Logo
শিরোনাম

বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

নিত্যপণ্যর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারকি এবং  পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মেহেদী হাসান রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিত্যপণ্য সামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ ব্যবস্থা তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হলো। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- পুলিশ সুপার (এসপি), জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা মৎস কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দুইজন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক

এতে আরও বলা হয়েছে- টাস্কফোর্স নিয়মিত বিভিন্ন বাজার, আড়ত, গুদাম, কোল্ড স্টোরেজ ও সরবরাহ ব্যবস্থার অন্যান্য স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারকি করবে। টাস্কফোর্স উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে যাতে দামের পার্থক্য ন্যূনতম থাকে তা নিশ্চিত করবে এবং অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে

টাস্কফোর্স প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলে নির্ধারিত নম্বর ও ইমেইলে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠাবে

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন সংকলন ও পর্যালোচনা করে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠাবে। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




রাসূল সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্বিদা!

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শাহ্সূফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী :

১.মহান আল্লাহ রাসূল (ﷺ) কে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেনঃ

রাসূল (ﷺ) এর নূর সম্পর্কে কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন স্থানে ➤ সূরা মায়েদা  আয়াত ১৫, সূরা তাওবাহ, ৩২ আয়াত, সূরা নূর,৩৫,  সূরা ছাফ, ৮, সুরা আহযাব, ৪৫-৪৬ এবং অসংখ্য হাদিসে পাকে রয়েছে। 

তন্মধ্যে হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু কর্তৃক রাসূল (ﷺ) কে সর্বপ্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাসূল (ﷺ) বলেন,-

فَقَالَ: يَا جَابِرُ! إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ قَبْلَ الأَشْيَاءِ نُورُ نَبِيِّكَ مِنْ نُورِهِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ النُّورِ يَدُورُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ، وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ لَوْحٌ وَلا قَلَمٌ وَلا جَنَّةٌ وَلا نَارٌ وَلا مُلْكٌ وِلا سِمِاءٌ وَلا أَرْضٌ وَلا شَمْسٌ وَلا قَمَرٌ وَلا جِنِّيٌ وَلا إِنْسٌ.


‘‘অতঃপর রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন হে জাবের! নিশ্চয় আল্লাহ তা‘য়ালা সবকিছুর পূর্বে তার স্বীয় নূর হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। তখন লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম.....কিছুই ছিল না।’’  

☞ইমাম আবদুর রায্যাক, আল-মুসান্নাফ (জুযউল মুফকুদ): ১/৬৩, হাদিস-১৮, (ঈসা মানে হিমইয়ারা সংকলিত), আল্লামা আজলুনী : কাশফুল খাফা: ১/৩১১ পৃষ্ঠা, হাদিস/৮১১, আল্লামা কুস্তাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া: ১/১৫, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, আল্লামা জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব: ১/৮৯, আশরাফ আলী থানবী, নশরুত্ত্বীব :  পৃষ্ঠা, ২৫, আব্দুল হাই লাখনৌভী, আসারুল মারফূআ, ৪২-৩৩ পৃষ্ঠা, ইবনে হাজার মক্কী, ফতাওয়ায়ে হাদিসিয়্যাহ, ৪৪ পৃষ্ঠা, ও (শামেলা),  শায়খ ইউসুফ নাবহানী, হুজ্জাতুল্লাহিল আলামিন: ৩২-৩৩ পৃষ্ঠা, ও জাওয়াহিরুল বিহার, ৩/৩৭ পৃষ্ঠা, আনোওয়ারে মুহাম্মাদিয়্যা, ১৯ পৃষ্ঠা, মোল্লা আলী ক্বারী, মাওয়ারিদুর রাভী, ২২ পৃষ্ঠা, এ হাদিস এবং এ  বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৯৩-৫৭৪  পৃষ্ঠা, দেখুন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَمَّا خَلَقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ آدَمَ خَيَّرَ لِآدَمَ بَنِيهِ، فَجَعَلَ يَرَى فَضَائِلَ بَعْضِهِمْ عَلَى بَعْضٍ، قَالَ: فَرَآنِي نُورًا سَاطِعًا فِي أَسْفَلِهِمْ، فَقَالَ: يَا رَبِّ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا ابْنُكَ أَحْمَدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخَرُ وَهُوَ أَوَّلُ شَافِعٍ -

‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যখন আল্লাহ তা‘য়ালা হযরত আদম (عليه السلام) কে সৃষ্টি করলেন, তখন তাকে তার সন্তান-সন্ততি দেখালেন। হযরত আদম (عليه السلام) তাদের পারস্পরিক শ্রেষ্ঠত্ব নিরীক্ষা করতে থাকেন। অবশেষে তিনি একটি চমকপ্রদ নূর দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে পরওয়ারদিগার! এ কার নূর? আল্লাহ তা‘য়ালা বললেন, এ তোমার আওলাদ হবে, তার নাম আসমানে আহমদ। যিনি (সৃষ্টিতে) প্রথম এবং তিনি প্রেরণে (নবীদের) শেষ। তিনি সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী।’’  

☞ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ৫/৪৮৩  পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, ইমাম সুয়ূতী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/৭০  পৃষ্ঠা, হাদিস : ১৭৩, ইমাম ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৭/৩৯৪-৩৯৫  পৃষ্ঠা,দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইমাম যুরকানী : শরহুল মাওয়াহেব, ১/৪৩  পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, মুত্তাকী  হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১১/৪৩৭ পৃ, হাদিসঃ ৩২০৫৬, আবু সা‘দ নিশাপুরী, শরফুল মুস্তফা, ৪/২৮৫ পৃষ্ঠা, কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১/৪৯ পৃষ্ঠা, দিয়ার বকরী, তারীখুল খামীস, ১/৪৫ পৃষ্ঠা, সার্রাজ, হাদিসাহ, হাদিসঃ ২৬২৮, ইবনে হাজার আসকালানী, আল-মুখাল্লিসিয়্যাত, ৩/২০৭ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ২৩৪০, সালিম জার্রার, আল-ইমা ইলা যাওয়াইদ, ৬/৪৭৮ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৬০৮৩।


তাই প্রমাণিত হল যে বাবা আদম (عليه السلام)ও আমাদের নবীজিকে নূর হিসেবেই জানতেন। আহলে হাদিসদের ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী (১৯৯৯খৃ.) এ সনদটি প্রসঙ্গে লিখেন-


قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادُ حَسَنٌ؛ رِجَالُه كُلُّهُمْ ثِقَات رجال البخاري؛


‘‘আমি (আলবানী) বলছি, এই হাদিসের সনদ ‘হাসান’ , ইহার সকল বর্ণনাকারীগণ ইমাম বুখারী (রহ.) এর বর্ণনাকারী ন্যায়।’’

☞আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসুদ দ্বঈফাহ, হাদিস নং  ৬৪৮২।


আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) তাঁর তাফসীরে সুরা যুখরুফের ৮১ নং আয়াত-


 قُلْ إِنْ كَانَ لِلرَّحْمَنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ


‘‘হে হাবিব! আপনি বলুন দয়াময় আল্লাহর যদি কোন সন্তান হতো তাহলে ইবাদাতকারীদের মধ্যে আমিই সর্ব প্রথম তার ইবাদত করতাম।’’ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) একটি হাদিস উল্লেখ করেন এভাবে-

قَالَ جَعْفَرْ الصَادِقْ رَضِى الله عَنْهُ أَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِ مُحَمَّد صلى الله عليه وسلم قَبْلَ كُل شىء

'‘হযরত ইমাম জাফর সাদেক (رضي الله عنه) বলেন, সকল কিছুর পূর্বে আল্লাহ ‘নূরে মুহাম্মাদী’ কে সৃষ্টি করেছেন।’’

☞ইসমাঈল হাক্কী : রূহুল বায়ান : ৮/৩৯৬  পৃষ্ঠা,

সুরা যুখরুফ, আয়াত ৮১।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকায়েদের ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (رحمة الله) বলেন-

اِنَّهُ تَعَالٰى نُوْرٌ لَيْسَ كَالْاَنْوَارِ وَ رُّوْحُ النَّبُوْيَّةُ القُدْسِيَّة لُمْعَةُ مِنْ نُوْرِهِ وَالْمَلاَئِكَةٌ اشرار تِلْكَ الْاَنْوَارِ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى وَمِنْ نُوْرِى خَلَقَ الله كُلِّ شّئٍ-

