Logo
শিরোনাম

আত্মিক জ্ঞান ও বাহ্যিক জ্ঞান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৫০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সৃষ্টি জগত দুভাগে বিভক্ত। বস্তুজগত ও আত্মিক জগত। বস্তু বা দৃশ্যমান জগতের সাথে আমরা দৈহিক ভাবে নানা কলা- কৌশল তথা নিয়ম পদ্ধতির মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকি। পক্ষান্তরে আত্মিক বা অদৃশ্য জগত হলো অত্যন্ত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও রহস্যময় জগত। এই জগতের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বস্তুজগত বা দৃশ্যমান জগতের যোগাযোগ মাধ্যম সম্পূর্ণ অচল। একমাত্র পরিশুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত আত্মার সাহায্যেই আত্মিক জগতের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করা যায়। বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগেও আমরা অনেকেই আত্মিক জগত সম্পর্কে নানা মত পোষণ করে থাকি। এও মনে করি যে, আত্মিক জগত সম্পর্র্কে চিন্তা করারও কোন প্রয়োজন নেই, আর তা করলে ঈমানহারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃত্যুর পরই কেবল সে জগতের প্রশ্ন আসে। আবার অনেকেই মনে করে থাকি যে, আত্মিক জগত শুধু কল্পনারই জগত ইত্যাদি। প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টির সুচনালগ্ন থেকেই মহান আল্লাহর পক্ষ হতে আগত নবী-রাসূলগণ ও পরে তাঁদের উত্তরসূরী অসংখ্য মহামানব এবং তাদের অনুসারীগণ আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন, তাঁরা মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর প্রিয়তম বন্ধু হযরত রাসূল (সঃ)-এর দিদার লাভে ধন্য হয়েছেন। জেনেছেন স্রষ্টা ও সৃষ্টির রহস্য। কিন্তু বিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির যুগেও আত্মিক জগতের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত নই, এটা আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতা। আর এজন্য পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “যে ইহলোকে অন্ধ সে পরলোকেও অন্ধ এবং আরো বেশী পথভ্রষ্ঠ”(সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত-৭২)।

দেহ আর আত্মার সমন্বয়েই মানুষ। আত্মা ছাড়া দেহ মৃত লাশ। আর প্রত্যেক মানুষ মূলতঃ দুটি দেহের অধিকারী। একটি তার জৈবিক বা জড় দেহ যা রক্ত মাংস ও হাড্ডিযুক্ত, অপরটি হচ্ছে আলোক বা ইথারিক দেহ যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু আলোক দেহধারীর ছবি দেখা যায় ও তার কথাও শোনা যায়। ওই দেহধারীর বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই টেলিভিশন নামক যন্ত্রে। টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে একজন জড় দেহের মানুষকে আধুনিক বিজ্ঞানের কলা কৌশলের মাধ্যমে ইথারিক বা আলোক দেহে রূপান্তরিত করে সমগ্র বিশ্বে ইথার তথা তরঙ্গে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে টেলিভিশন নামক গ্রাহক যন্ত্রের দ্বারা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে তাৎক্ষণিক জড় দেহধারী ব্যক্তির আলোক দেহ দেখা যায় ও তার কথাও শোনা যায়। টিভিতে আমরা যে ছবি দেখি তা ধরা ছোয়ার বাইরে। কিন্তু তার ছবি ও কথা কোনটিই মিথ্যা নয়। এতো সামান্য জ্ঞানের অধিকারী মানুষের আবিস্কারকৃত কলা কৌশলের ফল। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেটএর সাথে আলোকময় জগতের যোগাযোগ পদ্ধতির অনেকটা সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন, একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশন সংযোগ করে ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন দেশের খবরাখবর নেয়া ও ছবি দেখা যায়। তেমনি ডিস এ্যান্টিনার মাধ্যমে টেলিভিশন নামক যন্ত্রে বিশ্বের খবরাখবর নেয়া ও ছবি দেখা যায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যদি গভীর ভাবে চিন্তা করি তা হলেই আত্মিক জগতের চিত্র আমাদের সামনে অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যায়। তবে এইযে জাগতিক কলাকৌশলের বিষয়ে আলোচনা করলাম এগুলো হলো মহান আল্লাহ্ পাকের সৃষ্টি ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষের আবিস্কার যা জাগতিক জ্ঞানের ফসল। অপরদিকে আত্মিক জগতের সাথে যোগযোগ করতে হলে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর এই আত্মিক জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সবিস্তারে বর্ণনা রয়েছে।

