Logo
শিরোনাম

আবারো অস্থির ডিমের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ সংকটে এমন হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মুরগির খাদ্যের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এর বড় কারণ। এসব কারণে যখন গত মাসে ডিমের দাম বেড়েছে, সে সময় প্রশাসনের চাপে বাধ্য হয়ে দাম কমেছিল। কিন্তু সমস্যা সমাধান না হওয়ায় আবারো বাড়ছে। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন এসবই পাইকারদের কারসাজি। এই মুহূর্তে ডিমের দাম বাড়ার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই।  


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত সপ্তাহে ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে। শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পুরোপুরি বিপরীত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু ইস্ফাহানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?

একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।

(আলোচিত আক্রমণ) যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি, বিবিসিকে বলেন তিনি।

ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।

ইরান ইসরাইলের দিকে তিন শর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দুটি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং ইসরাইলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।

ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এনিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন না।

 এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।


আরও খবর



মুজিবনগর সরকার : মুক্তিযুদ্ধে প্রভাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সোহেল মাজহার: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা অপরিসীম। অর্থাৎ অস্থায়ী প্রবাসী মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কার্যকর ও আইনসঙ্গত নেতৃত্ব প্রদান করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬৬ সালে তার ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন করেন। ছয় দফা উত্থাপনের কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মুখোমুখি হতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও ছয় দফার পক্ষে প্রবল জনমত গঠন হয়। একই ধারাবাহিকতায় ৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি অভিনব ও স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান এবং ২৩ ফেব্রয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র জনতার পক্ষে তোফায়েল আহমেদ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। ছয় দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ১৬৭ টি আসন ও প্রাদেশিক পরিষদে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে।

৭১-এর মার্চের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাববিস্তারি ঘটনা হলো রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণে মাত্র ১৭/১৮ মিনিটে পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক ২৩ বৎসরের শাসন-শোষণ ও বঞ্চনার নির্মম ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বাঙালি জাতির গৌরবময় আন্দোলন সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন। ভাষণের একটি পর্যায়ে বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট, যা যা আছে সবকিছু আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।

 আরো উল্লেখ করেন, প্রত্যেক পাড়ায়-মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন। একেবারে শেষ পর্যায়ে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, অমোঘ বাণী উচ্চারণ করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। মূলত এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিব আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করা ছাড়া অলিখিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক সংগঠন, সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ, সেল্টার ও গেরিলা যুদ্ধ সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামরিক পরিচালনার দিকনির্দেশনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণে।

৭ মার্চের ভাষণের আলোকে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন সংঘটিত হয় । এই সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু মুজিবের নির্দেশে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে ৩৫ দফা নির্দেশনা ঘোষণা করেন। এদিকে ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে খোদ ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক ট্রেনিং সেন্টার স্হাপিত হয়। আবার ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী জয়দেবপুরে অবস্থানরত বাঙালি রেজিমেন্টেকে নিরস্ত্র করতে চাইলে মেজর শফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে বাঙালি সৈনিকগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তা প্রতিরোধ করে।

এই ঘটনায় মনু মিয়া, হুরমত ও নিয়ামতসহ স্হানীয় চারজন শহিদ হন। অন্যদিকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কালক্ষেপণ করে সর্বাত্মক যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে। প্রাথমিক অবস্হায় একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, আবাসিক ভবন - ডরমিটরি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ই.পি.আর পিলখানায় ব্যাপত গনহত্যা চালায়। এই রাতেই গণহত্যা ঢাকা শহরের বস্তি এলাকা, রাজপথ ও ফুটপাতেও চলে। মোদ্দাকথা এক রাতের মধ্যে ঢাকা শহর মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে। পাকিস্তান বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৩২নং ধানমন্ডি, তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

২৬ মার্চ থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইপিআর, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীসহ স্হানীয় মুক্তিকামী মানুষ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। এ সকল যুদ্ধ ছিল অবিচ্ছিন্ন, অসংগঠিত , তাৎক্ষণিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তা নেতৃত্বহীন-অদূরদর্শী। একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রেরণার মূলে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও ৭ মার্চের ভাষণ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রবল আইনগত ও সাংবিধানিক ভিত্তি আছে। আর তা হলো ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় অর্জন।

এটিই মুক্তিযুদ্ধকে সমগ্র পৃথিবীতে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ও আইনি বৈধতা দান করে। পৃথিবীর অনেক দেশের ন্যায্য স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াই শুধুমাত্র নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি স্বাধীনতাকামী গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে অন্তঃ লড়াইয়ে যুক্ত হয়ে তা দীর্ঘস্হায়ী হয়েছে । আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও আরাকানসহ পৃথিবীতে এরকম অনেক উদাহরণ আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাঁর উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। যতটুকু অন্তঃবিরোধ, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ছিল, তা যৎসামান্য। মূলত ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হওয়ার ফলে একটি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সফলভাবে পরিচালিত হয়।

বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়ে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। আওয়ামী লীগের অনেক জাতীয় নেতা আত্মগোপন করেছেন। নেতারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অনেকের কাছেই অনেকের খবর নেই। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হলেও পাকিস্তান বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিথিল কিংবা নেই। স্হানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেক এমএনএ ও এমপিএ প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ অধিকাংশজন আত্মগোপনে চলে যায়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ এই নেতৃত্বহীনতা ও বঙ্গবন্ধু মুজিবের অনুপস্থিতি তীব্রভাবে অনুভব করেন। পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যার পর প্রাথমিকভাবে আত্মরক্ষা করে তিনি ঢাকা থেকে গা ঢাকা দেন। ২৭ মার্চ তিনি ঝিনাইদহ উপস্থিত হন৷ তৌফিক এলাহি ও মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রমের প্রমুখের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত চলে যান। মার্চের ৩০ তারিখ পশ্চিম বাংলা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ২ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে যান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উভয় নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি রাজনৈতিক সরকারের অভাব অনুভব করেন। তাজউদ্দিন আহমদ দিল্লি থেকে ফিরে এসে কুষ্টিয়া সীমান্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ ও এমপিদের নিয়ে একটি অধিবেশন আয়োজন করেন।

অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগারে রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমদ। মন্ত্রিপরিষদের অন্যন্য সদস্যগণ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচএম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ। অস্হায়ী প্রবাসী সরকার ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার ঐতিহাসিক আম্রকাননে শফথ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ, ভারত ও পৃথিবীর আরো কয়েকটি দেশের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার অধ্যাপক ইউসুফ আলী। মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শফথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সংক্ষিপ্ত ও তাৎপর্যময় বক্তব্য রাখেন।

তাজউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বৈদ্যনাথ তলার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম করেন মুজিবনগর। এই নতুন নামকরণের মধ্য দিয়ে প্রবাসী সরকার মুজিবনগর সরকার নামে অধিক পরিচিতি পায়। মুজিবনগর সরকারের নামকরণের তাৎপর্য অন্য জায়গায়। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হলো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকলেও বঙ্গবন্ধু মুজিবই মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তার নেতৃত্বেই অস্থায়ী প্রবাসী সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে। কার্যত মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বিকল্প ছিল না। যে কারণে অনেকে বিশ্বাস করতেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্ত আছেন এবং তিনি সশরীরে যুদ্ধ পরিচালনা করছেন।

