Logo
শিরোনাম

আসছে নতুন ব্ল্যাক প্যান্থার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও ওয়াকান্ডায় ফিরতে প্রস্তুত। মানে, আবারও পর্দায় আসতে চলেছে ব্ল্যাক প্যান্থার। মার্ভেল স্টুডিও অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেনি। তবে অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন গত মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিরিজের তৃতীয় সিনেমা আসছে। সেখানে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করবেন।

অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল নাইনের টুডে শোতে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ ছবির প্রচারের অংশ হিসেবে কথা বলতে গিয়ে ওয়াশিংটন এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পরিচালক রায়ান কুগলার পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমার জন্য তার জন্য একটি চরিত্র লিখছেন। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটির কাজ শুরু হবে, সে নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। আভাস দেননি, এতে অন্যান্য শিল্পী কারা থাকবেন সে ব্যাপারেও।

ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াশিংটন বলেন, ‘জানি না আরো কত সিনেমা করতে পারব। তবে ক্যারিয়ারের এ সময় এসে শুধু সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। হয়তো খুব বেশি সিনেমা করা হবে না। কিন্তু এমন কিছু করতে চাই যা আমি আগে কখনো করিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২২ বছর বয়সে ‘ওথেলো’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি। এখন ৭০ বছর বয়সে আবারও সেটা করতে যাচ্ছি। তারপর আমি হ্যানিবাল চরিত্রে অভিনয় করব। আমি স্টিভ ম্যাককুইনের সঙ্গে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলছি, সেটাও বড় কাজ হবে। এরপর রায়ান কুগলার আমার জন্য পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবিতে একটি চরিত্র লিখছেন।

‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ মার্ভেলের অন্যতম সিগনেচার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমাটি চাডউইক বোসম্যান, লুপিতা নিয়ং’ও এবং মাইকেল বি. জর্ডানের অভিনয়ে শুধু সমালোচকদের প্রশংসাই লাভ করেনি বক্স অফিসেও বিশাল সাফল্য পেয়েছিল। ১.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল সেই সিনেমাটি, যা ছিল অপ্রত্যাশিত।

বোসম্যান ২০২০ সালে ৪৩ বছর বয়সে মারা যান। তারপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিক্যুয়েলটি প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এটি ওয়াকান্ডা এবং তার মানুষের গল্প চালিয়ে নেওয়ারও একটি উপায় ছিল। এটি বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করে।


আরও খবর



মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দুই দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়।

প্রথা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না।

ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অপরদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার কেনাবেচার পর ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কোনো লেনদেন হয় না। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন না হলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



নির্বাচনে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বললেন, কাজ করতে গিয়ে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করবে না।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। এসময় ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অসচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে, মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে তা এবার কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নওগাঁয় অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার ৭ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটেরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ৫শ' অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র নওগাঁ বাংলাদেশ সংযুক্ত ফেডারেশন ও বহুমূখী শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ শত অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম রবীন শীষ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আশেকুর রহমান, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা প্রকৌশলী মাহবুব রহমান প্রমূখ।


আরও খবর



আট আনায় বিক্রি হচ্ছে ১ পিছ ফুলকপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়ছে তাদের। পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি সর্বনিম্ন আট আনা ও সর্বোচ্চ দেড় থেকে ২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে এসেই পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতি পিস ফুলকপির দাম সর্বনিম্ন আটা আনা। এরপরেও অনেকেই অপেক্ষা করে ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক আসলও উঠে আসছে না। সবজির দামে ভোক্তারা স্বস্তি পেলেও খরচের টাকা তুলতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন তারা। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতীয় এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে এমন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন তারা।

ফুলকপি বিক্রি করতে আসা আকবর হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনই ফুলকপি ১ থেকে টাকা ২ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কপি কেনার মতো লোক নেই। এক বিঘা জমির কপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে আমরা কি করে চলব। ধার-দেনা করে ফুলকপি চাষ করেছি। সেই টাকাই তো পরিশোধ করা সম্ভব নয়।

এনামুল হক নামে আরেক ফুলকপি বিক্রেতা বলেন, এক বিঘা ফুলকপি চাষ করেছি। প্রতি কপির গাছে ৬ থেকে ৮ টাকা খরচ হয়েছে। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে আট আনা, ১ টাকা, দেড় টাকা করে। বিক্রি করে ভ্যান খরচের টাকায় উঠবে না। এমন বাজার দেখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনও জমিতে যে ফুলকপি আছে সেগুলো গরুকে দিয়ে খাওয়াই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভবনা।


আরও খবর