‘‘আল্লাহ তা‘য়ালা নূর, তবে অন্যান্য নূরের মতো নন। আর নবী করীম (ﷺ) এর রূহ মোবারক হচ্ছে তাঁর নূরের ঝলক। আর ফেরেশতাগণ হচ্ছেন তাঁর নূরের শিখা। হুযুর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমার নূর থেকে আল্লাহ প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছেন।’’  

☞ইমাম মাহদী আল ফার্সী : মাতালিউল মাসার্রাত : ২১  পৃষ্ঠা, মাতবায়ে মাকতুবায়ে নূরীয়া, পাকিস্তান, শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার, ২/২২০  পৃষ্ঠা, মারকাযে আহলে সুন্নাহ বি বারকাতে রেযা, গুজরাট।


তাই বুঝা গেল, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ইমামের আক্বিদা রাসূল (ﷺ) নূরের সৃষ্টি। যারা এ আক্বিদায় বিশ্বাসী নয়, তারা কি করে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী বলে দাবি করেন? রাসূল (ﷺ) ‘র সৃষ্টি নূরের এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৯৩-৫৭৪  পৃষ্ঠা দেখুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে।


২. রাসূল (ﷺ) হযরত আদম (عليه السلام)‘র বহু আগেই সৃষ্টি, যদিও প্রেরিত হয়েছেন সকল নবির শেষে 


এ প্রসঙ্গে ‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) নিজেই ইরশাদ করেন-


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُنْتُ أَوَّلَ النَّبِيِّينَ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ-

‘‘আমি ছিলাম সৃষ্টিতে নবিগণের সর্বপ্রথম এবং প্রেরণে নবীগণের সর্বশেষ।’’  


☞ ইমাম আদী : আল কামিল : ৩/৩৭৩  পৃষ্ঠা, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৩/২৮২ পৃ  হাদিস : ৪৮৫০, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৪/৪৪১ পৃ  : হাদিস : ৭১৯৫, আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/১১৯ পৃ   : হাদিস : ২০০৭, ইমাম বগভী : মা‘লিমুত তানজিল : ২/৬১১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৬৮০, ইবনে কাসীর : তাফসীরে ইবনে কাসীর : ৬/৩৮২ পৃষ্ঠা,ও সিরাতে নববিয়্যাহ, ১/২৮৯ পৃষ্ঠা, ১/৩১৮ পৃষ্ঠা, সুয়ূতি : খাসায়েসুল কুবরা : ১/৫ হাদিস : ১, আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : দালায়েলুন নবুওয়াত : ১/৪২  পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩, আবি হাতেম : আত্ তাফসীর : ৯/৩১১৬ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১৭৫৯৪, মুত্তাকি হিন্দী কানযুল উম্মাল : ১১/৪৫২ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩২১২৫, তাবরানী, মুসনাদিস্-শামীন, ৪/৩৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৬৬২, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।


এই হাদিসটি এক সূত্রে সহীহ, আরেকটি সূত্রে ‘হাসান’ পর্যায়ের।


قَالَ  قَتَادَةُ : إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:كُنْتُ أَوَّلَ الْأَنْبِيَاءِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ


'‘হযরত কাতাদা (رحمة الله) হতে সহীহ সনদে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন : আমি সৃষ্টিতে নবীদের প্রথম এবং প্রেরণের দিক দিয়ে সবার শেষে।’’

☞শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৬৬পৃ, ইবনে সা‘দ : আত্-তবকাতুল কোবরা : ১/১৪৯  পৃষ্ঠা, ইমাম বগভী : তাফসীরে মা’লিমুত  তানযিল : ৪/৪৩৫পৃ, ইমাম তবারী : তাফসীরে তবারী : ১০/২৬২, তিনি বলেন হাদিসটির সনদ সহীহ, দায়লামী : মুসনাদিল ফিরদাউস : হাদিস : ৪৮৫০, আবু নুঈম ইস্পাহানী : দালায়েলুল নবুয়ত, হাদিস ৩, ইমাম আদি : আল-কামিল : ৩/৪৯ পৃ হাদিস : ৩৭২, ইমাম কাযি আয়াজ, শিফা, ১/১১৪ পৃষ্ঠা,ও ১/৪৬৬ পৃষ্ঠা, তাবরানী : মুসনাদিস্-সামীন : ৪/২৬৬২ পৃষ্ঠা।


