মোঃ শাকিল আহামাদ - রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি::
আহত পুলিশ সদস্যকে রামেক হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাসিক মেয়র লিটন
কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এমপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিলো ডব্লিউএইচও
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। এক শ্রেণির দালাল টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।
স্থানীয়দের হিসাবে, গত একমাসে কক্সবাজারের টেকনাফ,
উখিয়া ও বান্দরবানের
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের
বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
অনুপ্রবেশ করেছে।
তবে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের মতে, এ সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। সংখ্যা যাই হোক, ফের নতুন করে রোহিঙ্গা
অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের
মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনের
মংডু শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। মংডু টাউনশিপ
ঘিরে এ লড়াইয়ে আবারও রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ফেলে গত একমাস ধরে মংডু ও আশপাশের
এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে
ঢুকে পড়ছে। এমনকি অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের
ওপারে জড়ো হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।
অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে
টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা
অনুপ্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা
কাঠের নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে দালালদের সহযোগিতায়
টেকনাফে ঢুকছে। এরপর তারা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা
শিবিরে ঢুকে পড়ছে। অনেকে টেকনাফে বিভিন্ন
বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিচ্ছে।
সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের
কড়া নজরদারির মধ্যেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের
ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ
কমিটির সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক
(সুজন) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝায় এমনিতেই
হিমশিম খেতে হচ্ছে, এ অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
উদ্বেগের।
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি
হতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা
সীমান্ত ঘেঁষা বাসিন্দারা
বলছেন, গত এক মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা
অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু ও আশপাশের
সীমান্তে আরও ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা
জড়ো হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের জাদিমোরা,
দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি,
নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া,
মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং,
শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া,
মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ,
আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী,
তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া
উপকূল, উখিয়ার বালুখালী,
ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু
ও দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো হয়ে থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের
সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ কিয়াত (বার্মিজ নোট) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সীমান্ত
পার করিয়ে দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের
বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা
সংকট সমাধানে কার্যকর
ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গা
অনুপ্রবেশ ঘটছে।
তিনি বলেন, রাখাইনের
দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির যুদ্ধের কারণে সেখানে নতুন সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে।
এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক
মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ
জরুরি।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারির পরও অনুপ্রবেশ
ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক মাসে আট-নয় হাজারের
মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।
অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের
আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়নি
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের
সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা
আশ্রয় নেয়। সাত বছরে কাউকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম
শুরু হলেও রাখাইনের
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা থেমে যায়।
নতুন করে রোহিঙ্গাদের
আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
আট হাজার রোহিঙ্গা
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।
অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা
টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন
ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের
ঘরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ ও আহত রয়েছে। তাদের চিকিৎসার
সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুনদের আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত
হয়নি।
উখিয়া, টেকনাফ ও নোয়াখালীর ভাসানচরসহ ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের
পরে আসে।
মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই
গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে
আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে রাখাইনের
৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের
পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের
সবকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা
অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ
ও আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে।
এ যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের
ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরকান আর্মি। এমনকি তারা মংডু টাউনশিপের
পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া,
উকিলপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া দখল করে অন্তত ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে
উচ্ছেদ করেছে। মংডু ও আশপাশের গ্রামগুলোতে
তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের
পরও মংডু এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশে
আশ্রয় খুঁজছে তারা।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নাহিদ ইসলাম এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত Marie Masdupuy সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত কে স্বাগত জানান। ফ্রান্সের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সব সময় আগ্রহ ছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনলেও এক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি এবং অনিয়ম হয়েছে। যে পরিমাণ অর্থ এসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার সুফল পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের জনগণ পায়নি। আমরা দুর্নীতির জায়গা গুলো প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছি।
রাষ্ট্রদূত Marie Masdupuy সাম্প্রতিক বন্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করলে উপদেষ্টা বলেন, বন্যার্তদের সাথে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাই বন্যাদুর্গত এলাকায় ইন্টারনেট ফ্রি করে দেয়া হয়েছে, কয়েকটি জেলায় ভি-স্যাট (VSAT= Very Small Aperture Service) স্থাপন করা হয়েছে। মোবাইল টাওয়ারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটরের ফুয়েল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে এবং সামনে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় ভি-স্যাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাতে যে কোন দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, দেশের যুবসমাজ তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী এবং তারা এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী। প্রণোদনা পেলে তরুনরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক ভালো করবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত Marie Masdupuy সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক বাংলাদেশীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করলে উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের তরুণরা এবং অফিসিয়ালরা যদি এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে তবে তা দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
রাষ্ট্রদূত Marie Masdupuy আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্ররা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে যে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে তা ছাত্র-জনতার প্রস্তাবিত সরকার। সমন্বয়কারীদের মধ্যে আমরা দুজন সরকারে এসেছি বাকিরা এখনো আন্দোলন করছে। আন্দোলনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য যেন ব্যাহত না হয় এবং সরকার যেন সে কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করে তাই বাইরে থেকে তারা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে চাই যেখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।
রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ৭১ টিভি সাংবাদিক ফারজানা রুপার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে আমরা খুবই সচেতন। আমরা চাই কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়। বিগত সরকারের সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। আমরা চাইনা সামনের বাংলাদেশে এরকম ঘটনা ঘটুক। ৭১ টিভি এবং ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাচ্ছি যেখানে সবাই তার মত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে।
পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাসের মধ্য দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।
সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ডা.মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ. শামসুল আরেফিনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আগামী ৩ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা
বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের তিন বিভাগে আগামী তিন দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা
জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ১১টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের
কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম
বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল,
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী,
ঢাকা ও ময়মনসিংহ
বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে ঢাকায়।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের
জেলাগুলোতে ১২ সেপ্টেম্বর
দুপুর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এর মধ্যে নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসময় চট্টগ্রামের
সন্দ্বীপ উপজেলায় খুবই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
রয়েছে। একই সঙ্গে ফেনী, উত্তর চট্টগ্রাম,
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি ঢল এবং বৃহত্তর
চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত আগষ্ট মাসে অতিভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ পানিবন্দি ছিলেন লাখ লাখ মানুষ।