Logo
শিরোনাম

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আধুনিক ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর হাত ধরে একটু বিবর্তিত হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরে দুটি নতুন নিয়ম যুক্ত করার পাশাপাশি পুরোনো একটি নিয়মও ফিরিয়েছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইতে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে আইপিএলের ১৮তম আসরের ‘ক্যাপ্টেনস মিট’ হয়। সেখানে ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়মের বদলগুলো অবহিত করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতীয় কন্ডিশনে রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব থাকে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে মনে করছে আয়োজকরা। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর যেকোনো সময় আরেকটি বল নিতে পারবে ফিল্ডিং দল।

তবে বল পরিবর্তনের আগে আম্পায়ার পরীক্ষা করে নেবেন আগের বলটি শিশিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।

আরেকটি নিয়মে এবার থেকে উচ্চতা এবং অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বলে ডিআরএস নেওয়া হলে হক-আই এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে আইসিসি এখনো বলে থুতু বা লালার ব্যবহার শিথিল না করলেও করোনার সময় আরোপিত এই নিয়ম এবার থাকছে না আইপিএলে।


আরও খবর



রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় রায় ৮ মে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর রায়ের জন্য আাগামী ৮ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট ।

বুধবার এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।


আরও খবর



আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস চীনের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎকে দুদেশের সম্পর্কের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইউনূস। কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যুব বিনিময় ও বাণিজ্যসহ বহুবিধ খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি উঠে আসে আলোচনায়। একে শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সম্পর্ক নয়, বরং জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধ গড়ে তোলার এক বাস্তব পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করছেন উভয় পক্ষ।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেন, এটা সবে শুরু। আমরা এত কাছাকাছি আছি, তবু এত দূরে। আসুন, আমরা এটি পরিবর্তন করি। আমরা আশা করি, আপনি শিগগিরই আবার আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা ভালো প্রতিবেশী হতে চাই, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় গভর্নরকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক টার্নিং পয়েন্ট। তিনি উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য চীনের প্রশংসা করেন এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে উৎসাহমূলক বক্তব্যের জন্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গভর্নর ইউবো উষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আমার এই সফর। ইউনান দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উন্মুক্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও গভর্নর যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতা, শিক্ষা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। গভর্নর ইউবো বৈঠকে জানান, প্রফেসর ইউনূসের প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ইউনানের একটি চীনা ব্যাংক গ্রহণ করেছে।

দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সামাজিক লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনের অনেক মানুষ এই পদ্ধতির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।

গভর্নর ইউবো বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সামুদ্রিক খাদ্য, আম ও কৃষি পণ্যের মতো খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।

ওয়াং ইউবো বলেন, আমাদের উচিত, মানুষে-মানুষে সম্পর্কের দিকে নজর দেওয়া এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা।

প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের পরামর্শকে সমর্থন করে বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে শুরু করে বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ– আপনি যা বলেছেন তার সবকিছুতেই আমরা একমত। আমরা এই বিষয়গুলো আগের চেয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং সত্যিকারের বন্ধু হতে চাই।

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিকে মূল ফোকাস হিসেবে তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ে চারটি হাসপাতালের সুনির্দিষ্ট করাসহ চিকিৎসা পর্যটন চালুর ক্ষেত্রে চীনের সহায়তার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা আমাদের অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়।

উভয় পক্ষই শিক্ষা বিনিময় বৃদ্ধির গুরুত্বের বিষয়েও একমত হয়েছে। বর্তমানে চীনে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং প্রফেসর ইউনূস এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা আমাদের তরুণদের চীনে পড়াশোনা করতে এবং ভাষা শিখতে উৎসাহিত করবো।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে চীনের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সভায় আরও ছিলেন সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটন ডিসির সামনে জড়ো হন হাজার বিক্ষোভকারী। একইসঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যায়।

৫ এপ্রিল দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১২০০ বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করার কথা ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ওয়াশিংটনের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হালকা বৃষ্টিও ছিল। এরইমধ্যে শহরটিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হতে শুরু করেন। ওয়াশিংটনের কানেটিকাট অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভকারীদের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। শহরের ন্যাশনাল মল এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এই বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড। গতকাল ন্যাশনাল মল এলাকায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ একত্র হবেন বলে আশা করছিলেন বিক্ষোভের আয়োজকরা।

এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে, ‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও।


আরও খবর



ঐক্যের চেতনা ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যে পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, সে জন্য দরকার দরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্রিত থাকা।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। এ ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সবার অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশিত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবার প্রচেষ্টা। আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

সবাইকে একমত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল গণসংহতি আন্দোলন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।


আরও খবর



মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর