Logo
শিরোনাম
নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়,সন্ত্রাস নয়। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

শুক্রবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার পোরশা হাইস্কুল কাম-মাদ্রাসা মাঠে ২ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যকালে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, ইতি মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের দিয়েছেন বয়স্ক ভাতা, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌছেনি।দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। কৃষক তার ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ দিয়েছেন ১৯ জন কৃষক। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু করেছে।মেট্রো রেল চলছে আর পাতাল রেলের কাজও চলছে। ২০২৩ সালে আরো অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ বলেও  উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য বারবার কারাবরণ করেছিলেন। অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার লাশ ঢাকায় দাফন না করে টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করা হয়। কুচক্রীদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি যাতে বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিস্তার ঘটেছে।

বিএনপি'র আন্দোলন সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনের মৃত্যু ঘটেছে। এখন তাদের চল্লিশার কর্মসূচি চলছে। দেশের উন্নয়নে বিএনপি'র কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতি শুধু লুটপাট আর খাই খাই। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে.? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী এবং পোরশা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা খাতুন বক্তৃতা করেন।


আরও খবর



দশমিনায় গোখরা সাপে কামড়ে এক ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পটুয়াাখালীর দশমিনা উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে গোখরা সাপর কামড়ে সৌরভ (১০) নামে এক শিশুর মৃত্য হয়েছে। সাপে কাটার পর পরিবার লোকেরা চিকিৎসকের পরিবর্তে ওঝাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ মে) আলিপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামের আলী হোসেন মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সৌরভ ওই গ্রামের মো.খবির খলিফা ছোট ছেলে।

পারিবারিক সুত্র  জানা যায় পূর্ব আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন সৌরভ।

সৌরভ বাবা খবির খলিফা জানান, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুরে আমার বাড়ির একটি শিশু  পরে গেলে তাকে  উঠানোর সময় আমার ছেলের ডান পায়ে গোখরা সাপে কাম দেয়।

কিছুক্ষণ পরে চিৎকার করলে আমি তাকে উঠিয়ে বাসায় নিয়ে আসি। তখন আমার পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে এলাকার অনেক মানুষ এক্ষেত্রে হয়ার পরে। তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের ও স্থানীয় লোকেরা পার্শ্ববর্তী উপজেলার গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মো.মনির হোসেন নামে এক ওঝাকে খবর দিলে বাড়িতে এসে ওঝা ঝাড়পোক করেন। 

তবে ওই ওঝা শেষ পর্যন্ত ঝারপোক দাও ব্যর্থ হয়ে পরেন। পরে সৌরভে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।এরপরে  সৌরভকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে  আনুমানিক  রাতে ৯ টার  সময়  চিকিৎসা দিন অবস্থা মারা জায়। 

এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.মোস্তাফিজুর রহমানকে পরিবারের লোকজনেরা মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন,সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার 'অ্যান্টিভেনম' আমাদের হাসপাতালে নেই। তাই আপনারা সাপে কাটার রোগীকে অতি দ্রুত পটুায়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।


আরও খবর



বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত আনসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। পুলিশের পরিবর্তে তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত করা হয়েছে আনসারের বিশেষ প্রশিক্ষিত জনবল। তবে এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিতে গেলে অর্থ খরচ করতে হবে কূটনীতিকদের। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি আনসার সদস্যকে ৩০০ ডলার করে দিতে হবে।

আগে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হতো না বিদেশি কূটনীতিকদের। মূলত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিনামূল্যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তবে গত ১৪ মে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার পুলিশের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন থেকে অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিতে হবে তাদের।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে গাড়ি নিলে জ্বালানি খরচ ছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আরো এক হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে তাও বহন করতে হবে ওই দূতাবাসকেই।

গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার বাহিনীর সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকপত্র পৌঁছে গেছে। পত্রে এসকর্ট সুবিধা পেতে হলে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিরেক্টরের (অপস) ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি কোনো বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে ছয় বছর নিরাপত্তায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি)। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত লোকবল সরবরাহের সক্ষমতাও রয়েছে বাহিনীটির।

১৭ মে বৈঠক শেষে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে আনসার বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কোনো বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনীতিক নিরাপত্তার জন্য আনসারের এসকর্ট সুবিধা পেতে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ দেখানো হয়নি, এমনকি জানানো হয়নি লিখিত চাহিদাও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এজিবি ইউনিট গঠন করা হয়। গঠন করা হবে আরো একটি ব্যাটালিয়ন, সে প্রক্রিয়া চলছে।

আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একজন পরিচালকের নেতৃত্বে আটজন কর্মকর্তা ও ৪১৬ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এজিবি। এজিবির মতো প্রশিক্ষিত জনবলে রয়েছেন আরো তিন হাজার সদস্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় এজিবিকে ব্যবহার কিংবা প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়নও গড়া যেতে পারে। এতে পোশাকসহ কাঠামোগত পরিবর্তনও প্রয়োজন হবে না।

আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্যদের দেশে-বিদেশে কুইক রেসপন্স ট্রেনিং (কিউআরটি), স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং (এসটিটি), স্পেশাল প্রটেকশন ট্রেনিং ও বিশেষ অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও রয়েছে। আনসারের কর্মকর্তারা এসএসএফ ও র‌্যাব, সচিবালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে প্রেষণে কর্মরত থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




