Logo
শিরোনাম

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শরীফ আহমেদ সুমন, সংবাদকর্মী :

একটা সময় সাংবাদিকতার প্রতি প্রবল আগ্রহ কাজ করতো। আজ আমার ইংরেজি পত্রিকার নবায়নকৃত কার্ড হাতে পেয়ে সে আগের উচ্ছ্বাস কাজ করছেনা। প্রথম যেদিন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার লোকালিটির বাজারে পিরানহা মাছ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, সেদিন রাত ১২ টা বাজার অপেক্ষা করছিলাম, কখন অনলাইনে দেখবো আমার নিজের করা প্রতিবেদন! সেদিনের সে উচ্ছ্বাস আজ আর পাইনা। সাংবাদিকতাকে কিছু মানুষ আজ এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের অনেকে হাস্যরস করেও বলে ফেলে "সাং'ঘাতিক"। নিজের পেশার প্রতি এমন শব্দ আসলে আমার যেমনি কাম্য নয়, বোধকরি কারোরই কাম্য নয়। তবে মফস্বলে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সত্যি নিজের ভিতরেও এক ধরণের হীনমন্যতা কাজ করে এখন। 

আসুন কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক:

মফস্বলে সাংবাদিকতা একটু বেশীই চ্যালেঞ্জিং। কেনোনা উপজেলায় একজন প্রতিনিধি থাকে। একই প্রতিনিধি তার উপজেলার উন্নয়ন, অবক্ষয় সব কিছুর প্রতিবেদন করতে হয়। স্টাফ রিপোর্টারদের মতো কাজ ভাগ করা থাকেনা। এখন স্পট নিউজের বাইরে গিয়ে অনুসন্ধানী কোনো প্রতিবেদন করতে গেলে দেখা যায় সেটা কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের বা কোনো দলের বিপক্ষে যেতে পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসলে একজন মফস্বল সাংবাদিক বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজের এলাকার কারও বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে কতোটা নিরাপদ। কারণ তার বাড়ি যেমনি চেনা তেমনি তারি আদি-অন্ত সবই স্থানীয়দের চেনা ও জানা। তবু বৃত্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেও সেখানে তা  অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তবে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে যদি কোনো সাংবাদিকের প্রতিবেদন আজ আপনার বিপক্ষে যায় তা  মেনে নিতে শিখুন। কারণ আজ আপনার ক্ষমতা থাকলেও কাল আপনি মজলুম হতে পারেন, তখন এই সাংবাদিক যেনো আবার আপনার পক্ষে কোনো ক্ষমতার বিপক্ষে লিখতে পারে সে পথটুকু খোলা রাখুন। 

এবার আসা যাক অপসাংবাদিকতার বিষয়ে - 

মফস্বলে সাংবাদিকতা অনেকটাই সম্মানী নির্ভর। যাদের সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাদের সম্মানী ছাড়া আসলে মফস্বল সাংবাদিকের সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোনো আয় নেই। উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞাপন খুবই কম। তাই বিজ্ঞাপনের কমিশনের উপর নির্ভর করারও কোনো উপায় নেই। তাই মফস্বলে সাংবাদিকতায় আসতে হলে এটাকে কেবল প্যাশন থেকেই নেয়া যেতে পারে, আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নয়। ইদানিং কেউ কেউ এটাকে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নিতে গিয়েই বাঁধছে যতো বিপত্তি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক সাংবাদিকের সাম্প্রতিক ঘটনা আজ শেয়ার করছি, এটা সাংবাদিকতা নাকি অপসাংবাদিকতা তা  ভেবে নেয়াটুকু পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। 

