Logo
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে যে রায় দিয়েছে জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, তা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, গাজায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করা এবং গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ বাঁধার প্রায় দুমাস পর গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার কার্যক্রমের মধ্যেই রাফায় অভিযান স্থগিতের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিল বাদিপক্ষ। সেই আবেদনের জবাবে শুক্রবার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন আদালত।

শুক্রবার জাতিসংঘ আদালতের এই রায়ের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই রায়কে ভুয়া, ভয়ানক এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থীউল্লেখ করে বলা হয়, প্রত্যেক দেশেরই আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণের ভিত্তিতে নিজেদের নাগরিক ও সীমানা রক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইসরায়েল ঠিক তা ই করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাফার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সেখানে অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য সেখানকার শত্রু ঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালানো। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিসাধন নয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির, যিনি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিশেষ আস্থাভাজন এবং ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শরিক রিলিজিয়াস জায়োনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা জাতিসংঘ আদালতের রায়কে সরকারি প্রত্যাখান করেছেন। শুক্রবার আদালতের রায়ের পর ইসরায়েলের ফার্স্ট প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড বেন গুরিয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছেন, ইহুদিদের ভবিষ্যত ইহুদিদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে। অ-ইহুদিদের সিদ্ধান্তের ওপর নয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত সাত মাসের যুদ্ধে গাজায় ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

রাফা শহরটির অবস্থান মিসর-গাজা সীমান্তে। ইসরায়েলি অভিযানের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে প্রাণ বাঁচাতে গত কয়েক মাসে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাফায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি। গত এপ্রিলে প্রথম রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে, চলমান এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুক্তরাষ্ট্রও গাজায় সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে। এমনকি ইসরায়েল এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তিকে আমলে না নেওয়ায় সেখানে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।

সাধারন বেসামরিক ইসরায়েলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশও রাফায় সারিক অভিযানের পক্ষে। যে কোনো মূল্যে তারা হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধার চান।

তেল আবিবের একটি স্টার্ট আপ বিনিয়োগ কোম্পানিতে চাকরিরত ৩৯ বছর বয়সী আদি লেভানন রয়টার্সকে জাতিসংঘ আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সত্যি কথা বলতে, এই রায় হাস্যকর। কারণ আমাদের নারী, পুরুষ, কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন এখন জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করা সবচেয়ে জরুরি। একটি দেশ যখন তার নাগরিকদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনতে চাইছে, তখন তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা নিরর্থক।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



যাত্রীদের জিম্মি করে কর্মসূচি দুঃখজনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যাত্রীদের জিম্মি করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মসূচি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রেন চলাচল বন্ধের পর সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসব কথা বলেন তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে করে রেলের যে রুট গুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, স্টাফদের যে দাবি মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি, তা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। রেলতো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। রেল বন্ধের ফলে কিন্তু সরকারের অসুবিধা হচ্ছে না, অসুবিধা সাধারণ যাত্রীদের হচ্ছে। আমরা চাই এর সমাধান দ্রুত হোক। কারণ সামনে ইজতেমা আছে।

এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে যাত্রীদের জন্য দশটি করে মোট ২০টি গাড়ি প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে বাস আরও বাড়ানো হবে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান। সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।

এর আগে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবীরা জানান, সব নিয়ম মেনেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেননি আদালত।


আরও খবর



২৭শে মাঘ মইন বাবার ৮৮ তম খোজরোজ শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার বৈশ্বিক রূপদানকারী,শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউসুল ওয়ারা আলহাজ্ব আল্লামা শাহসূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল -হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ কেবলা কাবার ৮৮ তম খোজরোজ শরীফ এবং 

মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সালানা জলসা

৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি -২০২৫

রবিবার ও সোমবার 

➡️ছদারত ও আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন:

মুর্শিদ কেবলার স্থলাভিষিক্ত,খেলাফতপ্রাপ্ত আওলাদ,রাহ্বারে শরীয়ত ও ত্বরীকত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ

আল -হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী মদ্দাজিল্লহুল আলী

সাজ্জাদানশীল - দরবারে গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম

কেন্দ্রীয় সভাপতি - আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।

➡️এই বরকতময় মহা খোজরোশ শরীফে জাতি -ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই আমন্ত্রিত।

যোগাযোগ: গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মঞ্জিল , মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ, ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম।

➡️ব্যবস্থাপনায়: আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।

➡️ সৌজন্যে: হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বিষ, মাস্ক পরার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পর্যাপ্ত পানি ছিটানো ও কার্যকর পদক্ষেপ নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের । রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিষাক্ত বাতাস। বায়ুদূষণের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানসহ বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিবছরই বায়ুদূষণ তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এবারও শীতের শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যায় যেন ধুলার রাজ্য। ধুলাবালির কারণে সড়কের পাশের গাছগাছালিও ধসর রঙ ধারণ করেছে। অথচ পর্যাপ্ত পানি ছিটিয়ে এ ধুলাবালি কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া যারা চলাচল করে নগরীতে তাদের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এমন পরিস্থিতিতে বাইরে যেতে শঙ্কিত হন। এমন পরিস্থিতিতে ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে পানি ছিটানোর এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়।

 নামেমাত্র ছিটানো পানি ২০ মিনিট পর শুকিয়ে যায়। পরে আবার উড়তে থাকে ধুলা। ঢাকার দুই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বায়ুদূষণ রোধে পানি দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গাড়িতে করে পানি ছিটানো হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ছিটানো পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। অনেক এলাকার সড়ক ছোট হওয়ায় পানি ছিটানো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে বৃষ্টি না থাকায় দূষণ বাড়ছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর উপরে। গতবছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের মান অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তসত্তা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। গত বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ৪১৪। যা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। ছোট শিশুরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছর পিএম ২.৫ সংশ্লিষ্ট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বের দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক গড় মান ছিল ৭৯ দশমিক নয় মাইক্রোগ্রাম; যা বার্ষিক জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। সিআরইএর মতে, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মান (৩৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) পূরণ করা সম্ভব হলেও মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কালজনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতা নিয়ে বসবাসের বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।

ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি শুধু মানবদেহকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই, এ মুহর্ত থেকেই দূষণ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং নীতিমালা গ্রহণ করা না হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বায়ুদূষণের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারের উন্নয়ন দর্শনে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এজন্য আইন সংস্কারসহ এর কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। সরকার বায়ুদূষণের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শুধু পানি ছিটিয়ে দায় ছাড়ছে। সরকার যদি বায়ুদূষণকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করত, তাহলে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হতো। ঢাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নই বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। গাছ কমে যাওয়া, নদী দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার মতো ধ্বংসাত্মক কাজ চলছে। এসবের কারণেই বায়ুদূষণ হয়। বায়ুদূষণের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত না করে সরকার শুধু দায় এড়ানোর জন্য পানি ছিটানোর আশ্রয় নিয়েছে।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মারা গেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কে এম শফিউল্লাহর সহকারী জিয়াউল হাসান মনির।

নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