নিয়ন্ত্রণের বাইরে কানাডার দাবানল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের দাবানল ভয়ানক থেকে আরও ভয়ানক হচ্ছে। দাবানলের কারণে ওই প্রদেশের অনেক বাসিন্দা সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি, আকাশ শক্তিসহ সব উপায় ব্যবহার করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শুধু তাই নয়, সামনের কয়েকদিন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

বুধবার পর্যন্ত নোভা স্কোটিয়ায় ১৩টি দাবানলের আগুনে পুড়েছে ২০ হাজার হেক্টর অঞ্চল। ১৩টি দাবানলের মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হ্যালিফেক্সের ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলের ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ২০০টিরও বেশি অবকাঠামো। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলো বাড়ি-ঘর। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উষ্ণ, শুষ্ক এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে টানটালোন কমিউনিটির কাছে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে ৮৩৭ হেক্টর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। এর অর্থ হলো ক্লান্ত দমকলকর্মীরা সহজেই মুক্তি পাচ্ছেন না।

হ্যালিফ্যাক্সের আঞ্চলিক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগের উপপ্রধান ডেভ ম্যালড্রাম জানিয়েছেন, দমকলকর্মীরা গত চারদিন ধরে প্রায় সবকিছু ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নোভা স্কোটিয়ায় প্রতিবছরই দাবানল দেখা যায়। তবে সেগুলো সাধারণত কয়েকশ একর অঞ্চল পুড়িয়েই নিভে যায়। কিন্তু রেকর্ড ভাঙা ব্যারিংটন লেকের দাবানল ২০ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে এবং এটি এখনো ছড়াচ্ছে। নোভা স্কোটিয়ায় এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সে বছর ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল।

আগুন নেভানোর জন্য প্রদেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে সেটি দিয়ে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নোভা স্কোটিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পরিচালক। এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে অবকাঠামো বাঁচানোর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর



নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষার্থীদের পথরোধ করে চাঁদাবাজী করার অভিযোগে নাঈম হোসেন (২১) নামে কিশোর গ্যাং এর এক লিডারকে  আটক করেছে র‌্যাব। শনিবার পূর্বরাত পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নাঈম উপজেলার সন্নাসতলা (দূর্গাপুর) এলাকার সোহেল এর ছেলে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব জানায়, আটককৃত নাঈম তার সহযোগী নয়নসহ আরো ৪-৫ জনকে নিয়ে ঐ এলাকায় অনেক দিন ধরে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় আটকিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিল। গত ৮মে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা দু'জন পরীক্ষার্থীর টাকা-পয়সা, মোবাইল কেড়ে নেয়া ও মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে চাঁদা দাবী করার জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১০ মে আবারো তাদের আটকিয়ে টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিলে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোপরচাপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত কিশোর গ্যাং এত লিডার নাঈমকে আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে আটককৃত নাঈম কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন বদলগাছী থানা পুলিশ।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করছে এশিয়াকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে যেভাবে ফোস্কাপড়া তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে, তাতে চলতি ২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা।

এল নিনো ধরনের আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালের শীত শেষ হতে না হতেই তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে, তা বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মত বিশ্বের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।

রোববার ভিয়েতনামের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রার প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদায় আকস্মিক উল্লম্ফন এবং তার জেরে ভিয়েতনামে প্রায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবেশী দেশ লাওসেও এ দিন রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ছিল। দক্ষিণপূর্ব এয়িশার অপর দেশ ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিন তাপমাত্রার সূচক বিপজ্জনক পর্যায়ে থাকায় স্কুলের সময়ঘণ্টা কমাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

তাপপ্রবাহ থেকে থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফিলিপাইনের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়াও। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চালে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। থাই জলবায়ুবিদরা সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সামনের তিন বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে; সরকারের উচিত আসন্ন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

খরার আশঙ্কায় আছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাম ওয়েল উৎপাদনকারী এই দেশটির ভোজ্যতেলের মূল কাঁচামাল পামের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে যাওয়া এল নিনো আবাহাওগত প্যাটার্ন এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রাবাহের জন্য মূলত দায়ী এবং একে আরও অসহনীয় করে তুলছে মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি।

স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ এল নিনো এবং লা নিনার আক্ষরিক বাংলা অর্থছোটো খোকা ও ছোটো খুকী। তবে গত কয়েকশ বছর ধরে এই শব্দ দুটি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। এই চক্রের একটি অংশের নাম এল নিনো অপরটির নাম লা নিনা

কোনো কোনো বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। গড়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর বিশেষ এই ব্যাপারটি ঘটে।

এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়ে।

এল নিনোর প্রভাবে প্রশাসন্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে।

সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। তারপরই আসে লা নিনা। সে সময় এল নিনোর বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জলবায়ু মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা; কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে লা নিনা শেষ হবে, শুরু হবে এল নিনো প্যাটার্ন।

গত প্রায় তিন বছর ধরে খরা চলছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশভুক্ত আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, এল নিনোর প্রভাবে হয়ত চলতি বছরই এই খরার অবসান হবে, কিন্তু একই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে থাকবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।

আর এসব জায়গায় টানা ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কফি, চিনি,পাম তেল ও কোকোয়ার মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন।


আরও খবর