Logo
শিরোনাম

আইপিএল খেলার সুযোগ হারাতে পারে সাকিবরা !

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইয়াশফি রহমান :ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের মন জয় করে নিয়েছে অনেক আগেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য সব দেশের ক্রিকেটাররা তাকিয়ে থাকে। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেগা এই আসরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান সহ বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটাররা। এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে চলেছে লংকান ক্রিকেটাররাও।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, নিলামে নাম দিয়ে দল পাওয়ার পর কয়েকটি দেশের ক্রিকেটারদের পেতে নানা জটিলতার মোকাবেলা করতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। আসন্ন আসর হতে সাকিব আল হাসান-লিটন দাসদের নিলামে অংশগ্রহন নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে যাচ্ছে আইপিএলের দলগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা জানিয়েছেন, আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যে আমরা বিসিসিআইকে অভিযোগ দিতে পারি না, যেন তারা অন্যান্য বোর্ডদের রাজি করায়। তবে পরের মৌসুম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অবশ্যই সতর্ক থাকবে তাদের (বাংলাদেশিদের) দলে নেয়ার ক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, দেখেন গতবছর তাসকিনকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি, এবার সাকিবদের দিচ্ছে না! তারা (বিসিবি) যদি না চায় তাদের খেলোয়াড়রা অংশ নেক, তাহলে তাদের নিবন্ধন কেন করতে দেয়! কিন্তু অবশ্যই এখন থেকে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের ধারণা বদলে যাবে।

গেল আসরে নিলামে দল না পেলেও বদলি ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে দলে নিতে চেয়েছিলেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টস। কিন্তু বিসিবি শেষ পর্যন্ত এই পেসারকে এনওসি দেয়নি। আসন্ন ১৬তম আসরে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাসকে এখনো অনাপত্তিপত্র দেয় নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যা নিয়ে রীতিমত চটেছেন ফ্রাঞ্চাইজি কর্তারা।

বিসিসআইয়ের সেই কর্তা বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের ওপর। তারা কিভাবে তাদের বোর্ডকে রাজি করাবেন। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড বা অন্য দেশের খেলোয়াড়রা এই পথটি খুঁজে বের করেছে, তাদের বোর্ডও বাঁধা দিচ্ছে না। আইপিএলের মান নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। এছাড়া তাদের বোর্ডও আইপিএল থেকে তাদের ক্রিকেটার খেলায় লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। এখন সিদ্ধান্ত পুরোপুরি খেলোয়াড়দের।

আন্তর্জাতিক সূচির জটিলতার কারণে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আইপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারছেন না। তাদের বোর্ডও অনাপত্তিপত্র দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আগামী আসর থেকে কঠিন হওয়ার সংকেত দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

সোমাবার (৮ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।

মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।

সিএসজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে, ওই সময়ে যানজট হয় কি না তা বলা সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।

এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। সেখানকার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের।

তিনি জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা জারি

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশের রাস্তায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল  ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন । 

বক্তব্যে তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্ফালন মেনে নেয়া হবে না। মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটের নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পূর্ণ  অসাংবিধানিক, মানবাধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত ছাড়া নচেৎ কিছুই নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনতে  এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর



ঈদে সেমাই খাওয়ার প্রচলন শুরুর অজানা তথ্য!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে সেমাই ছাড়া ঈদ উদযাপন কল্পনা করা যায় না তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ঈদের সাথে সেমাইয়ের এই যোগসূত্র কিন্তু খুব পুরনো নয় তবে ইতিহাস বলে সেমাইয়ের প্রচল নিয়ে আছে ভিন্ন রকম মত

ঈদুল ফিতরের সঙ্গে সেমাইয়ের সম্পর্কটা কীভাবে তৈরি হলো তার হদিস পাওয়াটাও একটু কঠিন বাঙালির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গ্রন্থে যেটুকু পাওয়া যায় তার মধ্যে সেমাইয়ের কথা কোথাও উল্লেখ নেই তবে ফিরনির কথা আছে নবাব আলিবর্দী খাঁর খাদ্য তালিকায় খিচুড়ির উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল সেমাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায় না মোগল রসুইঘরেও সুতরাং সেমাই মোগলাই খাবারের মধ্যে পড়ে না 

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যেও বেশ কিছু খাবারের নাম পাওয়া যায় কিন্তু সেমাইয়ের কথা কোথাও নেই হিন্দু কবিদের রচনাতে তো নেই মুসলমান কবির রচনাতেও নেই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যায় না মোগলদের রন্ধনশালাতেও অর্থাৎ সেমাই মোগলাই খানার মধ্যে পড়ে না অথচ সম্রাট বাবর এসেছিলেন যে আফগানিস্তান থেকে সেই আফগানিস্তানে এখনো সেমাই চলে তবে ভিন্ন নামে আগেও নিশ্চয় চলতো সেখানে সেমাইকে বলেসেমিরা

ভারতের অনেক অঞ্চলে অবশ্য সেমাই রান্নার প্রকরণ দুই রকম এক হলো নামকিন সেমিয়া অর্থাৎ তা নোনতা স্বাদের অন্যটা হলো সেভিয়া ক্ষির বা দুধ সেমাই নামকিন সেমিয়া নিয়ে আমার কোনো কথা নেই কথা বলতে গেলে নুডল্, স্প্যাগেটি, চাওমিন ইত্যাদি খাদ্য চলে আসবে আমার কথার বিষয় খাওয়া শেষে মুখ মিষ্টি করার মিষ্টান্ন নিয়ে মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাইয়ের ব্যাপারটা কিন্তু বহুজাতিক মিষ্টি স্বাদ চেহারার সেমাই পাওয়া যাবে গ্রিসে নাম কাতাইফি বাংলাদেশে ঘি দিয়ে ভেজে যে দমের সেমাই তৈরি হয়, প্রায় সেরকমই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যাবে আফ্রিকার সোমালিয়াতে নাম কাদ্রিয়াদ 

প্রচলিত বাংলা অভিধানে সেমাই শব্দটাকে কোথাও বলা হয়েছে হিন্দি, কোথাও দেশি তবে ভাষাতত্ত্বের পণ্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন গ্রিক শব্দ সেমিদালিস থেকে বাংলা সেমাই শব্দের উৎপত্তি আমরা যে সেমাই খাই তার রন্ধন-প্রণালী স্বাদ গ্রিস না অন্য কোনো দেশের তার সুলুকসন্ধান কেউ দিতে পারেননি তাই অনেক পণ্ডিত আবার সেমাই শব্দের উৎস সন্ধানে অন্য পথ ধরেছেন

জানার আগ্রহ নিয়ে শব্দের পথ ধরে ইতিহাসের দিকে এগোনো যায় বহু পথ আর শব্দের অর্থ দিয়ে খোলা যায় অতীতের অনেক ইতিহাসের দরজা এদিকে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সেমাই শব্দের বুৎপত্তি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেমাই শব্দের গায়ে গ্রিসের গন্ধ থাকলেও সেমাই দ্রব্যটা আসলে ভারতীয় ভারতের অনেক রাজ্যেই সেমাই নানাভাবে খাওয়া হয় এছাড়া উপমহাদেশের মুসলমান-মাত্রই ঈদের দিনে সেমাই খায় অন্যদিকে পাকিস্তানেও সেমাই ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না

বাংলাদেশে এখন প্যাকেটজাত সেমাইয়ের ছড়াছড়ি মেশিনে বানানো এই সেমাই বাহারি সব প্যাকেটে পাওয়া যায় মজার কথা হলো, এই যে প্যাকেটজাত কিংবা বোতলজাত ইত্যাদি শব্দের যে (জাত) তার অর্থ হলো রক্ষিত, সঞ্চিত ইত্যাদি প্যাকেটজাত মানে প্যাকেটে রক্ষিত শব্দটা আরবি থেকে আসা শব্দের জাত চেনা সত্যিই মুশকিল কারণ এই জাত শব্দটার আবার বাংলা অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা

৮০ থেকে ৯৫ বছর আগে সুদূর মফঃস্বল বা গ্রামে প্যাকেটজাত রেডিমডে সেমাই পাওয়া যেতো না শহরে পাওয়া যেতো কিনা তা জানা নেই ঈদের বেশ দিন আগে থেকেই গ্রামের নারীদের হাতে তখন তৈরি হতো আদি অকৃত্রিম ঈদের সেমাই বাড়িতে বাড়িতে সেমাই তৈরির ধুম পড়ে যেতো মা-খালা-চাচি-ফুপিরা মাটির কলসি উপুড় করে হাতের অপূর্ব সৃজন ক্ষমতা দক্ষতায় আটা-ময়দার লেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নতুন কেনা কুলোয় নামাতেন নরম সুতো ক্রমাগত সুতো নেমে তৈরি হতো সেমাইয়ের স্তূপ আর এভাবেই তৈরি হতো হাতে বানানো সেমাই তবে বর্তমানে সেমাই দুই প্রকারের খিল সেমাই বা তার সেমাই আরেকটা হলো লাচ্চা বা লাচ্চি সেমাই


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