Logo
শিরোনাম

বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর



গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবিতে অংশ নিবে ৭৩৮৮ পরিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবিতে) কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৭৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একাডেমিক ভবনগুলোতে সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ইউজিসি এবছর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথমবারের মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়ায়, বিভাগটির জন্য ৩০ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৮৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ৫৫ জন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) ৫৫ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) ৬০ জন, ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) ৩০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। লাইফ সায়েন্স অনুষদের অনুকূলে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগে ৫৫ জন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে ৬০ জন, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস)  বিভাগে ৫৫ জন, বায়োটেকনোলজি এন্ড 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগে ৪০ জন, ফার্মেসী বিভাগে ৩৫ জন, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে।  সায়েন্স অনুষদের রসায়ন বিভাগে ৫৫ জন, গণিত বিভাগে ৬০ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৫৫ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। সোস্যাল সায়েন্স অনুষদের অর্থনীতি বিভাগে ৬৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের  হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ৫০ জন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। 

আরও জানা যায় যে, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এবছর ৩ টি ইউনিটে সর্বমোট আবেদন পড়েছে ৩,০৫,৩৪৬ জন পরিক্ষার্থীর। এর মধ্যে এ ইউনিটে মোট ১,৭০,৫৯৯ জন, বি ইউনিটে মোট ৯৪,৬৩১ জন এবং সি ইউনিটে মোট ৪০,১১৬  জন । গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২০,৬৬৮ টি। আবেদন জমার হিসেবে এবছর প্রতি আসনে লড়বে  প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী। এবছর নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। নতুন এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনটি পৃথক পৃথক  দিনে তিনটি গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১২.০০ টা থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত ও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকাল ৩ টা হতে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।  বি ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত ও  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মেগাসিটি ঢাকার ৭৪ ভাগ ভবনই অবৈধ। অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা বলছে, এই নগরের মাত্র ২৬ ভাগ ভবন তৈরি হয়েছে নিয়মনীতি মেনে। বাকি সবক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যত্যয়। তবে এবার তৃতীয়পক্ষ দিয়ে জরিপ করে নগরের শতভাগ ভবনের নকশা হাতে পেতে চায় রাজউক। তিন ধাপে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নগরবিদরা বলছেন, কষ্টসাধ্য হলেও সম্ভব। তবে বাস্তবায়নে খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে রাজউককেই। এই মহানগরে প্রায় চার লাখ ভবন রয়েছে, যা বিধির বাইরে।

৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে এর গোড়াপত্তন হলেও এখন টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ঠেকেছে সীমানা। স্বাধীন বাংলার ২০ লাখ মানুষের নগরে মতিঝিল আর কারওয়ান বাজারই ছিলো দুটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৫৩ বছর পর শহরের জনসংখ্যা এখন দুই কোটির বেশি।

এমন অবস্থায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্য কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এমনকি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রাজউকের কাগজে-কলমে ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা। কালের বিবর্তনে তা এখন পুরদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার সাত মসজিদ রোডের কথাই ধরা যাক। একটি সড়কের মধ্যে যে পরিমাণ হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোঁরা, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস রয়েছে; একক সড়ক হিসেবে কোন সড়কে এতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বে নজিরবিহীন বলা যায়।

যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় সেখানে আলাদা করে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকা সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়। আর তাইতো অপরিকল্পিত এই নগরে কদিন বাদেই নিমতলী, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টা কিংবা বেইলী রোডের মতো ট্রাজেডি সামনে আসে।

রাজউকের তথ্যই বলছে, ঢাকায় ৭৪ ভাগ ভবনই গড়ে উঠেছে নকশার বাইরে। বাকি ২৬ ঠিকঠাক। তবে এবার এই নগরের সব ভবনের নকশা নিজেদের মুঠোয় পেতে চায় রাজউক। নীতিমালা প্রস্তুত করে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা হবে জরিপ।

সংস্থাটির প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউকের পক্ষে একা এ কাজ করা কঠিন। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার চেষ্টা করছি। তারা সরেজমিনে সব ভবন পরিদর্শন করে অগ্নি নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে দেখবে।

তারপর তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা যতোই হোক তা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে সংশোধনরে সুযোগ। এরপর বিশাদ অঞ্চর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

নগরবিদরা বলছেন, কেবল পরিকল্পনা নয় বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা। আর সেজন্য দরকার প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এই কাজে কেউ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি আছে সেই খোলস থেকে বের হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।


আরও খবর



ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। এবার সপ্তাহ জুড়ে অনলাইনে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন তারাই আজ যাত্রা করছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ গত ২৪ মার্চ যেসব যাত্রী বুধবারের (৩ এপ্রিল) অগ্রিম টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র তারাই আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছেন।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বিশেষ ট্রেন যাত্রায় ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে শুরুতেই৷ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি কোনো ট্রেন।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথমে ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টায়। দ্বিতীয় ট্রেন হিসেবে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ৫ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেলেও সাড়ে ৬টারও পর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা ছেড়েছে। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসও (৭০৯) ৪ মিনিট বিলম্ব নিয়ে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকেট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।

যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার পাশেই বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব- ৩ এর এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

আর প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও আবার দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরের দিকে তারা প্রবেশ করতে পারছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

আব্দুল লতিফ নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে এখানে এসে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হয়নি। খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। এখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। সিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে গেলেই হলো। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এ বিষয়টিই আনন্দের।

উম্মে সালমা নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমন ভিড় কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব বিক্ষোভ উত্তাল। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ইহুদিবাদী নেতা নেতানিয়াহুকে চুক্তির পথে বাধা বলে উল্লেখ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলকারী।

গত শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়া এবং অন্যান্য শহরে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা হাজারও বিক্ষোভকারী। তারা গাজায় এখনও বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তা ও ভয়ে ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না।

তিনি বলেন, জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরায়েলের জনগণ ক্ষমা করবেন না। এখন আর কোনো অজুহাত চলবে না।

বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। বিক্ষোভকারীরা জিম্মি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারা সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামব নাবলে স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ছয় মাসের মতো ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১৯০ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।


আরও খবর



নাবিকদের নিয়ে আমিরাতের বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সোমালিয়ান জলস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি।

এসময় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এছাড়াও ১৫ সদ্যের প্রতিনিধি দলে আছেন কেএসআরএম (কবির) গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান আরাফাত।

এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু এই মুহুর্তে তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে ‍উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেলে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেয়।


আরও খবর