Logo
শিরোনাম

আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছা দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত ও বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা গঠিত বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদ। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ জানুয়ারি রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ বুধবার প্রকাশিত হয়।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত নয় বলে রিট আবেদনকারীর (আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ) বক্তব্যে এসেছে। উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক অনন্য পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী উপদেষ্টামূলক মতামত গ্রহণ করেন। মতামত অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাই এটি আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা সমর্থিত।

পূর্ণাঙ্গ আদেশে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, তা আমাদের ইতিহাসের অংশ এবং আশা করি আগামী বহু বছর ধরে জনগণ যত্নে থাকবে।’

রিটটি ভ্রান্ত ধারণা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে তা সরাসরি খারিজ করা হয়।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের বিষয়ে বলা আছে। অনুচ্ছেদটি বলছে, যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয়, আইনের এরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহলে তিনি (রাষ্ট্রপতি) প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। ওই বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করতে পারবেন।


আরও খবর



ভারতকে দুঃসংবাদ দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারতীয় পণ্যের ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ২ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু ভারত নয়, চীন, ব্রাজিল, কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রয়েছে। মার্কিন পণ্যে এসব দেশের শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের নতুন নীতির আওতায় বিদেশি দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ওই সব দেশের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করবে।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য দেশ কয়েক দশক ধরে আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করে আসছে, এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করার।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং কানাডা মার্কিন পণ্যের ওপর অত্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করছে, যা অন্যায়।

ট্রাম্প বলেন, ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাণিজ্য নীতি মোকাবিলা করতে হবে এবং তার প্রশাসন শিগগিরই ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারত এই নতুন শুল্ক নীতির আওতায় থাকবে এবং কোনো ছাড় পাবে না।

ট্রাম্প বলেন, এ নিয়ে কেউ আমার সঙ্গে তর্ক করতে পারবে না I


আরও খবর



লুঙ্গি পরে প্রচারণায় চিত্রনায়িকা বুবলী

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত জংলি সিনেমাটি। সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এম রাহিম। মুক্তিকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জংলির প্রচার-প্রচারণা।

তারই অংশ হিসেবে ভিন্নরকম এক প্রচারণায় অংশ নিলেন বুবলী। গতকাল মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লুঙ্গি পরে হাজির হন জংলির অভিনেত্রী। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, হেই গাইজ, লুঙ্গি পরে জংলি সিনেমা দেখতে গেলে কেমন হয়?

এদিকে বুবলী পোস্ট ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। এমন ব্যতিক্রম প্রচারণা- দারুণ উপভোগ করছেন তারা। কেউ বলছেন, সিনেমায় সাহসী কোনো চরিত্রে দেখা যাবে এই নায়িকাকে। আর এটা হয়তো সিনেমার কোনো একটি দৃশ্য।

এর আগে, টান ওয়েব সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গেছে সিয়াম-বুবলীকে। অবশেষে জংলি দিয়ে বড়পর্দায় জুটি হতে যাচ্ছেন তারা।

বুবলী বলেন, আমি ভীষণ এক্সাইটেড। রাহিম ভাইয়ের সাথেও আমার প্রথম কাজ। আমি নিশ্চিত, দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছে। পোস্টার ও টিজারে রহস্যের আভাস পেয়েছে সবাই, সেটাই জিইয়ে থাকুক। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, জংলির গল্প-প্রেজেন্টেশন একেবারেই অন্যরকম। দর্শক মুগ্ধ হবে।

পরিচালক এম রাহিম বলেন, জংলি যে ধরণের গল্প। সেই গল্পের সঙ্গে সিয়ামের বিপরীতে বুবলীই বেশি মানানসই। সিয়াম-বুবলীসহ সবাই দারুণ অভিনয় করেছেন। আশা করি, ঈদে দারুণ কিছু উপহার দিতে পারব।

