Logo
শিরোনাম

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে তার মা মরিয়ম বেগম ও বোন ফিরোজা পারভীন জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় মুখ খুলেছেন সাদিকা পারভীন পপি।

ভিডিও বার্তায় সাদিকা পারভীন পপি বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু? প্রতিটা মানুষের জীবনে সুন্দর একটা সময় থাকে নিজের জীবন উপভোগ করার জন্য। সে সময়টা আমি তাদের (ভাই-বোনদের) জন্য ব্যয় করেছি।’

ভাই বোনদের কথা উল্লেখ করে পপি বলেন, ‘তারা আমার বাবা-মায়ের সন্তান আমার সন্তান না, আমার দায়িত্ব না। তারপরও আমি আমার ভাই-বোনদেরকে নিজের সন্তান হিসেবে লালনপালন করেছি। নিজের ভবিষ্যতের ভালো লাগা মন্দ লাগা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। শুধু আমার ভাই বোনদেরকে মানুষ করার জন্য।’

‘কিন্তু এখন এসে দেখলাম তারা মানুষ তো হয়নি। হিংস্র কিছু বলবো না, পশুদের মাঝে তো কৃতজ্ঞতা থাকে এদের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা বোধটুকু নেই। উপরের দিকে থুথু ফেললে তো নিচের দিকে আসে। কাদের নামে অভিযোগ দিবো, অভিযোগ তো করে বাইরের লোকদের নামে।’

তার কথায়, ‘আমি যেহেতু আমার ভাই-বোনদের কে আমার মা-বাবাকে অনেক ভালোবাসি যার কারণে আমার জীবনে অনেক ‍কিছু ফেস করেছি তাদের দ্বারা নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতো বছর ইন্ড্রাষ্টিতে যা আয় করেছি, তারা আমার সঙ্গে বেইমানি করে, আমার সমস্ত অর্থ নিয়ে নিয়েছে। আমার টাকা দিয়ে কেনা সম্পত্তি কোনো কিছু আমার নামে ছিল না আমার ভাই-বোনের নামে ছিল। আমার অ্যাকাউন্ট পুরো শূন্য ছিল আমার দেহটা ছাড়া আমার কোনো কিছুই আমার ছিল না। সবকিছুই তাদের আয়ত্তে ছিল, আমিও তাদের আয়ত্তে ছিলাম।’

পপির ভাষ্য, ‘একটা পর্যায়ে এসে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কিছু না কিছুর প্রয়োজন হয়। বেঁচে থাকার জন্য শুধু আমার প্রাণটা ছিল হয়ত। একটা পর্যায়ে এসে যখন আমি জানতে পারলাম আমার পরিবার আমার সাথে বেইমানি করেছে, আমাকে ঠগিয়েছে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’

শেষে বলেন, ‘এগুলো জানার পর আমি চুপ ছিলাম। আমি যাদের কোলে পিঠে মানুষ করেছি দুই হাত দিয়ে, আমি তাদের দ্বারা অনেক বেশি নির্যাতিত হয়েছি। তারা আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে। আমার টাকা চুরি করে আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছে । আমাকে খুন করে ফেলার জন্য টাকা দিয়েছে খুনিকে


আরও খবর



মাওলা আলী মুশক্বিল কোশা (عليه السلام) শানে শতাধিক হাদিস

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

★মুমিনদের আমলনামার শিরোনামঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা।

(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)

★আরবের সরদারঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ سَيِّدُ الْعَرَبِ.

আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী (رضي الله عنه) আরবদের সরদার।

(আল মু’জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯, কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।


★ হিকমতের দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.


আমি হিকমতের গৃহ আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪, আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)


★ জ্ঞানের নগরীর দরজাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.


আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী (رضي الله عنه) তার দরজা।কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাঁকে দরজা বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭, জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯, উসুদুল গবাহ্ ৪:২২, তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০, আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২, আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫, সহি তিরমিজি, ৫ম খণ্ড, পৃ;২০১)


★ উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আমার পরে আলী (رضي الله عنه) হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। (কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭, আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)


আমার উম্মতের মধ্যে আমার পর সর্বোচ্চ জ্ঞানী ব্যক্তি হলেন আলী। (মসনদে আহমদ, ৫ম খ-, পৃ. ৩২)


★ মহানবী (ﷺ)-এর ভাইঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ الْاَخِرَة.


তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২৪)


★ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মনোনীতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ صَفِيِّي وَ أمِينِي.