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব আল্লাহ্রই এবং সব কিছুকে আল্লাহ্ পরিবেষ্টন করে আছেন” (সূরা নেসা, আয়াত-১২৬)। অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,“তিনি (আল্লাহ্) যাকে ইচ্ছা হিকমত(বিশেষ জ্ঞান)প্রদান করেন এবং যাকে হিকমত প্রদান করা হয় তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় এবং বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শুধু শিক্ষা গ্রহণ করে” (সূরা বাকারা-২৬৯)। প্রথমোক্ত আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ্ পাক বিশ্বজাহানের মালিক এবং সমগ্র বিশ্ব জগত তিনি পরিবেষ্টন করে আছেন। অর্থাৎ তিনি সমগ্র সৃষ্টি জগতে বিরাজমান। পরের আয়াতে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ্ দয়া করে যাকে ইচ্ছা তাকেই হিকমতবিশেষ জ্ঞান (তাঁকে জানার জ্ঞান) দান করেন। আর যাকে ওই বিশেষ জ্ঞান দান করেন তাঁকে প্রভূত কল্যাণও দান করে থাকেন। আর বোধশক্তিসম্পন্ন অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞানের অধিকারীগণই প্রকৃত শিক্ষা লাভের ক্ষমতা রাখেন। মহান আল্লাহ পাকের জ্ঞানে যারা জ্ঞানী তারা সাধারণ মানব নন বরং তারা বিশেষ মর্যদাশীল ব্যক্তি,তারা আল্লাহ পাকের মনোনিত ব্যক্তি, তারা আল্লাহ্ পাকের বন্ধু বলে পরিগণিত। আল্লাহ্র বন্ধুগণই আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতা রাখেন এবং অপরকেও আত্মিক জগতের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন। সৃষ্টির শুরু থেকে যত নবী-রাসূল জগতে আগমন করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ রেখে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ধর্ম প্রচার এবং মানব জাতিকে হেদায়েতের কাজ করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাঁর নিজ সম্পর্কে এরশাদ করেন, “তিনি (আল্লাহ্) আদি, তিনিই অন্ত, তিনি প্রকাশ, তিনি গুপ্ত এবং তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক অবহিত”(সূরা হাদিদ, আয়াত-৩)। অর্থাৎ সৃষ্টি জগত সৃজনের আগে মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কোন কিছুই ছিলনা, সৃষ্টি জগত ধ্বংস হওয়ার পরও তিনি থাকবেন, তিনি সৃষ্টির মাঝেই নিজেকে প্রকাশ করেছেন,আবার তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে গোপন অবস্থায় আছেন।

হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, “আমি গুপ্ত ধনাগার ছিলাম, নিজকে প্রকাশ করতে ভালোবাসলাম, তাই সৃষ্টি জগত সৃজন করলাম” (সিররুল আসরার)। অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক গোপনে না থেকে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য ভালবাসলেন এবং সৃষ্টিকেই তাঁর ভালবাসার মাধ্যম হিসেবে বেঁচে নিলেন। হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ আরো বলেন, “মানবজাতি আমার গুপÍ ভেদ এবং আমি মানুষের গুপ্ত রহস্য” (সিররুল আসরার)। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সমগ্র সৃষ্টিরাজির উপর প্রাধান্য বিস্তার করার ক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়েছে। এরপরও মানুষ হিসেবে আমরা আত্মিক জগতের কথা ভাবিনা, আল্লাহ পাকের দিদার লাভের চিন্তা করিনা বা কি করে তাঁর দিদার লাভ করা যায় সেই পথের সন্ধানও করিনা। অথচ মহান আল্লাহ পাকের মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল-মানুষের মাধ্যমে তাঁর গুনাবলী প্রকাশ পাবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন,“ পৃথিবীর সব গাছ যদি কলম হয়, আর এই যে সমুদ্র এর সঙ্গে যদি সাত সমুদ্র যোগ দিয়ে কালি হয় তবুও আল্লাহ্র গুণাবলী লিখে শেষ করা যাবেনা। আল্লাহ্তো শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী” (সূরা লোকমান, আয়াত-২৭)। এই অসীম গুনাবলীর অধিকারী মহান আল্লাহ গোপন অবস্থা থেকে প্রকাশ পেয়ে তাঁর গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে চেয়েই মানব সৃষ্টি করেন। আল্লাহ্ পাক মানুষকে এতো উচ্চ মর্যাদায় দিয়েছেন যে, তাঁর প্রতিনিধি করে মানুষকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ্ প্রদত্ত এই উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে আমরা নিজেরাই হয়ত অনেকে জানিনা। এছাড়া মানুষের সার্বিক প্রয়োজনে এই সৃষ্টি জগত সৃজিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, “তোমরা কি দেখনা আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহ্ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করেছেন?” (সূরা লুকমান, আয়াত-২০)। বস্তুতঃ আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত কারো চলার শক্তি নেই। আরো এরশাদ হয়েছে, “তিনি (আল্লাহ্) পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তৎপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন এবং উহাকে সপ্তাকাশে বিন্যস্ত করেন; তিনি সর্ব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত”(সূরা বাকারা-২৯)। এই সৃষ্টি জগত দুভাগে বিভক্ত। যার একটি হলো বস্তু জগত বা দৃশ্যমান জগত আর অপরটি আলোকময় তথা আত্মিক জগত। 


আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




ডিবি গুলশানের তৎপরতায় ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো আল ইমরান :ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন ফখরুল কবির শান্ত (২৯), মো. মনির হোসেন (৩০), মো. ইমরান (২২), মো. মুজাহিদ বাবু (২৮), মো. রাজিব (২১) ও মো. সানি (২৬)। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় আসে। ট্রিপ শেষে রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন পর্বত সিনেমা হলের পাশের রাস্তায় বাসটি রেখে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন চালক ও দুই সহযোগী। এরপর ৮-১০ জনের একটি দল গাড়িতে ঢুকে ঘটনাস্থলে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁদের মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁদের হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের সিটে ফেলে রাখে আসামিরা।

তিনি আরও জানান, ডাকাত দলের নেতা শান্ত গাড়ি চালিয়ে কিছুদূর এসে তার সহযোগী ইমরানকে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেয়। এরপর নিজেরাই চালক, সহযোগী ও যাত্রী বেশে গাবতলী থেকে কাঁচপুর এবং সেখান থেকে সাভার ও চন্দ্রা পর্যন্ত ট্রিপ মারে। এ সময় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তুলে মারধরের পর সর্বস্ব ছিনিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখে। সারা রাত ডাকাতি করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সাভার থানাধীন কবিরপুর এলাকায় বাসটি রেখে চলে যায় ডাকাতেরা।

অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ঢাকার মিরপুর, গাবতলী ও সাভার থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। যাত্রী বেশে বাসে চড়ে চালক ও সহযোগীকে জিম্মি করে ডাকাতি করত তারা।

আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




মা হলেন মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ছেলের মা হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাহির শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার (সিজার) করার পরামর্শ দেন। এরপর রাত ১১টা ২০ মিনিটে ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মাহি। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন। সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের ছেলের জন্য।

