Logo
শিরোনাম

আমের মুকুলের মৌ,মৌ সূগন্ধে মুখরিত গোটা ফুলবাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ছোট একটি কবিতা দিয়ে শুরু করছি, বসন্ত এলো যে ধরায়,উদাসী কোকিলের সুর মন ভরায়, কৃষ্ণ চূড়ার রাজপথ সাজে, সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।ভ্রমরায় দল বেঁধে চলে, ফুল ফোটে কাননে,কাননে বৃক্ষে নতুন পত্র- পল্লব জাগে, সবকিছু অপরুপ লাগে।

সেই অপরূপ সাজে সেজেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আম বাগান গুলো আমের মুকুলের সুগন্ধিতে মুখরিত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আম বাগান গুলো। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে পাড়া গায়ের আমের গাছগুলো কি অপরূপ সৌন্দর্য। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবারে উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য আম চাষিদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে প্রতিনিয়ত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এবছর প্রায় ৯০শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।এতে করে আম বাগান মালিকরা মনে করছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় আর আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এক একটি বাগানে নানান ধরনের আম রয়েছে যেমন: ফজলি, আম্রপালি,ল্যাংড়া,হারিভাঙ্গা, মল্লিকা, বারি-৪,দেশি ইত্যাদি।এ অঞ্চলের আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাণিজ্যিক ভাবে লাভের আশায় এখন থেকে ভালো ভাবে আম বাগানের পরিচর্যায় মেতে উঠেছে।


উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আম বাগান চাষি মোহাম্মদ আলী শেখ ও আবুল হোসেন শেখ জানান, দীর্ঘ তিন,চার বছর থেকে প্রায় ২০

বিঘা জমিতে আম্রপালি ও বারি-৪ আমের চাষ করে আসছি গত বছরের চেয়ে এবারে বেশি করে আমের মুকুল এসেছে তাই ভালো ভাবে পরিচর্যা করছি যাতে মুকুল গুলি ঝরে না যায় আশাকরি গতবারের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হতে পারবো।

আম বাগান পরিচর্যা কারি শ্রমিক রফিক মিয়া ও জব্বার আলী জানান, আমের সিজন আসলে আমারা এ বাগানের পরিচর্যা করে থাকি এবারে সব গাছে মুকুল এসেছে সেই জন্য আগে থেকেই আমরা মুকুলে স্প্রে করছি যাতে মুকুল ঝরে না যায়।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, জানান গত বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি এসেছে এই মুকুল গুলি যাতে ঝরে না পরে সেই জন্য আম চাষিদের ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনিও আশা করছেন বৈরী আবহাওয়া বা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে এবারে কৃষকরা আমে ভালো লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি।



আরও খবর



উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে মোখা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে।

সকাল ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিপ-পূর্বে এবং মোংলা বন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-উত্তপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল নাগাদ মোখা মিয়ানমারের সিত্তের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শেষ করে পুরাপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

মোখার প্রভাবে দেশজুড়ে তেমন বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি। আজও দেশের প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতেই বৃষ্টি হয়নি। দেশের কিছু জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহও লক্ষ্য করা গেছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অল্প কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকলেও মঙ্গলবার (১৬ মে) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত পশ্চিমা লঘুচাপ ও মৌসুমের স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবেই কাল মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। সোমবার দেশে তেমন একটা বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর কারণ, ঘূর্ণিঝড় মোখা সকল জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

দেশের অন্যন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এই তাপপ্রবাহ আজ কিছু কিছু জায়গা থেকে কমে আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী কিছুদিন তাপপ্রবাহ আরো কমে আসবে। মঙ্গলবার দেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে। আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ঘূর্ণিঝড় মোখা: যেসব স্থান দিয়ে আঘাতের আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সর্বোচ্চ। 

সোমবার (৮ মে) বিকেলে তিনি জানান, মোখার কেন্দ্রের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে (রোববার) দুপুরের পর থেকে মধ্য রাতের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা। ঘূর্ণিঝড় মোখার পেছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। 

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত করার সময় এটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় কিংবা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার (সমুদ্রে থাকা অবস্থায়) ও উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৩০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানান, আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, গতকাল রাত ১২টার সময় ইনভেস্ট ৯১বি (INVEST 91B) এর অবস্থান ছিলও ৬ দশমিক ১ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। আজ সকাল ৭টার সময় জাপানের হিমাওয়ারি ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ইনভেস্ট ৯১বি (INVEST 91B) এর কেন্দ্রের অবস্থান ৬ দশমিক ৫ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ইনভেস্ট বর্তমানে যে স্থানে অবস্থান করছে সেই স্থানে উলম্ব বায়ু শিয়ায়ের মান ১০ থেকে ১৫ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বায়ু শিয়ায়ের এই মান সমুদ্রপৃষ্ঠের এই তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে আদর্শ অবস্থা। ইনভেস্ট ৯১ বি আগামী ২৪ থেকে ২৮ ঘণ্টা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইনভেস্টের কেন্দ্রে বায়ুচাপ ১০০৫ মিলিবার পরিমাপ করা হয়েছে। কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে ইনভেস্টের কেন্দ্রে বায়ুর গতিবেগ প্রায় ২৫ কিলোমিটার পরিমাপ করা হয়েছে। ইনভেস্ট ৯১ বি আগামীকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যা ১০ মে সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মে মাসের ১১ তারিখে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ১১ তারিখ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১০ ও ১১ তারিখে। এরপরে ১২ মে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কার কথা নির্দেশ করছে।

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ছোট নৌকার জেলেদের জন্য ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা 

নিম্নচাপটি ১০ মে দিনের কোনো এক সময় পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। উপকূলীয় এলাকার কোনো জেলে ছোট নৌকা নিয়ে ৯ মে এর পরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে প্রাণ নিয়ে উপকূলে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এরইমধ্যে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপের চারপাশে জেলেদের মাছ ধরা ও চলাচল না করার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




বাখমুতের দ্রুত পতন অসম্ভব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

রাশিয়ার ভাড়াটে গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রুশ বাহিনীর কব্জায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। খবর বার্তাসংস্থা এএফপির।

ওয়াগনার বাখমুতের ওপর কয়েক মাস ধরে চালানো হামলার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এতে সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

এ নগরীর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের উপ-শহরে প্রচণ্ড লড়াই চলছে উল্লেখ করে টেলিগ্রাম বার্তায় প্রিগোজিন লিখেছেন, বাখমুত শনি বা রবিবার রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, বাখমুতের এখন পতন ঘটেনি। নগরিটিতে স্যামোলেট নামে একটি উপশহর রয়েছে। এটি একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, যা বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটির কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। বর্তমানে সেখানে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেন মঙ্গলবার বলেছে, তাদের বাহিনী বাখমুতের উত্তর ও দক্ষিণ উপকণ্ঠের ২০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তারা এও বলেছে, রুশ বাহিনী এখনো শহর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।


আরও খবর