এর আগে আরো কিছু ঘটনা ঘটে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের কিছু ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মেজর খালেদ মোশাররফের অস্থায়ী দপ্তরে মিলিত হন। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সামরিক বিবেচনায় তারা সমগ্র বাংলাদেশকে চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করে। দায়িত্বগুলো ছিল নিম্নরূপ ১. চট্টগ্রাম অঞ্চল - মেজর জিয়াউর রহমান ২. কুমিল্লা অঞ্চল - মেজর খালেদ মোশাররফ ৩. সিলেট অঞ্চল - কে. এম শফিউল্লাহ ও ৪. যশোর অঞ্চল - মেজর কে.এম আবু ওসমান চৌধুরী। কিন্তু যাই হোক প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে এসব কিছুকে অনুমোদন ও বৈধতা দেওয়ার কেউ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ আইনের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা যুদ্ধ না হয়ে বিচ্ছিনতাবাদী যুদ্ধে রূপান্তরিত হতো।

যা হোক, প্রবাসী সরকারের দপ্তর স্থাপিত হয় ৮ থিয়েটার রোড কলকাতায়। ইতোমধ্যে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্বাধীনতা ঘোষণা প্রবাসী সরকার অনুমোদন করে। মুক্তিযুদ্ধকে সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য শফথ গ্রহণের পূর্বেই ১১ এপ্রিল এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়।

'ভারতের মাটিতে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ের রাজনৈতিক সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ সরকার কিংবা বৈধ প্রতিনিধি না থাকলে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার কার সঙ্গে কথা বলবে, নেগোসিয়েটেড করবে। বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রবাসী মুজিব নগর সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক সরকার গঠনের পাশাপাশি প্রশাসন কাঠামো ও সুসংহত আমলাতন্ত্র গঠন করেছিল। ১১ জুলাই সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর সেক্টর গঠনের সমান্তরালে ১১টি আঞ্চলিক পরিষদ ( zonal Council) গঠন করে। ১১টি আঞ্চলিক পরিষদ ১১ জন করে চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মূলত মুক্তিবাহিনীর উপর বেসামরিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২০ তারিখের মন্ত্রিপরিষদের সভায় সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে কতগুলো মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩. অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪. মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয় ৫. সাধারণ প্রশাসন বিভাগ ৬. স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৭. তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় ৮. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়(৯) ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় (১০) সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (১১) কৃষি বিভাগ (১২) প্রকৌশল বিভাগ। মন্ত্রী পরিষদের কর্তৃত্বে আরও কয়েকটি সংস্থা গঠিত হয়। সংস্থাগুলো হলো ১. পরিকল্পনা কমিশন ২. শিল্প ও বাণিজ্য বোর্ড ৩. নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, যুব অভ্যর্থনা শিবির ৪. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি ৫. শরনার্থী কল্যাণ বোর্ড। উপরিউক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্হা সৃষ্টি করা ছাড়াও অগ্রিম পরিকল্পনা প্ল্যানিং সেল, গণহত্যা সেল ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। বিশেষত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এভাবেই সোভিয়েত ব্লক সহ পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ব্যক্ত করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানোর পিছনে প্রবাসী সরকারের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়।

ভারত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর জন্য ট্রেনিং সেন্টার স্হাপন, অস্ত্র-রশদ সরবরাহ ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান, ভারতের মাটিতে প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পেছনে অস্থায়ী সরকারের ভূমিকা ছিল। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন, ৬ ডিসেম্বর ভুটানের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়, ৭ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি প্রদান প্রবাসী সরকারের বড় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্য। সবচেয়ে বড়ো কথা বাংলাদেশের ১১ টি সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিবাহিনী প্রবাসী সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল। প্রবাসী সরকারের অনুমোদন ছাড়া তা মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে স্বীকৃত হতে পারে না। মুক্তিবাহিনী সরকারের অনেকগুলো বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগ। অবশ্য এটিই ছিল সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বা অঙ্গ। কাজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।

লেখক : অধ্যাপক, কবি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক। ইমেইল : [email protected]


আরও খবর



ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আজ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার জয়পুরহাট  জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম। 

সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 

সভার শুরুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন কমিশনের উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।

সভায় কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত'। 

তিনি আরও বলেন, ''তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

অনুষ্ঠানে ভুয়া ও নামধারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতারণা ও অন্যান্য অপকর্ম থেকে সচেতন থাকতে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