Logo
শিরোনাম

আসছে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকটি নির্দেশনা ও শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ সব নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতে মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনে দেখা দিয়েছে আর্থিক অনটন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে চায় সরকার। একারণে আইএমএফের নির্দেশগুলোর সবদিক বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সরকার ধীরে চল নীতি গ্রহণ করেছে।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন বৈঠক এবং একাধিক সরকারি সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। এছাড়া জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে হবে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেলে চাপে পড়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করে সরকার। তবে এই ঋণ যেন যথাসময়ে পরিশোধ হয়, সেজন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এসব নির্দেশনা মানায় এরই মধ্যে ঋণের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছে সরকার।

তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে এসবের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প ও মাঝারি আয়ের পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মানুষকে এই আর্থিক কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দিতে এবার আইএমএফের নির্দেশনাগুলোকে পাশ কাটাতে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার চাইলেও আগামী বাজেটে ভর্তুকি খুব বেশি কমাতে পারবে না। কারণ চাপে থাকা অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাতে ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না। আইএমএফের চাপ ও শর্ত সত্ত্বেও না, এমনই ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এই আকার ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ভর্তুকির আকারও বাড়ানো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি। কিন্তু আসন্ন বাজেটে এই পরিমাণ ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস খাতে চলতি অর্থবছর ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বাজেটেও ভর্তুকি এই পরিমাণ অব্যহত থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরেও এই খাতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা আরো ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এই খাতে ভর্তুকি আরো বাড়তে পারে।

সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল অন বাজেট ম্যানেজমেন্ট, কারেন্সি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেটের এক সভায় বিদ্যুৎ সচিব বলেছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর কথা থাকলেও গতমাসে তা বাড়ানো হয়নি। আগামী দুমাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সে সময় অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা সভা শেষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। এর বাইরে কৃষি উৎপাদনকে প্রাধান্য দিয়ে সারে ভর্তুকিও বাড়তে পারে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেছেন, বিশ্ববাজারে সারের দাম কিছুটা কমলেও এখন পর্যন্ত কোভিডপূর্ব মূল্যে ফিরে আসেনি। ফলে এই খাতে ভর্তুকি বাড়বে। বর্তমান বাজেটে এই খাতের জন্য বরাদ্দ আছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ভর্তুকিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়াসহ সরকার পরিচালিত খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) এবং ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচিগুলোর সরবরাহ ঠিক রাখতে এই বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এছাড়া বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার মতো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার বাড়ানো হচ্ছে। শুধু উপকারভোগীর সংখ্যাই নয়, মাসিক ভাতার হারও বাড়ানো হচ্ছে এসব খাতে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা এখন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে।


আরও খবর



কেরালায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে ২২ জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

ভারতের কেরালায় দোতলা একটি হাউসবোট উল্টে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যটির মালাপ্পুরম জেলার উপকূলীয় শহর তানুরের সৈকতের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, থুভালথিরাম সৈকতের কাছে নোঙর করা হাউসবোটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উল্টে যায়, অতিরিক্ত মানুষের ভারে এ ঘটনা ঘটে।

বোটটিতে টিকিটধারী ৪০ জন থাকলেও টিকিট ছাড়া অনেকে ছিলেন। তবে ঠিক কতজন ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বোটটির নিরাপত্তা ছাড়পত্রও ছিল না বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

মালাপ্পুরম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল নজর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত যাত্রীর ভারেই বোটটি ডুবে গেছে। উদ্ধার করার পর ১০ জনের মতো যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরো অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কেরালার মৎস ও বন্দর উন্নয়নমন্ত্রী ভি. আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বোটটি ঘোলা পানিতে আটকা পড়ে। এর ভেতরে যারা আটকা পড়ে আছেন তাদের উদ্ধার করতে বোটটিকে টেনে আনা হয়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেরালার রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করে। তারা পানির নিচে ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালান।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের অনেকেই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিলেন না।

এ ঘটনায় ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


আরও খবর



যে নিয়ম মানলে চুল পড়া বন্ধ হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলেও এর প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়স মাত্র ত্রিশ পার হলেই দেখা দেয় বলিরেখা, টাক পড়ার মতো সমস্যা। তাই বয়স ত্রিশ পার হওয়ার আগেই ত্বক ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় থেকে যত্ন না নিলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় টাক পড়ার সমস্যাও। মাথায় টাক পড়ার সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম :

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে

বাইরের খাবার যতই এড়িয়ে চলতে চান, তবু নানা কারণে সপ্তাহে অন্তত দুই-একবার খেতেই হয়। বলা বাহুল্য, বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। আর এ ধরনের খাবার খেতে ভালোলাগে ঠিকই, খাওয়ার পরে শরীরে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মক। তাই বাইরে খাবার খাওয়া যদি একান্তই এড়াতে না পারেন, তবে সতর্ক হোন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, শস্য, পানি ইত্যাদি যোগ করুন।

পানির ঘাটতি পূরণ করুন

চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই পানি। তাই পানি এবং তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার

চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও। বাড়িতে থাকা নানা উপকারী উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বলে সেসব উপাদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। তাই চুল ভালো রাখার জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

বয়স ত্রিশ পার হলে অনেক রকম দায়িত্ব চলে আসে। সেসব পালন করতে গিয়ে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের চুলেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের হেয়ার ফলিকলে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান থাকে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক থাকে তবে চুল ভালো রাখা সহজ হয়। চুলের ঘনত্বও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকভাবে হয়। যে কারণে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে হয়।

তথ্য : রিমিস ড্রিম


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




নিয়ন্ত্রণের বাইরে কানাডার দাবানল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের দাবানল ভয়ানক থেকে আরও ভয়ানক হচ্ছে। দাবানলের কারণে ওই প্রদেশের অনেক বাসিন্দা সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি, আকাশ শক্তিসহ সব উপায় ব্যবহার করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শুধু তাই নয়, সামনের কয়েকদিন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

বুধবার পর্যন্ত নোভা স্কোটিয়ায় ১৩টি দাবানলের আগুনে পুড়েছে ২০ হাজার হেক্টর অঞ্চল। ১৩টি দাবানলের মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হ্যালিফেক্সের ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলের ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ২০০টিরও বেশি অবকাঠামো। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলো বাড়ি-ঘর। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উষ্ণ, শুষ্ক এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে টানটালোন কমিউনিটির কাছে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে ৮৩৭ হেক্টর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। এর অর্থ হলো ক্লান্ত দমকলকর্মীরা সহজেই মুক্তি পাচ্ছেন না।

হ্যালিফ্যাক্সের আঞ্চলিক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগের উপপ্রধান ডেভ ম্যালড্রাম জানিয়েছেন, দমকলকর্মীরা গত চারদিন ধরে প্রায় সবকিছু ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নোভা স্কোটিয়ায় প্রতিবছরই দাবানল দেখা যায়। তবে সেগুলো সাধারণত কয়েকশ একর অঞ্চল পুড়িয়েই নিভে যায়। কিন্তু রেকর্ড ভাঙা ব্যারিংটন লেকের দাবানল ২০ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে এবং এটি এখনো ছড়াচ্ছে। নোভা স্কোটিয়ায় এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সে বছর ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল।

আগুন নেভানোর জন্য প্রদেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে সেটি দিয়ে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নোভা স্কোটিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পরিচালক। এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে অবকাঠামো বাঁচানোর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর



উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে মোখা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে।

সকাল ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিপ-পূর্বে এবং মোংলা বন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-উত্তপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল নাগাদ মোখা মিয়ানমারের সিত্তের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শেষ করে পুরাপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




কানাডায় ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যালিফ্যাক্সে দাবানলের কারণে হাজার হাজার বাড়িঘর বাধ্যতামূলকভাবে খালি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

হ্যালিফ্যাক্স শহরের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেছেন, বাড়িঘর খালি করার আদেশ দেওয়ার কারণে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার জারি করা এই আদেশে হ্যামন্ডস প্লেইনস, আপার ট্যান্টালন এবং পকওক এলাকাও কভার করেছে। শহরতলির এই এলাকাগুলোতে এমন মানুষই বেশি থাকেন যারা শহরে শ্রমিকের কাজ করেন এবং এটি হ্যালিফ্যাক্স শহর থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত। জঙ্গলে ঘেরা আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা সারারাত অস্বস্তির মধ্যে কাটিয়েছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের দাবানল পরিস্থিতিকে - যেখানে হ্যালিফ্যাক্স অবস্থিত - অবিশ্বাস্যভাবে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার প্রয়োজনে যে কোনও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

এদিকে দাবানলের কারণে সপ্তাহান্তে নিউ ব্রান্সউইক প্রদেশে প্রায় ৪০০টি বাড়ি থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিউ ব্রান্সউইকের সেন্ট অ্যান্ড্রুসের মেয়র ব্র্যাড হেন্ডারসন সোমবার বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতির অগ্রগতি হলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

হ্যালিফ্যাক্স রিজিওনাল ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সির ডেপুটি চিফ ডেভ মেলড্রাম সোমবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ট্যান্টালন এবং হ্যামন্ডস প্লেইন এলাকায় আগুন জ্বলছে। আগুনের কারণ এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু বা আহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

মেলড্রাম আরও বলেছেন, প্রায় ১০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী সারারাত আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছেন। একইসঙ্গে জরুরি কর্মীদের সামনে অনেক দিন ব্যাপক কাজ করেতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, দাবানলের কারণে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রোববার রাতে শহরটি স্থানীয় ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি স্কুলও বন্ধ করে দেয়। জারিকৃত এই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া না হলে বা আরও বাড়ানো না হলে আগামী সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে বলে পৌরসভা জানিয়েছে।

এর আগে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। একইসঙ্গে দাবানল মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সামরিক সহায়তার অনুরোধও জানিয়েছিল প্রদেশটি।


আরও খবর