূলকের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা। দুই ধরনের প্রশ্নের মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না। প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ নভেম্বর ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।

ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




আলো ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবিয়ান কামরুজ্জামানের স্টেশন পাঠাগার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

সমাজের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়ানো তথা  সুশিক্ষার কথা বিবেচনা করে, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১০ সনে পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন।  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অপরাধ বিষয়ক গবেষণায় ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং এ স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরেছেন বিশ্বদরবারে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের  সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এ কর্মরত রয়েছেন।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে বই, পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন মো. কামরুজ্জামান যাতে সবাই এই উপকরণগুলোর সাহায্যে গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন। পাঠাগারটিতে বই পড়া, জ্ঞান আহরণ তথা নতুন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রতিনিয়তই পাঠকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে জ্ঞানের অতল সমুদ্রে অবগাহন করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন। কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে বসে বই পড়তে পারেন আবার চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন। জানা যায়, পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে। তাদের সহযোগিতায় সদস্য হওয়া, বই নেয়া, বই ফেরৎ দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারাও তাদের কর্তব্য সুন্দরভাবে পালন করছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বই পড়ার মাধ্যমে অনেকেরই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই পাঠাগারে সময় দিচ্ছে যা তাদের বিভন্ন আসক্তি থেকে দূর রাখছে। গ্রন্থাগারটি পরিদর্শণ ও অনুসন্ধান করলে  বুঝা যায় এর গভীরের সৌন্দর্য। পাঠাগারটির পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার , রেল স্টেশন অণু-পাঠাগার, সেলুন অণু - পাঠাগার চালু করা হয়েছে। এ পাঠাগারের যাবতীয় কার্যক্রম সত্যিই অবাক হওয়ার মত। মূল পাঠাগার ছাড়াও অপেক্ষমাণ মানুষের জন্য  এ পর্যন্ত  ৮ টি সেলুন অণু-পাঠাগার, ১ টি বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার ও ১ টি স্টেশন  অণু-পাঠাগার চালু করা হয়েছে।


পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “অনেক মানুষ আছেন, যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তবে নিয়মিত বই কিনে পড়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য সহজে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠাগারটি শুধু বই পড়াকে ঘিরে নয়, আমরা বিনোদনের আয়োজনও করে থাকি। প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, বৃত্তি প্রদান, কবিতা আবৃতি, গান এবং কোরআন-এর হাফেজদের নিয়ে আল-কোরআন পাঠসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা করা হয়ে থাকে।”

তিনি আরও জানান, “পাঠাগারের সংগ্রহে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের  ২৫০০  এর বেশী বই রয়েছে। যেমন-ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, জীবনী, চাকুরি পারীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই বিদ্যমান। পাঠাগারটির উন্নয়নে যারা বই দিয়ে এবং বিভিন্ন সময় সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

মাভাবিপ্রবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর ঘোষ বলেন, “ আমার ভাইবা থাকায় সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে দেখি নাপিত ২ জন চুল কাটছেন। বাকি যারা সিরিয়ালে রয়েছেন,  বেন্ঞ্চে বসে সবাই গল্পের বই ও পত্রিকা পড়ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সেলুনে পাঠাগার!  তখন জানতে পারলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পাঠাগার তৈরীর গল্প। তাই আশা করি, এভাবেই এগিয়ে যাবে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ চারদিকে ছড়াবে জ্ঞানের আলো। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এই পাঠাগারটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 


টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান জানান, "বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগটি অনেক মহৎ উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানাই।

আমরা পাঠাগারটির পাশে থাকবো। আমরা চাই এমন উদ্যোগ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক।  

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, "ভবিষ্যতে পাঠাগারের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ভবন নির্মাণসহ বইয়ের সংগ্রহ আরও বেশি সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজের বিবিধ সমস্যাগুলো সমাধানেও এই প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই আশা করি আমাদের সহযোগিতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি, সংগঠন যদি এগিয়ে আসে তাহলে  পাঠাগারের কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বিলুপ্তকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।


আরও খবর



নওগাঁর ৬টি আসনে ২২ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নওগাঁর ৬টি সংসদীয় আসনে ২২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও ৬টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা নানা অসঙ্গগতির কারনে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সকাল ৯টা থেকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈধ ও বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় ৩৩ জনের মনোনয় পত্র বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম শেষ হয় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা এই ঘোষণা দেন।   

