Logo
শিরোনাম

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের হলে মুক্তি পেল দুই নতুন সিনেমা। সরকারি অনুদানের সাত বছর পর আজ শুক্রবার আলোর মুখ দেখল ‘দায়মুক্তি’। অন্যদিকে বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শন ও কানাডায় মুক্তির পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে এসেছে ‘বলী’।

বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে ‘দায়মুক্তি’ নির্মাণ করেছেন বদিউল আলম খোকন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। আরও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।

২০১৭-১৮ সালের অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘দায়মুক্তি’। অবশেষে সাত বছর পর আজ ছবিটি মুক্তি পেল। সিনেমাটির সহপ্রযোজক জসিম উদ্দিন।

এদিকে, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘বলী (দ্য রেসলার)’। বানিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ছবিটি। ‘বলী’র প্রযোজক পিপলু আর খান, সহপ্রযোজক সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন।

এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগরপারের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে, যিনি অংশ নেন ঐতিহ্যবাহী বলী খেলায়। আরো অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, এ কে এম ইতমাম প্রমুখ।

২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। এরপর কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং।


আরও খবর



গজারিয়ায় জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ পবিত্র মাহে রমাদানে ১৯তম দিনে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় অবস্থিত গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি জিস্ট পলিটেকনিকের মিলনায়তন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে জিস্ট পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জি. মোঃ মামুন শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দি দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোঃ আঃ ছালাম, ভাটেরচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোঃ আঃ কালাম, ল্যান্ডোভারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আঃ জাব্বার, বালুয়াকান্দি শিশু বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক নয়ন, বড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ওমর ফারুক, গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জি. নূর আলম হোসেন, ল্যান্ডোভারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ সরকার ।


অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে জিস্ট পলিটেকনিকের রেজিস্ট্রার ইঞ্জি. সৈয়দ মোঃ শাকিলের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ মেহেদীর পিতা সানাউল্লাহ মিয়া, মানবিক ও সামাজিক নেতা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান দেওয়ান হারুন-অর-রশীদ, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার গজারিয়া প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম নয়ন, এড়াছাও অনান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকার গজারিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক জুয়েল দেওয়ান, একাত্তর টিভি গজারিয়া প্রতিনিধি সায়মান শাহদত, দৈনিক সভ্যতার আলোর গজারিয়া প্রতিনিধি  আলমগীর হোসেন মিয়া, দৈনিক দেশ রূপান্তর গজারিয়া প্রতিনিধি আজিজুল হক পার্থ।


মাহফিলে ইফতার পূর্বে জিস্ট পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের নিপিড়ীত জনগনে মুক্তি কামনায় এবং বিশ্ববাসীর কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট্য ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা মোহাম্মদ এনামুল হোসেন খতিব ভাটেরচর বাজার জামে মসজিদ।


আরও খবর



পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

যে পদ্ধতিতেই ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন, ছাড়পত্র না থাকলেই সেটা অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির আহমেদ।

আইনজীবীরা জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের ওপর নির্দেশনা থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)-এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে দুর্নীতির শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর জন্য সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।

বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।

এসময় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিটিভিতে সরকারের সমালোচনার জন্য টক শো হোক। পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটা প্রকাশ হবে, ততটা স্বচ্ছতা বাড়বে।

ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।


আরও খবর

প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫




ভোট সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাজদা লাহবিব বলেন, ইইউ এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সহায়তায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এ অনুদান গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হলেও ক্যাম্পের মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি ঠেকানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়, কারণ তহবিলের ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এটি বহু বছর ধরে চলমান, কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। এর কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আনন্দের। জাতিসংঘের মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’

ইইউ কমিশনার বলেন, ‘এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো শান্তি। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানোও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এক ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা জলবিদ্যুৎ আমদানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইইউ’র সমর্থন চান, কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে উত্তরণের পথ সুগম করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।

‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, আর এটি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নেপাল ও ভুটান— উভয় দেশই আমাদের কাছে জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী-যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইইউ কমিশনার দুর্যোগ প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ‘সেরা অভিজ্ঞতা’ এবং প্রস্তুতি কৌশল বিনিময়ের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।

দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি অসাধারণ সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হলো— আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইইউর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সময় প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, পরিবর্তন আনতে গেলে সবসময় প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এখনও অনেক কিছু করার বাকি। আমরা আপনাদের পাশে আছি।


আরও খবর



পতিত স্বৈরাচারের বিপুল বিনিয়োগে দেশে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।


আরও খবর