
আতোয়ার রহমান মনির ,লক্ষ্মীপুর :
আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে বয়ে যায় ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্কারী ও প্রাণঘাতি ঘূর্ণিঝড়।প্রাণ হারান প্রায় ১০ লাখ মানুষ। কিন্তু ৫২ বছরেও উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় আতঙ্কে লক্ষ্মীপুরের মানুষ। এ রাতে লক্ষ্মীপুর ও ভোলাসহ উপকূলীয় ১৮ জেলায় আঘাত হানে মহা প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় গোর্কি। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই ঝড়ে প্রায় প্রাণ হারান প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
২৫ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার জলচ্ছাসে বিলীন হয়ে যায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর বেড়িবাধ। বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি। ভেসে যায় গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী। মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় জনপদ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠের ফসলসহ অসংখ্য গাছপালা। সেই দুর্যোগের কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন উপকূলের মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়ের গোর্কির ৫২ বছরেও টেকসই বাধ তৈরি হয়নি লক্ষ্মীপুর উপকূলে। এ কারণে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হলেই এখনও উপকূলবাসীকে থাকতে হয় আতঙ্কে। তবে উপকুলের ভাঙন এলাকা ঘুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, রামগতি-কমলনগরে টেকসই বেড়িবাধ তৈরিতে নেয়া ৩১শ কোটি টাকা প্রকল্প শিগগিরই দেখবে আলোর মুখ।