Logo
শিরোনাম

আসছে বিদ্রোহী কবির বায়োপিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিনোদন ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে কলকাতায়। জাতীয় কবিকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মান করছেন পরিচালক আব্দুল আলিম।

 এতে কাজী নজরুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ‌।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ‌ বলেন, ‘এই প্রথম নজরুলের জীবন নিয়ে বায়োপিক হচ্ছে। 

নজরুলের পুরো জীবনকেই তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে। আমি সত্যিই এক্সাইটেড এই সুযোগ পেয়ে। প্রথমে সিনেমার চিত্রনাট্য পড়ে দেখি আমি।

চরিত্রটাই খুব চ্যালেঞ্জিং। যার নাম শুনে বড় হয়েছি, তাকে নিয়ে এমন একটা ছবি হচ্ছে, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি, ভাবতেই কেমন লাগছে! এটুকু বলতে পারি, আমরা নজরুল সম্পর্কে যেটুকু জানি, তার থেকে অনেক বেশি কিছু আছে এই ছবিতে।’ 

জেবি প্রোডাকশনের ব্যানারে বায়োপিকটি প্রযোজনা করবেন জাহানারা বেগম। এছাড়া স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সৌগত বসু এবং এ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন জয় সরকার।

নজরুলের এই বায়োপিকে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন খরাজ মুখোপাধ্যায় (ফজলু‌ল হক), কাঞ্চনা মৈত্র (বিরজাসুন্দরী দেবী)-সহ আরও অনেকে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের কয়েকজন অভিনেতাও এই ছবিতে অভিনয় করতে পারেন বলে কিঞ্জল জানিয়েছেন।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এনএইচকে) দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, নতুন যে সরকার আসবে তাদের কাজ করার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ এবং শক্তিশালী ভিত্তি থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যে পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদে বসেছিলেন সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এসেছিলাম তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমার মনে হয় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, কারণ এটা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটা সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যা করতে চায় তা হলো তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তা জানিয়ে দেওয়া। তাই আমাদের মনে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।

তিনি দেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাইব্রিড মডেলে ম্যাচটি হবে দুবাইয়ে।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ। এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের টিকিট বিক্রি শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই নয়, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ভারতসহ চারটি ম্যাচের সব টিকিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

আইসিসির সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না, ফলে কেবল আইসিসির ইভেন্টেই তাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এর ফলে এই ম্যাচের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়েছে।

টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায়। অনলাইন ও বুথের দুই মাধ্যমেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল। তবে চাহিদার তীব্রতার কারণে অনেক সমর্থকই টিকিট পাননি।

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পন্ত, শুভমান গিল, ওয়াশিংটন সুন্দর, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, আর্শদীপ সিং, মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা।

পাকিস্তানের স্কোয়াড : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আলী আগা (সহ-অধিনায়ক), বাবর আজম, ফখর জামান, কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, তৈয়ব তাহির, আবরার আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান খান।


আরও খবর



টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত, গোপনে ঢাকায় ব্রিটিশ দল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও ব্রিটেনের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-এনসিএ। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গোপনে ঢাকা সফর করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন।

শনিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ত মাসের বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এনসিএর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ তথ্য প্রকাশের ফলে টিউলিপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল রেকর্ড খতিয়ে দেখার, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের এই সাবেক নগরমন্ত্রী ও তার মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তিন দশমিক নয় বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগে তদন্ত চলছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপও।

বাংলাদেশের এক সরকারি সূত্র সংবাদপত্রটিকে জানায়, এনসিএ ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের দ্বারা টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে এনসিএ।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যুক্তরাজ্যে ২০১০ সালের ঘুষ আইনের অধীনে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের আয়োজিত এই বৈঠকের জন্য এনসিএই অনুরোধ করেছিল।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে এনসিএ বাংলাদেশে এসেছিল। সে সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে চুরি যাওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রস্তাব দেয়, যা ব্রিটেনের মতো দেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্র : মেইল অন সানডে


আরও খবর



শবেবরাতে করণীয় আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শবেবরাত একটি মর্যাদাপূর্ণ রাত। ১৪ শাবান দিবাগত রাত তথা ১৫ শাবানের রাতকে হাদিসের ভাষায় ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়। যা আমাদের সমাজে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত।

‘শবেবরাত’ মূলত ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত।

বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

শবে বরাতে করণীয়

ফরজ ইবাদতে অবহেলা নয় : এই রাতে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত। খেয়াল রাখা জরুরি, রাত জেগে নফল ইবাদতের কারণে ফজরের নামাজ যেন ছুটে না যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম: ৬৫৬)

দীর্ঘ সেজদার নফল নামাজ : শবেবরাতের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির-আজকারে কাটানো উচিত। এক্ষেত্রে নবীজির সুন্নত অনুযায়ী আমল করা কর্তব্য। সুন্নতের বাইরে গিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি কোনোটাই করা উচিত নয়। প্রিয়নবী (সা.) এই রাতে দীর্ঘ সেজদায় নামাজ আদায় করতেন। তাই আমরাও এই রাতে তাহাজ্জুদসহ বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়ের চেষ্টা করব। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন—‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো- তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন?

আমি উত্তরে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)

দোয়া ও ইস্তেগফার : এই রাতে দোয়া ও ইস্তেগফার করা খুবই ফজিলতপূর্ণ আমল। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন রয়েছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।— ১. জুমার রাত। ২. রজব মাসের প্রথম রাত। ৩. শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত (শবে বরাত)। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত। ৫. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজজাক: ৭৯২৭) এছাড়া রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (সা.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে এবং শবেবরাতেও পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

কবর জিয়ারত : এই রাতে দলবদ্ধ ছাড়া একাকীভাবে কবর জিয়ারতে কোনো সমস্যা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) চুপিসারে একাকী জান্নাতুল বাকিতে কবর জিয়ারত করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন- ‘এক রাতে হজরত রাসুল (স.)-কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? আয়েশা (র.) বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল— আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসে, তখন আল্লাহ তাআলা এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরির পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৩৯)

আইয়ামে বিজের রোজা : ‘শবেবরাত’ উপলক্ষে বিশেষ কোনো রোজা না থাকলেও কেউ চাইলে আইয়ামে বিজের রোজা রাখতে পারেন। প্রত্যেক মাসেই আইয়ামে বিজের রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল। প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। আবু জর ও কাতাদা ইবনে মিলহান (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (স.) আইয়্যামে বিজ তথা শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতে বলেছিলেন।’ (তিরমিজি: ৭৬১; নাসায়ি: ৪/২২৩-২২৪; ইবনে মাজাহ: ১৭০৭-১৭০৮; আবু দাউদ: ২৪৪৯)

দান-সদকা : এই রাতে দরিদ্রদের সাহায্য, জাকাত ও দান-সদকা করা সুন্দর একটি আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে বান্দাদের দান-সদকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এক আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দান করেছি, তা থেকে তোমরা ব্যয় করো সেই দিন আসার আগে, যেদিন কোনো ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না, কোনো বন্ধুত্ব কাজে আসবে না এবং সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৫৪)

সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রাখা : দোয়া কবুলের রাতেও মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারীরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। তাই মন থেকে হিংসা দূর করে দিতে হবে। বিশেষত উম্মাহর পূর্বসূরি ব্যক্তিদের সম্পর্কে অন্তর পুরোপুরি পরিষ্কার থাকা অপরিহার্য, যাতে রহমত ও মাগফেরাতের সাধারণ সময়গুলোতে বঞ্চিত না হতে হয়।’ (লাতাইফুল মাআরিফ পৃ. ১৫৫-১৫৬)

কোরআন তেলাওয়াত : শবেবরাতে কোরআন তেলাওয়াত একটি সুন্দর আমল। কোরআন তেলাওয়াতের চেয়ে উত্তম কোনো জিকির নেই। তাই ফজিলতপূর্ণ এই রাত তিলাওয়াতে কাটানো উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহর খাস পরিবারভুক্ত।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২২৯২) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে অন্তরে কোরআন নেই, তা যেন পরিত্যক্ত বিরান বাড়ি।’ (তিরমিজি: ২৯১৩) ‘হাশরে বিচারের দিনে কোরআন তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী হবে।’ (মুসলিম: ২২৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শবেবরাতে সুন্নত অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আইন ও বিচার উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বললেন, পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসবে কান না দিতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল লিখেছেন, পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসবে কান দিবেন না। আমরা সবাই ভাল আছি। নিজ নিজ জায়গায় আছি। আলহামদুলিল্লাহ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিভিন্নজনকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

‌‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা পালিয়ে গেছেন’, ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন’, ‘সামরিক বাহিনী সরকার গঠন করছে’, ‘সমন্বয়করা পালিয়ে গেছেন’- এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াতে দেখা যায়।

মূলত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নামে খোলা বিভিন্ন পেজ থেকে এসব অপতথ্য ছড়ানো হয়। এসব ভুয়া তথ্য আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতারাদের শেয়ার করতেও দেখা যায়।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