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বতন্ত্র জামেদ আলী, জাতীয় পার্টির আকবর আলী কালু, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী।

বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তোতা ও সোহরাব হোসেনের পক্ষে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর ও মামলার তথ্য গোপন রাখায় তাঁদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়। 

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৬ জন প্রার্থীর-ই মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপী হওয়া, মামলার তথ্য গোপন রাখা ও সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ  ভোটারের স্বাক্ষর সংবলিত সমর্থন সূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর সহ বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

বাতিল ৬ প্রার্থী হলেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এইচএম আখতারুল আলম, নজিপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র দাস, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহুল আলম। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন নওগাঁ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, জাকের পার্টির এম আর ফারুক।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, মাহফুজা আকরাম চৌধুরী মায়া, জাতীয় পার্টির মাসুদ রানা, জাকের পার্টির আলম হোসেনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রহমান ওরফে চিকন আলী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফ সহ ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া অপর তিন প্রার্থী হলেন, বিএনএমের প্রার্থী জাবেদ আলী, এনপিপির প্রার্থী স্বপন কুমার দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ হোসেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল কবির চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম স্থগিত রাখা হয়েছে।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে ৪ জনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এসএম ব্রুহানী সুলতান মামুদ (গামা), জাতীয় পার্টির আলতাফ হোসেন, জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কনগ্রেস এর আব্দুর রহমান। 

বিভিন্ন অসঙ্গতি সম্বলিত কাগজ পত্র জমা দেয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া ৪ প্রার্থীরা হলেন, দলীয় সুপারিশপত্র না থাকায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কামাল পারভেজ, সংসদীয় এলাকায় ১ শতাংশ ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন, স্বতন্ত্র আব্দুস সামাদ ও স্বতন্ত্র জিয়াউল হকের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।

নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদের মধ্যে এক জনের ছাড়া বাঁকিদের মনোনয়নপত্র বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

বৈধ্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণ, জাতীয় পার্টির ইফতেখারুল ইসলাম বকুল, জাসদ এর এসএম আজাদ হোসেন মুরাদ এবং জাকের পার্টির মশিউর রহমান এর প্রার্থীতা বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় এনপিপি’র খন্দকার আমিনুর রহমান এর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

নওগাঁ-৬ আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ জনের প্রার্থী বৈধ্য ঘোষণা করা হয়। 

বৈধ্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন হেলাল, স্বতন্ত্র ওমর ফারুক সুমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নওশের আলী, স্বতন্ত্র জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আবু বেলাল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির পিকে আব্দুর রব, বাংলাদেশ কনগ্রেস এর আব্দুস ছাত্তার, জাকের পার্টির রবি রায়হান।

বিভিন্ন অসংগতি থাকায় ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে মামলায় খালাস পাওয়ার পরও ৬টি মামলার তথ্য গোপন করা, সম্পদ বিবরণী ফরম ফাঁকা রাখায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ ইসলাম বিপ্লব, ২১ নং ফরম পূরণ না করা এবং নির্বাচনী সংসদীয় এলাকায় ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রতন, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ জালাল উদ্দিন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় এনপিপি’র খন্দকার ইস্তেখাব আলমের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। 

নওগাঁর ৬টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র সহ অন্যন্যা দলের মোট ৫৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৩১জন এবং অন্যান্য দলের ২৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন।


আরও খবর



দশ মাসে ২৫৭৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ দশ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯৭ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮৯ জনের সঙ্গে।

এছাড়া বৃহৎ সংখ্যার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জনকে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১১ জন, আত্মহত্যা করেছেন ২০৭ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১২২ জন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিষদের লিগ্যালএইড সম্পাদক রেখা সাহা। পরিষদটি ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

লিখিত বক্তব্যে রেখা সাহা বলেন আজ থেকেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ। সারা বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নারী সমাজের পক্ষ থেকে ৪২ বছর আগে ১৯৮১ সালে ল্যাটিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এ দিবসটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।

