Logo
শিরোনাম

আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস রিপোর্ট:


মানবতাবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাসহ ৬০ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। 



আজ সোমবার (২৪ জুন) ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।



জল্লাদ শাহজাহানের বোন ফিরোজা বেগম সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাভারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। 


ফিরোজা বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহ গ্রহণ করতে দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছেছি। হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নরসিংদী পলাশের ইছাখালীতে নিয়ে আসা হবে। পরে সেখানে তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।


নিহতের স্বজনরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের কাশেম আলীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। সেখানে আজ ভোরে তার বুকে ব্যথা ওঠে। পরে বাড়ির মালিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে এলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, ভোর ৫টার দিকে জল্লাদ শাহজাহানকে হেমায়েতপুর থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাড়ির মালিক। 



বুকে ব্যথা অনুভব করায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শাহজাহানকে। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়জন ঘাতক, ছয়জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান। ২০০১ সাল থেকে তিনি ফাঁসি কার্যকর শুরু করেন।


শাহজাহান ভূঁইয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। নানা অপরাধে গ্রেপ্তারের পর শাহজাহান ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে যান। ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। 


৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসারের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।



আরও খবর



নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, সংকট তত বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। সবার দৃষ্টি জাতীয় নির্বাচনের দিকে। সবকিছু প্রস্তুত, এখন নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগবে না। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন পেছানোর চিন্তা যুক্তিযুক্ত নয়। একটি দেশে গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচার হতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিচার চালিয়ে নেবে। তড়িঘড়ি করলে বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া বিএনপি হাতে পেয়েছে, তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে, আরও আলোচনা দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন থাকতেই পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তিই জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম" এই মূলনীতিকে সামনে রেখে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে "শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি"র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু করা হয়।

আজ ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এই পাঠচক্রের শুভ যাত্রা ঘোষণা করা হয়।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, "আমরা সবাই একটা কথা জানি যে, পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল অন্যায়, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তুলতে, দেশ ও বহির্বিশ্বের ইতিহাসকে জানতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বরকে জাগিয়ে তুলতেই আমাদের এই শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু করেছি।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময়ে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বিশেষ করে ১৯৫২,১৯৬৯,১৯৭১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ এ যতজন শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের স্মরণে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এ সংগঠন তৈরির প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি। সবাইকে এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।"

ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান সাজু বলেন, "ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সহ জুলাই গনঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ স্মরণে আমরা 'শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র' এর উদ্যোগ নিয়েছি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কায়েম করা। আর শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার বিকল্প নেই । আমরা মনে করি, আমাদের এই সংগঠন নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাখবে। আশা করি সবাই সাথে থাকবেন।"

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর শিক্ষার্থী মুত্তাকী বলেন, "শহিদ স্মৃতি পাঠ চক্র একটি প্রগতিশীল শিক্ষামূলক সংগঠন, যা তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।  এটি পাঠচক্র, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।  ২৪ এর চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাসের শিক্ষা এ সংগঠনের মূল প্রেরণা।

আমি এ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ও ক্যাম্পাসের পরবর্তী প্রজন্মকে এই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে আকুল আবেদন করি।


আরও খবর



ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



ঢাবিতে থাকছে না মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনি কোটা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা এবং খোলোয়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) রেজিস্ট্রারকে -মেইলে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশ পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক কর্মকর্তারা সব গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

নোটিশে আরও বলা হয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে এবং অন্য কোনো মানদণ্ডে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক। কোনো বৈধ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে এর কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।

মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি।

পোষ্য কোটা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (০৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের উন্নতির জন্য বিশেষ বিধান করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা সেই মানদণ্ড পূরণ করে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড বা পোষ্য কোটায় শতাংশ সংরক্ষণ করা বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী অযৌক্তিক।

এছাড়া খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




মাভাবিপ্রবিতে টিই বিভাগের অ্যাপ্যারেল ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)তে পোশাক ডিজাইনের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল আজিম আখন্দ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথির হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মোঃ ইকবাল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন  এবং স্বাগত বক্ততৃতা করেন  সেমিনার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আয়াতুল্লাহ হোসেন আসিফ। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন ও অ্যাপ্যারেল শিল্প একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত। প্রযুক্তি, টেকসই উন্নয়ন, এবং ভোক্তাদের চাহিদার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিজিটালাইজেশন, যেমন ৩ডি ডিজাইন সফটওয়্যার এবং এআই-চালিত ট্রেন্ড প্রেডিকশন, এ খাতকে আরও গতিশীল করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন,  টেকসই ফ্যাশন এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি, পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ফ্যাশন শিল্পের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই, পরিবেশ-বান্ধব উপাদান ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যাব্রিক এবং ন্যায্য শ্রম নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এই খাতকে আরও নৈতিক ও স্থায়িত্বশীল করতে পারি।

আজকের সেমিনারে নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে কীভাবে বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, এবং শ্রমশক্তি আমাদের এই শিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে  তিনি বলেন,  এখান থেক ডিগ্রি নিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে না ভেবে দেশ ও দেশের অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষার পাশাপাশি  মানবিক গুণের অধিকারীও হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন তেজগাঁও এপিলিয়ন গ্রুপের 

সিনিয়র ডিজাইনার বদরুল হুদা এবং সম্মানিত বক্তা ছিলেন ডিজিটাল ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড এর 3D ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেদওয়ানুল ইসলাম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক,  শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