মঙ্গলবার রাতে মাহিয়া মাহি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। তবে কিসের জন্য দোয়া চেয়েছেন পোস্টে তেমন কিছু উল্লেখ ছিল না। এরমধ্যেই গভীর রাতে তার মা হওয়ার সংবাদ এলো।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর মাহি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মা হতে চলেছেন বলে জানান।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের ব‍্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সঙ্গে ঘর বাঁধেন মাহি। সেই বিয়ের খবরও জানিয়েছিলেন ফেসবুকে। সম্প্রতি দুই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। অর্ধদিবস ছিলেন কারাগারে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।


আরও খবর

শাকিবকে বাঁচাতে মরিয়া অপু-বুবলী

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ। 

রোজার প্রথম দিনই নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২শ' দুঃস্থের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার ২৪ মার্চ বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসব ইফতারি বক্স বিতরণ করেন মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, মাসুদ রানা, বদিউল আলম, আব্দুল মান্নান, ইউনুস আলী, বাদশা আলী, আজিজার রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

তরুন সমাজ সেবক ও চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই সমস্যার মধ্যে আছেন। তাদের সহযোগী হবার জন্য সকল ইউপি সদস্যের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রতিদিন দুঃস্থ রোজাদারদের ইফতার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দু’শর বেশি মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ছাদে বসে খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে। 

তিনি এব্যাপারে সকলের দোওয়া কামনা করেন।


আরও খবর



মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ জন গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট-মহাদেবপুর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চোখমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় জড়ীত দু'জনকে গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এব্যাপারে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে জড়ীতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কাশাবাড়িয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও তেঘরবিশা এলাকার মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে লিমন হোসেন মিন্টু (৩৩)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা দস্যু দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে, জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১৬ মার্চ আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি নজিপুর ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী-মহাদেবপুর রাস্তার বেলট মোড় 'ব্রীজ' এলাকায় পৌছালে এসময় অপর দুটি মোটরসাইকেলে যোগে আসা অজ্ঞাত ৪ জন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ পূর্বক চোখেমুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে ও পকেটে থাকা নগদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ৪ জন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় টাকার মালিক মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি উদর্ঘাটন ও টাকা উদ্ধার সহ জড়ীতদের গ্রেফতার এর জন্য পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা টিম গঠন করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ছিনতাই হওয়া টাকা দিয়ে ক্রয় করা স্বর্ণের চেন, দুল, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের দ্রুত অভিযান এবং ছিনতাইকারী চক্রে জড়ীতদের গ্রেফতার পূর্বক নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সহ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তথা অভিযানিক পুলিশ টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



নওগাঁয় নতুন করে ঘর পাচ্ছেন আরো ১ হাজার ২শ' ৯০টি গৃহহীন পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে নওগাঁয় আরো ১ হাজার ২শ' ৯০টি গৃহহীন পরিবার এর মুখে হাঁসি ফুটতে যাচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলার ৯টি উপজেলায় বসতহারা পরিবারকে এসব নতুন ঘর করে দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩শ' ৬৫ ভৃমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে খাস জমি ও ঘর প্রদান করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় চতুর্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২শ' ৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতে এসব নতুন ঘড় হস্তান্তরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে নওগাঁয় এসব ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার ২শ' ৯০টি পরিবারকে ২ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত পূবক করা হয়েছে। এসব গৃহ নির্মানের কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রতিটি গৃহে দুইটি কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা আছে। এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১শ' ২০টি, বদলগাছীতে ১০০টি, ধামইরহাটে ১শ' ৪০টি, পত্নীতলায় ১শ' ৪৬টি, মান্দায় ১শ' ৭৭টি, মহাদেবপুরে ১শ' ১৬টি, নিয়ামতপুরে ১শ' ৬০টি, পোরশায় ১শ' ৫৪টি, সাপাহারে ১শ' ৭৭টি গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবার এসব ঘর পাবেন। এর মধ্যে মহাদেবপুর, ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন সহ প্রশাসনের অন্যন্যা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য এর আগে নওগাঁ জেলায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫শ' ২টি, ৩য় পর্যায়ে ৭শ' ৩৭টি সহ মোট ২ হাজার ২শ' ৯৫ গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন (নতুন ঘড়) দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