Logo
শিরোনাম

আজিজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলল পেন্টাগন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর মনে করে, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড প্রতিনিধি মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে, আমি কী তা জানতে পারি?

জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেনব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

তিনি আরো বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাইবাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোয় দুদেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারত্ব বিরাজমান রয়েছে।


আরও খবর



সোমবার থেকে কমবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এত বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সব পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে।

রবিবার ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



জিডিপি প্রবৃদ্ধি চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে ১.৮১ শতাংশে নেমেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর)। যা গত প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমে ০.৯৩ শতাংশে নেমেছিল।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের জিডিপির তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

চলতি অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, জিডিপির আকার ১২ লাখ ৬৬৫ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ১৯ লাখ ৭০৩ হাজার ১০ কোটি টাকা। ওই সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৬.০৪ শতাংশ।

কৃষি, শিল্প ও সেবা- এই তিন খাতের উপাত্ত নিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে, ০.১৬ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ০.৩৫ শতাংশ।

শিল্প খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.১৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২২ শতাংশ।

সেবা খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৫৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫.০৭ শতাংশ।

এদিকে গত ডিসেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১২.৯২ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের মাস নভেম্বরে যা ছিল ১৩. ৮ শতাংশ।

বিবিএস'র সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় দেশের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতিও ডিসেম্বর মাসে কমে ১০.৮৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের মাস নভেম্বরে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১১.৩৮ শতাংশ।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




কমছে তাপমাত্রা বাড়বে শীত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলে কুয়াশার কারণে আজ সূর্যের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যার ফলে দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতি থাকবে। একইসঙ্গে আজ রাতেও শীতের অনুভূতি আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ঘন কুয়াশা পড়েছে। বাদ যায়নি ঢাকা। এখানেও কুয়াশার ঘনত্ব গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দিনভর এমন অবস্থা বজায় থাকবে। দুপুরের পর স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলতে পারে। তবে সেটি ঠান্ডার অনুভূতি কমাতে তেমন সহায়ক হবে না।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুধবার সকাল ৭টায় প্রকাশিত পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও দিনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকলেও আকাশ সাময়িকভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে ভোর থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়েছে। যার ফলে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


আরও খবর



চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন- তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও, আমরা দুই দুইবার স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ ও ৭১ এ। স্বাধীনতা লগ্নে যারা জাতিকে ওয়াদা করেছিলেন, যে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তারা কেউ অধিকার ফিরিয়ে দেননি। তারা কথা রাখেননি। তারা জাতির সাথে বেইমানি করেছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এখনো পর্যন্ত, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজের তালুক মনে করতেন, চেতনার কথা বলে তারাই এ জাতিকে লুণ্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন, আকাম-কুকাম ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছরের আমলে যার হিসাব বের হয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় পাঁচ গুণ। দেশে যেখানেই তাদের হাড়িতে হাত ঢুকছে সেখানেই টাকার খনি। এ টাকা এরা পেল কোথায়? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ছিল সাড়ে চার শ কোটি টাকা। পিয়নের এতো টাকা হলে মালিকের কত টাকা?

জামায়াতের আমির বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালিকের পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই খরচে কমপক্ষে চারটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটি গেল কোথায়। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। কিন্তু চোরের মার বড় গলা। প্রত্যেকটা প্রকল্পে নিজেদের দলের লোককে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করেছে। আমি আর মামু মিলে কারবার চালাইছে। এভাবে তারা দেশটাকে ফুকলা করেছে। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা। বাংলাদেশ তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। তারা ও তাদের ছেলেমেয়ে বেগমপাড়ায় থাকে। তারা দেশকে ভালোবাসলে এই দেশেই থাকতো এবং এই দেশে অবদান রাখতো।

তিনি বলেন, এরা শুধু বিরোধী দল ও আলেম উলামাদের ওপর নির্যাতন করেনি। ১৮ কোটি মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। ১৮ কোটি মানুষকে বেইজ্জতি করেছে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিন্ডিকেট করে বাজারে অগ্নিমূল্য চালু করে দিয়েছিল। এই সরকার এখনো ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়ে গেছে। আগে যাদের কাছে ছিল, এখন আরেকদল সেটা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের শোষণ চালানো যাবে না।

কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারেক হোসেন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান খান প্রমুখ।

এই কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। সম্মেলন প্রাঙ্গণ ও আশপাশে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সম্মেলন স্থান ছাপিয়ে সড়কে মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।


আরও খবর



দ্রুতই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পর্যালোচনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন-কেপিআই) সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিবেচনায় অন‍্যান‍্য সব বেসরকারি পাসের পাশাপাশি বর্তমান অ‍্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে।

তবে সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে। এছাড়া নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য তথ‍্য অধিদফতরের (পিআইডি) মাধ্যমে সব স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হবে বলেও জানান তিনি।

ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, এই সময়ে যেকোনও ইভেন্টের জন্য সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখিত উল্লেখ করে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শফিকুল আলম।


আরও খবর