Logo
শিরোনাম

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন। এবার জবাব দিলেন কলকাতা ও বাংলা দখল বিষয়ে বক্তব্যের।

এরআগে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা চারদিনে কলকাতা দখল নিতে পারবেন বলেন মন্তব্য করেন। আবার বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী সম্প্রতি বাংলা- বিহার- উড়িষ্যা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আজ সোমবার বিধানসভায় দুটি বক্তব্যের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে ললিপপ খাব না।’

এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে ওই কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। যারা বলছেন, বাংলা-বিহার-উওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। তবে আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে, আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দেই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।’

মমতা বলেন, ‘আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'গোটা বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনো পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) গেছেন। দেখা যাক, কী হয়। আমাদের নীতি হল, আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের মন্তব্য করা থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো অতিরিক্ত মন্তব্য করবেন না, যাতে প্ররোচণার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একই বার্তা রাজ্যবাসীকেও।’

পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘কয়েকটা মিডিয়া যা করছে, তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু আবেদন করছি, যথাযথ থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে।’

বাংলাদেশে অশান্তি বাড়লে শরণার্থী সমস্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে- বিজেপির এমন আশঙ্কার জবাবে মমতা এদিন আবার কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখানে আসতে চাইছেন ওপার থেকে। কিন্তু সেটা বিএসএফ দেখছে। আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে, থানা পুলিশের এস আই,রাকিব ও শাহানুর সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বুধবার ২৫ (ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের চন্দ্র খানা মৌজার কদম তলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক কারবারি অটো চালককে হাতে নাতে আটক করে। আটক ওই মাদক কারবারি নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণা নন্দ বকসি গ্রামের মৃত: বজলে রহমানের ছেলে, হাবিবপুর রহমান (২২)।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আগামীকাল কাল সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ১১-১২ জানুয়ারি ২০২৫ দুই দিনব্যাপী ‘থার্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সমেন্ট অব লাইফ সায়েন্সেস’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন  এবং সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসাইন উদ্দিন শেখর।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল-আউয়াল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। 

সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনফারেন্স এর আহ্বায়ক ও মাভাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।

উক্ত কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতনামা  প্রায় ৫৫০ জন গবেষক  শিক্ষক শিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করেছেন।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব। ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারব। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

তিনি আরও বলেন, ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন তাহলে তাদের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করব।

আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুধু পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করব না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করব। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন না।

দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।


আরও খবর



বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ হলে ভালো হয়- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আপত্তি তোলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তাহলে আবার নতুন করে ভোটার তালিকা করতে হবে। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, প্রথমেই বলে দিচ্ছেন- ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন। ১৮ বছর তো আছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। যদি কমাতে চান, সেটা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। ’

তিনি বলেন, ‘এভাবে না বলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টা আনা উচিত ছিল, এটা ভালো হতো। তাহলে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। মানুষের মনে এখন বেশি করে আশঙ্কা তৈরি হবে, এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে, কালক্ষেপণ হবে। মানুষের মনে ধারণা তৈরি হচ্ছে, আমার না। তাদের মনে ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, কেন যেন এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।’

রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, কেউ যদি দাবি করে আমরা (যারা বর্তমানে সংস্কারের কথা বলছেন) সংস্কার দফা নিয়ে আসছি, এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলছে, আমরা বলছি সংস্কার চলুক, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন করেছে সরকার, কাজ করছেন কিন্তু তারা কাদের সঙ্গে কাজ করছেন? একই সঙ্গে জনগণের কাছে যান, তারা কী চায় জানুন। সংস্কার করেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে অস্থিতিশীলতা অনেকটাই কমে যাবে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকে। কারণ নির্বাচিত সরকারের পেছনে জনগণ থাকে। আমরা সংস্কার চাই, বেশি চাই। তবে দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। ’

সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তারা রাজনীতিবিদদের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন কটাক্ষ করে। রাজনৈতিক দল আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তারা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছে, করে যাচ্ছে। আপনারাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের কথাবার্তা বলছেন না। সহযোগিতা সেভাবে করছেন না।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। শুধু কথা বলেই কাজ হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। সংস্কার তো সবাই চায়, সেই সঙ্গে শান্তি চাই মানুষ, বাঁচতে চায়।


আরও খবর