Logo
শিরোনাম

বাগেরহাটে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব কাক পাখির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২৬৫জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: 

আধুনিক পৃথিবীতে আস্থা বা বিশ্বাসের জায়গা থেকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠা কঠিন। খুব সহজেই মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে তার প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু পশু পাখি একবার কাউকে বিশ্বাস করলে সহজে তাকে ছেড়ে যায়না। বাগেরহাটের মোংলায় এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সাড়া ফেলেছে একটি কাক পাখি। তারেক বিন সুলতান নামে এক যুবক বছর খানেক আগে আহত অবস্থায় একটি কাক পাখিকে বাসায় নিয়ে আসেন। সুস্থ হওয়ার পর সেই কাক বন্ধু হয়ে তারেকের বাসায় থেকে যায়।

জানা যায়, কালো কাক পাখি আলাদা আলাদা মানুষের মুখের আকৃতি মনে রাখতে পারে। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের অনুকরণ করার পাশাপাশি কাক মানুষকে অনুকরণ করতেও পারে। কাক সাধারণত সারা জীবন একই সঙ্গীর সাথে থাকে। তবে খুব সহজে পোষ না মানা কাক পাখিই কিনা এবার মানুষের বন্ধু হয়ে গেলো।

মোংলা পৌর শহরের জয়বাংলা সড়কের বাসিন্দা মোঃ সুলতানের ছেলে তারেক বিন সুলতান প্রায় এক বছর আগে একটি কাকের বচ্চা পাখিকে তাদের গাছের নিচে দেখতে পান। সেটির কাছে গিয়ে তিনি দেখেন বাচ্চা কাক পাখিটি খুবই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর বাসায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন তিনি। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে পাখিটি সুস্থ হয়ে ওঠে।

তবে তারেক ভেবেছিলেন সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি তার আপন ঠিকানায় ফিরে যাবে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। পাখিটির সঙ্গে তারেকের ভাল বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কারণে প্রায় এক বছর হলেও কাক পাখিটি তারেককে ছেড়ে যায়নি।

তারেক বিন সুলতান এসব কথা জানিয়ে এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, ‘মানবিক দায়িত্ব থেকে আহত কাক পাখিটিকে চিকিৎসা দেই। তবে বন্ধুত্বের ব্যাপারে ভাবিনি। কাক পাখিটি প্রায় এক বছর ধরে আমার সঙ্গেই আছে। আমি তাকে সিদ্ধ ডিম, মাছ ও মাংস খেতে দেই। সারাদিন আকাশে ঘুরে বেড়িয়ে ও আবার আমার বাসায় চলে আসে’।

কাক পাখির সঙ্গে তারেকের বন্ধুত্বের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় তারেকের মুখে কোন খাবার নিয়ে কাকটিকে খেতে দিলে সে তার মুখ থেকে সেই খাবারও খাচ্ছে। এমনকি তারেকে কোথাও গেলে কাক পাখিটি তাকে অনুসরণ করে।

তারেক বলেন, তিনি পাখিটিকে আটকে রাখতে চাননা। বরং উড়ে যাওয়ার জন্য পাখিটিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। সে বিশ্বাস করেন স্বাধীনতার মধ্যে এই প্রকৃত বন্ধুত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘যে কোন বন্যপ্রানীরা সবসময় তার নিরাপদ সেফটি এবং খাদ্য চায়। এটা যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে তারা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়’। এছাড়া কাক সবসময় পুরোপুরি বিশ^স্ত হয়না, তারা কখনও কখনও অন্যান্য মানুষের সাথে মিলিত হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন-কাক একটি স্মার্ট পাখি যা অন্য একটি কাক সেখানে মারা যাওয়ার পরে সম্ভ্যাব্য হুমকি খুঁজতে সেই অঞ্চল তদন্ত করতে থাকে। তারা অন্য কাকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে যদি তারা বুঝতে পারে যে কখনও নির্দিষ্ট মানুষ বিপদজ্জনক। 


আরও খবর



কোরবানির আগে পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদুল আজহার এক মাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রবিবার (৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

পেঁয়াজ কিনতে খিলগাঁও বাজারে এসেছেন আয়েশা খাতুন। দুইদিন আগেও তিনি ৮০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনেছেন, রবিবার ৯৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।

আয়েশা বলেন, দুইদিনের ব্যবধানে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে যায়? দুইদিন আগে কিনেছিলাম, আজ আবার কিনতে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনেই হতবাক।

একই কথা জানান আরেক ক্রেতা বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এটা না হলে কোরবানি আসতে আসতে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগবে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত নন মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা বিক্রেতা নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে, আমদানির মাধ্যমে তা মেটানো হয়। ফলে আমদানি বন্ধের পর দাম ধীরে ধীরে পাইকারিতে বাড়তে থাকে। এখন আমদানি উন্মুক্ত হলে দাম আবারও কমে আসতে পারে।

হাসান নামের অপর এক বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, দর-দাম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরা সেভাবে বিক্রি করি। আবার পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) অর্থাৎ আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। আর, এরপর থেকেই ধীরে-ধীরে দাম বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির।


আরও খবর



বয়সের পার্থক্য কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম থাকে ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

সম্পর্ক শুরুর সময় একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম থেকে পরিণয় পাওয়ার সময়কালটা সব সময়ই আনন্দময়। এমন অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পরতই খুব মোহময়।

তবে সেই প্রেম বা সম্পর্ককে ধরে রাখা, বা পরবর্তীতে বিয়ের পর দাম্পত্য অটুট রাখা মুখের কথা নয়। এক গবেষণায় উঠে এসেছে সম্পর্ক ধরে রাখতে বয়সের আদর্শ ফারাক নিয়ে কিছু তথ্য।

এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বয়সের ফারাক নিয়ে এক গবেষণায় বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।

তারা ৩০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে উঠে এসেছে দুজনের সম্পর্কে ৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক, ১০ বছরের ফারাক ও সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য।

৫ থেকে ৭ বছরের ফারাক: গবেষণায় বলা হচ্ছে, যে দম্পতিদের বয়সের ফারাক ৫ থেকে ৭ বছরের, সেখানে ১৮ শতাংশ সুযোগ রয়েছে বিচ্ছেদের। তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী।

১০ বছরের ফারাক: দুজনের মাঝে বয়সের ফারাক ১০ বছরের হলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। এছাড়াও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

২০ বছরের ফারাক: দুজনের বয়সের ফারাক যদি ২০ বছরের হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে এও বলা হচ্ছে যে, যদি বয়সের ফারাক ১ বছরের হয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ থাকে।

সম্পর্ক ও সন্তান: গবেষণা এও বলছে যে, সব সময় যে বয়সই একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ হচ্ছে, তা নয়। রয়েছে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিয়ের আগে সন্তান এলে সেই জুটির সম্পর্ক বেশ টেকসই হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ের পরে সন্তান হওয়ার পরও অনেক সময় বিচ্ছেদের কবলে পড়তে পারেন ৫৯ শতাংশ।

এছাড়াও গবেষণা বলা হচ্ছে, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমে। সেক্ষেত্রে একই বয়সের দুজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ককে স্থায়ী করে বলে ইঙ্গিত গবেষণার।


আরও খবর

রবীন্দ্র তীর্থস্থানে এক বিকেল

বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩




নওগাঁয় র‍্যাব সেজে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে র‍্যাব সেজে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সালেহ মাহামুদের ছেলে সুলতান মাহামুদ (৩১), মহাদেবপুর উপজেলার কালুশহর গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে এলিট কবির (২৩) ও ময়েজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৩৪)।

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জানান, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামেরর নেতৃত্বে বুধবার ভোর পৌনে ৪ টার দিকে থানার কেশাইল এলাকা থেকে নগদ ২৭ হাজার ৫৫০ টাকা ও কালো রংয়ের মোটর সাইকেলসহ র‌্যাব পরিচয়ে গভীর রাতে চাদাবাজী করতে গেলে এলাকার সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজী চক্রের মূলহোতাসহ ওই ৩ জনকে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরও জানান যে, মূলহোতা এলিট কবির অবৈধ আর্থিক সুযোগ সুবিধা গ্রহনের জন্য ভুয়া র‌্যাব পরিচয় ব্যবহার করত এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের কাছে নিজেকে র‌্যাব সদস্য হিসেবে হাতকড়া প্রদর্শন করে মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণ ও র‌্যাবের অপারেশনাল দলের সামনে তারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে ভূয়া র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে মানুষের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা দায়ের করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান বাংলা মদসহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ২ হাজার ১শ' ৬৮ লিটার বাংলা (চোলাই) মদ উদ্ধার সহ ২ জন মাদক কচরবারি আটক।

শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুরে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত বিপুল পরিমান মদ সহ ২ জনকে আটক করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অভিযানিক দল।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, রবিবার ২৮ মে দুপুরে পূর্বে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন চকমোহন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ১শ' ৪৮ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী শ্রী বিনয় পাহান (৪০), পিতা-মৃত জোগেশ পাহান, সাং-চকমোহন, থানা ও জেলা-জয়পুরহাটকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা করোন। 


এছাড়া শনিবার রাত ১২ টারদিকে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন  সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ২০ লিটার চোলাই (বাংলা) মদ উদ্ধার সহ শ্রী সন্দীপ মাহাত (২৬) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেন র‍্যাব।জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃতে রবিবার পূর্ব রাত সোয়া ১২টার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত শীবচরণ মাহাতের ছেলে 

 শ্রী সন্দীপ মাহাত কে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত দুই জন জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য চোলাই মদ অবৈধ্য ভাবে সংগ্রহ করে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এব্যাপারে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে 


আরও খবর



কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

সময় যতই গড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা তত বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসছে। আগামীকাল সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর এবং মোংলায় ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এনামুর রহমান বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোন হচ্ছে না। এটি অতি প্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়। আগামীকাল রোববার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে চলে এসেছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা (ECP: 966 HPA) উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

বিশেষ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এটি আজ সকাল (১৩ মে) ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