সম্প্রতি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সোয়া নয়টায় এক সাংবাদিক আসেন। তিনি এসে দেখেন একজন শিক্ষক আসতে ১৫ মিনিট সময় বেশি নিয়েছেন। তাতে তিনি প্রশ্ন করেন এবং সেই শিক্ষক তাকে জানান তার ছোট বাচ্চা অসুস্থ তাই তিনি তাকে ডাক্তার দেখিয়ে আসতে একটু সময় লেগেছে। যাই হোক সেই সাংবাদিক মহোদয় যদি দায়িত্বে অবহেলা প্রত্যক্ষ করে থাকেন তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারতেন। তিনি সেটা না করে তিনি উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দকে বলেছেন "আমি শিক্ষা অফিসারকে বলে আপনাদের শোকজ করবো"। কথা হলো সাংবাদিকের কাজ কি শোকজ করানো নাকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা। তিনি তা করেননি। তিনি ২ দিন অপেক্ষা করেছেন শিক্ষকদের কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেন কিনা। আর বোধকরি যোগাযোগের মানে পাঠকগণ অবগত আছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা অফিস সেই স্কুলের শিক্ষকদের ডেকে পাঠান। এবং ২ হাজার টাকা সেই সাংবাদিক মহোদয়কে ঠান্ডা পানীয় পান করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য প্রদান করার মাধ্যমে তাকে ঠান্ডা করা হয়। এমন কিছু ঘটনার কারণে আজ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটি কলু'ষিত। আমরা নিজেদের সীমারেখা ভুলে গেছি। আর ভার্চুয়ালিটির এই সময়ে এসে কিছু ফেসবুক পেইজ খুলে এমন সাংবাদিকতা আরও সহজ হয়ে গেছে। কারণ এখানে কিছু লিখতে বলতে সম্পাদক পর্যায়ের কোনো সেন্সরশিপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়না, শুধু স্ক্যা'ন্ডাল চাই। এদের অনেকে আবার নানান সময়ে নানান রাজনীতিক কিংবা প্রভাবশালী মহলের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে এলাকায় নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে এলাকার খাস জমি, ভূমি অফিসে খারিজের সুপারিশ নামের দালালি, থানায় লবিং করার দালালী করে রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। এমন কিছুর সংখ্যা কম হলেও মানুষের মনে এগুলো দাগ কেটে থাকে বলেই হয়তো আমাদের আজকাল মানুষ হাস্যরসের ছলে সাং'ঘাতিক বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। 

সর্বোপরি সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটাকে কলুষিত না করে এর যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা হিসেবে অনন্তকাল বেঁচে থাক এই প্রত্যাশা করি। আর কাউকে এমন ঠান্ডা না খাইয়ে সাধারণের পর্যায় থেকে ২ টাকার অফসেট কাগজে আমরাও জবাব দিতে শিখি।


আরও খবর

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিমান হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

এই খবর জানিয়েছে রাজ্যটির সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)। কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিমান হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সোনার খনিতে কাজ করা শ্রমিক এবং স্থানীয় দোকানদারও রয়েছেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আহত ১০ জনের মধ্যে পরে ৩ জন মারা গেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বোমার আঘাতে আশপাশের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

হামলা চলা এলাকা এখন কেআইএর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছেন প্রায় সাত হাজার। স্বায়ত্তশাসন ও কাচিনের খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তারা লড়ছে। রাজ্যটিতে রত্নপাথরের বড় বড় খনির পাশাপাশি খনিজ সম্পদের বিপুল মজুত রয়েছে, যার বেশির ভাগই চীনে রপ্তানি হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর অন্যান্য রাজ্যের মতো কাচিনেও জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই শুরু হয়। অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির সরকার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামে একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলেছে। জান্তার অভিযোগ, এই বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে কেআইএ।


আরও খবর



তিন দিন ভোগাতে পারে গ্যাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে আগামী তিন দিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। একইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপও কম থাকবে। ফলে সারাদেশে গ্যাস সংকট আরও বাড়বে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য টার্মিনাল থেকে দিনে ৫৭ থেকে ৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দিনে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সোম থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিবেদন বলছে, দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৭৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে এসেছে ৮৩ কোটি ঘনফুট। এ হিসাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে গ্যাসের সরবরাহ কমতে পারে ২০ কোটি ঘনফুটের বেশি।

জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ দেবে চীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে চীন। একবার এই বাঁধ নির্মাণ হয়ে গেলে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎকেন্দ্র মধ্য চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে সেখানে তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। তবে এই প্রকল্পের জেরে তিব্বতে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। খবর রয়টার্সের।

