Logo
শিরোনাম

বাজারে অসহায় ক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

বাজারে সাধ্যের বাইরে সবকিছুর দাম। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে। এ অবস্থায় অর্থ সাশ্রয়ে খুচরা বাজার থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেশির ভাগ ক্রেতা বলছেন, টাকা বাঁচাতে তারা এখন পাইকারি বাজারেই ভিড় করছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। কারণ, পাইকারি বাজারে সব সবজির দামই বেশি। পাইকারি বাজারে শুধু আলু ৩০ টাকায় এবং লেবু এক ডজন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের সব ধরনের সবজি ৬০ টাকার ওপরে, যা খুচরাপর্যায়ে গিয়ে আরো বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে আমরা সব জায়গাতেই অসহায়।

রাজধানীর পাইকারি সবজির আড়ত কারওয়ান বাজারের এর সঙ্গে খিলগাঁও রেলগেট বাজার, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া হাটের মতো স্থানীয় পর্যায়ের খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কিন্তু খুচরা বাজারে সেই করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। পাইকারি বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা খুচরাপর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে পটোলের কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা। পাইকারিতে টমেটোর কেজি ৩০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে চিচিঙ্গার কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরায় ৮০ টাকা। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে লেবুর ডজন (১২ পিস) ২০-৩০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মো. সোহাগ। মা এবং ভাইসহ থাকেন শাহীনবাগে। মা তাকে বাসার জন্য বাজার করতে পাঠিয়েছেন। নিয়মিত তার বড় ভাই বাজার করতে আসেন। মায়ের অনুরোধে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে মাথা ঘুরছিল তার। হাতে যে বাজারের তালিকা ছিল, তার মধ্যে বেশ কটি পণ্য কেনা বাকি ছিল। কিন্তু টাকায় কুলায়নি! দাম বেশি হওয়ায় ও পকেটে হিসাবের বাড়তি টাকা না থাকায় কিছু পণ্য বাদ রেখেই বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন। তিনি বলেন, পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে এসেছি। খুচরা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, তাই কম দামের কথা চিন্তা করে বাসার কাছে হওয়ায় কারওয়ান বাজারে আসা। কিন্তু এখানেও দাম অনেক! টাকায় টান পড়ায় প্রয়োজনের সবকিছু কেনা হয়নি। আগে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাইকারি বাজার থেকে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যেত। এখন দাম বাড়ায় এই অল্প টাকায় প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সোহাগের মতো অবস্থা অধিকাংশ ক্রেতার। সাধ্যের মধ্যে ভরছে না তাদের বাজারের ব্যাগ।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, ঈদের পর সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে সবজির গাড়ি কম আসছে। পাশাপাশি লেবার খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়তি।

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ফুলকপি, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু কমের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে লেবু ৩০ টাকা হালি এবং আলু প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া দাম বেড়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

পাশাপাশি ঢেঁড়স, শসা, টমেটো, চালকুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকায়। ঝিঙে, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল, কাঁচা, পেপে, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। করলা, গাজর, লতি, প্রতি কেজি ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১২০ টাকা কেজি। কচুরমুখি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা।

খিলগাঁও রেলগেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, বাজারে এখন বেচাকেনা কম। মানুষের কাছে টাকাপয়সা নেই। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতাম, এখন সেখানে ৩০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি না। লাভ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায়। কারণ মালের দাম তো বাড়তি।

এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে প্রতি কেজি গরুর মাংস গত এক বছর আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মতো। এক বছরে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গরুর মাংস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে যা ৮০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

টিসিবির হিসাবে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮৫ থেকে ২১৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। এক বছরের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৭৫ টাকা এবং হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। অন্যদিকে খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক বছরে পণ্যটির ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে, যা এক বছর আগেও বিক্রি হতো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়। তবে মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিক্রেতারা। বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে। গো-খাদ্য ও পোলট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। ফলে খরচও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বাড়তি।

 