পরবর্তীতে জাতিসংঘ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচার-প্রচারণা বেগবান করার উদ্দেশ্যে ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত ১৬ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে, একইসঙ্গে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে এ সময়কালে কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানায়। সে হিসেবে আমরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি/পরিবার ও নাগরিক সমাজের করণীয় পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং সহনশীলতার সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, পরিবারে শিশু-কিশোরদের নারীদের সম্মান দেওয়ার শিক্ষা দিতে হবে এবং তাদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে, পরিবারের সবক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে, পরিবারের অভ্যন্তরে যৌতুক, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যার প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে তাদের সহযোগিতা করতে হবে, ধর্ষণের ঘটনায় যেকোনো ধরনের সালিশী মিমাংসা এবং ধর্ষণকারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে এবং নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

রাষ্ট্র/সরকারের করণীয় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করতে হবে, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নির্মূলে সমন্বিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, বিরাজমান আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে সহায়ক কার্যক্রম চালু করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নরোধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে আইন প্রণয়ন করতে হবে, পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ এর প্রচার ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে,

 পাঠ্যসূচিতে নারীর মানবাধিকার, নারী পুরুষের সমতার ধারণা যুক্ত করতে হবে, বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা মনিটরিং করতে হবে, অপরাধীকে কোনোরকম রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান বন্ধ করতে হবে, সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সমাবেশের নামে নারীর প্রতি নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণা (অনলাইন, অফলাইন) কঠোরভাবে দমন করতে হবে, নারীর জন্য ক্ষতিকর প্রথা (বাল্যবিবাহ, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা, বিচার বহির্ভূত সালিশী কার্যক্রম, বহুবিবাহ) বন্ধ করতে হবে, জাতিসংঘের সিডও সনদের অনুচ্ছেদ-২ ও ১৬ (১)(গ) এর ওপর হতে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে,

 নারীর মজুরিবিহীন গৃহশ্রমকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারাবাহিকভাবে জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাদের কাউন্সেলিং সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে হবে, সমকাজে সমমজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে, নারীদের জন্য অধিক সংখ্যায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে, নারীবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশকে উৎসাহিত করতে সরকারকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে, তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে জেন্ডার সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচিতে সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচন পরবর্তীতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনসহ নারী ও কন্যার ওপর সব প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

গণমাধ্যমের করণীয় গণমাধ্যমে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে; জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজনের সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; নারী ও কন্যার প্রতি অনলাইনে সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।

নারী আন্দোলনের করণীয় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আন্দোলন শক্তিশালী করতে হবে; নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মসহ সকল শ্রেণিপেশার পুরুষদের যুক্ত করে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং নারীদের মধ্যে আত্মশক্তি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য উদ্দীপনামূলক নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুসহ অন্যান্যরা।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




১০টি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ৩ হাজার ৩৬২টি। 

এর মধ্যে ১০টি আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কাজ শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শনিবারই জানা যাবে আগামী নির্বাচনে কারা হবেন নৌকার মাঝি।  

বুথ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির নেতারা। 

 গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য অন্য কেউ নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে ফরম তোলেননি। একই তালিকায় রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। 

এছাড়াও ঢাকা-৩ আসনের জন্য এককপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নসরুল হামিদ বিপু। এই তালিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন ও শেখ তন্ময়। 

এসব নেতার আসনে আর কোনো প্রার্থী নৌকার মনোনয়নের প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি। ফলে এ ১০ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে।

ঢাকা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। ঢাকা-৩ আসন থেকে একমাত্র তিনিই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

 বিগত নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ আসনে একমাত্র তিনিই দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি।

এদিকে বাগেরহাট-১ আসন থেকে শেখ হেলাল উদ্দিনের বিপরীতে দলের আর কোনো প্রার্থী ফরম নেননি। শেখ হেলাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আপন চাচাতো ভাই।

 অন্যদিকে শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার আসন থেকেও অন্য কেউ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম নেননি।

অন্য দিকে শেখ হেলালের আরেক ভাই শেখ সালাহউদ্দিন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য। তার আসনেও নৌকা প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি কেউ।

এদিকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মাদারীপুর-১ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তার আসনেও মনোনয়ন প্রত্যাশায় অন্য কেউ ফরম নেননি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