এই বাঁধটি ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নপ্রবাহে নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার দেয়া একটি অনুমান থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধটি হলো চীনের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গর্জেস ড্যাম। এখান থেকে বছরে ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নতুন এই বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণের বেশি।

ইয়ারলুং সাংপো নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝরনা থেকে উৎপত্তি। হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।

এই কারণে ভারত ও বাংলাদেশ এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নদীর নিম্ন প্রবাহে পানি সরবরাহের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া ইয়ারলুং জাংবো নদীর (ব্রহ্মপুত্র) উজানে চীন ইতিমধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বাঁধটি চীনের কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছানোর এবং কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।


আরও খবর



শুরু হচ্ছে ওয়াটসঅন অ্যাওয়ার্ডস ও আইটি সার্টিফিকেশন ২০২৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রতি বছরের মত এবারও নতুন প্রজন্মের শিল্পী, সংগীতশিল্পী এবং ব্যবসায়ীদের অবদান নিয়ে ২০২৫ সালের অ্যাওয়ার্ড এবং আইটি সার্টিফিকেশন অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চলেছে বাংলাদেশের ক্রিয়েটিভ কমিউনিটির জন্য নিবেদিত একটি লিডিং প্ল্যাটফর্ম ওয়াটসঅন মিডিয়া। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর উত্তরায় ওয়াটসঅন একাডেমিতে শুরু হবে বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান।

সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

এই বছরের বিশেষ ক্যাটাগরিগুলো: 

আর্টিস্ট ক্যাটাগরিজ: বেস্ট নিউ জেনারেশন আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট অ্যালবাম অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ব্যান্ড অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট সং অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ইনোভেটর অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট লেজেন্ড অ্যাওয়ার্ড।

বিজনেস ক্যাটাগরিজ: বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার, বেস্ট স্যালন, বেস্ট হেলথ কেয়ার, বেস্ট ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সি, বেস্ট ব্যাংক, বেস্ট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বিজনেস।

অনুষ্ঠানে থাকবে অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি, লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স, ডিনার এবং নেটওয়ার্কিং রিসেপশন। এটি শিল্পী, সংগীতশিল্পী, স্টুডেন্ট এবং ব্যবসায়ীদের অসাধারণ অবদান উদযাপনের একটি চমৎকার সুযোগ।

ওয়াটসঅন অ্যাওয়ার্ড এখন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি কমিউনিটির জন্য একটি প্রতীক্ষিত বার্ষিক ইভেন্ট হয়ে উঠেছে। এটি ক্রিয়েটিভিটি, ইনোভেশন এবং পজিটিভ সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট তুলে ধরার একটি মঞ্চ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যাম আলিম বলেন, ওয়াটসঅন প্রতিভাবান প্রজন্মকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যারা আমাদের জন্য একটি ভাল সমাজ গড়ে তুলছে। বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ওয়াটসঅনে যোগ দিন।


আরও খবর



একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল? আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? আপনারা কোন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ করেছেন? বাংলাদেশে কেউ আর দেশপ্রেমিক নেই? একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক- এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে বাংলাদেশের মানুষ হাসবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সিলেট মহানগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বর সংলগ্ন স্থানে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী খেলোয়াড় ইমরান হোসেন ইমনের পরিবারকে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা ভয়ংকর নির্যাতনকে মেনে নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে লড়াই করেছি। তারপরও আমরা পিছপা হইনি। সাড়ে ১৫ বছর নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আন্দোলন করার ফলে জুলাই বিপ্লবে হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।

ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার এক বছরের মধ্য হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এম ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তাদের বিচার কি হবে না? যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার কি হবে না?

পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে রিজভী জানান, কয়েকজন জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে পাঠ্যবইয়ে অধ্যায় করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত একটি অধ্যায় রাখলে ভালো হতো। পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় রাখলে তা পূর্ণতা পেত।


আরও খবর