ইমাম সুয়ূতী সহ আরও অনেকে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।’’

☞ইমাম সুয়ূতি, জামেউস সগীর, ২/২৪৮ পৃষ্ঠা, হা/৬৪২২-২৩


এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম  খন্ডের ২৪৮-২৫১ পৃষ্ঠা,য় দেখুন।


ইমাম ইবনে সা‘দ (رحمة الله) {ওফাত. ২০৭হি.}একটি হাদিস সংকলন করেন-


عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ. صلى الله عليه وسلم : كُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ


-‘‘হযরত কাতাদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, আমাদেরকে জানানো হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এরূপ বলেছেন, সৃষ্টির মধ্যে আমিই প্রথম মানুষ এবং প্রেরিত হয়েছি সবার শেষে।’’  

☞ইমাম ইবনে সা‘দ, আত্-তবকাতুল কোবরা, ১/১৯৯ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, 

ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,

দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, শিফা শরীফ, ১/১১৪ পৃষ্ঠা, 

কাসতাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১/৪২ পৃষ্ঠা,।

আহলে হাদিসদের ইমাম এবং ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (رحمة الله) {ওফাত. ৭৭৪হি.}এই হাদিসটি সংকলন করে লিখেন- وَهَذَا أَثْبَتُ وَأَصَحُّ -‘‘এই সনদটি প্রমাণিত ও অধিক সহীহ।’’  

☞ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,


তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে; যা এই সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল।


তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই এই দিকেই ইশরা করে হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-

قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالجَسَدِ

‘‘রাসূল (ﷺ)‘র কাছে জানতে চাওয়া হলো যে, আপনি কখন নবুয়ত লাভ করেছেন? তিনি বলেন, আদম (عليه السلام) যখন রূহ ও দেহের মাঝামাঝি ছিলেন।’’ 

 ☞তিরমিযি, আস্-সুনান, ৫/৫৮৫ পৃষ্ঠা,

 কিতাবুল মানাকিব, হাদিসঃ ৩৬০৯, তিনি বলেন হাদিসটি ‘হাসান’। 

আহলে হাদিস আলবানী সনদটিকে সহিহ বলেছেন।

তাই যারা বলছেন তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেছিলেন তারা যে গোমরাহ তা স্পষ্ট প্রমাণিত হল।


আরও খবর



ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই গান- কথাটি সংগীতাঙ্গনে বেশ প্রচলিত। পাড়া-মহল্লায় এখনও ঈদ উৎসবে গানের তালে মেতে উঠেন সংগীতপ্রেমীরা। ক্যাসেট-সিডি পরবর্তী সময়ে গানের বাজার দখল করে নিয়েছে ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।

কোরবানির ঈদের আলোচিত কিছু গান নিয়ে এবারের আয়োজন- বাপ্পা মজুমদারের আগামীকাল সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পা মজুমদারের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে আগামীকাল শিরোনামের গান। সুর, সংগীত ও কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানের কথাও লিখেছেন বাপ্পা মজুমদার। ভিডিও তৈরি করেছেন আহাদ অন্তর। 

সম্প্রতি প্রকাশিত গানের পোস্টার বাপ্পা মজুমদারকে দেখা গেছে রোবট মানবের আদলে। ন্যানসির দুই গান এই ঈদে ন্যানসির ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পেয়েছে কথা দিয়ে শিরোনামের গান। লিখেছেন ও সুর করেছেন তরুণ মুন্সী। সংগীতায়োজনে সেতু চৌধুরী। এ ছাড়া প্রত্যয় খানের সুর করা আরেকটি গান প্রকাশের কথা রয়েছে ন্যান্সির। কেনো ধূসর সময়, হঠাৎ হয়েছে আজ রঙিন/ কেন এ কার ছোঁয়ায়, বদলে যে যায় প্রতিদিন- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বীকিন।

