Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ


লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছে।বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা শহরে।

২৬ নভেম্বর(শনিবার) বিকেলে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এর সামনে এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী বিএনপি ও জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে উপজেলার জিএস স্কুলের মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করে।একই সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ বঞ্চিত নেতারা উপজেলা আঃ লীগ কার্যালয় এর সামনে সমাবেশে ডাকে।

আজকে উভয় পক্ষের পাল্টা পাল্টি সমাবেশ ডাকাকে ঘিরে সকাল থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো।নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি, সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাদের নেতৃত্ব দেওয়া সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহরের মুল সড়ক প্রদক্ষিণ করার জন্য বের হয়।মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় অতিক্রম করার সময় উপজেলা আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া গ্রুপের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এর পিছন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মিছিলকে লক্ষ করে ঢিল ছোড়ে এতে মিছিল ও আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পরে।পরে মিছিল ছুট নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এর সামনে অবস্থান নেওয়া গ্রুপের সাথে থেমে থেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।এসময় দু গ্রুপ ঢিল ছোড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে আতংক ছড়াতে থাকে।বৃহৎ সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ টানা দু'ঘন্টা চেষ্টা ও তিনটি সাউন্ড গেনেট ছুড়লে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা দুদিকে চলে যায়।সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তারুল ইসলাম জানান,আদিতমারী আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের ৫/৬  সদস্যসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি সাউন্ড গেনেট ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ;চলতি বছরের গত ১৯ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি ও রফিকুল আলমকে সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে।ঘোষিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহমুদ ওমর চিশতী পদ না পেয়ে কমিটি ঘোষণার পর থেকে নব নির্বাচিত কমিটির বিরোধীতা করে আসছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রেদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর



পশ্চিমাদের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন পুতিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মার্কিন বলয়ে থাকা পশ্চিমা বিশ্বকে এবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বললেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠালেই পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ভাষণে ন্যাটো দেশগুলোকে উদ্দেশ করে এ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, কেউ রাশিয়া আক্রমণ করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে। কারণ দেশটির কাছে এখন এমন অস্ত্র রয়েছে যা শত্রু অঞ্চলের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে যেকোনো সময় আঘাত করতে সক্ষম। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। খবর তাস, আলজাজিরার।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শত্রুদের লক্ষ্য করে পুতিন আরও বলেন, তাদের বোঝা উচিত যে আমাদেরও অস্ত্র আছে। আমাদের কাছে এমন অস্ত্র রয়েছে যা তাদের ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে একটি নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় টেনে আনার চেষ্টা করছে। বলেছেন, পশ্চিমারা এভাবে সভ্যতার ধ্বংসের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রকৃত হুমকি তৈরি করে।

সম্প্রতি সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদান করায় হুঁশিয়ারি জোরদার করেছেন পুতিন। কারণ ফিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে। ভাষণে এ অঞ্চলে সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই রুশ সেনাদের কাছে সরমাট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে এবং দেশটি বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়েও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তবে রাশিয়ার মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কথিত পরিকল্পনার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রধান ইউরোপীয় মিত্ররা চলতি সপ্তাহে বলেছে, তাদের ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

পুতিন আরও বলেছেন, সেনাবাহিনী তার যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনজুড়ে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়াকে আরব ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছেও জানিয়েছেন পুতিন।

বলেছেন, এ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপে হামলা চালাবে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের রটানো আজগুবি প্রচারণার কথাও এ সময় তুলে ধরেন পুতিন। বলেন, রাশিয়ার উন্নয়ন বন্ধ করতে এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাতের জন্ম দিতেই এমন উসকানিমূলক অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভেতর থেকে দুর্বল করার চেষ্টায় হেরে গেছে।

পুতিন তার বক্তৃতায় অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিসহ দেশের অর্থনীতির কথাও তুলে ধরেছেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে বিশ্বের চারটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার দেশ গত বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সব জি-৭ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।

পুতিন আরও দাবি করেছেন, একটি সার্বভৌম, ক্ষমতাশালী রাশিয়া ছাড়া একটি শক্তিশালী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে রাজনীতিমুক্ত একটি নতুন বৈশ্বিক আর্থিক অবকাঠামো তৈরি করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

পুতিনের বক্তৃতা শুধু টেলিভিশনেই নয়, বড় ডিজিটাল স্ক্রিনেও সম্প্রচার করা হয়। সারা দেশের সিনেমা হলগুলোতেও বিনামূল্যে প্রচার করা হয়।


আরও খবর



পুরো দেশটাই যেন অগ্নিঝুঁকিতে : জিএম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

পুরো দেশটাই যেন অগ্নিঝুঁকিতে মন্তব্য করে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রমাণ হয়েছে অগ্নিনির্বাপণে বর্তমান সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল। প্রতি বছর শতশত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে। অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়।

এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তথ্যে জানা গেছে গেল বছর ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ১০২ জন আর আহত হয়েছেন ২৮১ জন। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরও বেশি।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ৪ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানা এলাকায় একটি চিনি কলের আগুন পুড়েই নিভেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের অসহায় মনে হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৪৬ জন। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন। ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে চানখারপুলের নিমতলীতে ক্যামিকেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অর্ধশত এবং কারখানা ও বাড়ি পুড়েছে ২৩টি। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যায়। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ২৬ জন, আহত হয় অন্তত ৭০ জন। ২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের রাখি নীড়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ১২ জন, আহত হয় দুই শতাধিক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ আজ কোথাও নিরাপদ নেই। দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু, লঞ্চ দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া হরহামেশাই ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনার ফিরিস্তি ও এতে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই নতুন উচ্চতায় উঠছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সু-শাসনের অভাব। জবাবদিহিতা নেই কোনো স্তরে। দুর্নীতির বিস্তার হচ্ছে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে। কারোরই নিয়মকানুন মানার প্রয়োজন নেই যদি ক্ষমতা বা অবৈধ অর্থের যোগান থাকে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোনো ভাল কিছু ঘটলে তার কৃতিত্ব নেওয়ার ও দেওয়ার লোকের অভাব নেই। দুর্ঘটনার জন্য কেউই দায় নিতে চায় না। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সময়ক্ষেপণ করে। তাই, দুর্ঘটনা আবার স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে অন্য কোথাও ঘটতে শুরু করে।


আরও খবর



আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যাতে তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।

আজ শনিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিমেন্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তথা বীর এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।

শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, কাজেই এভাবেই আমরা সকলে এক হয়ে আমাদের দেশকে গড়ে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিচ্ছি। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচন করে দেশকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ায় আজকের বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল বলে পরিগণিত হয়েছে। আজকের বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি আধুনিক, পেশাদার ও চৌকস সশস্ত্রবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। তার নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লায় গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি।

তিনি বলেন, জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই আমরা প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করা হচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সাথে রয়েছে আমার গভীর বন্ধন। কারণ জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের নামে একটি রেজিমেন্ট হবে। ২০০১ সালেই সেই রেজিমেন্ট আমরা প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করি এবং ২০১১ সালে আমিই এই রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করি। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।

এই ইউনিটের সদস্যগণ দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সাথে দায়িত্ব পালন করছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তারা এই যে কাজের মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন তা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর