Logo
শিরোনাম

আবার 'সেঞ্চুরি' হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে বাজারে নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল সোমবার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। খুচরা বাজারে দাম বেড়ে আবারও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। গত বছর এ সময় নতুন পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। ভরা মৌসুমে এ পণ্যের দাম কেন বেড়েছে- এ প্রশ্ন ভোক্তাদের। সরকার প্রায় এক মাস আগে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করলেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। উল্টো অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দাম বাড়ার এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারের বেশিরভাগ দোকানেই নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিদরে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, রবিবার রাজধানীতে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। টিসিবির সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার জানান, রবিবার নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, ঠিক এক দিন আগে এটার দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। গত মাসে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছিল। তাই ওই সময়ও নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন আগে পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকায়, আজ (সোমবার) কিনতে এসে দেখি দাম হয়ে গেছে ১০০ টাকা। ২-১ দিনের মধ্যে হঠাৎ কীভাবে দাম ২০ টাকা বেড়ে যায়? দেশে বাজার মনিটরিং বলে কী কিছু আছে? যারা অসাধু ব্যবসায়ী তারা হঠাৎ সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলে। গুলশানসংলগ্ন লেকপাড় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন সিরাজুল ইসলাম।

হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মূলত পাবনা থেকে পেঁয়াজ কিনে এনে এখানে খুচরা বিক্রি করি। এছাড়া মাঝে মাঝে ঢাকার কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনি। পাবনায় এখন পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পরিবহনসহ সব খরচ মিলিয়ে ঢাকার খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। পাবনায় প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মূলত রবিবার থেকেই এমন দাম বেড়েছে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, মূলত নতুন বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। প্রায় দেড় মাস আগে এ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে, এখন কৃষকের সেই পেঁয়াজ শেষের দিকে। ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এখন কৃষকের মূল পেঁয়াজ যেটা বছরজুড়ে পাওয়া যায়, সেই পেঁয়াজ উঠতে কিছুদিন সময় লাগবে। সে পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে।

 মালিবাগ বাজারের ক্রেতা গার্মেন্টকর্মী রেজাউল করিম বলেন, এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা হওয়ায় আধা কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। বাজারে সব জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেশি, এর মধ্যে আবারও বাড়ল পেঁয়াজের দাম। সবকিছুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের সংসার পরিচালনা করাই কঠিন হয়ে পড়বে। বাড্ডা এলাকার মুদিদোকানি রহমান মিয়া বলেন, আজ দোকানে বিক্রির জন্য কয়েক পাল্লা পেঁয়াজ কিনে এনেছি। সেখানে প্রতি পাল্লা (৫ কেজিতে এক পাল্লা) দাম পড়েছে ৪৭০ টাকা, মানে প্রতি কেজি পড়েছে ৯৪ টাকা। এরপর আছে পরিবহন খরচ।

সব মিলিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১০০ টাকায়। মাত্র তিন দিন আগে পাইকারি ৭০ টাকায় কিনে, বিক্রি করেছি ৮০ টাকা কেজিদরে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রতিদিনের সংবাদকে জানায়, মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ার পথে। তাই বাজারে এ পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলেই দাম বাড়ছে। গত শনিবার পাইকারদের থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনে ৯০ টাকায় বিক্রি করেছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে আগামী মাসে নতুন হালি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এর আগে পর্যন্ত দাম কিছুটা বাড়ন্ত থাকবে।

শ্যামবাজার বণিক সমিতির সহসভাপতি ও পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল মাজেদ বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ যা উৎপাদন হয়েছে, তা আমরা খেয়ে ফেলেছি। ফলে এ পেঁয়াজ এখন মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ সংকট আছে। এতেই দাম বাড়ছে। কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হতে পারে- এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে সারা বছর যে পেঁয়াজ আমরা পাই, তা হালি পেঁয়াজ। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে এ পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে। অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে নতুন পেঁয়াজ এলে বলা যাবে দাম কোনদিকে যাবে। এর আগে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ আছে।

এফবিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হলেও উত্তোলন তো বন্ধ নেই। তাহলে সরবরাহ সংকট হবে কেন? বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুমতি দেওয়া আছে। যে যেখান থেকে ইচ্ছে আমদানি করুক, কোনো বাধা নেই। কিন্তু এরপর কেউ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে কিনা, সেটা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।

দাম বৃদ্ধির পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানা বলেন, আমরা এ মুহূর্তে উৎপাদনকারী উৎসগুলোয় গিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করছি। বর্তমানে আমাদের মহাপরিচালক বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় পরিদর্শনে আছেন। সেখানকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়া কয়েকদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ নিয়ে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়েছিলাম। এখন যেহেতু আবার দাম বেড়েছে, তাই আবারও হয়তো আমরা পদক্ষেপ নেব।

 


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



টি-টোয়েটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

আর মাত্র দেড় মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপের নবম আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে স্কোয়াড গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, শক্তিশালী দল তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পারছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল।

বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত বিসিবির। শুধু কয়েক জায়গায় বার বার চিন্তা করছে নির্বাচক, কোচ ও অধিনায়ক।

শ্রীলঙ্কার সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে তার ওপরেই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা মিলবে সৌম্য সরকারের। বাড়তি ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পাচ্ছেন তরুণ তানজিদ তামিম।

লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সৌম্যর বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ৮১ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস অর্জন করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, এরপর তাওহীদ হৃদয় এবং সাকিব আল হাসানের জায়গা নিশ্চিত।

ফিনিশারের ভূমিকা পালনের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি তরুণ জাকের হোসেনকে দলে রাখতে চায় নতুন নির্বাচক প্যানেল। বিপিএলের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের স্কোয়াডে তিন পেসার অটোচয়েজ। যেখানে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে পেস বিভাবে শক্তি বাড়াতে লড়াই হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মধ্যে। দীর্ঘ দিন ধরেই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে টাইগাররা।

তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হওয়ায় বিশ্বকাপ দলে সাইফউদ্দিনই এগিয়ে রয়েছে। কারণ, নতুন বলে সুইং এবং ডেথ ওভারে এই ডান বোলারের ইয়োরকার দেওয়ার দক্ষতা যেকোনো দলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

অন্যদিকে স্পিন বিভাগে মূল ভূমিকায় থাকবেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে দেখা যাবে লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। বিপিএল এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। ফলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ১৪ জন ক্রিকেটার চূড়ান্ত।

তবে ১৫ নম্বর সদস্য কে হবে তা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করছে নির্বাচকরা। একটি জায়গার জন্য লড়াই করছেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটেয়ারী ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে সাইফউদ্দিনকে দিয়ে চার পেসার নিশ্চিত হওয়ায় এই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছেন তানজিম সাকিব।

তাই মিডিল অর্ডারের অভাব পূরণের জন্য শামীম ও আফিফের মধ্যে একজনকে বেঁছে নিতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফিফের বিপিএলের ব্যর্থতা এবং দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকায় শামীমের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। এ ছাড়াও কোচ হাথুরুসিংহের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন আফিফ। ফলে সব কিছু মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো মিস করতে চলেছে এই বাঁহাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মাহেদী ও শামীম পাটোয়ারী।


আরও খবর



ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



৯ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে ৯ মে। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর