
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন
রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে
মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই
ক্ষোভে ফুসছে শোবিজ দুনিয়া।
বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও কেন ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা- জানতে চেয়েছেন
নেটিজেনরাও। এই অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন উপস্থাপক ও
অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও।
ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে
মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের কথাও। তিনি
জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয় তখন কিভাবে হেনস্তার শিকার
হতে হয়েছিল তাকে।
আজ সোমবার এক ফেসবুক
পোস্টে জয় লিখেছেন, ‘অভিনেতা ইরেশ যাকেরের নামে মামলা
দেওয়ায় সকল শিল্পী সমাজের সাথে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ থেকে আট মাস আগে
আমার বিরুদ্ধেও এরকম একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া
আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকায়
শো করতে গিয়ে দুই একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠা তো দূরের কথা আমাকে হোটেল
থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হেনস্তা হয়েছি। অনেক অতি উৎসাহী আত্মীয়
আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।
জয়ের বিরুদ্ধে যে
ব্যক্তি মামলা করেছেন তিনি বর্তমানে থানায় আছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘শুনেছি,
আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী এখন থানায় আটক আছে। বিভিন্ন জনের নামে মামলা
দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমার কোনো সম্পৃক্ততা
পায়নি। পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করেছে আমার পরিচিত
কাছের স্বজনেরা এবং চিরকালের বন্ধুরা।
সবশেষ জয় লিখেছেন, ‘যাক
আমি কারো প্রতি দোষারোপ করছি না। সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের
জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এই ধরনের মামলা।
যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে মামলার চেয়ে সেলিব্রেটিকে
নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে।
এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা
থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাচুক। সকলে সকলের প্রতি
সহানুভূতিশীল হোক।