Logo
শিরোনাম

আব্দুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আব্দুল আলীমের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল আলীম।

পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি ও ইসলামী গানের শিল্পী হিসেবে আজও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার গাওয়া জনিপ্রয় গানের মধ্যে রয়েছে-এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া, সর্বনাশা পদ্মা নদী, হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ, পরের জায়গা পরের জমি, সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ থেকে শুরু তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।


আরও খবর



বান্দরবানে থমথমে পরিস্থিতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাংক লুটের পর সেনা-পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে আক্রমণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি। এ মামলাগুলোতে পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। থানচি বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ রয়েছে। রুমার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটছে না।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পুলিশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, সেই সাথে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ এবং পরপর থানচি উপজেলায় আরো বেশ কয়েকটি হামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রুমা উপজেলার ব্যাথেলপাড়া থেকে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের একটি সশস্ত্র দল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা করে। সেখান থেকে ১৪টি অস্ত্র গোলাবারুদ লুটের পর ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন সকালে থানচি উপজেলায় হানা দিয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে থানচি বাজারে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আবার হামলা করে কেএনএফ। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময় হয়। এছাড়া গভীর রাতে থানচি-আলীকদম ডিম পাহাড় সড়কে সেনা-পুলিশের একটি যৌথ চেকপোস্টে গুলিবর্ষণ করে তারা। তবে এসব হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবার হামলা হতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে।


যৌথ অভিযান শুরু : এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজামউদ্দিনের উদ্ধার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র্যাব। এ সময় পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থেকেই যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরুর কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ এই অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান, র্যাবের কৌশল ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে কেএনএফ আগামীতে আরো বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা অপহৃত ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সাইবার হামলা চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তারা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা। এ সময় পরিচালক জানান, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ পায়ে হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র্যাব।

 

একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র্যাব তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় তিনি আরো বলেন ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ডলাইনে যাইনি তবে আজ থেকে আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়। কারণ কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরো বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


যৌথ তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ, থানচিতে গোলাগুলি : আলীকদম থেকে আমাদের সংবাদদাতা মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আলীকদম-থানচি সড়কের ২৬ কিলোমিটার এলাকায় আলীকদম জোনের আওতাধীন একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাত পৌনে ১টার দিকে ২৬ কিলোমিটার এলাকার এ যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে এসে চৌকি ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা গুলি চালায়। এ সময় চৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। পরে হামলাকারীরা পিছু হটে।

এছাড়া যৌথ চেকপোস্টে হামলার আগে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টার বেশি এ গোলাগুলি চলে। স্থানীয় সাংবাদিক অনুপম মার্মা ও শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ভালো নেই। স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে অনেকটা গৃহবন্দীর মতো অবস্থায় রয়েছেন।


অস্ত্রধারীরা এখনো দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে : বান্দরবানের থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারে মধ্যে এখনো বিভিন্ন পাড়ায় কেনএনএফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ কথা জানান থানচি থানার ওসি জসীম উদ্দিন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিন থানচি থানা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। থানার প্রবেশমুখে ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাইলে ওসি জসীম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরো ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চার পাশে সতর্ক অবস্থানে আছে।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। অনেকেই ব্যক্তিগত বা প্রয়োজনীয় কাজে নিয়মিত এটি ব্যবহার করেন। এটি প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করে গ্রাহকের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলছে। এবার স্ট্যাটাসে নতুন আপডেট আসছে হোয়াটসঅ্যাপে।

এতদিন হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে ছবি, ভিডিও কিংবা টেক্সট আপলোড করা যেত। ক্যাপশনে লেখার অপশনও ছিল। কিন্তু, এবার আরও একটি বিষয় যুক্ত করতে পারবেন স্ট্যাটাসে।

একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আপনি চাইলে এখন থেকে, আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা যে কাউকে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করতে পারবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোনো একজনের জন্যই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিংবা কয়েকজন বন্ধু অথবা পরিবারের কারও জন্য স্ট্যাটাসটি আপলোড করেছেন। সেক্ষেত্রে তাকে ট্যাগ করে দেওয়া যাবে। আর যে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে সেই ব্যক্তির কাছে।


আরও খবর

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবিতে অংশ নিবে ৭৩৮৮ পরিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবিতে) কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৭৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একাডেমিক ভবনগুলোতে সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ইউজিসি এবছর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথমবারের মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়ায়, বিভাগটির জন্য ৩০ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৮৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ৫৫ জন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) ৫৫ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) ৬০ জন, ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) ৩০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। লাইফ সায়েন্স অনুষদের অনুকূলে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগে ৫৫ জন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে ৬০ জন, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস)  বিভাগে ৫৫ জন, বায়োটেকনোলজি এন্ড 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগে ৪০ জন, ফার্মেসী বিভাগে ৩৫ জন, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে।  সায়েন্স অনুষদের রসায়ন বিভাগে ৫৫ জন, গণিত বিভাগে ৬০ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৫৫ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। সোস্যাল সায়েন্স অনুষদের অর্থনীতি বিভাগে ৬৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের  হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ৫০ জন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। 

আরও জানা যায় যে, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এবছর ৩ টি ইউনিটে সর্বমোট আবেদন পড়েছে ৩,০৫,৩৪৬ জন পরিক্ষার্থীর। এর মধ্যে এ ইউনিটে মোট ১,৭০,৫৯৯ জন, বি ইউনিটে মোট ৯৪,৬৩১ জন এবং সি ইউনিটে মোট ৪০,১১৬  জন । গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২০,৬৬৮ টি। আবেদন জমার হিসেবে এবছর প্রতি আসনে লড়বে  প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী। এবছর নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। নতুন এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনটি পৃথক পৃথক  দিনে তিনটি গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১২.০০ টা থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত ও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকাল ৩ টা হতে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।  বি ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত ও  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর