Logo
শিরোনাম

বাবা হওয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে কেন ?

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারা বিশ্বেই পুরুষদের মধ্যে আজকাল স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হলো ভুলভাল জীবনযাত্রা। স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া মানেই তা পরিবার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো।

ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেসের কারণে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে প্রতিদিনের কিছু ভুলের কারণে। বিশেষ কিছু অভ্যাস এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যেমন-

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার পরা

আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এই ভুল করবেন না। দিনে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়া থাকুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালের রিপোর্ট বলছে, টাইট আন্ডারওয়্যার স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়।

কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা

নারী পুরুষ অনেকেই অফিস থেকে বাসায় ফিরে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু পুরুষরা ভুলেও এই কাজটি করবেন না। কারণ কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে তার থেকে যে তাপ উৎপাদন হয়, তা স্পার্মের স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।

অত্যাধিক ধূমপান

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চেইন স্মোকার তাদের স্পার্মকাউন্টেও অনেক সময় সমস্যা থাকে। কারণ নিকোটিন শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। সঙ্গে ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক ফলুইডের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে কমে স্পার্ম কাউন্টও।

মদ্যপান

ধূমপানের সঙ্গে কমাতে হবে মদ্যপানও। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বাবা হতে চাইলে এই স্বভাবেও রাশ টানুন। ধূমপান আর মদ্যপান কিন্তু ক্যানাসারেরও কারণ।

অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল

শীতকালে অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। গরমেও অনেকে গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করেন। গবেষকরা বলছেন, এই অভ্যাস শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে। তাই যাদের এই অভ্যাস আছে, তারা এখনই তা ত্যাগ করুন।

এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েট ফলো করুন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন পরবর্তী জীবনে আর কোনো সমস্যাই আসছে না। জীবন হবে সুন্দর, সমৃদ্ধ।

 


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করবে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।

আইসিসির ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন, এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন, আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেষ্টা করার একটি বিষয়। সেখানে এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যেকোনোভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুণ অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।

টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন, বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানসিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সাথে কথা বলেছি তখন তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপিল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।

সূত্র : বাসস

 

 


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




দশ মাসে ২৫৭৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ দশ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯৭ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮৯ জনের সঙ্গে।

এছাড়া বৃহৎ সংখ্যার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জনকে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১১ জন, আত্মহত্যা করেছেন ২০৭ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১২২ জন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিষদের লিগ্যালএইড সম্পাদক রেখা সাহা। পরিষদটি ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

লিখিত বক্তব্যে রেখা সাহা বলেন আজ থেকেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ। সারা বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নারী সমাজের পক্ষ থেকে ৪২ বছর আগে ১৯৮১ সালে ল্যাটিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এ দিবসটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।

পরবর্তীতে জাতিসংঘ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচার-প্রচারণা বেগবান করার উদ্দেশ্যে ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত ১৬ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে, একইসঙ্গে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে এ সময়কালে কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানায়। সে হিসেবে আমরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি/পরিবার ও নাগরিক সমাজের করণীয় পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং সহনশীলতার সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, পরিবারে শিশু-কিশোরদের নারীদের সম্মান দেওয়ার শিক্ষা দিতে হবে এবং তাদেরকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে, পরিবারের সবক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে, পরিবারের অভ্যন্তরে যৌতুক, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যার প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে তাদের সহযোগিতা করতে হবে, ধর্ষণের ঘটনায় যেকোনো ধরনের সালিশী মিমাংসা এবং ধর্ষণকারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে এবং নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

রাষ্ট্র/সরকারের করণীয় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করতে হবে, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নির্মূলে সমন্বিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, বিরাজমান আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে সহায়ক কার্যক্রম চালু করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নরোধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে আইন প্রণয়ন করতে হবে, পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ এর প্রচার ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে,

 পাঠ্যসূচিতে নারীর মানবাধিকার, নারী পুরুষের সমতার ধারণা যুক্ত করতে হবে, বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে হবে, যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা মনিটরিং করতে হবে, অপরাধীকে কোনোরকম রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদান বন্ধ করতে হবে, সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সমাবেশের নামে নারীর প্রতি নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণা (অনলাইন, অফলাইন) কঠোরভাবে দমন করতে হবে, নারীর জন্য ক্ষতিকর প্রথা (বাল্যবিবাহ, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা, বিচার বহির্ভূত সালিশী কার্যক্রম, বহুবিবাহ) বন্ধ করতে হবে, জাতিসংঘের সিডও সনদের অনুচ্ছেদ-২ ও ১৬ (১)(গ) এর ওপর হতে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে,

 নারীর মজুরিবিহীন গৃহশ্রমকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারাবাহিকভাবে জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাদের কাউন্সেলিং সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে হবে, সমকাজে সমমজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে, নারীদের জন্য অধিক সংখ্যায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে, নারীবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশকে উৎসাহিত করতে সরকারকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে, তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে জেন্ডার সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচিতে সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচন পরবর্তীতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনসহ নারী ও কন্যার ওপর সব প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

গণমাধ্যমের করণীয় গণমাধ্যমে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে; জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজনের সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; নারী ও কন্যার প্রতি অনলাইনে সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।

নারী আন্দোলনের করণীয় নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আন্দোলন শক্তিশালী করতে হবে; নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মসহ সকল শ্রেণিপেশার পুরুষদের যুক্ত করে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং নারীদের মধ্যে আত্মশক্তি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য উদ্দীপনামূলক নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুসহ অন্যান্যরা।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে নৌকা প্রত্যাশী নুর মোহাম্মদের শোডাউন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুর মোহাম্মদের সমর্থনে শোডাউন করেছে শ্রমিক-চালকরা। এ আসনে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে এই শোডাউন করেন তারা।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর ব্রীজ থেকে শোডাউন বের করেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক,অটোরিক্সা চালক,অটো ভ্যানচালক ও হোটেল শ্রমিকরা। প্রায় ৫ শতাধিক অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলের বহরটি বকশীগঞ্জ বাজার হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার প্রদক্ষিণ করে। এর আগে তারা দেওয়ানগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে শোডাউন ও মিছিল করেন। শোডাউন থেকে নৌকা মার্কা ও নুর মোহাম্মদের সমর্থনে নানা স্লোগান দেয়া হয়। শোডাউনের সময় সড়কের দুই পাশ থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ হাততালি দিয়ে তাদের সমর্থন জানান। 

শোডাউনে আসা অটোভ্যান চালক দুলাল মিয়া,খলিলুর রহমান,নওশেদ আলী,নুর মোহাম্মদ কৃষকের সন্তান। তিনি আমাদের মত গরীব অসহায় মানুষের দু:খ বুঝেন। বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন। তাই এবার আমরা তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। 

ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রবিন,ওয়াজকুরুনি,হাফিজুর বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ এমপি মন্ত্রী না হয়েও অনেকদিন ধরে গরীব মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের চাওয়া গরীব অসহায়ের  বন্ধু নুর মোহাম্মদে নৌকা মার্কা দেয়া হোক। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।

হোটেল শ্রমিক রহমান,হিরা মিয়া,কামাল হোসেন বলেন, প্রতিটি ঈদে নুর মোহাম্মদ তাদের খোঁজ খবর নেন। বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগীতা করেন। তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরেন না। আমাদের মত গরীব খেটে খাওয়া মানুষরা এবার এক হয়ে নুর মোহাম্মদের পক্ষে মাঠে নেমেছি। নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে আমরা কাজ কর্ম বাদ দিয়ে তার নির্বাচনে কাজ করবো। 

একাত্মতা ঘোষনা করে শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে যোগ দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান লাল,ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম ও কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নুর মোহাম্মদ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে সভা,সমাবেশ,শোডাউন,পথসভা,উঠান বৈঠক করছেন নিয়মিত।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বোতলে লুজ পেট্রোল বিক্রি নয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বোতল বা ড্রামে ভরে সব ধরনের লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করতে পাম্প মালিকদের অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

 

ডিএমপি সদর দপ্তরের আয়োজিত পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত মতবিনিময় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

 

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, লাইসেন্স ছাড়া ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া যদি কেউ লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি করে আর যদি সে খবর আমরা পাই তাহলে সংশ্লিষ্ট পেট্রোল পাম্পসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, উত্তরখান এলাকায় অনেক লুজ/খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেট্রোল যদি কেউ বিক্রি করে সেজন্য কিন্তু লাইসেন্স লাগে।

কেউ যদি চুপচাপ বা গোপনে খোলা পেট্রোল বিক্রি করে-আমরা জানতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিছুদিন আগেও বিষয়টি নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো না। এখন যাতে এই ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব জায়গায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সারা দেশ থেকে পণ্য ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া বেড়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে দামও। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ওপরে।

অবরোধের আগে এক ট্রাক সবজি বা অন্য খাদ্য পণ্য বাইরে থেকে ঢাকায় আনতে যেখানে খরচ হতো দূরত্ব ভেদে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন একই পণ্য একই স্থান থেকে ঢাকায় পরিবহনে খরচ গুনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারপরও সব ট্রাক ঢাকায় আসতে চায় না; অবরোধকারীদের অগ্নিসংযোগের আতঙ্কে থাকেন। যারা আসছেন তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েক হাজার ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্যবোঝেই করে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে। তিনি যশোরের গদখালি থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সময় তিনি ট্রাক ভাড়া পাবেন ১৯ হাজার টাকায়। অবরোধের আগে একই ওজনের একই পণ্য এনেছিলেন ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায়।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কোন দিকে থেকে অবরোধকারীরা ট্রাকে হামলা করে! গ্লাসে একটি ঢিল মারলে যে ক্ষতি হবে তা এক মাসের ভাড়া দিয়েও উঠবে না। আর আগুন দিলে পুরো ট্রাক শেষ, এমনকি জীবনও যেতে পারে। এই ঝুঁকি নিয়েই আসছি, ভাড়া তো একটু বেশি নেবই। এমন অভিযোগ সুজন মাদবরের। তিনি ফুলকপি নিয়ে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

তিনি বলেন, তারা আমিরুল ইসলাম নামে এক মহাজনের পুরোনো ট্রাকচালক। অনেক দিন থেকেই আমিরুলের পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনিও বেশি ভাড়া পাচ্ছেন। অন্য সময়ের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি ভাড়া পাচ্ছেন হরতাল-অবরোধের সময়।

তিনি বলেন, অবরোধে ছেলেমেয়েরা ট্রাক চালাতে নিষেধ করে কিন্তু সংসার তো আছে। আতঙ্ক নিয়ে ট্রাক চালাই, কখন কি হয়। কিছু হলে কেউ না দেখলেও পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে ট্রাক নিয়ে বের হই।

একই আশঙ্কার কথা জানালেন কুষ্টিয়া থেকে চাল নিয়ে আসা ড্রাইভার আনছার আলী। তিনি মোহাম্মদপুর বাজারে আড়তে চাল নামিয়েছেন। তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার অবরোধ দিচ্ছে না। এই কয়দিনই ট্রাক চালাই। অবরোধে বসে থাকি। এরপরও ভয় পিছু ছাড়ছে না।

অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসা পণ্যের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কমার কথা ছিল, কমছেও। কিন্তু যে হারে কমার কথা ছিল সে হারে কমছে না। বাড়তি পরিবহন ভাড়ার কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারে মুলা নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সংবাদপত্রের ফিরতি গাড়িতে করে মুলা নিয়ে এসেছে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। বাস থেকে মল সড়কে মুলা নামিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সামনে ফাঁকা জায়গা মুলার বস্তা রাখছেন। তিনি আরো বলেন, অবরোধের আগে যে বস্তা ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে এনেছিলাম, অবরোধের সময় একই বস্তার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজি মুলাতে খরচ বেড়েছে এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরও আগের মতো ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যের চেয়ে বেশি ভাড়া দিলেই কেবল ট্রাক ঢাকায় আসে বলে জানান তিনি। অন্য সবজি, ফল বা পণ্যেও এভাবে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কমে গেছে। আগে ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজি ঢাকার আনার জন্য ব্যবসায়ীরা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সশরীরে এসব পণ্যের উৎপাদন স্থলে যেতেন। এখন অনেকেই আর এলাকায় যাচ্ছেন না। প্রয়োজনে ফোনে ফোনে কথা বলে পণ্য আনছেন। খুব প্রয়োজনে দুয়েকজন যাচ্ছেন বা কর্মচারী পাঠাচ্ছেন। এতে পণ্যটি ঢাকায় এলেও দাম বা মানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রত্যাশার মতো কাজটি হচ্ছে না।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আর ব্যবসায়ীদের জায়গা দখল করেছে কৃষকরা। ব্যবসায়ী কম পাওয়ার কারণে কৃষকরা নিজেরাই কয়েকজন মিলে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য ঢাকায় আনছেন। সবজি এখন বিক্রি করতে না পারলে পরে দাম পড়ে যাবে। আবার মাঠে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো আছেই। এজন্য কৃষকেরা নিজেরাই ঢাকায় চলে আসছেন। অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর জায়গা কৃষক দখল করেছেন বলে জানান তিনি। যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর মার্কেটে খোঁজ নিয়ে একই খবর মিলল।

অবরোধ-হরতালের প্রভাবের দেখা মিলেছে বাজারে। শীতকালীন শাকসবজির দাম উলে­খযোগ্য হারে কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ প্রহরা সাহস জোগাচ্ছে: অবরোধ চললে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকা পার করে দিচ্ছে বলে জানালেন যশোরের গদখালি থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাঠ বা ছোট বাজার থেকে ট্রাকবোঝাই করে সড়কে উঠলেই দাঁড় করিয়ে পুলিশ অনেকগুলো ট্রাক এক সঙ্গে করে নিজ জেলা পার করে দিচ্ছে। পরের জেলায় ওই জেলার পুলিশ পাহারা দিয়ে পার করে দিচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা ব্যবসায়ীও এমন কথা জানালেন। তবে চুয়াডাঙ্গা বা ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাক পুলিশ প্রহরা ছাড়াই এসেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন ও ড্রাইভার সুজন মাদবর। ফলে জীবন ও ট্রাক সম্পত্তির ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী বা চালক-হেলপারের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

প্রসঙ্গত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি দল। আগামীকাল রবিবার থেকে এ হরতাল পালন হবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা।

এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। এর আগে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ পালন করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