কর্ণিয়ার জামদানি ঈদের প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার নতুন গান জামদানি। লিখেছেন ও সুর করেছেন তানভীর আহমেদ। গানের একটি অংশে কর্ণিয়ার সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠও দিয়েছেন তানভীর। ভিডিও বানিয়েছেন রাজ শংকর বিশ্বাস। কর্ণিয়া, তানভীরের সঙ্গে ভিডিওতে মডেল হয়েছেন সামিয়া অথৈ। জামদানি প্রকাশ হয়েছে কর্ণিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে। চিরকুটের হিয়া গত মাসে প্রকাশ পেয়েছে চিরকুট ব্যান্ডের চতুর্থ অ্যালবাম ভালোবাসাসমগ্র। ঈদ উপলক্ষে ব্যান্ডটি প্রকাশ করেছে হিয়া গানের মিউজিক ভিডিও। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন শারমিন সুলতানা সুমি। আফফান আজিজ প্রিতুলের নির্দেশনায় ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন চিরকুটের সদস্যরা। ব্যান্ডটির ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ হয়েছে হিয়ার মিউজিক ভিডিও। একাধিক গানে কাজী শুভ গত রোজার ঈদে একাধিক গান প্রকাশ করেন কাজী শুভ। 

এবার ঈদেও বেশ কটি গান প্রকাশ করেছেন তিনি। কাজী শুভর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে ভালো মানুষ ভালোবাসা পায় না শিরোনামের গান। কথা ও সুর করেছেন হানিফ খান, সংগীতায়োজনে আহমেদ সজীব। সৌরভ ঘোষ নিলয়ের পরিচালনায় এতে মডেল হয়েছেন তারেক ও তৃষা। এ ছাড়া আই কে মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ হয়েছে কাজী শুভ ও কোনালের দ্বৈত গান ছাইড়া যাব না। আরেকটি ইউটিউব থেকে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে একক গান মায়া মায়া লাগে। অমি-আঁচল জুটির গান ঈদ উপলক্ষে নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে এসেছেন সংগীতশিল্পী সৈয়দ অমি ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি। অমির গাওয়া তোর মনেতে থাকতে দেনা আজীবন শিরোনামের গানটি লিখেছেন সোহাগ ওয়াজিউল্লাহ। সুর করেছেন জিয়াউল হক সোহাগ, সংগীতায়োজনে রিয়েল আশিক। সৈয়দ অমি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি। তানজিব সারোয়ারের নামের জীবন নামের জীবন শিরোনামের নতুন গান নিয়ে এসেছেন তানজিব সারোয়ার। গানটি লিখেছেন জে এস জিসান, সুর করেছেন রিয়াদ আহসান, সংগীত আয়োজনে এ পি শুভ। ভিডিও নির্মাণে জিসান। মডেল হয়েছেন তারেক জামান ও শবনম শিলা। 

সিনেমার গান শুভ-মন্দিরার রসায়নে মাশার কণ্ঠ মিঠু খানের ঈদের সিনেমা নীলচক্রর টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এসেছে গানও। তবে সিনেমার নায়ক-নায়িকা তথা আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তীর প্রেমময় রসায়নটা দেখা যায়নি সেভাবে। নতুন গান যেতে যেতের দৃশ্যে সেটাই উঠে এলো। শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া গানটি গেয়েছেন মাশা ইসলাম। ওয়াহিদ বাবুর কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন ইমন সাহা। গানের দৃশ্যে রাতের সড়কে স্কুটি চড়ে কোথাও যাচ্ছেন শুভ-মন্দিরা। টগরের পর্দায় ইমরান-আনিসা ইমরান মাহমুদুল ও আতিয়া আনিসা দেশের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী। আলোক হাসানের ঈদের সিনেমা টগরর গানের দৃশ্যে বিশেষ চমক হিসেবে হাজির হয়েছেন তারা। প্রকাশিত হয়েছে ও সুন্দরী শিরোনামের গানটি। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানের সুর-সংগীত ইমরানের। পর্দায় আছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। পর্দায় রাজ-ফারিণ, নেপথ্যে হাবিব সিনেমায় কমই গান করেন হাবিব ওয়াহিদ। 

এবার ঈদের ইনসাফ-এ গেয়েছেন তিনি। তোমার খেয়ালে শিরোনামের গানটি গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। তন্ময় পারভেজের কথায় গানের সুর-সংগীত করেছেন আরাফাত মহসীন নিধি। গানের দৃশ্যে রোম্যান্টিক আবহে ধরা দিয়েছেন শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ। 


