Logo
শিরোনাম

৬টি কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত চারটি কমিশনের প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। আরও ৬টি কমিশনের কাজের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হবে। কমিশন প্রধানরা এক মাস চেয়ে নিয়েছেন। তারা প্রধান প্রধান বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ ও বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। লিখিত মতামত দিয়েছে। কমিশন যতটুকু মনে করেছেন তা নিয়েছেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তাদের রিপোর্ট এবং সামারি দিয়েছে। এই সামারিগুলো আপনাদের জন্য আজকেই এভেইল এবল করে দেওয়া হবে। কমিশন গুলো তাদের ওয়েবসাইটে এভেইল এবল করে দেবে। যে রিপোর্টগুলো আমাদের কাছে এসেছে সেই কমিশনের প্রধানেরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এখন কমিশন প্রধানরা সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে বসবে। বসে এখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, কোথায় কোথাও তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তারা ঠিক করবে। আগামীকালের ছয়টি কমিশনের কাজের সময় আরও একমাস বাড়িয়ে দেব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের কর্ম পরিকল্পনার চারটা ধাপ ছিল। একটা হচ্ছে কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট প্রণয়ন করবে, সুপারিশ দেবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় আইন এবং নীতি প্রণয়ের কাজ শুরু করব। আমাদের প্রত্যাশা আছে আমরা পুরো কাজটা সম্পূর্ণ করে যেতে পারবো। নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু সংস্কার করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে বলেছেন যে আমরা ন্যূনতম কিছু সংস্কার সম্পন্ন করে যদি নির্বাচন করতে চাই তাহলে এই বছর হবে। যদি আমরা আরো কিছু সংস্কার প্রত্যাশিত মাত্রা করতে চাই, তাহলে কয়েক মাস লাগতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আলাপ আলোচনা করব তখন দেখব যে ন্যূনতম সংস্কারক কোনগুলো আছে। এর বাইরে প্রত্যাশিত সংস্কার ভেরিফাই করার চেষ্টা করব।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা। অবশেষে হত্যা রহস্য উদঘার্টন সহ ৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

হত্যাকান্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। আটককৃতরাও হলেন একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্ট ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এসময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। এঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং গত সেমাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামীরাই ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাও করেছেন যাতেকরে তাদেরকে কেউ যেন সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর



মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মেডিকেল কলেজে আসন বৃদ্ধি নয়, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অধিক সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। প্রয়োজনে সমন্বয় করা হবে কলেজগুলোকে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ কেন্দ্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ভালো শিক্ষক না পাই, তাহলে ভালো ডাক্তার কোত্থেকে তৈরি হবে। এজন্য প্রয়োজননির্ভর ডাক্তার তৈরি করতে হবে।

আজ সকাল ১০টায় দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক স্থানে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে ভর্তি পরীক্ষা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। আর কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে চলতি বছর আসনপ্রতি লড়ছেন ২৫ শিক্ষার্থী।


আরও খবর



বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্যানসার প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০২৫ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন ক্যানসার সেবায় বৈষম্য দূর করি’ যা ক্যানসার সেবায় সমানাধিকার নিশ্চিতের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং বয়স বৃদ্ধির মতো কারণগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ বেশি থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো সীমিত, যা বৈশ্বিক ক্যানসার ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তৈরি করছে।

ক্যানসার মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি, ওষুধ এবং পুনর্বাসন সুবিধা সহজলভ্য হলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো অপ্রতুল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যানসার-সম্পর্কিত মৃত্যু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে, যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এবং সচেতনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্যানসার চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা পাননি। বৈশ্বিক ক্যানসার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা, বিনিয়োগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা। দেশে মাত্র কয়েকটি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া ক্যানসার চিকিৎসার উচ্চ খরচ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রযুক্তির অপ্রতুলতা সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগী চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসেন, যখন চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় ক্যানসার সচেতনতা এবং স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের অভাব রয়েছে, যা রোগ দ্রুত শনাক্তকরণে বাধা সৃষ্টি করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যানসার মোকাবিলায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫




দুই পক্ষ একমত, বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণ হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে সাদ ও জোবায়েরপন্থিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মতবিরোধ থাকলেও এবার উভয়পক্ষের সমঝোতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। সম্প্রতি যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আয়োজকদের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে।

জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, এবারের ইজতেমায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ২০টি মোবাইল টিম ও ২০টি চেকপোস্ট থাকবে। পুরো ইজতেমা মাঠ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