Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

আমি ভালো আছি। শরীর একদম ঠিকঠাক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

সাংবাদিক রাজিব নুরের ফেসবুক ওয়াল থেকে ঃ

আমি ভালো আছি। শরীর একদম ঠিকঠাক। একটু অবসন্ন। অনেকখানি ট্রমাটাইজড হয়ে আছি।

হামলাটা আমার ওপর যতখানি হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে আলমগীর রেজার ওপর। সেলফিটা ওরই তোলা। 

আলমগীরের সঙ্গে আমার ওই দিন, ১১ সেপ্টেম্বরেই প্রথম পরিচয় হয়েছে। ও ‘দেশসেবা’ পত্রিকার বানিয়াচং উপজেলা প্রতিনিধি। তবে প্রথম পরিচয়ে আমাকে বলেছিল, সে আর্টিস্ট। টুকটাক আঁকাআঁকি এবং কম্পিউটার গ্রাফিকস করে জীবিকা নির্বাহ করে। বেশির ভাগ উপজেলা প্রতিনিধিরই বিশাল সহায়সম্পত্তি না থাকলে তা-ই করতে হয়।

আলমগীরকে ইট দিয়ে মারতে গিয়েছিল ওয়াহেদের ছেলে ওয়ালিদ। ও গ্রেপ্তার হয়েছে। মোশাহেদ পেছন থেকে ওয়ালিদকে আটকাতে না পারলে হয়তো আলমগীরের জন্য বাকি জীবন আমার অনুশোচনা করতে হতো।

মোশাহেদ মিয়া ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি। এর আগে ছিলেন ‘প্রথম আলো’তে। আমিও তখন ‘প্রথম আলো’য় কাজ করতাম। পুরোনো সহকর্মীকে পেয়ে মোশাহেদ ছিলেন উৎফুল্ল। হবিগঞ্জ থেকে আমি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম ওখানকার স্থানীয় দৈনিক সমাচারের নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদ মিয়াকে।

ছবিতে আমার আর আলমগীরের মাঝে আছে তৌহিদ মিয়া।

আমরা হবিগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেওয়ার আগেই তৌহিদ মোশাহেদকে জানিয়ে রেখেছিল। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মোশাহেদ।ওয়াহেদের পরিবারের লোকজন মোশাহেদ ছাড়া আমাদের সবাইকে মারধর করেছে। মোশাহেদকে বানিয়াচংয়ের গাছপালাও চেনে বলে আমার ধারণা। তাই যে বাড়ির মেয়েরাও বাইরের চার জন লোককে মারতে আসতে পারে, সেই বাড়িতেও তিনি রেহাই পেয়ে গেছেন। 

আলমগীরের তোলা সেলফিতে একটু বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা মানুষটা হলেন মোশাহেদ মিয়া।  

আহত তিন জনের মধ্যে তুলনায় আমি কম আঘাত পেয়েছি। আমার মোবাইল কেড়ে নিতে গিয়ে হাত মচকে দিয়েছে ওয়াহেদের ছেলেরা। আমাকে ওরা বাধ্য করেছে প্যাটার্ন লক জানাতে।তখন মারধরও করেছে। 

আমার ওপর হামলার প্রতিবাদ করায় অন্যদের ওপর হামলে পড়ে ওরা। আলমগীর রেজা পাশের গ্রামের ছেলে। তাই ওর প্রতিবাদ ছিল জোরালো। ওকেই মেরেছে বেশি ওরা। ইট দিয়ে ওয়ালিদ যে আঘাতটা করতে চেয়েছিল, তাকে বোধ হয় আইনের ভাষায় ‘হত্যাচেষ্টা’ বলা চলে। 

আমার আইনজ্ঞ বন্ধুরা বলছেন, ‘মামলা শক্ত হয়নি।’  

শোরগোল তুলে আমাদের মনে যে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে, তা-ও কি কম অপরাধ? আমার তখন মনে হয়েছিল, প্রাণসংশয় হতে পারে আজ। আমি ওই আতঙ্কঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। ট্রমাটাইজড বাংলা কি আতঙ্কঘোর হবে? এখনও কাজে মনে দিতে পারছি না। ওয়াহেদের মতো ভয়ঙ্কর লোক আমি খুব একটা দেখিনি। মোটর সাইকেল ছেড়ে দেওয়ার পরও লোকটা আমাদের পেছন পেছন দৌড়ে আসছিলেন।

মামলা শক্ত হলো কিনা জানি না। করার দরকারও নেই। ওয়াহেদের কাছ থেকে তো রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি আমি দখল করে নিতে চাইনি। রামনাথ বিশ্বাস নামে একজন ভূপর্যটক, যিনি পৃথিবী ঘুরে এসে বলেছিলেন বানিয়াচং তাঁর পৃথিবী, সেই মানুষের বাড়িটা দখল হয়ে গেছে, এই খবর আমি আমাদের পাঠককে জানাতে জানাতে চেয়েছি।

হাওরাঞ্চলের তিন বিশ্বাস, দেবব্রত বিশ্বাস, হেমাঙ্গ বিশ্বাস আর রামনাথ বিশ্বাস আমাকে সংগীতে এবং ভ্রমণে বিশ্বস্ত হতে শিখিয়েছেন।আমি যদি নির্বাসনে বাধ্য হই, বাধ্যবাধকতা থাকে নির্বাসনদণ্ডে শুধু একজন শিল্পীকেই শুনতে হবে আমার, তবে দেবব্রতকে সঙ্গে নিয়ে যাব। ১০ জন হলে নিশ্চয়ই হেমাঙ্গ বিশ্বাসও থাকবেন সঙ্গে। পাঠক হিসেবে আমার কাছে রামনাথ বিশ্বাস অত অনিবার্য নন।তাঁর গোটা তিরিশেক ভ্রমণকাহিনি আছে, পড়েছিও বেশ কিছু।সেই কবে মনে নেই, যখন জেনেছিলাম, অনেক দিন আগে রামনাথ বিশ্বাস বাই-সাইকেলে করে পৃথিবী ঘুরে এসেছেন, তখন ভেবেছিলাম আমি হেঁটে হেঁটে ঘুরব দেশটা। হেঁটে না হলেও আমি তো ঘুরেছি দেশটা। এক বানিয়াচংয়েই অন্তত পাঁচবার গিয়েছি। আবারও যাব নিশ্চয়ই।আমি তো এখন রামনাথ বিশ্বাসের পক্ষভুক্ত হয়ে গিয়েছি।

আমাদের ওপর হামলার বিচার চেয়ে অনেক মানুষ মাঠে নেমেছেন দেখতে পাচ্ছি।আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। আমিও বিচার চাই আমাদের ওপর হামলার। আইনানুযায়ী যতটা শাস্তি ওয়াহেদ ও তাঁর ছেলেদের পাওনা হয়, তার চেয়ে একটু যেন কম না হয় বিচারটা। সেই সঙ্গে চাই, সবাই যেন রামনাথ বিশ্বাসের দখল হয়ে যাওয়া বাড়িটি উদ্ধার করে সংরক্ষণের দাবি জানান।

বানিয়াচংয়ে কমলারাণীর সাগরদীঘি বলে একটা দীঘি আছে। পুরানকথার সেই দীঘির পাড়ে আমাদের চারজনের এই ছবিটা তোলা হয়েছিল।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন মৌসুমী ,জল ঢেলে দিলেন ওমর সানী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

বিনোদন ডেস্ক :

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে চারদিকে। যেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ। 

বেশ কয়েকবার এই নায়িকাকে নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে, অভিনেত্রী নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে মেলেনি মৌসুমীর কোনো বক্তব্য। এবার সেই গুঞ্জন নিয়েই মুখ খুললেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। 

সরাসরি জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন না চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এ বিষয়ে ওমর সানীর ভাষ্য, ‘আমিও কানাঘুষা শুনেছি, মৌসুমী এবার নির্বাচনে দাঁড়াবে। এটার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, আমাদের মেয়ে ফাইজার লেখাপড়ার জন্য এ বছরটা মৌসুমীকে আমেরিকায় থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, নির্বাচনে দাঁড়ানোর মতো ইচ্ছে আমার ফ্যামিলির কারো নেই। এ ধরণের অনুরোধ আমাকে কেউ করবেন না।’

এরপর শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে খানিকটা বিরক্তিও প্রকাশ করলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই নায়ক। তিনি বলেন, ‘শুনেছি এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এবার যারা প্যানেল সাজাবেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, দয়া করে তারা কেউ আমাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়ে অনুরোধ করবেন না। কারণ, ভালো সিনেমা দিয়ে জীবনে মানুষের যতটুক ভালোবাসা আমরা পেয়েছি এই নির্বাচন করে সেই ভালোবাসা হারাতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে করেছিলেন মৌসুমী। এ নির্বাচনে ২২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জটিলতা শুরু হলে পর তিনি আর সমিতিতেই আসেননি।


আরও খবর

সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪

ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন পরীমণি

শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




কিশোর গ্যাং সদস্যদের কোনো ছাড় নয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

কিশোর গ্যাং সদস্যদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, তারা মারামারি, চাঁদাবাজি ও খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলবে।

রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত দুইদিনে কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাং একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তাদের দৌরাত্মের কারণে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেয়া, স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে থাকে।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংগুলো মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। কতিপয় বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলবে। এই বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



হট্টগোলের মাঝেই পাকিস্তানে নতুন সরকারের শপথ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিন পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মাঝে শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। দিন দুয়েকের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন হয়ে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে বেশ উদ্বেগজনক খবরই পেয়েছে দেশটি। পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন। একই চিঠি তারা লিখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকেও। শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে লেখা একটি চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

পাকিস্তানের ভোটাররা গত মাসে নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি ভোট ঘনিয়ে আসার আগে গ্রেপ্তার এবং সহিংসতার বৃদ্ধি; এবং অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারণে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে নির্বাচনী অনিয়ম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তদন্তের আহ্বান জানায়।

রয়টার্স বলছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। যদিও কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন লাভ করেছেন।

ইমরান খান-সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন জিতেছেন, কিন্তু এরপরও সরকার গঠনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। পরে তিনি এবং তার দল ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।

এই পরিস্থিতিতে ৭৯ আসন পাওয়া পিএমএল-এন এবং ৫৪ টি আসনে জয় পাওয়া পিপিপির জোটবদ্ধ একত্রিত সংখ্যা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে এবং সরকার গঠনের জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। যদিও জোটের মধ্যে ছোট কিছু দলও রয়েছে।

বুধবার লেখা ওই চিঠিটিতে নির্বাচনী অনিয়ম ও হস্তক্ষেপের অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে অনুরোধ করেছেন আইনপ্রণেতারা।

একইসঙ্গে রাজনৈতিক বক্তৃতা বা কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের এই ধরনের মামলার তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে একটি কথা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আর তা হচ্ছে, যদি প্রাসঙ্গিক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে ওয়াশিংটন তার সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা স্থগিতের মতো পদক্ষেপকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।

রয়টার্স বলছে, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিনিধি গ্রেগ ক্যাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রতিনিধি প্রমিলা জয়পাল, রাশিদা তালাইব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লির মতো আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পরে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। যদিও সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কথা বরাবরই অস্বীকার করে থাকে।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতেছিল। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মাধ্যমে ইমরানকে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং তাকে দীর্ঘ কারাবাসের শাস্তিও দেওয়া হয়।

যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।


আরও খবর



দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর



ভাড়া কমছে গণপরিবহনের

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম একযোগে কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নতুন দামের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত আসা মাত্রই যে কোনো সময় গেজেট আসতে পারে। জ্বালানি তেলের দাম কমলে গণপরিবহনের ভাড়াও কমবে। ৩ মার্চ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে, এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আমরা চাচ্ছি, প্রতি মাসে প্রাইসিংয়ের অ্যাডজাস্টমেন্ট হোক। আশা করছি, এই মাসে যদি প্রাইসিংয়ের অ্যাডজাস্টমেন্ট শুরু করতে পারি, এতে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে।

তিনি বলেন, আমরা সামনে বার যদি দেখি ওয়ার্ল্ড মার্কেটে জ্বালানির দাম কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে। সো, এটার একটা ভালো দিক আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেইন টার্গেট হলো ডিজেল, যেটা বেশি ব্যবহার হয়। আমাদের সেচে ব্যবহার হয়, আমাদের ট্রান্সপোর্টগুলোতে ব্যবহার হয়, ট্রাকে ব্যবহার হয়,বাসে ব্যবহার হয়। পাবলিক যেন সুবিধা ভোগ করতে পারে, এই জিনিসটা আমরা চাচ্ছি।

এবার দাম কমলে গণপরিবহনের ভাড়া কমবে কিনা?- প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় কমে যাওয়া উচিত। এখানে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, আমরা তাদের সঙ্গে বসার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে, দেশে কমানো হয় না এমন অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসছি আমরা।

প্রসঙ্গত, সবশেষ ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩৫ থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।


আরও খবর