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



ডেঙ্গুর চার ধরনের মধ্যে সব সক্রিয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বর্ষার আগেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর ৪টি ধরনই এখন সক্রিয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২ হাজার। দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরো বাড়ার শঙ্কায় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জটিলতা এড়াতে সরকারি ল্যাবে শনাক্তকারী কিট সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন চারজন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন চারজন ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি রোগীর দুই জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং দুই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে সর্বমোট ৩৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২ হাজার ১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৪৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫৯ জন হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগী ১ হাজার ৭৯৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ১ হাজার ১৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬১৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি এবং এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ডেঙ্গুর রিপোর্ট দেয়নি, তাই সেগুলো শনিবারের রিপোর্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিসংখ্যান বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩১৭ জন। ওই সময়ে এই রোগে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। তবে এ বছরের প্রথম ৫ মাসেই আক্রান্ত ১ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুণ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান বলেন, এই সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে। কারণ দেশে এখন ডেঙ্গুর চারটি ধরণই সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই জটিলতা এড়ানো ও সুচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডেঙ্গুর ধরণ পরীক্ষা করা দরকার। তবে এজন্য সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে সরবরাহ করতে হবে শনাক্তকারী কিট। রোগটির টিকা ও ওষুধ না থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগে আক্রান্ত রোগী যদি কোমরবিডিটি বা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তারকে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকে দুষছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু রোগটি সারাবছর ধরেই ছড়াচ্ছে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি সারাবছর অব্যাহতভাবে রাখতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিপাত এর মূল কারণ হতে পারে। অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনের ছাদ, পার্কিংয়ের জায়গা, নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট। বাড়িতে জমিয়ে রাখা পানিতেও জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু মশা। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিধনে সঠিকভাবে কর্ম পরিচালনা করলে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও ডেঙ্গু টেস্টকারীদের ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাদের বসবাসের স্থান যাচাই করে হটস্পট নির্ধারণ করতে হবে।

এরপর সে সব জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। বিশেষ করে উড়ন্ত মশারা ডেঙ্গু ছড়ায়। তাই এই হটস্পট নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধনে জনসম্পৃক্ততা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় ফগিং করে উড়ন্ত এডিস মশা নিধন কর্মসূচি জরুরি। কবিরুল বাশার আরো বলেন, এ বছর জুন মাসের শেষ দিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে মানুষজন ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। এই সময়ে শহর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ গ্রামেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক শহর ও গ্রামে ডেঙ্গু নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর অন্য বছরের তুলনায় মৌসুম শুরুর আগেই আক্রান্ত রোগী বেশি। তাই আগের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরই মধ্যে অনেক রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অতিরিক্ত খরচ যাতে না হয়, সেজন্য মূল্য উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। এর বেশি নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3

ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২ হাজার

বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩




প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

আইন তৈরি হয় জনস্বার্থে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর প্রয়োজন আছে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম।

এ আইন নিয়ে সারাদেশে একটা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন প্রয়োজন আছে, কেউ বলছেন নাই আবার কেউ বলছেন অ্যাবেন্ডমেন্ট (পরিত্যাগ) দরকার। 

আইন হয় জনস্বার্থে, যেন দেশের মানুষের উপকার হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজে ‘প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগে জামিন হতো না, তবে এখন কিছুটা জামিন হচ্ছে। আইনে বলা হচ্ছে কিছু কিছু অপরাধ জামিন যোগ্য, আবার কিছু অপরাধ জামিন অ-যোগ্য। পরিষ্কার কথা- জামিন অযোগ্য মানে এ নয় জামিন পাবে না। এটা আদালতের বিচারকের বিষয়, তিনি চাইলে জামিন দেবেন আবার না চাইলে জামিন দেবেন না। আমি আশা করছি বিচারকরা বিষয়টি দেখবেন যেন মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।

এসময় তিনি আরো বলেন, অনলাইন বা সোস্যাল মিডিয়াতে কারো সম্পর্কে মিথ্যা বলা হয়, মিথ্যা প্রতিবেদনও হয় তখন এ আইনটি'র মাধ্যমে তা দমন করতে হবে। অনলাইন মিডিয়া কে কেউ অবৈধ কাজে ব্যবহার করবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) মাসুদ খাঁন, নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়,  নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

জিমেইলে আসছে নীল টিক

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




আজ ঢাকায় শোডাউন করবে বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে শনিবার (১৩ মে) রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে বড় শোডাউন করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করবে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাসহ দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই সমাবেশ।

ঈদুল ফিতরের পর এটি তাদের চলমান আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ায় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।

এদিকে শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন এবং সমাবেশে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলো থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।

দলীয় নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের দল চূড়ান্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপের সূচনা করতে যাচ্ছে। সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল দলের তৃণমূলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলায় বিভিন্ন দফায় সমাবেশের ঘোষণা দেবেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।

দলের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শনিবার নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

ঢাকা মহানগরের আশপাশের বিএনপি নেতাদেরও সংলগ্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবারের সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা রাজপথে নামব। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি


আরও খবর



নওগাঁয় জাতীয় কবির ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা কবি পরিষদ এর আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০টায় পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর অস্থায়ী কার্যালয় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে উক্ত আলোচনা সভায় মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, পত্নীতলা উপজেলা কবি পরিষদ এর সভাপতি কবি গুলজার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সিনিয়র সহসভাপতি ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ইউনুছার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছানাউল হোসাইন, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপজেলা লাইব্রেরীয়ান মাও মোহাঃ মাসুদ আলী। 


আরও খবর