Logo
শিরোনাম

আজিজ আহমেদের দোষ নেই: দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:



সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের ‘মিথ্যা তথ্যে ই-পাসপোর্ট ও এনআইডি জালিয়াতি’র অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, এতে আজিজ আহমেদের দোষ নেই। 


তবে অভিযোগ দুটি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আজ সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।



মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, একজন আইনজীবীর দেওয়া একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) দুই ভাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট নিয়েছেন। এটা আজিজের দোষ না, তার দুই ভাই এবং পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের লোক জড়িত।


 আর দ্বিতীয় অভিযোগ হল, (তারা) ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়েছেন। এগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।


দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। দুদকের একার পক্ষে সব ধরনের দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয়গুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ব্যবস্থা নিলে এত অভিযোগ দুদকে আসত না। 


তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দুদকে অভিযোগ কম আসবে—দুদক এটাই চায়। সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি যেন না হয় তার জন্য প্রতিরোধ করা জরুরি। সাংবাদিকেরা যে কাজ করে, আর দুদক যে কাজ করে—এসব কাজ একে অপরের পরিপূরক।



জানা গেছে, শুধু এনআইডি নয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্টও তৈরি করেছেন আলোচিত আজিজের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ। তাদের স্ত্রীরাও একই কাজ করেছেন। সেনাপ্রধান থাকার সময়ই আজিজ আহমেদের ভাইদের ভুয়া তথ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করানোর ক্ষেত্রে তার প্রভাব খাটানোর বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।


সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই হারিছ ২টি এবং আনিস ১টি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাদের সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


১৯৯৬ সালে মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যা মামলার আসামি ছিলেন জোসেফ। এ মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। 


২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পান।


আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২১ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সম্প্রতি এই সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় যৌতুকের বলী গৃহবধূর মৃত্যুর বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় যৌতুকের দাবীতে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হওয়ার ৮দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজিলাতুন নেছা নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিন করা হয়। রবিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে ছাত্র সমাজ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। ফজিলাতুন নেছা নওগাঁ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এর সদস্য ছিলেন। মানববন্ধনে বিএনসিসি'র সদস্যরাও অংশ নেয়।

উল্লেখ্যে-গত ৪ বছর আগে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের তারেক রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানীর সাথে বিয়ে হয় ফজিলাতুন নেছার। সে সময় বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো। গত ২৭ আগস্ট যৌতুকের জন্য ঘরে আটক রেখে ফজিলাতুন নেছার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তার স্বামী গোলাম রাব্বানী। এরপর ঢাকাতে 'বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে' চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৮দিন পর মারা যান। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা ফজলুর হোসেন বাদী হয়ে গোলাম রাব্বানী সহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর স্বামী গোলাম রাব্বানীকে গ্রেফতার করা হলেও শশুর,  শাশুড়ি ও দেবরকে আটক করা হয়নি। দ্রুত আসামীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হদিস নেই পুলিশের প্রায় ৮০০ সদস্যের

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেননি। কয়েক দফায় তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো হদিস নেই এসব সদস্যের। তারা কোথায় আছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে। হদিস নেই পুলিশের বিতর্কিত কর্তাদের

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রথম থেকেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শতশত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশ-দাতা বিতর্কিত এসব কর্মকর্তা এখন লাপাত্তা। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, তারা একটি বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কারও দাবি, তারা প্রশাসনের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন

 

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়াল টপকে বের হয়ে লাপাত্তা হন তিনি। তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন রটেছে। তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে। আবার তিনি সীমান্ত পারি দিয়ে দেশ ছেড়েছে-এমন তথ্যও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের নিয়ম প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়। ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে। বিষয়টি ভারত থেকে যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, তাদের অনেকটাই সুবিধা দেবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সে সময় সরকার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেয়। যার পরিমাণ ছিল প্রতি টনে ৫৫০ ডলার

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। কারণ প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক মিলে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারের অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ২ দশমিক ৬০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। অথচ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশটি ১৭ দশমিক ১৭ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল



আরও খবর

রেমিট্যান্স প্রবাহে বাড়ছে রিজার্ভ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দুর্নীতির অপর নাম প্রকৌশলী জাহেদুল, বদলির দাবি কর্ণফুলী ছাত্র-জনতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এমনকি উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য সহকারি মো. জসিম উদ্দিন ও মো. শেখ নাছির উদ্দিনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন তিনি একটি বেপরোয়া লুটপাট সিন্ডিকেট।

এই এক প্রকৌশলী ও দুই সহকারি মিলে সরকারি উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে গোপনে পছন্দনীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদারদের কাজ ভাগ বন্টন করে দিয়ে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি ঠিকাদারদের থেকে উপরি নিয়ে নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ করিয়ে একই প্রকল্প কাগজে কলমে একাধিকবার দেখিয়েছেন বলেও স্থানীয়দের মন্তব্য পাওয়া গেছে।