আরও খবর



সে‌প্টেম্বরের ম‌ধ্যে ৭ শতাংশে নাম‌বে মূল‌্যস্ফী‌তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বললেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল‌্যস্ফী‌তি ৭ শতাংশ নেমে আসবে।মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, মূল‌্যস্ফী‌তির বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এক‌চেঞ্জ রেট। এটা কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো। এখন এটা স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে করে আস্থা এসেছে, মূল‌্যস্ফী‌তি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

গভর্নর বলেন, আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি— খাদ্য মূল‌্যস্ফী‌তি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাং‌শে নে‌মে এসে‌ছে। খাদ‌্যব‌হির্ভূত মূল‌্যস্ফী‌তি একটু বে‌শি আছে, এটি কম‌ছে, ১০ শতাংশের নি‌চে আছে। বিশ্ববাজা‌রে খাদ‌্য, তেল-গ‌্যা‌সের দর ক‌মতির দি‌কে। এর সুফল পা‌বো। এ ছাড়া মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ম‌ধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও প‌রিকল্পনা উপ‌দেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এন‌বিআর চেয়ারম‌্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বি‌ভিন্ন আর্থিক খা‌তের প্রধানরা।

গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা এটি।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




৭২'এর সংবিধান প্রনেতারা মেন্ডেট পাইছে ৭০এর নির্বাচনের মাধ্যমে

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

৭২'এর সংবিধান প্রনেতারা মেন্ডেট পাইছে ৭০এর নির্বাচনের মাধ্যমে। তারাই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করছে, দেশ স্বাধীন করছে সংবিধান প্রণয়ন করছে।


২৪এর দালালদের ম্যান্ডেট কই?

৭২এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: 


ড. কামাল হোসেন ছিলেন (সভাপতি)


সদস্যদের গড় বয়স ৪২ বছর

অধিকাংশই আইনের ছাত্র


কমিটির সদস্যদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন আইনের ছাত্র (ব্যারিস্টার/এলএলবি/বি.এল)। একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, একজন পদার্থ বিজ্ঞান, একজন বাংলা এবং একজন ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। একজন স্নাতক। দুজন সাধারণ বি.এ পাস। একজনের বিএসসি অসম্পূর্ণ। একজন চিকিৎসক। আবার যাঁরা আইনে পড়েছেন তাঁদের অনেকেরই অন্য বিষয়েও ডিগ্রি ছিল। অর্থাৎ অন্য কোনো বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর হওয়ার পরে আইনে পড়াশোনা করেছেন। রাজনীতি করতে গেলে আইন পড়তে হয়—এরকম একটি ধারণা, বিশ্বাস ও রেওয়াজ তখন ছিল।


১. সৈয়দ নজরুল ইসলাম (১৯২৫-১৯৭৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ এবং এল.এল.বি।


২. তাজউদ্দিন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও এল.এল.বি।


৩. খন্দকার মোশতাক আহমদ (১৯২০-১৯৯৬)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


৪. এ এইচ এম কামারুজ্জামান (১৯২৩-১৯৭৫)


প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে এম.এ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


৫. এম আবদুর রহিম (১৯২৭-২০১৬)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


৬. আবদুর রউফ (১৯৪২-২০১১)


ঢাকার মোহাম্মদপুর কলেজ থেকে বি.এ।


৭. মো. লুৎফর রহমান (১৯২৭- ২০০৮)


রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বি.এ।


৮. আবদুল মমিন তালুকদার (১৯২৯-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


৯. অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (জন্ম ১৯৪৫)


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ।


১০. মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (১৯২৭-১৯৮৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. এবং এলএলবি।


১১. এম আমীর-উল ইসলাম (১৯৩৭)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১২. বাদল রশীদ (১৯২৯-১৯৯৩)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১৩. খন্দকার আবদুল হাফিজ (১৯৩০-২০০১)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৪. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (১৯৩৬-২০২০)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৫. অধ্যক্ষ হুমায়ুন খালিদ (১৯৩৫-২০০২)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৬. আছাদুজ্জামান খান (১৯১৬-১৯৯২)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ এবং বি.এল (ব্যাচেলর অব ল)।


১৭. এ কে মুশাররফ হোসেন আখন্দ (১৯১৭-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


১৮. শওকত আলী খান (১৯২৬-২০০৬)


বার অ্যাট ল (লিংকনস ইন)।


১৯. আবদুল মমিন (১৯২৯-২০০৪)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


২০. শামসুদ্দিন মোল্লা (১৯২১-১৯৯১)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি।


