Logo
শিরোনাম

আকাশ কুমার ভৌমিকের ত্রাণ বিতরন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে  বিভিন্ন স্থানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার

ঢাকা-৪ সংসদীয় আসন  ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনের কদমতলী-শ্যামপুর এলাকায় নিুমধ্যবিত্ত  অসচ্ছল নেতাকর্মীসহ প্রায় ৮ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝেও তিনি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি।

এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ দিয়ে মন্নাফি বলেন, যার যার এলাকায় খোঁজ নিয়ে গরীব দুস্থ্যদের খোঁজ নিতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ত্রাণ দিতে হবে। যারা মধ্যবিত্ত এবং কারো কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলতে পারেন না তাদেরও খোঁজ নিয়ে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করতে হবে।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধে উত্তাল বুয়েট

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি আবার ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কেন, কিভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরুপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

 


আরও খবর



ভূমিদস্যু নাজিমের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকার ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে ভূয়া হয়রানী মুলক মামলা করে নানান ভাবে হয়রানি করে এই নাজিম ।

আবুল ফজল নামের এক ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উপর দিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ও ১৫০ ফুট চওড়া মিরপুর ডিওএইচএসগামী সড়ক নির্মাণের ফলে মাটিকাটা মানিকদি এলাকার রাস্তার দুপাশের জমির মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমির ওপর বহু মামলার আসামি ভূমিদস্যু নাজিমের দৃষ্টি পড়ে। জোয়ার সাহারা মৌজার সিএস ও এসএ-৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, আরএস-৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৫ এবং মহানগর-৩৪৩০১, ৩৩৯০৪, ৩৩৯১১, ৩২২৪৮ ও ৩২২৮৯ দাগের প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তির রেকর্ডিয় মালিক এ এলাকার প্রায় ১০০ নিরীহ ব্যক্তি। তাদের নেই কোনো শিক্ষা, নেই কোনো অর্থ, নেই কোনো শক্তি। তাদের এ দুর্বলতার সুযোগে নাজিম মানিকদি এলাকায় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তোলে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।

মানিকদি এলাকার ১০ বিঘা সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নাজিম উদ্দিন জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভুয়া দলিল পর্চা দেখিয়ে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধশত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও নানা প্রকার পেশাজীবীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জমির শেয়ার ও ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সংগ্রহ করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জোর করে এসব জমি দখল করে নানা প্রকার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫০টির অধিক মামলা রয়েছে। নিরীহ মানুষের জমিতে নিজ নামে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ করে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজ দখলে নেওয়া হয়। মানুষের জমি এলাকার চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে শত শত পরিবারকে জিম্মি করে জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। জমির মালিকরা নিরুপায় হয়ে নাজিম উদ্দিনসহ ৬৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ, বেদখল, হস্তান্তর, অবৈধভাবে নির্মাণ থেকে নাজিম গংকে বিরত থাকতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পরও তিনি তার অবৈধ দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার কেউ এদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। কোনো মামলা হলেও নিরপেক্ষ সাক্ষীর অভাবে জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অবৈধ উপায়ে ভূমিদস্যু নাজিম হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। এর মধ্যে জোয়ার সাহারা মৌজায় প্রায় ২০ বিঘা জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাউনিয়া মৌজায় ১০ বিঘা জমি যার বাজার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস-এ ৪০০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট আছে যাহার বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস রোডে সিটি কাবাব-এর ৫ কাঠা জমি, যার বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। লাল মিয়ার টেক মানিকদি এলাকায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। গ্রামের বাড়িতে প্রায় ৮০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। দুবাইতে তার স্বর্ণের দোকানে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। মালয়েশিয়ায় রয়েছে তার দুটি দোকান ও একটি তেলের পাম্প, বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় পচিশ কোটি টাকা। পূর্বাচল পাতিরা মৌজায় তার রয়েছে ১০ বিঘা জমি, যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নাজিমের এসব অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে।

নাজিম তার কিশোর গ্যাংদের দিয়ে রাতের আঁধারে কাউসার ও ইয়াবা মনিরের মাধ্যমে অন্যের জমি দখল করে তা ভুয়া দলিল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন।

রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্যের জমিতে জোর করে বালু ভরাট করে নাজিমের সাইনবোর্ড লাগালেই মালিক পরিবর্তন হয়ে যায়। একদিকে সাধারণ শেয়ার ক্রেতাদের ঠকিয়ে নিজে অর্থের পাহাড় গড়ে চলেছেন, অন্যদিকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতার একটা বড় অংশ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দিয়ে নাজিম পুরো এলাকাকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তুলছেন। ভাইসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে শুধু ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০টি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও জোর করে জমি দখলের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ১৫০ সেনাসদস্যের সমবায় সমিতির কেনা জমি নাজিম বাহিনী জোর করে দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া মানুষকে অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় হত্যা, গুমসহ নানা ভয়ভীতি দেখালে ৫০টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নাজিম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।

মানিকদি এলাকার ভুক্তভোগী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল ও ক্যাপ্টেন জহির বলেন, আমরা আমাদের পেনশনের টাকা নাজিমের কাছে দিয়ে বিপদে পড়েছি। তার অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তারা।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর



"বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুঃখী-ভাবী-অসহায়দের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সরব অংশগ্রহণে মহান ২২শে চৈত্র, গাউসুল আযম, ফানাফিল্লাহ্, বাকাবিল্লাহ্, শেখে ফায়াল, ইউসুফে সানী, জামালে মোস্তফা, হুজুর গাউসুল আযম, শাহ্সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর ৮৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফসহ সারা বিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে 'আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া' পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জীবনী মুবারক আলোচনা, জিয়ারত, ওয়াজ মাহ্ফিল, ইফতার ও সাহরী আয়োজনসহ ৩ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ৫ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফে ইফতারের পূর্বে এবং সাহরীর পূর্বে আলোচনা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রপৌত্র, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, "গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) আখেরী জামানার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুগোপযোগী এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি প্রেমের অনন্য এক তরিকা, 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা মূলত ক্বাদেরিয়া তরিকার অনুসরণে প্রবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে 'ক্বাদেরিয়া' তরিকার মূল দায়িত্ব পালন করছেন হযরত সৈয়দ আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তারই স্নেহধন্য ভ্রাতুষ্পুত্র ইমামুল আউলিয়া, হুযুর গাউসুল আযম হযরত সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এ মহতী তরিকাকে পূর্ণতা দান করেছেন। তিনি গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর সুশোভিত বাগানের শ্রেষ্ঠ প্রষ্ফুটিত গোলাপ। যার সৌরভ আজ বিশ্বজুড়ে। তার মাঝে খিজিরি বেলায়তের ঐশ্বর্য বিরাজমান। তিনি শরীয়তের জ্ঞানে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনি প্রবল কষ্ট-সাধনা-রিয়াজতের মাধ্যমে মারেফাতের সীমাহীন খনি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর সুউচ্চ, দুর্গম পাহাড়ে, বনে জঙ্গলে, নির্জনে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। তার নূরানী রূপের আলো, আধ্যাত্নিক শক্তি, মানবিকতা, উদারতা, স্নেহ-ভালোবাসার প্রভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন। আজও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অজস্র মানুষ বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নবীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, আল্লাহ্ তায়ালা ও ইসলামকে জানছেন। বিচ্ছিন্ন জনপদেও তিনি ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।

মাইজভাণ্ডার শরীফকে গাউসুল আযম ক্বেবলা ক্বাবা (কঃ) ও গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (কঃ) দুই সমুদ্রের মিলনস্থলের মত মহাকাব্যিক স্থানে পরিণত করেছেন। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) এদেশের মাটি-মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সাথে মিশে আছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে এ দেশের মানুষের সকল মুক্তি সংগ্রামে এবং অগ্রযাত্রায় তার অবদান অনস্বীকার্য। বাবাভাণ্ডারী (রাঃ) অভাবী, দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল ; সুখ-দুঃখের সাথী। তিনি মানুষের অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার শিখা জ্বেলেছেন, নবীপ্রেমের জোয়ার এনেছেন, আহলে বাইতগণের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। তার বেলায়তের প্রভাব বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকে নি। কারণ গাউসুল আযম কোন নির্দিষ্ট স্থানের জন্য শুভাগমন করেন না। তিনি সকলের। বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আহলে বাইতগণের এর ভালোবাসায় জীবন সাঁজাতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, খলিফাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দোজাহানের বাদশাহ্  হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর