Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত
শিবলী সভাপতি, জনি সম্পাদক

আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো নূরুল্লাহ খান, আরব আমিরাত থেকে 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি শিবলী আল সাদিককে সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি কামরুল হাসান জনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

 শারজার একটি হোটেলে সাধারণ সভার মাধ্যমে সংগঠনের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি এনটিভি প্রতিনিধি মানুনুর রশীদ, সহ সভাপতি বাংলাভিশন প্রতিনিধি মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক দিনকাল প্রতিনিধি মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক কক্সবাজার আলো প্রতিনিধি মুহাম্মদ শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক সিপ্লাস প্রতিনিধি ইসতিয়াক আসিফ, দপ্তর সম্পাদক ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী সদস্য যমুনা টেলিভিশন প্রতিনিধি রফিক উল্ল্যাহ ও নির্বাহী সদস্য নিউজ২৪ প্রতিনিধি আবদুল আলীম সাইফুল।

এর আগে সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি সিরাজুল হক। সভা পরিচালনা করেন সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।

পরে সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাজাহান, শামসুর রহমান সোহেল ও শামসুল হককে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন ভোটাভুটির মাধ্যমে কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত করেন।

পরে নির্বাচিত নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরব আমিরাত প্রেসক্লাব প্রবাসীদের মুখপাত্র হয়ে আগামীতে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। তারা প্রবাসীদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে কাজ করার জন্য বিগত দিনের মত প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বলেন, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা আখ্যায়িত করার মানসিকতা নিয়ে প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য সংবাদ পরিবেশের উপর মনোনিবেশ করবেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন, মুহাম্মদ সিরাজুল হক, শেখ ফয়সাল সিদ্দিকী ববি, সনজিত কুমার শীল, মুহাম্মদ ইছমাইল, সরোয়ার উদ্দিন রনি, রবিউল হোসেন, মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, সৈয়দ খোরশেদ আলম, শামসুল হক, জাহিদ হোসেন, সাজন সাজু, মুহাম্মদ সেলিম, শামছুর রহমান সোহেল ও মুহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নব ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের মান্যবর কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।


আরও খবর

রোজার আগে পেঁয়াজ-চিনি আমদানি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




ফিটনেস নেই ২৪ শতাংশ বাসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের সড়কে চলাচল করা ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন নেই। আর ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শুধু তাই নয়, ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিটও নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।


আরও খবর



রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মাট সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও রাণীনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার বাস্তবায়নে র‌্যালি, আলোচনা সভা, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু, ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান,ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পিন্টু প্রমুখ।


আরও খবর



বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর



ভাড়া বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের জন্য টিকিট ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত বেসরকারি অপারেটর সহজকে (জেভি) এরই মধ্যে স্টেশন টু স্টেশন বাণিজ্যিক দূরত্বের হিসাবও হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও (ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া) ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন এ ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়া সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর রেলের জ্বালানি-যন্ত্রাংশ এবং কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সংস্থাটির ভাড়া বাবদ আয় তেমন বাড়েনি। কয়েক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্যকর হয়নি। যদিও আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে। সংস্থাটি এর আগে নিট লাভে ছিল শুধু ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। ওই সময়ে সংস্থাটির নিট লাভ ছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এরপর প্রায় আড়াই দশক ধরে টানা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় পরিচালন আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে রুট বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনেও। 

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭-৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে। রেলসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারের কিছুটা দোটানা রয়েছে। যদিও প্রতি বছর রেলের লোকসান বেড়েই চলেছে। এজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময় রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলরুট ছাড়া (ঢাকা-কক্সবাজার) সারা দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। যদিও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের একই সুবিধার আসনে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এছাড়া লোকাল, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এতে রেলযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি হলেও প্রাপ্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। গত অক্টোবরে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে রেলপথে প্রকৃত দূরত্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়ে রেলের আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। 

আবার যাত্রী চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপ টিকিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ট্রেনে প্রায়ই নির্ধারিতের অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে। গমন ও ফেরত (আপ অ্যান্ড ডাউন)দুই ক্ষেত্রেই এ অতিরিক্ত কোচের চাহিদা থাকলে রেলের কিছু বাড়তি আয় হয়। কিন্তু চাহিদা একমুখী হলে (শুধু গমন) ফিরতি যাত্রায় টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। এজন্য অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণীতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে। 

এজন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ আকারে উত্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে সই করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর । এরপর ২ মার্চ প্রস্তাবে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৭ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের জন্য চিঠি দেন।  

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ রেলওয়ের মান ও সেবা অনুযায়ী ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চেয়ে অনেক কম। জনগণ এর সুবিধা পেলেও রেলওয়ে লোকসানে থাকে। রেলকে আরো গতিশীল করতে ভাড়া বাড়িয়ে সড়ক যানবাহনের সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি। কিন্তু আপাতত মূল ভাড়া না বাড়িয়ে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধাগুলো প্রত্যাহারের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। রেলের বিভিন্ন আধুনিকায়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পর ধারাবাহিকভাবে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লোকসানও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 


আরও খবর



নেত্রকোনায় জেলা পর্যায়ে কৃষক সমন্বয় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা :

আজ ১৪ মার্চ ২০২৪ ইং, বেলা ১০.৩০ মিনিট এ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ে কৃষক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা বারসিক এর আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত উপ—পরিচালক জনাব সাধন কুমার গুহ মজুমদার। নেত্রকোনা জেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সভাপতি জনাব সায়েদ আহমদ খান বাচ্চু’র সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন বারসিক’র কর্মসূচি কর্মকর্তা রনি খান। সভায় নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০ টি কৃষক সংগঠণের যুব কৃষক, প্রবীণ কৃষক, কৃষাণী, হাওরের কৃষক, আদিবাসী কৃষক, সমতলের কৃষক, কৃষক নেতা, জেলে সংগঠনের নেতা, রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক ও যুব সংগঠকসহ মোট ৩৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো: অহিদুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব অসিত কুমার ঘোষ, বারসিক’র সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়ক শংকর ¤্রং, মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি জনাব সজীব দাস, আটপাড়া উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি’র সমন্বয়ক যোগেশ বর্মণ, মদন উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম পুতুল, কলমাকান্দা উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি ও বহুত্ববাদী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক কুমকুম নকরেক প্রমুখ। 


সভায় হাওর থেকে পাহাড় বিস্তৃত এ জনপদের কৃষির সাফল্য, সংকট, সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। বর্তমান সরকারের নানা সময়োপযোগী উদ্যোগের কথা তাঁর বক্তব্যে ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি। তিনি বলেন ‘এ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে যুগোপযোগী করতে নানা ধরণের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তবুও আপনারা যারা মাঠে কাজ করেন তারাই কৃষির প্রাণ। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলেই একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।’ সভায় কৃষকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত দাবীগুলো তুলে ধরা হয়। 

১। সীমান্ত অঞ্চলে যেখানে পাহাড়ি বালুতে জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে সরকারি উদ্যোগে বালু সহনশীল ফসল চাষ করতে পারি কি না চেষ্টা করে দেখতে হবে। 

২। টপ সয়েল বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। 

৩। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভূমি রূপ অনুযায়ী ধান গবেষণা করতে হবে। 

৪। কৃষি উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম কমাতে হবে। 

৫। কৃষিজমি সুরক্ষা আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

৬। হওরের মাছে কৃত্রিম খাদ্য, রোটানলসহ সকল ধরণের কীটনাশক, ভিটামিন ইত্যাদি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। 

৭। নিরাপদ কৃষি বিপনণ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। 

৮। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। 


আরও খবর