২১. শেখ আবদুর রহমান (১৯৩০-২০০৮)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ. এবং এলএল.বি।


২২. ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ (১৯২৫- ১৯৮৯)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং এল.এল.বি।


২৩. আবদুল মুন্তাকীম চৌধুরী (জন্ম ১৯২৯)।


কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.এ এবং লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল।


২৪. অধ্যাপক খোরশেদ আলম (১৯২৯-২০০৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এম.এস.সি।


২৫. সিরাজুল হক (১৯২৫-২০০২)


কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এম.এ ও এল.এল.বি।


২৬. দেওয়ান আবুল আব্বাস (১৯২৩-২০০৮)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ. এবং এল.এল.বি।


২৭. হাফেজ হাবীবুর রহমান (১৯১৫-১৯৮৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ।


২৮. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ (১৯২৫-২০০০)


বিএসসি অসম্পূর্ণ।


২৯. সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (১৯৪৫-২০১৭)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক।


৩০. নুরুল ইসলাম চৌধুরী (১৯২৭-১৯৯৫)


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং এল.এল.বি।


৩১. মোহাম্মদ খালেদ (১৯২২- ২০০৩)


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে এম.এ।


৩২. রাজিয়া বানু (১৯২৬- ১৯৯৮)


কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে বি.এ অনার্স।


৩৩. ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল (১৯৩৯-২০২০)

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস।

৩৪. ড. কামাল হোসেন (জন্ম ১৯৩৭)

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সে স্নাতক ও ব্যাচেলর অব সিভিল ল ডিগ্রি এবং লিংকনস ইনে বার-অ্যাট-ল। আন্তর্জাতিক আইনে পিএইচডি।

এই ৩৪ জনের সাথে তুলনাযোগ্য কি বর্তমানের মার্কিন নাগরিক কোরাম?


আরও খবর



‎রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে সাকিব-নাজমুল

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানী, টাঙ্গাইল-এর আগামী এক বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোটারেক্টর সাকিব হাসান খান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রোটারেক্টর মো নাজমুল হাসান ভূঁইয়া।

‎আজ ৩১মে (শনিবার) ২০২৫ ইং তারিখে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

‎এর আগে গত ২৭মে (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ক্লাব রুমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোটারিয়ান মেজবাহ উদ্দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোটারেক্টর পলাশ হোসেন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‎প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি— উভয় পদের জন্য ৩ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ২২টি ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাকিব হাসান খান ৯টি এবং সেক্রেটারি প্রার্থী মো নাজমুল হাসান ভূঁইয়া ১০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সকলের সামনে ব্যালট পেপার গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

‎নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাকিব হাসান খান বলেন, "আমি বিশ্বাস করি যে, রোটারেক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানী টাংগাইল  একটা ক্লাব নয়। এটা একটা পরিবার। এখানে একে অপরকে শিখায়, অনুপ্রাণিত করে এবং সমর্থন করে। এ ক্লাবটি ক্যাম্পাসে একটি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব। সবার সাথে ইতিবাচক কাজ করে এবং সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে একটি সুন্দর রোটারি বর্ষ উপহার দিতে চাই।"

‎নবনির্বাচিত সেক্রেটারি রোটারেক্টর মো নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “ করি, নেতৃত্ব মানে শুধু পথ দেখানো নয়, বরং সবার পাশে থেকে একসাথে এগিয়ে চলা। আমরা ‘সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব’ এই দর্শনকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এই নতুন রোটারি বছরে আমরা এমন কিছু করতে চাই, যা সমাজে বাস্তব পরিবর্তন আনবে, সদস্যদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াবে এবং তরুণদের নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত করবে।"


‎জানা গেছে, ২০২৫-২৬ রোটারি বর্ষের বোর্ড মেম্বারদের তালিকা পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির যৌথ সিদ্ধান্তে প্রকাশিত হবে। উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী কমিটিতে প্রেসিডেন্ট ছিলেন রোটারেক্টর পলাশ হোসেন এবং সেক্রেটারি ছিলেন রোটারেক্টর সিফাত আহম্মেদ। তাঁদের নেতৃত্বে সংগঠনটি ধারাবাহিকতা ও সাফল্যের যে ধারা তৈরি করেছে, নতুন কমিটিও তা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর