Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আত্রাইয়ে বিষক্রিয়ায় কৃষকের মৃত্যু দাবি পরিবারের

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাইয়ে ভূট্রা ক্ষেতে কিটনাশক স্প্রে করার সময় বিষক্রিয়ায় ইসরাফিল মোল্লা (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। এঘটনায় আত্রাই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।পরে থানাপুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ইসরাফিল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়মাধাইমুড়ি গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে।

ইসরাফিলের ছেলে জামিরুল মোল্লা বলেন,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার একটু আগে পার্শ্ববতি আত্রাই উপজেলার ব্রজপুর মাঠে নিজস্ব ভূট্রার ক্ষেতে কিটনাশক স্প্রে করার জন্য যান বাবা ইসরাফিল মোল্লা। এর পর রাতে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। পরের দিন শুক্রবার সন্ধান করতে গিয়ে ভূট্রা ক্ষেতে মৃত্যু অবস্থায় পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, কিটনাশক স্প্রে করার সময় মূখে মাস্ক এবং পায়ে স্যান্ডেল ছিলনা। ফলে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে বলে জানান তিনি। এঘটনায় ইসরাফিলের স্ত্রী কারিমা খাতুন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। 

আত্রাই থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন,ইসরাফিলের মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।


আরও খবর



রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মাট সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও রাণীনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার বাস্তবায়নে র‌্যালি, আলোচনা সভা, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু, ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান,ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পিন্টু প্রমুখ।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভারতে রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত ৯

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর কুন্দাহালির একটি রেস্টুরেন্টে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।

রামেশ্বরাম নামের ওই রেস্টুরেন্টে ঘটা বিস্ফোরণ তদন্ত করতে জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) দল, বোম স্কোয়াড এবং ফরেনসিক ল্যাবরটেরি ঘটনাস্থলে যায়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিধারমাইয়াহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, সাড়ে ১২টার দিকে বিস্ফোরণের একটি তথ্য আসে এবং বলা হয় সেখানে একটি ব্যাগ ছিল। আমি জানতে পারছি এটি একটি আইইডি ছিল। তদন্ত চলছে।

এ ঘটনার পর সন্ত্রাস বিরোধী অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দক্ষিণ এমপি তেজাসভি সুরিয়া মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছেন, তিনি ওই রেস্টুরেন্টের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছেন কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটল যেটিতে ৯জন আহত হয়েছেন।

তিনি এক্সে বলেছেন, এইমাত্র রামেশ্বরাম ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নগরাজের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টে হওয়া বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ হয়েছে একজন কাস্টমারের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে, কোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নয়। তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। পরিষ্কার মনে হচ্ছে এটি একটি বোমা হামলা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তরা চায় ব্যাঙ্গালুরু।

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর



নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

দাবি মানার আশ্বাসে নৌযান ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, আমরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছি। দাবি মানতে গড়িমসি করলে আবারও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। তিনি জানান, শপথ নেওয়ার পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী আজ প্রথম অফিস করলেন। তিনি শিগগিরই আমাদের সঙ্গে আবার বসবেন। আশা করি আমাদের দাবি দ্রুত সমাধান করবেন।

১১ দফা দাবি আদায়ে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে নৌধর্মঘট পালনের কথা ছিল। কর্মসূচি স্থগিত করার ফলে সারাদেশে নৌযান চলাচল অব্যাহত থাকবে।

নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করে নৌযানশ্রমিকেরা। দাবির পক্ষসমর্থনে দতরাল বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নৌযানশ্রমিকেরা।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি-ছিনতাই ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা, নৌযানশ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়া, রাতে চলাচলের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। এ ছাড়া সব মালিক সমিতিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে সব বন্দরে পণ্য পরিবহন, মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অমীমাংসিত বিষয়ে আবার চুক্তি করা। চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদকে উপযোগী করা, চট্টগ্রাম বন্দরে নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য পাঁচটি ঘাট ইজারামুক্ত করা, আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার ও ড্রাইভার সনদ বাতিলের কার্যক্রম বন্ধ করা।

বৈঠকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, নৌযান মালিক সংগঠনগুলোর নেতা, সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।


আরও খবর



বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দর ঘিরে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। মাঝেমধ্যে এসব চক্রের দুয়েকজন পাচারকারী ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা রয়ে যাচ্ছে চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারা। অভিযোগ উঠেছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচার করছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। ফলে মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এতেও বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা।

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত রবিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্য দিনের মতো ডিউটিতে আসেন। এরপর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে তাদের গতিরোধ করেন এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে কতটি চালান ধরা পড়ে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে মাসে গড়ে ৫-৬টি চালান ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুবাইফেরত যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ওই যাত্রীকে ১০ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করা হয়। জব্দ স্বর্ণগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত ২০ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণের ৬৯টি বার ও ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে ৮ ডিসেম্বর শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই যাত্রীর নাম ফজলে রাব্বী। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। এর আগে স্বর্ণের বড় একটি চালান ধরা হয় গত বছরের জুলাই মাসে। সেই সময় বিমানের সিটের নিচ থেকে প্রায় ২৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়। ফ্লাইটটির ১১টি আসনের নিচে নীল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯৮টি ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট পাওয়া যায়। সেই সময় জব্ধ করা স্বর্ণের মালিক পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দুই ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দুজনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেট কার নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। গত বছরের ১২ জুন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা বারগুলো প্রধানত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। যেসব বাংলাদেশি স্বর্ণ বহন করেন দুবাই থেকেই তাদের ও তাদের একজন স্বজনের ফোন নম্বর, পাসপোর্টের কপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডির ফটোকপি রেখে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা প্লেন থেকে নামার পর প্রথমে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে বারের ট্যাক্স দিয়ে রসিদ নেন। বার বৈধ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি ডিলারের প্রতিনিধি বিমানবন্দরের আশপাশ থেকে রসিদসহ স্বর্ণ বুঝে নেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মতে, বিদেশ থেকে স্বর্ণ দেশে আসার পর মূলত দুটি জায়গায় যায়। প্রথমত, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এটা কিনে নেন। দ্বিতীয়ত, ভারতে পাচার করা হয়। বিশ্বে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনো শাস্তি হয়নি কারো। শুধু এ দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় ১৮৭ মামলা আদালতে বিচারাধীন।

চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। এ চালানে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রী বহন করে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে যারা চেকিং করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এয়ারলাইন্সে কাজ করা কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৩০টি সংস্থা কাজ করে। এখানে যে চুরি করে, সে চুরিই করবে। তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 


আরও খবর