উল্লেখ্য, আজাদ খানের গল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এম রাহিম। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সুকৃতি সাহা ও মেহেদী হাসান। সিনেমার গানগুলোর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বহুল পরিচিত সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। এত সিয়াম-বুবলী ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সোহেল খান, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। 


আরও খবর



স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ৭০ শতাংশ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার শিকার হন, যা একজন নারীর জীবনে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭০ শতাংশ নারী অন্তত একবার হলেও স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হন। যেখানে গত ১২ মাসে এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে ৪১ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে নারীদের ওপর সহিংসতা শীর্ষক জরিপ ২০২৪-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) অর্থায়নে বিবিএস ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ জরিপ পরিচালনা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিসংখ্যানগুলো জাতিসংঘের মানসম্পন্ন পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক এমন সহিংসতামূলক আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে সহিংসতার ব্যাপকতা আরও বেশি হয়।

২০১১ ও ২০১৫ সালের জরিপের পর তৃতীয়বারের মতো ২০২৪ সালের এ জরিপ বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকৃতি, মাত্রা এবং প্রভাব সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তৃত এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- সহিংসতার ঝুঁকির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য তারতম্য, যেমন- দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা এবং বিগত ১২ মাসের মধ্যে অ-দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় জীবনসঙ্গী বা স্বামীর দ্বারা বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার মাত্রা বেশি হলেও সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কাউকে কখনো বলেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারের সুনাম রক্ষার আকাঙ্ক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং এ ধরনের সহিংসতা স্বাভাবিক বলে মনে করার প্রবণতাসহ বিভিন্ন কারণ থেকে মূলত এ নীরবতা।

২০২৪ সালের নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপের মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম। জরিপটি তৈরিতে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের ২৭ হাজার ৪৭৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। জরিপের সময়কাল ছিল ২১ দিন।

জরিপে উঠে এসেছে, যদিও স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে সহিংসতার বিস্তৃতি এখনো ৭০ শতাংশে, অর্থাৎ উচ্চমাত্রায় রয়েছে, তবে বিগত ১২ মাসে এ হার ৪১ শতাংশ। যেখানে ২০১৫ সালের হার ছিল ৭৩ শতাংশ এবং তখন ১২ মাসের হার ছিল ৫৫ শতাংশ। জরিপটিতে নন-পার্টনার সহিংসতার চেয়ে জীবনসঙ্গী বা স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতা বিস্তারের মাত্রা বেশি হিসেবে উঠে এসেছে।

এ জরিপে ‘জীবনসঙ্গী’ বলতে বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী এবং ‘নন-পার্টনার’ বলতে বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী বোঝানো হয়েছে। উত্তরদাতা নারীদের অর্ধেকেরও বেশি (৫৪ শতাংশ) তাদের স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতা বা উভয় সহিসতার সম্মুখীন হয়েছেন। গত ১২ মাসে স্বামীর মাধ্যমে এ ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন ১৬ শতাংশ নারী।

এছাড়া নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ এবং মানসিক সহিংসতা সর্বাধিক সংঘটিত সহিংসতার ধরন হিসেবে পাওয়া গেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় বলে জরিপে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, নারীদের অন্য কারও তুলনায় তাদের স্বামীর কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি এবং যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ বেশি। বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক এবং যৌন সহিংসতার ঝুঁকি অত্যধিক বেশি বলে জরিপে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওই মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মমতাজ আহমেদ, এনডিসি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।

অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদের পর আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২৩ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিলের ছুটি ঘোষণা-সংক্রান্ত প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে এবার ঈদে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে সরকার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

এতে আরো বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।

জরুরি কাজে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলে জনপ্রশাসন থেকে জানানো হয়।

ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন করে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে নাগরিক পার্টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, নিবন্ধন নিতে শর্তাবলী পূরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগাবো। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।

এ সময় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা রাজধানীর রায়েরবাজারে সকাল ১০টায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করবেন।

দুটি কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর