Logo
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তামিম

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও এরপর আর খেলা হয়নি তামিমের। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তিনি সরিয়ে নেন নিজেকে। এরপর থেকে তার জাতীয় দলে ফেরার সময় নিয়ে অনিশ্চয়তার পেন্ডুলাম দুলছিল। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু হয় আবারও। সেই পরিস্থিতিতেই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’

তামিমের পোস্টের বাকি অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিপিএল ফাইনালে তামিমকে সম্মাননা দেবে বিসিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আরেকটি বিপিএলের শেষ পর্যায়ে এসে তামিম ইকবাল প্রকাশ করেছেন পরবর্তী বিপিএলেও খেলার তার আগ্রহ রয়েছে। এটি হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!

শুধু বিপিএল নয়, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলতে চান তিনি। সুতরাং বাংলাদেশ দলের জার্সি না পরলেও এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না তামিম। তবে গুঞ্জন সত্যি হলে অদূর ভবিষ্যতে যদি তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, সেটি হবে ভিন্ন কথা।

জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তার হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তার মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।

তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। তবে এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ৬ জানুয়ারির পর কুঁড়িগ্রাম ও নওগাঁ সীমান্তের ওপারেও কাঁটাতারে বেড়া তৈরির চেষ্টা করে বিএসএফ। মোট পাঁচটি পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ করে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) । তবে বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ।

উত্তেজনার সময় বাংলাদেশের সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশে সীমান্তে টহল বাড়িয়ে দেয়। বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষও পাহারায় অংশ নেয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই এবং পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “সীমান্তে সংঘর্ষ: বাংলাদেশি আহত ১: ভারতের নিহত ১৮ জন”। উক্ত ফটোকার্ড প্রচার করা কিছু পোস্টের ক্যাপশনে দাবিকৃত নিহত ১৮ জন সদস্যকে বিএসএফ সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো সংঘর্ষে ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করলে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে৷ তবে, প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটিতে এমন কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোর উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা থেকে বুঝা যায় যে আলোচিত ফটোকার্ডটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।

তবে, কিছু পোস্টের মন্তব্য সেকশনে দৈনিক নগর বার্তা নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করলে কথিত সংবাদটির ফিচারে আলোচিত দাবির ফটোকার্ডটির সংযুক্তি পাওয়া যায় যেখানে লেখা রয়েছে ‘বিস্তারিত কমেন্টে’।

কথিত এই সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‌গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত এক সশস্ত্র সংঘর্ষে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাংলাদেশি এক বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, এবং ভারতের ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত: সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে কিছুক্ষণ অবস্থান করছিল। বিজিবি এ বিষয়ে আপত্তি জানালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। বাংলাদেশি পক্ষের বক্তব্য বিজিবি’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রথমে গুলি চালানো হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে ভারতের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারতের আজাইরা প্রতিক্রিয়া: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তাদের বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র অবস্থায় সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ অভিযোগ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও লালমনিরহাটে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার বিষয়ে জানা গেছে। এর সঙ্গে সীমান্তে কোনো সংঘর্ষের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। গত ১১ জানুয়ারিতে দেশের একটি প্রথম সারির সংবাদ পত্রে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ১০ জানুয়ারি রাতে উপজেলার আজমতপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (২২)। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল নিয়ে আসার পথে ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

এছাড়া, গত ১৩ জানুয়ারি আরেকটি সংবাদ পত্রে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর সাব পিলারের কাছে কাশিরডাঙ্গা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু আনছিলেন ৫-৬ জনের চোরাকারবারি দল। এ সময় সীমান্তে টহলরত ভারতের ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে শহিদুলের পায়ে গুলি লাগে। তার সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং রংপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

তবে, উক্ত কোনো ঘটনাতেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ বা ১৮ জন বিএসএফের নিহতের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষে ১৮ জন ভারতীয় বা বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মানসিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সফরসঙ্গী ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকায় তিনি মানসিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসা ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এ মুহূর্তে তিনি তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয় সেগুলো করানো হচ্ছে। ডাক্তাররা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

বিএনপির এই নেতা জানান, বাসায় খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান ও তিন নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন।

গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। প্রায় ১৭ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর গত ২৪ জানুয়ারি রাতে খালেদা জিয়া ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার বারবার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই সুযোগ দেয়নি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার পথ খুলে যায়। এছাড়া বিভিন্ন মামলা থেকেও তিনি পর্যায়ক্রমে খালাস পাচ্ছেন।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে ছেলের বাসায় খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ ১৭ দিন যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসায় তার স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হওয়ায় ডাক্তাররা আপাতত তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা) খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যান তার বড় ছেলে তারেক রহমান।

এর আগে, তারেক রহমান লন্ডনের স্থানীয় সময় বাদ এশা বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রিকলেন মসজিদ প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর জন্য অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে আগের দিন বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন স্থানীয় সময় রাতে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার ডাক্তাররা প্রতিদিনই নতুন করে কম বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন। সব রিপোর্ট শুক্রবার রাতের মধ্যে হাতে আসবে। সব ভালো থাকলে তখন উনার (খালেদা জিয়া) ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ডাক্তাররা তাকে ছুটি দেন তিনি সার্বক্ষণিকভাবে প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকবেন।

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। কারণ তার বয়সটা একটা বিবেচ্য বিষয়। তাছাড়া জেলে রেখে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তখন বিদেশে নিয়ে আসা গেলে আরও হয়তো দ্রুত সুস্থ করা যেত। এখন আমাদের চিকিৎসকদের বক্তব্য হচ্ছে, আগে হলে হয়তো উনার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেত।

তিনি বলেন, ওষুধের মাধ্যমে তার যে চিকিৎসা চলছে তা অব্যাহত রাখার জন্য সব চিকিৎসক একমত এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ আরও জানান, বর্তমানে খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, প্রেশার, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস- প্রতিটির জন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। আপাতত ওষুধের মাধ্যমেই তার চিকিৎসা চলবে। এর বাইরে আরও যদি কোনো চিকিৎসা করা যায়, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হসপিটালের মেডিকেল টিমের সদস্যরা এখানে মেডিকেল বোর্ডের সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। যাতে আমরা এটাকে এক ছাদের নিচে চিকিৎসা বা ওয়ান আমব্রেলার (ছাতা) নিচে; অর্থাৎ ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মতো, সেটা করার ব্যাপারে উনারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

এদিকে লন্ডন দ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে প্রতিদিন বাসা থেকে খাবার নিয়ে দেওয়া হতো। ছেলে তারেক রহমান, পূত্রবধূ জুবাইদা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান তাকে নিয়মিত দেখাশোনা করতেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রতিদিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকতেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। সেদিন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিক’–এ নিয়ে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেল এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে চলাচল করবে। ফলে বন্ধের দিন মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ল।

বুধবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত নতুন সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সময়সূচিতে জানানো হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার পরিবর্তে ৩টা থেকে মেট্রো চলাচল করবে। সেই হিসেবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টায় ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়বে।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। উভয়দিকের চলাচলে প্রতি ট্রেনের মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট।

আরও জানানো হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একই সঙ্গে র‌্যাপিড পাস কেনা এবং এমআরটি বা র‌্যাপিড পাসে টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেল চলাচলের অন্য সব কার্যক্রম আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