আর তুমি হে আলী (رضي الله عنه)! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।


(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)


★ মহানবী (ﷺ)-এর স্থলাভিষিক্তঃ


হুজুর (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


জেনে রেখো যে, সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত।সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।


(তারীখে তাবারী ২:২১৭, আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪, মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)


★ মুমিনদের অভিভাবকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩, আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)


★ বিচারের সিংহাসনেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.


আলী (رضي الله عنه) আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭, মানাকিবে খারেযমী ৩০, যাখায়িরুল উকবা ৮৩)


★ উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী (رضي الله عنه) আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী। (তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)


★ মহানবী (ﷺ)-এর একই বংশধারাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.


আমি আর আলী (رضي الله عنه) একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।


(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩, আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)


★ উম্মতের হেদায়াতকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.


আমি হলাম সাবধানকারী।আর হে আলী (رضي الله عنه)! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।


(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২, ইমাম আলী (رضي الله عنه) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)


★ জাতির পথ-প্রদর্শকঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.


আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)


★ মহানবী (ﷺ)-এর থেকেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.


তুমি আমার থেকে আর আমি তোমার থেকে।


(সহীহ বুখারী ৪:২২, ৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)


মিনদের কর্তৃত্বের অধিকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.


আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪, আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)


★ আদর্শের পথে শহীদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه)কে বলেনঃ


أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.


তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)


★ সকল মুমিনের নেতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.


নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) আমার থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে।আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।


(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩, মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী


★ আলী (رضي الله عنه) এর জন্য দোয়াঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘুরিয়ে দিন।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ মহানবী (ﷺ)-এর হারুন


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইমাম আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.


আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০, মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২, সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ مَوتُك مَعِي.


হে আলী (رضي الله عنه)! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।


(ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫, ৯৪৭, মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২, কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)


★ সর্বপ্রথম নামাজীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.


সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামাজ পড়েছে সে হলো আলী (رضي الله عنه)।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২, আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)


★ শ্রেষ্ঠতম পুরুষঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।

(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২, মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)


★ উম্মতের পিতার ন্যায়ঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.


মুসলমানদের ওপর আলী (رضي الله عنه)র অধিকার, সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)


★ ইবাদতের সারসত্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)কে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।


(কানযুল উম্মাল ১১, ৬০১/৩২৮৯৪, আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১, ওসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)


★ মজলিসের সৌন্দর্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.


তোমাদের মজলিসগুলোকে আলী (رضي الله عنه)র নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করো।


(আল মানাকিব – ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)


★ সর্বদা সত্যের সাথে


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.


আল্লাহ আলী (رضي الله عنه)র ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী (رضي الله عنه) যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)


★ রাসূলুললাহ (ﷺ)-এর গোপন রহস্যের আধার


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.


আলী (رضي الله عنه) আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার।


(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩, আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)


হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম ! রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম। দরজার নিকট আমি দেখেছি , হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে, বুকে বুক ড  এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন। 

[খাসায়েসে কুবরা , পৃষ্টা-২৮-২৯, মিশরেছাপা, ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জ্ঞানের ভান্ডারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের ভান্ডার।


(শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.


আলী (رضي الله عنه) সৃষ্টিকুলের সেরা।


(আল ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯, মানাকিবে খারেযমী : ৬২)


★ মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.


আলী (رضي الله عنه) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।


(সিয়ারু আ’লামুন নুবালা ৮:২৫০, ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬, তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)


★ জ্ঞানের আধারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.


আলী (رضي الله عنه) আমার জ্ঞানের আধার।


(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)


★ সর্বদা কুরআনের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.


আলী (رضي الله عنه) কুরআনের সাথে আর কুরআন আলী (رضي الله عنه)র সাথে।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, 

কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২) ✅


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকটেঃ


হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) এবং হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, 


عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ بَدَني.


আলী আমার দেহের মাথার ন্যায়। 

১. হাদিসটি তারীখে বাগদাদ ৭:১২, হযরত বাররাহ (رضي الله عنه) হতে এবং 

২.দায়লমী হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করছেন। 

৩.মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪।

৪.মাসিক আলোকধারা, ১৭শ বর্ষ, ৮ ম সংখ্যা (আগষ্ট ২০১২ সংখ্যা), ২৩ পৃষ্টা।


★ আল্লাহর নিকটেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.


আমার নিকটে আলী (رضي الله عنه)র মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।


(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭, যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)


★ কেয়ামতের দিন বিজয়ীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।


(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৭০)


★ বেহেশতের তারকাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.


আলী (رضي الله عنه) বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।


(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)


★ তাকে কষ্ট দিও নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫, আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)


★ আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.


তোমরা আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে। 


(আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)


★ মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.


মুনাফিকরা আলী (رضي الله عنه)কে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।


(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৮৯)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হক (অধিকার) পূরণকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَامِنْ عَلِيٍّ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.


আলী (رضي الله عنه) আমা থেকে আর আমি আলী (رضي الله عنه) থেকে, আমি আর আলী (رضي الله عنه) ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।


(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯, মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)


★ মুসলমানদের সরদারঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.


আলী (رضي الله عنه) মুসলমানদের সরদার, পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।


(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮, আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)


★ নাজাত দানকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.


আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।


(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচলঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.


আলী (رضي الله عنه) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।


(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)


★ তাঁকে অভিসম্পাত করো নাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ

مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه)কে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।


(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক – ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬, ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/১০১১, খাসায়েসে নাসায়ী :২৪, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১, মানাকিবে খারেযমী : ৮২)


★ আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতাঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.


হে লোকসকল! আলী (رضي الله عنه)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।


(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)


★ সত্যিকারের সৌভাগ্যঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.


নিশ্চয়ই সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলী (رضي الله عنه)কে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)


★ পাপ ধ্বংসকারীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.


আলী (رضي الله عنه) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।


(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১, আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উত্তরসূরিঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.


প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী (رضي الله عنه)।


(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮, আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)


★ তার দিকে তাকানো ইবাদতঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.


আলী (رضي الله عنه)র মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২, আর রিয়াদুন্ নাদ্রাহ ৩:১৯৭)


★ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওয়াসীঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه)র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ


هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.


এ হলো আমার ভাই, আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।


(তারীখে তাবারী ২:৩৩১, মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯, আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩, শারহে নাহজুল বালাগা 

– ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১, 

কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১) 


★ ফেরেশতাকুলের দরূদঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.


কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলী (رضي الله عنه)র ওপর দরূদ পাঠাতো।


(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯, মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)


★ ঈমানের মানদন্ডঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (رضي الله عنه) কে বলেনঃ


لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.


যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।


(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭৩, আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১, কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)


★ সর্বদা সত্যের সাথেঃ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.


আলী (رضي الله عنه) সত্যের সাথে আর সত্য আলী (رضي الله عنه)র সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।


(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১, ইমাম আলী (رضي الله عنه) – ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)


★ তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ


مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.


যে ব্যক্তি আলী (رضي الله عنه) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।


(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)


হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত- একদা একজন আরবী এসে নবীজীর নিকট জিজ্ঞাসা করল - হে আল্লাহর রাসুল ! আমি শুনেছি আপনি বলেছেন- "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর পৃথক হয়ো না। (আল-কুরআন) সেই রজ্জু (রশি) কি যাকে আমরা অনুসরণ করবো? তখন রাসুলে পাক (ﷺ) নিজের হাত আলীর হাতের উপর রেখে বললেন, এই আলীই খোদার মজবুত রজ্জু (রশি) তাকে অনুসরণ করো। 

[ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দাত,পৃষ্টা-১১৯, 

ইয়া মুকাল্রেবুল ক্বুলুব, পৃষ্টা-৪৫]


আরও খবর



এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রতি বছরের মতো ঈদ উল ফিতরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এ বছর ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকবে বৈচিত্র্যের মিশেল। হালকা তবে নজরকাড়া, ঐতিহ্যবাহী অথচ আধুনিক এরকম স্টাইলই দেখা যাবে এবারের ঈদ বাজারে।

এবার হালকা প্যাস্টেল শেডের পাশাপাশি রাজত্ব করছে গাঢ় বোল্ড শেড। গরম আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এই রংগুলোর সঙ্গে যোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক ডিজাইন। উৎসবের আবহে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠছে শাড়ি, আরামদায়ক অনারকলি, স্ট্রাকচার্ড কাফতান এবং নানা ডিজাইনের কামিজ সেট। আর সব ধরনের পোশাকেই আছে উৎসবের বিশেষ আবহ।


শুরু করা যাক প্যাস্টেল দিয়ে। প্যাস্টেল প্যালেটের মধ্যে আছে- পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার এবং মিন্ট গ্রিন। যারা গরমে হালকা কিছু পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্যই এই রংগুলো। হালকা এই রংগুলো যেকোনো মানুষের সৌন্দর্য যেমন তুলে ধরে, তেমনি এই ধরনের রং গ্রীষ্মের আবহাওয়ার সঙ্গে একেবারে মানানসই। হরেক রকমের লেইস আর সুতার নিখুঁত কাজ করা একটি প্যাস্টেল শেডের আনারকলি উৎসবের দিনের বেলা আপনাকে অপরূপ করে তুলতে পারে। নিখুঁত এম্ব্রয়ডারি করা ব্লাশ পিংক অর্থাৎ হালকা গোলাপি রঙের একটি আনারকলির সঙ্গে একটি সুন্দর অর্গানজা ওড়না অথবা পার্লের ডিজাইন করা মিন্ট গ্রিন একটি কামিজ সেট একইসঙ্গে ভীষণ সুন্দর এবং অভিজাত লাগবে।

২০২৪ সালে ফ্যাশন ট্রেন্ডে শাড়ি নতুনভাবে ফিরে এসেছে। বর্তমানে হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে। এ ধরনের শাড়িগুলোতে তুলি দিয়ে হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়, যা সবাইকে দারুণ মানিয়ে যায়। হালকা রঙের কোনো শাড়ির ওপর ফুলেল নকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মোটিফ তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার দাওয়াতে একটু অভিজাত ও জমকালো পোশাকের জন্য বেছে নিতে পারেন এম্ব্রয়ডারি ও ভারি কাজ করা শাড়ি। জমকালো সিল্ক ও শিফনের ওপর জারদৌসি, সিকুইন কিংবা মিররের সূক্ষ্ম কাজ শাড়ির ঝলমলে আবহকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, যা উৎসবে সবার নজর কাড়বে।

ঈদের সকালে সাদা রং তার চিরন্তন আবেদন ধরে রাখে। সাদার ওপর হালকা কাজ করা কাফতানের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন বিশেষ দিনটি। যারা বাড়তি কিছু যোগ করতে চান তারা অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন রূপার অলঙ্কার। প্যাস্টেল বা সাদা রঙের পোশাকের সঙ্গে হালকা গোলাপি ঠোঁট আর চোখে কাজলের ছোঁয়ায় হয়ে উঠুন অপূর্ব।

প্যাস্টেল বা সাদা রং যেমন সাজে কোমল, হালকা ভাব বজায় রাখে অন্যদিকে গাঢ় রং তার শক্তিশালী উপস্থিতি জানান দেয়। গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল মেজেন্টা ও আকর্ষণীয় লাল রং এখন আলোচনার কেন্দ্রে, যা উৎসবের পোশাকে এনে দেয় রাজকীয় ভাব। চিরকাল ঐতিহ্য ও উৎসবের প্রতীক এই রংগুলো উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। একবার ভাবুন, জারদৌসি কাজ করা গাঢ় ম্যাজেন্টা রঙের একটি কামিজ কীভাবে একইসঙ্গে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। এম্ব্রয়ডারি করা লাল রঙের কাফতান বা ঝলমলে সোনালি সুতার ওড়নার লাল রঙা কামিজ সেট- লাল সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী একটি রং। এর সঙ্গে অ্যান্টিক সোনার গয়না, বোল্ড মেকআপ আর গাঢ় লিপস্টিকে শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী লুক তৈরি করতে পারেন।

গত কয়েক বছর ধরে ঈদের ফ্যাশনে পোশাকের কাটছাঁটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই মৌসুমেও ডিজাইনাররা দীর্ঘ হেমলাইন, ভারি ঘের ও ডিজাইন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। ঈদের পোশাকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো হাতের কাজ। হালকা রঙের মনোমুগ্ধকর কাফতান হোক বা গাঢ় রঙের ওপর সূক্ষ্ম রেশম ও আরি কাজহাতে করা সূচিকর্ম যে কোনো পোশাককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। এসব কারুকার্যের সৌন্দর্য এখানেই শেষ নয়, এটি সাধারণ নকশার পোশাককেও দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

পুরো সাজকে পরিপূর্ণ করতে অনুষঙ্গ তো লাগবেই। ঠিকঠাক অনুষঙ্গ ও স্টাইলিং পোশাকের সামগ্রিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য অত্যাবশ্যক। নরম প্যাস্টেল রঙের পোশাকের সঙ্গে রূপার গয়না,  মুক্তার দুল এবং ন্যুড টোনের জুতো পোশাকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে চোখে পড়ার মতো অনুষঙ্গ ও গয়না বেছে নিন যেমন- মোটা সোনার গয়না, এম্ব্রয়ডারি করা পটলি ব্যাগ বা কারুকাজ করা জুতা। জুতার ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যেতে পারে সূক্ষ্ম কাজ করা ঐতিহ্যবাহী খুসসা কিংবা আধুনিক লুক আনতে উঁচু হিল জাতীয় জুতা।

বিভিন্ন সময়ে ফ্যাশনের ধারা বদলালেও, এই ঈদে মূল ভাবনা হলো বৈপরীত্যকে গ্রহণ করা। কেউ সাদা কাফতানের কোমল সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন আবার কেউ বা গাঢ় সবুজ আনারকলির বোল্ড লুকে মুগ্ধ হতে পারেন। যে যাই বেছে নিক, ঈদের ফ্যাশনের সৌন্দর্যই হলো ব্যক্তিত্ব এবং ঐতিহ্যের সম্মিলন। সবচেয়ে সুন্দর পোশাক সেটিই, যা ব্যক্তিগত স্টাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যা একজনকে তার নিজস্ব উপায়ে উদ্ভাসিত করে তোলে।


আরও খবর



ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মা খাদিজা (রাঃ) অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় খানকা শরীফে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, বরুড়া আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত মা খাদিজা (রাঃ) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। নবুয়্যতপ্রাপ্তি ও ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দুর্গম ও কণ্টকময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে কঠিন মুহূর্তে তিনি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সবসময় মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে ছিলেন। উঁচু হেরা পাহাড়ের গুহার সেই বন্ধুর পথ তিনি প্রতিদিন পাড়ি দিতেন শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য।"


সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন,"বিশেষত, ইসলামের বাণী প্রচারের সূচনালগ্নে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  যখন কাফিরদের অত্যাচার ও বিদ্বেষের  তীরের আঘাতে জর্জরিত, তখন প্রেরণার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আত্নত্যাগের জন্যই তিনি লাভ করেছেন, 'উম্মুল মু'মিনীন' বা 'বিশ্বাসীদের মা' এর মহৎ মর্যাদা। তিনি নিজের সব ধন-সম্পদ ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কদম মুবারকে উৎসর্গ করেন। এত ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলামের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করেছেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাত্র ২৩ বছরে তৎকালীন বর্বর আরব জাতিকে ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত একটি মানবিক জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন অগণিত ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। ১৪০০ বছর আগে তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আজও তার অনুসরণে বিশ্ববাসী পাচ্ছে মুক্তির দিশা। আজ ইসলামের পতাকা বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে। আর এ অনন্য সফলতার পেছনে হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনাদর্শ থেকে আমরা প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তার যেমন শিক্ষা পাই, তেমনি আদর্শ মা এবং দাম্পত্য জীবনকেও রঙিনভাবে সাঁজাতে পারি। যে দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দেদীপ্যমান নিদর্শন আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।

মাহ্ফিলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৪'ই মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মিরকাদিম পৌরসভার দরগাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী মুশফিক শিহাবের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল (প্রকৌশলী)।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলায় কর্তব্যরত প্রায় ৭০টি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় পাঁচশতাধিক নেতৃবৃন্দ।


এসময় বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিকে  ফুল দিয়ে বরণ করেন বিডি ক্লিন বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা ও বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার সভাপতি মানবিক নেতা এড. মাহামুদ হাসান। এছাড়াও বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে মানবিক কাজে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রুবেল মাদবর

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রকৌশলী সাইফুল বিন বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আব্দুল বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাহাঙ্গীর ঢালী, ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শফিউল্লাহ্ শিকদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম শাওন শিকদার, মুন্সীগঞ্জ রক্তদান সংস্থার সভাপতি রায়হান রাব্বি, জাতীয় নাগরিক পার্টির গজারিয়া উপজেলার শাখার সংগঠক প্রকৌশলী নূর আলম হোসেন।

ইফতার পূর্বে মুসলিম উম্মাহ্ শান্তির কামনায় দোয়া করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আবু সাঈদ ভূঁইয়া।

এছাড়াও অনান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মেদ পরাগ সহ কেন্দ্রীয় ও তৃনমূল কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।


আরও খবর



ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখতে নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে। এর মধ্যে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই সঙ্গে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যাতে সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এটিএম বুথের নিরাপত্তার সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে কোনো সাইবার হামলার বার্তা পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এটি সব মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি ও বিশেষ ছুটি মিলে এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি থাকছে। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি। চলবে টানা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ হিসাবে আজ মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ও আগামী বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক লেনদেন হবে।


আরও খবর

প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