কেননা, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে এই তিনজনের এতটাই সখ্যতা ছিলো যে শত অনিয়ম করলেও কোন জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তোলার সাহস পায়নি। তারা যেটাই বলেছেন সেটাই সফল করেছেন। ফলে, গত ৮ বছরে অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা কোন সন্তোষজনক প্রকল্পের দেখা পাননি।

সূত্রের দাবি, এই এলজিইডি প্রকৌশলী জাহেদুল আলম কর্ণফুলী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অতীত রেকর্ড ভেঙে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তার হাল আমলের গত ১৬ মাস ও বিগত অর্থ বছরের পিআইসি ও আরএফকিউ প্রকল্প তালিকা যাচাই-বাছাই করলে সব দুর্নীতি অনিয়ম পরিলক্ষিত হবে। পাশাপাশি এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলি চেয়েছেন কর্ণফুলীর অধিকাংশ লোকজন ও ছাত্র জনতা।

যদিও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্ণফুলীতে যোগদানের দেড় বছরের অধিক সময় হলেও বাকি দুই কার্য সহকারি জসিম ও নাছির একই উপজেলা কর্ণফুলীতে বিগত ৬ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। এরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগি হিসেবে প্রকল্পে লুটপাটের নেপথ্য নায়ক ছিলেন বিগত বছরে।

কিন্তু উপজেলা সৃষ্টির গত ৮ বছরে কর্ণফুলী এলজিইডি অফিসে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব ঘটনাকে লুটপাটের মহোৎসব হিসেবে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব অপকর্মের নেপথ্যে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান, বিগত ও বর্তমান সময়ের এলজিইডি প্রকৌশলী ও গুটিকয়েক অফিস সহকারি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা জানান, 'ক্ষমতার দাপটে উপজেলা চেয়ারম্যান সব অপকর্মকে নির্বিঘ্ন করতে কলকাঠি নাড়তেন। মন্ত্রীর ভয় দেখাতেন।'

সম্প্রতি, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় আসা বরাদ্দ ১৮টি প্রকল্পে ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার নামে বেনামে প্রকল্প বিলিয়েছেন। অথচ প্রকল্পগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে এ অর্থ তোলা হয়েছে গত ২৪ জুন। উন্নয়নের নামে করা এসব পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি ) প্রকল্পগুলো ক্রস চেক করে পুনরায় স্বচ্ছ ভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন কর্ণফুলীবাসী।

এছাড়াও জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার কাজ দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গোপনে ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল। ১০ প্রকল্পে পুরো ৫০ লাখ টাকাই দুই ঠিকাদারের লাইসেন্সে দিয়ে মোটা অঙ্কের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমনকি গত ১১জুন একই অর্থ বছরে আসা সাবেক সংসদ সদস্যের নামে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকা তিন প্রকল্পের নাম দিয়ে সড়কের কাজ না করেও প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে গত ২৪ জুন ২৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। দুদক অভিযান চালিয়ে গত ৮ বছরের অডিট প্রতিবেদন চাইলে ভয়ঙ্কর তথ্য উদঘাটন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

আরো জানা গেছে, উপজেলার খোয়াজনগরের ১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার কাজ করলেও এই এলজিডি কর্তা ছিলেন নীরব।

এছাড়াও গত বছরে ইউজিডিপি (জাইকা প্রকল্প) অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন নির্মাণে গত ২০২০ সালে আসা ৪০ লাখ টাকা ও সম্প্রতি ইউএনও বাসভবনের প্রাক্কলনসহ আনুমানিক ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতেও মুখ খুলছে না এলজিইডি প্রকৌশলী ও কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি মাত্র কয়েক মাস হলো। যদি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন যথাযথভাবে না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক অবশ্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চট্টগ্রাম এলজিইডি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলীর মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার এর কাছে কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নানা অনিয়ম আর দীর্ঘদিন দুই কার্য সহকারি কর্মরত থাকার বিষয়টি জানালে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাবেন বলে নিশ্চিত করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘উপজেলার যেকোন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট ও সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে যে কেউ দুদকে লিখিত অভিযোগ দিতে পারে। দুদক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলজিইডি কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু জাফর মো. তৌফিক হাসান বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে কোন অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ২০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন নিহত হয়েছেন নুসাইরাত ক্যাম্পে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ২২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৪১৩ জন। সূত্র: আল জাজিরা

এদিকে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আবিবসহ মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা সংকেত বাজানো হয়। এ সময় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে অন্তত ৪১ হাজার ২০৬ জন নিহত ও ৯৫ হাজার ৩৩৭ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। বন্দি করা হয়েছিল ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে